কিছুদিন আগে আমাদের বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে এখন থেকে আমাদের দেশের হলগুলোতে উপমহাদেশের চলচিত্র প্রচার করা যাবে। আমরা প্রচন্ড খুশি হয়েছিলাম তার এই সিদ্ধান্তের কারনে। কিন্তু আমাদের এই খুশি স্থায়ি হয়নি কারন এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পরিচালক,প্রযোজক,নায়ক সহ চলচিত্রের সাথে জড়িত সকলে ঘোষনা দিয়েছিল যে তারা শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও লড়াই করে যাবে এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে....।
তারই প্রেক্ষিতে বিশিষ্ট লেখক হুমায়ূন আহমেদের মন্তব্য নিয়েছিল একটি বিশিষ্ট পত্রিকা। সেই কথোপকথন আজ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল।
আমার শৈশবের অনেক সুখ-স্মৃতির একটি হচ্ছে মা'র সঙ্গে সিনেমা দেখতে যাওয়া। বিপুল উত্তেজনা, বিপুল আয়োজন। সিলেট শহরের নিয়ম অনুযায়ী বাসার সামনে রিকশা এসে থামত। শাড়ি দিয়ে সেই রিকশা পেঁচিয়ে ঘেরটোপ করা হতো। মহিলারা ঘেরটোপের ভেতরে। শিশুরা তার বাইরে রিকশার পাটাতনে বসে থাকত। কী আনন্দের দিনই না গিয়েছে। সিনেমা হল পর্যন্ত যাবার আনন্দ, সিনেমা হলের ঘণ্টি শোনার আনন্দ, পর্দায় বড় বড় ছবির দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতে থাকতে বুট-বাদাম খাবার আনন্দ।
১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধ বেধে গেল।
ফলাফল তেমন কিছু হলো না, তবে আইন পাস হলো এই উপমহাদেশের কোনো ছবি পাকিস্তানে আসবে না। ভারতীয় ছবি বন্ধ হয়ে গেল। সেই সময়কার তরুণ তরুণীরা সুচিত্রা-উত্তমের জন্যে গোপনে দীর্ঘশ্বাস ফেলতে লাগল। তাদের আশা একসময় সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে। তখন ছবি দেখা যাবে।
তারপর অনেক দিন পার হয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, বুড়িগঙ্গার স্বচ্ছ পানি বিষাক্ত হয়ে কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করেছে, ১৯৬৫ সালের আইন কিন্তু বদলায় নি। এখন আমরা ভারত থেকে বিদ্যুৎ কিনতে পারব কিন্তু তাদের ছবি আনতে পারব না।
কারণটা কী?
পাকিস্তানি ভূত আমরা ঘাড়ে নিয়ে ঘুরছি কেন? উত্তর হচ্ছে দেশের ছবিকে প্রটেকশন দেওয়া। ভারতীয় ছবি এলে আমাদের ছবি বিকশিত হবে না ইত্যাদি। পঁয়তালি্লশ বৎসর আমাদের ছবিকে প্রটেকশন দেওয়ার ফলাফল কী হয়েছে তা সবাই জানেন। এফডিসিতে যেসব রসগোল্লা তৈরি হয়েছে তা আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই চেখে দেখেন নি।
বাংলাদেশী ছবির প্রযোজকরা জানেন, তারা যা তৈরি করবেন দর্শকদের তাই দেখতে হবে। দর্শকদের হাতে কোনো বিকল্প নেই।
বাংলাদেশের ছবির প্রযোজকরা বলেছেন, ভারতীয় ছবি বাংলাদেশে এলে বাংলাদেশের ছবির বারোটা বেজে যাবে। প্রতিযোগিতায় আমরা টিকতে পারব না। আইন করে আমাদের প্রতিযোগিতার বাইরে রাখতে হবে। স্বয়ং বঙ্গবন্ধুও আমাদের প্রটেকশন দিয়েছেন, ইত্যাদি। সারভাইভাল অফ দি ফিটেস্ট বলে যে কথাটি আছে আমাদের দেশে চিত্র নির্মাতা সেটা জানেন না। এই দেশের আইন হলো আনফিটকে সারভাইভ করার সুযোগ দেওয়া। এরচেয়ে হাস্যকর কিছু হতে পারে বলে আমি মনে করি না।
এখন যদি লেখকরা বলেন, আমাদের বিকশিত হওয়ার সুযোগ দিতে হবে আমরাও প্রটেকশন চাই। বাইরের কোনো লেখকের বই বাংলাদেশে আসতে পারবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কি সেই প্রটেকশন দেবেন? নাকি ছবির প্রটেকশন দিয়ে যাবেন এবং চিত্র নির্মাতারা, "প্রেম না দিলে লাত্থি খাবি?" জাতীয় ছবি বানিয়ে যেতে থাকবেন। এবং একের পর এক আমাদের সিনেমাহলগুলি মার্কেট হতে থাকবে। সাধারণ মানুষের বিনোদন বন্ধ।
কেউ যেন মনে না করেন হিন্দি ছবি দেখার জন্যে আমি ব্যাকুল হয়ে অপেক্ষা করছি। আমি হিন্দি জানি না এবং হিন্দি ছবির ফর্মুলা পছন্দ করি না। একসঙ্গে তিনশ নর্তক-নর্তকীর নৃত্য আমাকে আলোড়িত করে না। তবে আমার জীবনে দেখা প্রথম ছবিটি একটি হিন্দি ছবি নাম 'বহুত দিন হোয়ে'। এই তথ্যটা না জানালে ভুল হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খানকে আন্তরিক ধন্যবাদ যে দীর্ঘ পঁয়তালি্লশ বছর পার হলেও তিনি একটি শুভ উদ্যোগ নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোন যুক্তিতে একটি শুভ সূচনার পরিসমাপ্তি ঘোষণা করলেন তা আমি জানি না। আমি তাঁকে পুনর্বিবেচনা করতেও বলব না কারণ বলে লাভ নেই। প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন সূর্য। তাঁকে ঘিরে থাকবে গ্রহ, উপগ্রহ। তারা প্রধানমন্ত্রীকে কেন্দ্র করেই ঘুরপাক খাবে। প্রধানমন্ত্রী তাদের কথা এবং পরামর্শ শুনবেন। পত্র-পত্রিকায় যারা লিখবেন তারা গ্রহ-উপগ্রহের বাইরে। কে শুনবে তাদের কথা?
