দেশের মোবাইল ফোন অপারেটরেরা সুক্ষভাবে মোবাইলের ট্যারিফ বাড়িয়ে চলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ! আপাতত দৃষ্টিতে ট্যারিফ কমানোর নানা রকম বাহারী বিজ্ঞাপনে গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করার প্রানবন্ত প্রচেষ্টায় এ মোবাইল ফোনগুলো লিপ্ত বলেও গুরতর অভিযোগ উঠেছে। মধ্য রাতে কথা বলার জন্য এক ধরনের রেট, সকাল বেলায় আরেক ধরনের রেট, দুপুর বেলা আরো ভিন্ন রেট, আবার সন্ধ্যা বেলায় আরেক তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি ট্যারিফ হওয়ায় কার্যত এর গ্রাহকেরা মারাত্নক বিভ্রান্তির ভেতরে রয়েছে।
একটা সময় ছিল যখন মোবাইল ফোন অপারেটরেরা পিক- আর - অফ পিক- আওয়ারের দোহাই দিয়ে ট্যারিফ বাড়ানো কমানোর খেলায় মেতে থাকতো। তাদের যুক্তি ছিল পিক আওয়ার হচ্ছে সকাল ৮টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত। তাই এ সময়ে কোন গ্রাহক কথা বলতে চাইলে তাকে তুলনামূলকভাবে বেশী পরিমাণ গাঁটের পয়সা খরচ করতে হবে। আর অফ পিক আওয়ারে সারা দিনের তুলনায় অর্ধেক রেটে কথা বলতে পারবেন। মোবাইল ফোন অপারেটরদের এহেন যুক্তি দেখে মনে হত যে লোকজন যদি কম খরচে কথা বলতে চান তবে রাত পর্যন্ত তাদের অপেক্ষা করতে হবে! তাতে যদি গ্রাহকদের ভাগ্যের শিকে ছিড়ে আর কী।
দিন বদলেছে ( একটি মোবাইল ফোন কোম্পানির ডায়ালগ অনুযায়ী )। আর তাই বদলেছে সব মোবাইল অপারেটরদের (একমাত্র সিটিসেল ছাড়া) ট্যারিফ বদলানোর কৌশলও। এখন আর ‘পিক আওয়ারে’ বেশি বিল ধরা হচ্ছে না। বর্তমানে ‘পিক আওয়ারে’ ১ টাকা বা এক টাকার কমে (ভ্যাট ছাড়া) কথা বলা সুযোগ দিচ্ছে সিটিসেল ছাড়া অবশিষ্ট সব মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো। কিন্তু এই স্বল্প মূল্যে কথা বলার ক্ষতি (!) পুষিয়ে নিচ্ছে বিকাল ৫টার পর থেকে রাত ১২ পর্যন্ত অহেতুক বেশি ট্যারিফ আদায় করে।
মজার ব্যাপার হচ্ছে বিকাল ৫টা থেকে রাত ১২ পর্যন্ত সব মোবাইল অপারেটরই ( সিটিসেল ছাড়া ) ভ্যাট ছাড়া ১.৫০ টাকা বা তার কাছাকাছি ট্যারিফ চালু করেছে। ভুক্তভোগী গ্রাহকদের এখন একটাই প্রশ্ন বিকাল বেলায় কী কারণে মোবাইল বিল বেশী দিতে হবে। এর কোন ব্যাখ্যা অবশ্য কোন মোবাইল অপারেটরই তাদের স্ব স্ব গ্রাহকের কাছে জানাতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে ভুক্তভোগীদের মতে এটি আসলে মোবাইল ফোন অপারেটরদের হীন চরিত্রেরই বহিঃপ্রকাশ পেয়েছে। কারণ মুনাফা লোভী এসব মোবাইল ফোন অপারেটরদের একমাত্র লক্ষ্যই হচ্ছে ছলে বলে কৌশলে শুধুমাত্র মুনাফা অর্জন। যে পরিমাণ টাকার ছাড় দিচ্ছে ‘পিক আওয়ারে’ তার চেয়ে বেশি পরিমান টাকা অত্যন্ত সুকৌশলে গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় করার এক অভিনব কৌশলে লিপ্ত হয়েছে এরা। যেকোন উপায়েই গ্রাহকের কাছ থেকে মাত্রাতিরিক্ত মুনাফা অর্জনে বাংলাদেশের মোবাইল অপারেটরদের উদাহরণ পৃথিবীতে বিরল। কোন কোন গ্রাহক মন্তব্য করেছেন যদি রাতভর ২৫ পয়সা ( ভ্যাট ছাড়া ) কথা বলতে দিলে মোবাইল অপারেটরদের কোন ব্যবসায়িক ক্ষতি না হয় তবে দিনের বেলায় ক্ষতি কোথায়। সারারাত যখন দেশের কোটি কোটি মানুষ ঘুমিয়ে থাকে সারাদিনের ক্লান্তি জড়ানো শরীরে, তখন কথা বলার জন্য শতকরা কতজন লোক জেগে থাকবে সেই স্বল্পমূল্যে কথা বলার প্রয়োজনে?