আমি একটি ছোট্ট গল্প দিয়ে লেখার ইতি টানছি। এক চলচ্চিত্র উৎসবে হঠাৎ করে সত্যজিৎ রায়ের মহানগর ছবিটি এসেছে। বলাকা সিনেমাহলে পরপর কয়েকটি শো হবে। আমি তখন মুহসীন হলের ছাত্র। টিকিটের জন্যে সারারাত হলের সামনে লাইন দিয়ে বসে থাকলাম। সকাল এগারোটায় কাউন্টারের সামনে এসে জানলাম টিকিট শেষ। কি কষ্টটাই না পেয়েছিলাম। ১৯৬৫ সালের একটি ভুল আইনের কারণে একটা ভালো ছবি দর্শকরা দেখতে পেল না।
আমি নিজে একজন শখের ফিল্ম মেকার। অনেকগুলি ছবি বানিয়েছি, আরও বানাব কিন্তু আমি আমার ছবির জন্যে প্রটেকশন চাইব না। অন্য দেশের ছবির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারলে, টিকব না পারলে নাই।
বাংলাদেশের ছবির জগতে এক ধরনের মনোপলি ব্যবসা চলছে। ইসলাম ধর্মে কিন্তু মনোপলি ব্যবসা নিষিদ্ধ।
যাই হোক আমরা পঁয়তালি্লশ বছর পার করেছি। একসময় একশ বছর পার করব। উপমহাদেশের ছবি আমদানি নিষিদ্ধের শতবর্ষ পূর্তি উৎসব হবে। দুর্ভাগ্যবশত প্রাকৃতিক কারণে সেই উৎসবে আমি থাকতে পারব না। একশত বছরের প্রটেকশন পেয়ে আমাদের ছবি কতদূর চলে যাবে তা দেখার একটা শখ অবশ্যি ছিল।
আমি মেঘবন্ধু। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 5 টি টিউন ও 111 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
কিছুদিন আগে নাবিল ভাই এই নিয়ে একটা টিউন করেছিলেন যেখানে অনেকেই এর প্রতিবাদ করেছিলেন। তারপর অক্ষর ভাই, রিয়া আপু ও আমিসহ অনেকেই যখন এটার ভাল দিকগুলো তুলে ধরলাম তখন তারা অকেকেই বুঝতে পারলো। কিন্তু তার পরের দিন খবর এলো যে প্রস্তাব ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আসলে আমাদের অবস্থা হয়েছে চিলে কান নিয়ে গেছে ঐ গল্পের মত। কেউ কিছু বল্লে তার ভালোমন্দ বিচার বিশ্লেষন না করে নেগেটিভ সাইট নিয়ে ভাবি।আসলে আমরা সবাই যেন সবাইকে প্রতিপক্ষ হিসেবে ভাবি।
আতাউর ভাই আপনাকে বলছি:- কথাটা আমারনা অক্ষর ভাই বলেছিলেন—
“১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে ভারতীয় হিন্দি সিনেমা প্রদর্শন নিষিদ্ধ করে তৎকালীন বাংলাদেশ সরকার। মূলকথা ছিল দেশীয় চলচ্চিত্র বাঁচিয়ে রাখা৷… … এতদিনে বহু সিনেমা হল মালিকগন তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে চলচ্চিত্র ব্যবসায় মন্দা থাকার কারনে। আমাদের দেশের সিনেমাহলগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে এর বিকল্প কিছু হয়তো ছিল না। বাংলাদেশে ২০০০ সালে মোট সিনেমা হল ছিল ১,৬০০ টি এবং তা ২০১০ এ গিয়ে ঠেকেছে ৬০০ তে !!!
—— ভারতীয় সিনেমা নিষিদ্ধ থাকাকালীন এই তো আমাদের দেশের চলচ্চিত্রের উন্নতির নমুনা!!!!!
তাহলে ভারতীয় সিনেমা প্রদর্শিত হলে অসুবিধাটা কোথায়? ভারতীয় স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোর প্রদর্শন কি বন্ধ করা গেছে??
আর আপনার পরামর্শের উত্তর তো অনেকেই দিয়েছে। আশাকরি এবার আপনি বুঝতে পারবেন।
আমারমতে ভারতের ভালো মানের ছবিগুলো মাসে ২ টা করে প্রদর্শনের অনুমতি দেওয়া উচিত ছিলো…
” কেউ যেন মনে না করেন হিন্দি ছবি দেখার জন্যে আমি ব্যাকুল হয়ে অপেক্ষা করছি। আমি হিন্দি জানি না এবং হিন্দি ছবির ফর্মুলা পছন্দ করি না। একসঙ্গে তিনশ নর্তক-নর্তকীর নৃত্য আমাকে আলোড়িত করে না। ” – হুমায়ুন আহমেদ।
জনাব কি এখনো মনে করেন? উত্তম সুচিত্রা আবার সিনেমা হলে ফেরত আসবে? তাহলে কাদের জন্য হুমায়ুনের এত টেনশন???
এমনিতেই তো হিন্দি সিরিয়াল ভর্তি টিভি চ্যানেল গুলো বাংলাদেশের স্যাটেলাইটে সয়লাব। কই , এখন পর্যন্ত তো এ ব্যাপারে হুমায়ুন এর কোন বক্তব্য পেলাম না! তাহলে কি তিনি মনে করেন সংস্কৃতি ইনকামিং হতে পারে, আউটগোয়িং নয়?
আমার কাছে movie-r বাজেট একটা factor. আর FDC তে শিক্ষিত মানিষ না গেলে হবে না। আর আমার মনে হয় আমাদের দেশের মানুষেরা বাইরের জিনিসের প্রশংসা বেশি করে। আর Indian ছবিতে যে culture দেখানো হয় তাতে আমাদের মানুষের উপর বাজে প্রভাব পড়বে, এটা চ্যানেল গুলো থেকেই আমরা বুঝতে পারি। আম আমি শুনেছি কলকাতার বাচ্চারা নাকি বাংলা থেকে হিন্দি বলা like + comfort feel করে। তো আমরাও কি তেমনটা চাই নাকি। আর একটা কথা বলি (হুমায়ূন আহমেদ বলেছেন – আমি নিজে একজন শখের ফিল্ম মেকার। অনেকগুলি ছবি বানিয়েছি, আরও বানাব কিন্তু আমি আমার ছবির জন্যে প্রটেকশন চাইব না। অন্য দেশের ছবির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারলে, টিকব না পারলে নাই।) কিন্তু দেখেন আমাদের দেশে India-r চাইতে ভালো software-ও হয় আবার খারাপ ও হয়– কই আমরা তো Indian software – আমদানি করে ভালো software বানাইতে শিখনাই। তাহলে কেমনে পারি?? আর স্যার আপনি শখের film maker বলছেন নিজেকে ,, তো শখ করে আপনার ৫ বাজেটের ছবি দিয়ে ১ টা ছবি বানান না, দেখি মানুষ কি বলে… আর আমাদের একটা স্বভাব হয়ে গেছে আমরা খালি India India করি .. কি পেয়াজ, কি আলু, এখন আবার বিদ্যুত… এই সবে কষ্ট পাই কিন্তু কিছি করতে পারি না এইটা আরও বড় কষ্ট।
@স্বপ্ন বিলাসী (মামুন) ::: আপনারে কেমনে বুঝানো যাবে জানি না। আর আপনে বুঝবেন কি না সেটাও একটা ব্যাপার। কারন আপনে বই আর মুভিকে এক কাতারে রাখছেন। আমি নিশ্চিত আপনার পোলাপাইন হিন্দিতে হাফেজ হবে আর আপনে তাতে গর্ববোধ করবেন। সো আপনাকে বুঝানোর ইচ্ছা আমার আর নাই। তার পারও একটু বলি–
{{আচ্ছা, culture, Religion সব বাদ দিলাম, ধরেন যদি হিন্দি মুভি আনে, সেটা দেখবে অবশ্যই আমাদের দেশের লোকেরা, এখন বলেন টাকা পয়সা যাবে কোথায়, বাংলাদেশে নাকি ভারতে???? আর আপনার উত্তর যদি হয় ভারত, তো বলেন লাভ কার হবে?? আর উত্তর ভারত না হলে আপনি already Indian হয়ে গেছেন!! }}
আমার একটা প্রস্তাব আছে, কমপিউটারের সমস্ত বিদেশী সামগ্রী আমদানী ব্যান করা হোক? দেশে অনেক মেধাবী তরুণ তরুণী আছেন, তাদেরকে দিয়েই তৈরী হোক বাংলাদেশের কমপিউটার ইন্ডাস্ট্রি, দেশের তৈরী কমপিউটারই আমরা ব্যবহার করবো, একটি কলকব্জাও যেন বিদেশি ছোঁয়া না থাকে। যতোদিন না হচ্ছে ততোদিন কমপিউটার ব্যবহার করবোনা। টেকটিউনসের কেউ রাজি আছেন?
ইচ্ছা থাকলে সব সম্ভব, আমি বিশ্বাস করি আমাদের দেশে প্রচুর মেধাবী ব্যাক্তিরা আছেন, তাদের প্রয়োজন শুধুই উপযুক্ত সুযোগের। অর্থবান এবং মেধাবী এই দুই ব্যাক্তি এক জায়গায় এলেই সম্ভব।
–
সিনেমার ব্যাপারেও বলি, বাংলাদেশের অনেক ছাত্র ভারতের ফিল্ম ইনস্টিটিউটে পড়তে যাচ্ছেন, তারা দেশে ফিরে এসে একদিন না একদিন উপযুক্ত মানের সিনেমা/সিরিয়াল বানাবেন – এই আশা রাখি আমি।
”’সিনেমার ব্যাপারেও বলি, বাংলাদেশের অনেক ছাত্র ভারতের ফিল্ম ইনস্টিটিউটে পড়তে যাচ্ছেন, তারা দেশে ফিরে এসে একদিন না একদিন উপযুক্ত মানের সিনেমা/সিরিয়াল বানাবেন – এই আশা রাখি আমি।”’ ভাই তারা যেই টাকা খরচ করে সেখানে পড়াশোনা করছেন তাতে করে বাংলাদেশে এশে ছবি বানালে সেই টাকা কবে উঠবে তা বলা মুশকিল। দুই একজন ব্যতিক্রম তবে বেশিরভাগই এই অবস্থা। রাগ করবেন না। আমি শুধু বাস্তব অবস্থাটা তুলে ধরলাম।
আমাদেরকে এখন বৃহৎ স্বার্থে চিন্তা করতে হবে।বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির গুটিকয়েক ব্যাক্তির উদরপূর্তীর জন্য জাতিকে বঞ্চিত করার কোন অবকাশ নেই।সবকিছুর ভাল-খারাপ দিক তো থাকেই।lolতবে অনূকুলে ভেবে দেখলে মাসে দু-একটা উপমহাদেশের ছবি চললে খারাপের চেয়ে ভালই বরং বেশি।আর উপমহাদেশে কি ভারত ছাড়া আর কোন দেশ নেই?!!বার বার হিন্দী ছবির খারাপ দিকই কেন আসবে?এটা আমার প্রশ্ন থাকল।
নিজেদের শিল্প-সস্কৃতি ধরে রাখার ব্যাপারে আমরা যে যতো কথাই বলি না কেন তা শুধু কয়েক লাইন দেশাত্ববোধক বাক্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ…
আমরা সবাই-ই তলে তলে অধীর আগ্রহে Wait করি কবে Shahrukh, Salman, Aamir অথবা Hrithik-এর Next Film Release পাবে…
ছবি শুধু আমাদের বিনোদন-ই নয়, এখানে শেখার-ও থাকে অনেক কিছু, তা সে যে দেশেরই ছবি হোক না কেন…
আর ভারতীয় Movie আনলে তো আমাদের দেশের পরিচালকদেরই লাভ কেননা তারা ১০-১২টা হিন্দি Movie না দেখলেতো ১টা দৃশ্য-ও তৈরী করার ক্ষমতা রাখেন কিনা সন্দেহ…
~ !