সংশ্লিষ্টদের মতে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের মানুষের সাথে এক ধরণের ছেলে খেলায় মেতেছে। এরা ক্ষেত্রবিশেষে বিটিআরসি’র আইনকে তোয়াক্কা না করেই বিভিন্ন ভাবে গ্রাহকের কাছ থেকে নানা কৌশলে টাকা আদায় করে নিচ্ছে। ভুক্তভোগিদের মতে এভাবে চলতে দিলে গ্রাহকদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে যাবে এবং পুরো টেলিকমিউনিকেশন সেক্টরে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তাই মোবাইল অপারেটরসহ সংশ্লিষ্ট সকলের এবারে শুধুমাত্র মুনাফার দিকে না তাকিয়ে গ্রাহকদের সুবিধার কথা বিবেচনা করার জন্য তাগিদ দিচ্ছে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকরা।
আমি দুরন্ত। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 9 টি টিউন ও 7 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
প্রযুক্তিতেই মুক্তি
আমি বিষয়টা বুঝিয়ে দেই।
আপনাদের মনেহয় একটা অভিজ্ঞতার কথা মনে আছে যে আজ থেকে 2/3 বছর আগে বিকেলের পরে কোনো কল যেতো না। অজানা (!) এক কারণে সব মোবাইলগুলির চ্যানেল ব্যাস্ত হয়ে যেতো। সন্ধ্যা 6টার পরে কেউ কাউকে কল দিলেই নেটওয়ার্ক বিজি। আর সেটা কোনোভাবেই সামাল দিতে পারছিলোনা মোবাইল অপরেটররা।
আর শুধু চার-পাঁচ ঘন্টার জন্য তো আর তাদের নেটওয়ার্ক ক্যাপাসিটি বাড়াবে না। তাহলে কিভাবে এটা ঠিক করা যায়। অন্য সময়ের কলচার্জ কমিয়ে দিয়ে। প্রথমে গ্রামীণ দিলো আপনি আপনার অফপিক পছন্দ করুন। সকালে 3 ঘন্টা না দুপুরে 3 ঘন্টা। এতেও কোনো সমাধান হয় না। তাই সবাই মিলে দিনের রেট কমিয়ে দিলো এবং এখন অবস্থার বেশ পরিবর্তন হয়েছে।
শুধু এই কারণের বিকেলের পরে কলচার্জ কম। যাতে আপনি ঐ সময়ে কথা কম বলে অন্য সময় বলেন।
we should all protest againts those foreign mobile operator who are taking money from us in illegal way. they are earning lot of money from our country but serving us very poor.
phone operator policy should be ,they will take some money for a year like (1000 taka) and after pay that amount of money we dont have to worry about balance.
because business with communication between human in such a way is very wrong
Avishek ভাই কি ফ্রি তে কথা বলতে চাচ্ছেন?
1000 টাকা লাইন রেন্ট আর কল ফ্রি! নাকি 1000 টাকায় 1 বছর! দিনে 2.75 টাকা! দিনে কয় মিনিট (Avg) কথা বলেন আপনি?
ভাই আপনার বাসায় T&T আছে?
কত টাকা দিয়ে line নিয়েছিলেন? 20,000/= না 10,000/=
NWD কল rate কত ছিল? ধরুন ঢাকা থেকে রংপুর, সিলেট?
T&Tর সার্ভিসের সাথে ভৌতিক বিলের কথাও একটু ভাবুন।
T&T ত foreign mobile operator ছিল না। এখন BTCL কে দেখি কোন পর্যন্ত যায়।
আশাকরি দুরন্ত দাদার এই সাহসীকতাপূর্ণ এই লেখা মেবাইল অপারেটরদের বোধদয় করবে!!!চমৎকার লেখা। চালিয়ে যান বস!