যেখানে তারা সামন্য আমাদের দেশীয় চ্যানেল প্রচারের পার্মিশান দিল না …… তার মানে কি বলব এখন দেশীয় চ্যানেল ভারতে প্রদর্শিত হলে তাদের চ্যানেল ব্যবসা লাটে উঠবে? মোটেই না ….. ভারত আমাদের সাথে সংস্কৃতি বিনিময়ে আগ্রহী না ….. এ নিয়ে আমাদের আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ স্যার কাটা কাটা ভাষায় কিছু অখন্ড যুক্তি দাড় করিয়েছেন ……… লেখাটা এখন আমার কাছে নাই, কারো কাছে থাকলে দয়া করে শেয়ার করবেন প্লিজ।
ভাই এখানে ছবি আনার পক্ষ – বিপক্ষ তো ঘটনা না। দেখেন ভাই মেঘবন্ধু আপনাকে বলি, India + কিছু BD people বলছে যে সাংস্কৃতি বিনিময় + আরও বলছে ওদের ছবি দেখে আমাদের টা উন্নতি হবে, কই ওদের ছবি তো আমাদের দেশের সাধারন মানুষ থেকে শুরু সবাই দেখে, আমাদের পরিচালকরাও মনেহয় দেখে, না হলে নকল করে কেমনে?? নিচের point গুলা পড়েন।আমাদের মুভিকে ভালো করতে চাইলে এগুলা একটু ভাবেন তো—-
১। ধরে নিলাম Indian + American মুভি আমাদের হলে দেখাইলো আমাদের মুভি গুলা ব্যবসায় মাইর খাইলো আর তখন আমাদের পরিচালক প্রযেজকদের ইচ্ছা হলে ভালো মুভি বানাবে, কিন্তু হবে না!!
২। হবেনা এই জন্য যে, ওরা যে instruments মুভি বানায় সেগুলা আমরা কিনতে পারবো কি না সন্দেহ আছে।
৩। কিনতে পারলেও use করতে কয়জন পারবে সেটা factor।
সো বলেন Indian + American মুভি আমাদের হলে দেখাইলে .. কিভাবে আমাদের ছবি উন্নতি হবে।??
৪। হাঁ, এটা করা যাইতে পারে যে, সরকার/ যে কেউ যন্ত্রপাতি কিনে দিলো, এরপর সেটা কিভাবে use করতে হয় সেটা শিখার জন্য India/ America যাওয়া যাইতে পারে। আর তাহলেই আমাদের মুভির উন্নতি সম্ভব বলে আমার মনে হয়।
আর India-r সাংস্কৃতি বিনিময় :::::
আসলে সাংস্কৃতি-টিতি কিছু না। Indiar আসলে সাংস্কৃতি বলে যে কিছু নাই সেটা একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন সবাই। দেখলেন না কিছুদিন আগে ওরা গে (Gay) আইন পাশ করলো। আর একটা জিনিস খেয়াল করছেন কি না জানি না.. আমি শাহরুখ খানের maximum মুভিতে দেখছি যে ও কারো প্রেমিকা / বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে এমন মেয়ে / অন্য কারো বউকে ভাগায়ে / প্রেম করে / some how manage বিয়ে করছে। তো এইগুলা হয়তো দেখতে ভালো লাগে.. নায়ক তো মানুষ দোষ ও দেয় না, কিন্তু কাজটা কি ঠিক করে নায়ক?? আর এইগুলা আমদানী করতে চাই আমরা।আর সবচাইতে বড় কথা আমরা বলছি কি — সাংস্কৃতি বিনিময় :::: আর India কি বলে জানেন??- বলে যাক ব্যবসার একটা new market
পাওয়া গেলো। আসলে সবই ব্যবসা। আরও অনেক কিছু মনে আসতেছে কিন্তু লিখে শেষ করা যাবে না। আমি India থেকে একটা সুই আমদানীর বিপক্ষে ( Bad Boy ).
(( দুঃসাহসী টিনটিন says:
৭ মে, ২০১০ at 11:52 পুর্বাহ্নআমাদের সিনেমা হল মালিকেরা ব্যবসা ছাড়া কিছু বুঝে না …. তাই সুস্থ ধারা সিনেমার ব্যানার লাগাতেও তাদের অনেক তেল মারতে হয়। ভয়ে থাকে, যদি পাবলিক না খায়। আর আমার ভয় হয়, এই একটা দুইটা আস্তে আস্তে গন আসা ও হতে পারে ,,,,, বেশী লাভের ব্যাপার ত! ))
টিনটিন ভাইয়ের কথাটা খুব মূল্যবান মনে হয়েছে।
আমি ছবি আনার পক্ষে না। কারন আমার দেশের বস্তাপচা, বস্তাবন্দি যাই হোক না কেন, তার পেরেও নিজের। এটাকে উন্নত করতে সবার চেষ্টা করে যাওয়া উচিত। যতক্ষণ না এর উন্নতি না হয়।
আমার একটা কথা শেয়ার করি, আমি যখনই বাংলা দেশে যাতায়াত করি, তখন সর্বশেষ পর্যন্ত চেষ্টা করি বাংলাদেশ বিমানে ছাড়ে যেতে। কারন এটা আমার দেশের সম্পদ, আমার গর্ব। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত।
ধন্যবাদ
(( দুঃসাহসী টিনটিন says:
যেখানে তারা সামন্য আমাদের দেশীয় চ্যানেল প্রচারের পার্মিশান দিল না …… তার মানে কি বলব এখন দেশীয় চ্যানেল ভারতে প্রদর্শিত হলে তাদের চ্যানেল ব্যবসা লাটে উঠবে? মোটেই না ….. ভারত আমাদের সাথে সংস্কৃতি বিনিময়ে আগ্রহী না ….. এ নিয়ে আমাদের আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ স্যার কাটা কাটা ভাষায় কিছু অখন্ড যুক্তি দাড় করিয়েছেন ……… লেখাটা এখন আমার কাছে নাই, কারো কাছে থাকলে দয়া করে শেয়ার করবেন প্লিজ। ))
টিনটিন ভাইয়ের এই কথাটা খুব মূল্যবান মনে হয়েছে।
আমি ছবি আনার পক্ষে না। কারন আমার দেশের বস্তাপচা, বস্তাবন্দি যাই হোক না কেন, তার পেরেও নিজের। এটাকে উন্নত করতে সবার চেষ্টা করে যাওয়া উচিত। যতক্ষণ না এর উন্নতি না হয়।
আমার একটা কথা শেয়ার করি, আমি যখনই বাংলা দেশে যাতায়াত করি, তখন সর্বশেষ পর্যন্ত চেষ্টা করি বাংলাদেশ বিমানে ছাড়ে যেতে। কারন এটা আমার দেশের সম্পদ, আমার গর্ব। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত।
ধন্যবাদ
“… এটাকে উন্নত করতে সবার চেষ্টা করে যাওয়া উচিত। যতক্ষণ না এর উন্নতি না হয়।”
—– এ ‘যতক্ষণ’ আর কতক্ষণ, আপু ???
“… আমরা পঁয়তালি্লশ বছর পার করেছি। একসময় একশ বছর পার করব। উপমহাদেশের ছবি আমদানি নিষিদ্ধের শতবর্ষ পূর্তি উৎসব হবে। দুর্ভাগ্যবশত প্রাকৃতিক কারণে সেই উৎসবে আমি থাকতে পারব না। একশত বছরের প্রটেকশন পেয়ে আমাদের ছবি কতদূর চলে যাবে তা দেখার একটা শখ অবশ্যি ছিল।”
—– একশো বছরেও কি হবে, হুমায়ূন স্যার !!!!!
অক্ষর says:
৭ মে, ২০১০ at 6:59 অপরাহ্ন“… এটাকে উন্নত করতে সবার চেষ্টা করে যাওয়া উচিত। যতক্ষণ না এর উন্নতি না হয়।”
—– এ ‘যতক্ষণ’ আর কতক্ষণ, আপু ???
“… আমরা পঁয়তালি্লশ বছর পার করেছি। একসময় একশ বছর পার করব। উপমহাদেশের ছবি আমদানি নিষিদ্ধের শতবর্ষ পূর্তি উৎসব হবে। দুর্ভাগ্যবশত প্রাকৃতিক কারণে সেই উৎসবে আমি থাকতে পারব না। একশত বছরের প্রটেকশন পেয়ে আমাদের ছবি কতদূর চলে যাবে তা দেখার একটা শখ অবশ্যি ছিল।”
—– একশো বছরেও কি হবে, হুমায়ূন স্যার !!!!!
ভাইয়া, জানে কি?
একবার না পারিলে দেখ শতবার
পারিবোনা একখাটি বলিওনা আর।
যে জাতি রক্তদিয়ে দেশ এনেছে, তাদের মুখে পারবোনা কথাটি মানায়না।
আর এই মন্তব্য টিও আপনার জন্য পড়ে দেখুন প্লিজ……।
masud rana says:
৭ মে, ২০১০ at 6:56 অপরাহ্নএত দেশ রেখে শুধু ভারত কেন? যাদের ডিল ভালো না, নিজেদেরটা্ ভালো বুঝে! ফালতু যুক্তিহীন প্রস্তাব, মুলত হল মালিকদের লাভের জন্য হয়ত করা হয়েছে। ভালো ছবি শুধু ভারতেই হয় না, ভারত লিষ্টের একজন মাত্র, আরও আছে।
ছবি মাঝে মাঝে দু একটা নানা দেশেরতা দেখাইলে জনগনের ছবি দেখার আগ্রহ বাড়বে, অন্যদের সম্পর্কে জানবে। আর ভারতের এমনও সব ছবি আছে যা আদো পরিবার নিয়া দেখা যায় না, দেখবেন লাভের আশায় হল মালিকরা সেটাই বেশী আনবে, বলেন তো এরকম কয়টা হিট ছবির নাম
এত দেশ রেখে শুধু ভারত কেন? যাদের ডিল ভালো না, নিজেদেরটা্ ভালো বুঝে! ফালতু যুক্তিহীন প্রস্তাব, মুলত হল মালিকদের লাভের জন্য হয়ত করা হয়েছে। ভালো ছবি শুধু ভারতেই হয় না, ভারত লিষ্টের একজন মাত্র, আরও আছে।
ছবি মাঝে মাঝে দু একটা নানা দেশেরতা দেখাইলে জনগনের ছবি দেখার আগ্রহ বাড়বে, অন্যদের সম্পর্কে জানবে। আর ভারতের এমনও সব ছবি আছে যা আদো পরিবার নিয়া দেখা যায় না, দেখবেন লাভের আশায় হল মালিকরা সেটাই বেশী আনবে, বলেন তো এরকম কয়টা হিট ছবির নাম 🙂
যুক্তি দেখানোর জন্য শুধু ভারতের কথা তুলে ধরা হয়েছে। কারন আমরা ভারত থেকে বিদ্যুৎ কিনতে যাচ্ছি। আর খারাপ ছবির কথা বলছেন? আমাদের দেশেতো সেই কবে থেকে ১ টিকিটে ২ ছবি চলে আসছে, কই সেইসব ছবি দেখার জন্যতো কাউকে পরিবার নিয়ে হলে যেতে দেখিনি। তাহলে আমাদের দেশে যদি ভালো ছবির পাশাপাশি খারাপ ছবি আসে তবে সেই সব ছবি ১ টিকিটে ২ ছবির মত বয়কট করা যাবেনা কেন?
(( মেঘবন্ধু says:
যুক্তি দেখানোর জন্য শুধু ভারতের কথা তুলে ধরা হয়েছে। কারন আমরা ভারত থেকে বিদ্যুৎ কিনতে যাচ্ছি। আর খারাপ ছবির কথা বলছেন? আমাদের দেশেতো সেই কবে থেকে ১ টিকিটে ২ ছবি চলে আসছে, কই সেইসব ছবি দেখার জন্যতো কাউকে পরিবার নিয়ে হলে যেতে দেখিনি। তাহলে আমাদের দেশে যদি ভালো ছবির পাশাপাশি খারাপ ছবি আসে তবে সেই সব ছবি ১ টিকিটে ২ ছবির মত বয়কট করা যাবেনা কেন? ))
মেঘবন্ধু সাহেব আমি আপনার সব বিষয়ের সাথে ছিলাম, আছি এবং থাকবো, শুধু এই বিষয়টাছাড়া। এই বিষয়টা আপনি যেভাবে দেখছেন আসলে তা নয়। বিষয়টা হলো সংস্কৃতি। আপনি কি বলতে পারেন, যে দেশ আমাদের দেশীয় একটা টিভি চ্যানেল তাদের দেশে প্রদর্শিত হতেদেয়না, সে দেশের সংস্কৃতি আপনি পয়সার বিনিময়ে কিনতে চাচ্ছেন কোন যুক্তিতে?
ধন্যবাদ।
@স্বপ্ন বিলাসী (মামুন) ভাই,যথাবিহীত সম্মানপুর্বক বলতে চাই আপনি >মধ্যপ্রাচ্য, england, australia, america তেও তো হিন্দী ছবি চলে কোই তারাতো হিন্দিতে কথা বলেনাহুমায়ুন আহমেদ সাহেব আপনাকে বলছি বিদুৎ কেনা আর ছবি আনা দুইটা যে এক জিনিস না সেটা কি আপনি বুঝেন না?
তার উপর আছে ধর্মীয় বিসয় যেখানে ভারতীয় প্রায় সিনেমার শুরু হয় ধর্মীয় আরাধনার মাধ্যমে।আমি কোন ধর্মকেই ছোট বা বড় করে দেখার কথা বলছি না।যেখানে বাংলাদেশের ৮৫%ভাগ ভিন্ন মত পোষন করে
< বলে যা বোঝাতে চাইছেন তাকি?তারা কি আমাদের মত বর্ডার বা সিমানা সংলগ্ন দেশ? বা তারা কি প্রায় এক ভারতের অন্তর্ভুক্ত ছিলো?আমার মনে হয় আপনি নেপাল ও ভূটান ভ্রমন করেছেন তাহলে আপনি বা আপনারা নিশ্চয়ই অবগত হয়েছেন কিভাবে ঐ দেশগুলোতে কতটা ভারতীয় সংস্কৃতির প্রভাব পরেছে।কারণ কি ঐ দেশ গুলো আমাদের দেশের মত প্রায় সকল দিকে ভারত থেকে পিছিয়ে আছে।তেমনি ভাবে নেপালের ও ভারতে সিমানা পার হয়ে চায়নায় সিমান্তবর্তী এলাকা আমি অনেক দেখেছি সেখানে ভারতীয় সংস্কৃতীর চিহ্ন তো দুরের কথা ভারতীয় কোন পণ্যের ও চিহ্ন নাই।কারণ ভারত থেকে চিন অনেক এগিয়ে(আপনি/আপনারা আমার সাথে একমত নাও হতে পারেন)।কেউ হয়তোবা বলবেন মালেশিয়াতে হিন্দি ছিনেমা চলে আমি সেখানেও দেখেছি শুধুমাত্র ঐ সমস্ত হলগুলোতে চলে যেখানে ভারতীয় বংশোদ্ভুত মালেয়শিয়ান নাগরিক যেখানে বেশি বসবাস করে।আর ইউরপ আমেরিকার কথা যদি বলেন আমাদের মত ভারতের অতিরিক্ত জনসংখ্যা বিষ্ফোরনের কারণে অনেক ভারতবাসি ভারত স্বাধীন হওয়ার আগ থেকেই ঊন্নত বিশ্বে পাড়ি জমিয়ে তাদের আধিপত্য বিস্তার করে নিয়েছে এমন কি এই দক্ষিন কোরিয়াতেও বিদিশিদের মধ্যেও তাদের আধিপত্য বেশি সকল দিয়ে।
আমার/আপনার নিজের পরিবারের কেউ যদি যোগ্যতা সম্পন্ন না হয় তাই বলে কি অন্য পরিবার থেকে কাউকে ভাড়া করে এনে কি নিজের পরিবারের অযোগ্য ব্যাক্তিকে কি দেখাতে হবে দেখ তোমার থেকে এ কত বেশি যোগ্যতা সম্পন্ন আর দেখালেই কি নিজ পরিবারের অযোগ্য ব্যাক্তিটি কি যোগ্যতায় পরিপক্ক হয়ে যাবে?
যদি প্রশ্ন ওঠে আমাদের সিনেমের মান এজন্যও অপসংস্কৃতি দ্বায়ী এই বিদেশী চ্যানেলের কারণেই আজ এ অবস্থা বেশ কিছু দিন পেছনে তাকিয়ে দেখলেই এর উত্তর পাওয়া যাবে যখন স্যাটেলাইট ছিলনা তখন প্রায় সকল শ্রেণীর মানুষ সিনেমা হলে যেত।আপনাদের মত শিক্ষিত ও রূচিবান সম্পন্ন মানুষের সাংস্কৃতিক ও বিনোদন মূলক জ্ঞানের চাহিদা ও আমাদের পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার রেল লাইনের বস্তিবাসির সাংস্কৃতিক ও বিনোদন মূলক জ্ঞানের চাহিদা এক নয়।আমরা/আপনারা ঘরে বসে টিভির রিমোট ঘুরিয়ে ভেসে বেড়াই/বেড়ান আর তার ঊপর আছে রঙ্গিন ইন্টারনেট কম্পিউটার বিনোদন আরতো কথাই নেই।যে কারনে আমরা আর হল মুখো হইনা আমদের মত এক বিরাট অংশ থেকে বঞ্চিত হল চলচিত্র শিল্প।বাকি থাকল আরেক অংশ যাদের প্রতিদিন নুন আনতে পান্তা ফুরায় তাদের সংসারে লেগে থাকে সবসময় হাহাকার তারাও বিনোদন চায় একটু জাঁকজমকপুর্ণ যাতে সংসারের নিত্য কোলাহল থেকে কিছুটা সরে থাকা যায় যেহেতু এই শ্রেনীর লোকজন ছাড়া কেউ খুব একটা হলে যায় না তাই এদের চিন্তা করেই এখন সিনেমা বেশি বানাতে হয়।(তাই বলে আমি/আমার এদেরকে নেগলেক্ট করার দুঃসাহস নেই বা করছিনা)
এটা দুঃসাহসী টিনটিন says:
৭ মে, ২০১০ at 11:49 পুর্বাহ্ন
যেখানে তারা সামন্য আমাদের দেশীয় চ্যানেল প্রচারের পার্মিশান দিল না
::: এর রিপ্লাই.. কারন হলো ওখানে কমেন্ট নিচ্ছে না তাই এখানে লিখলাম _____________________________________
ভাই এখানে ছবি আনার পক্ষ – বিপক্ষ তো ঘটনা না। দেখেন ভাই মেঘবন্ধু আপনাকে বলি, India + কিছু BD people বলছে যে সাংস্কৃতি বিনিময় + আরও বলছে ওদের ছবি দেখে আমাদের টা উন্নতি হবে, কই ওদের ছবি তো আমাদের দেশের সাধারন মানুষ থেকে শুরু সবাই দেখে, আমাদের পরিচালকরাও মনেহয় দেখে, না হলে নকল করে কেমনে?? নিচের point গুলা পড়েন।আমাদের মুভিকে ভালো করতে চাইলে এগুলা একটু ভাবেন তো—-
১। ধরে নিলাম Indian + American মুভি আমাদের হলে দেখাইলো আমাদের মুভি গুলা ব্যবসায় মাইর খাইলো আর তখন আমাদের পরিচালক প্রযেজকদের ইচ্ছা হলে ভালো মুভি বানাবে, কিন্তু হবে না!!
২। হবেনা এই জন্য যে, ওরা যে instruments মুভি বানায় সেগুলা আমরা কিনতে পারবো কি না সন্দেহ আছে।
৩। কিনতে পারলেও use করতে কয়জন পারবে সেটা factor।
সো বলেন Indian + American মুভি আমাদের হলে দেখাইলে .. কিভাবে আমাদের ছবি উন্নতি হবে।??
৪। হাঁ, এটা করা যাইতে পারে যে, সরকার/ যে কেউ যন্ত্রপাতি কিনে দিলো, এরপর সেটা কিভাবে use করতে হয় সেটা শিখার জন্য India/ America যাওয়া যাইতে পারে। আর তাহলেই আমাদের মুভির উন্নতি সম্ভব বলে আমার মনে হয়।
আর India-r সাংস্কৃতি বিনিময় :::::
আসলে সাংস্কৃতি-টিতি কিছু না। Indiar আসলে সাংস্কৃতি বলে যে কিছু নাই সেটা একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন সবাই। দেখলেন না কিছুদিন আগে ওরা গে (Gay) আইন পাশ করলো। আর একটা জিনিস খেয়াল করছেন কি না জানি না.. আমি শাহরুখ খানের maximum মুভিতে দেখছি যে ও কারো প্রেমিকা / বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে এমন মেয়ে / অন্য কারো বউকে ভাগায়ে / প্রেম করে / some how manage বিয়ে করছে। তো এইগুলা হয়তো দেখতে ভালো লাগে.. নায়ক তো মানুষ দোষ ও দেয় না, কিন্তু কাজটা কি ঠিক করে নায়ক?? আর এইগুলা আমদানী করতে চাই আমরা।আর সবচাইতে বড় কথা আমরা বলছি কি — সাংস্কৃতি বিনিময় :::: আর India কি বলে জানেন??- বলে যাক ব্যবসার একটা new market
পাওয়া গেলো। আসলে সবই ব্যবসা। আরও অনেক কিছু মনে আসতেছে কিন্তু লিখে শেষ করা যাবে না। আমি India থেকে একটা সুই আমদানীর বিপক্ষে ( Bad Boy ).
সেঁথেসেঁথে ডাকাতকে নিজের ঘরে ডেকে আনা কোন বুদ্ধিমত্তার পরিচয় নয় ভারত কখনই তার আগ্রাসন থেকে আমাদের মুক্তি দিতে চাইবে না ভাই কথা বললেই এখন রাজনীতি প্রেক্ষাপট চলে আসবে। মনে পড়ে জহর লাল নেহেরুর কথা? থাক ও দিকে আর না যাই।
ভারত থেকে বিদ্যুৎ কিনতে পারব কিন্তু ছবি আনতে পারব না। কেন?-হুমায়ূন আহমেদ>হুমায়ুন আহমেদ সাহেব আপনাকে বলছি বিদুৎ কেনা আর ছবি আনা দুইটা যে এক জিনিস না সেটা কি আপনি বুঝেন না?
তার উপর আছে ধর্মীয় বিসয় যেখানে ভারতীয় প্রায় সিনেমার শুরু হয় ধর্মীয় আরাধনার মাধ্যমে।আমি কোন ধর্মকেই ছোট বা বড় করে দেখার কথা বলছি না।যেখানে বাংলাদেশের ৮৫%ভাগ ভিন্ন মত পোষন করে
চাকরীর সুবাদে দীর্ঘদিন সেৌদি আরব কাটিয়েছি। সেখানে সিনেমা হল নেই। কিন্তু সিডি/ডিভিডি স্টোরগুলোতে কমপক্ষে ৯০% হিন্দি ছবি বিক্রি হয়। তার সবই যে ভারতীয় বংশোদ্ভুতরাই কেনেন তা কিন্তু নয়। আরবরাও এর ভক্ত! আর ধর্মীয় ব্যাপার যদি আনেন তাহলে কোন কোন ধর্মে সিনেমা দেখা কিন্তু নিষেধই (যদি আমি ভুল না জেনে থাকি) – তাইনা? আর এখানে হিন্দি ছবির প্রসংগ নিয়ে বলা হচ্ছে। তাই বলে অন্য দেশের ভিন্ন ভাষার ভাল সিনেমা আনা যাবেনা একথা কেউ বলেননি। এখানে হিন্দি একটা ভাষা আর ভারত একটা দেশ মাত্র- যাদের সিনেমা পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই সমাদৃত। হলিউডের প্রতিদ্বন্দ্বি শুধুমাত্র বলিউডই।
আর আমাদের দেশে শুধুমাত্র সিনেমা হলে প্রদর্শনের জন্যে হিন্দি সিনেমা নিষিদ্ধ থাকার যুক্তিটা আসলে কোথায়? স্যাটেলাইট চ্যানেলে বাংলাদেশের কতভাগ দর্শক হিন্দি সিনেমা দেখেন বা সিডি/ডিভিডি স্টোরগুলো থেকে কতভাগ লোক হিন্দি মুভি কেনেন, অথবা মহল্লার ভিডিওর দোকান থেকে কতভাগ দর্শক হিন্দি সিডি/ডিভিডি ভাড়া নিয়ে দেখেন- তার পরিসংখ্যান কি কেউ দেবেন?
বিদেশি পদ্ধতি বলে এ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা না নিয়ে কেউ যদি দেশী ব্যবস্থা ঝাড়-ফুক কবিরাজী-গাছ-গাছড়ার চিকিৎসা নেন বা এর উন্নতি করে যেতে থাকেন তবে কারই বা কি বলার আছে?
শোনেন ভাই :: India + কিছু BD people বলছে যে সাংস্কৃতি বিনিময় + আরও বলছে ওদের ছবি দেখে আমাদের টা উন্নতি হবে, কই ওদের ছবি তো আমাদের দেশের সাধারন মানুষ থেকে শুরু সবাই দেখে, আমাদের পরিচালকরাও মনেহয় দেখে, না হলে নকল করে কেমনে?? নিচের point গুলা পড়েন।আমাদের মুভিকে ভালো করতে চাইলে এগুলা একটু ভাবেন তো—-
১। ধরে নিলাম Indian + American মুভি আমাদের হলে দেখাইলো আমাদের মুভি গুলা ব্যবসায় মাইর খাইলো আর তখন আমাদের পরিচালক প্রযেজকদের ইচ্ছা হলে ভালো মুভি বানাবে, কিন্তু হবে না!!
২। হবেনা এই জন্য যে, ওরা যে instruments মুভি বানায় সেগুলা আমরা কিনতে পারবো কি না সন্দেহ আছে।
৩। কিনতে পারলেও use করতে কয়জন পারবে সেটা factor।
সো বলেন Indian + American মুভি আমাদের হলে দেখাইলে .. কিভাবে আমাদের ছবি উন্নতি হবে।??
৪। হাঁ, এটা করা যাইতে পারে যে, সরকার/ যে কেউ যন্ত্রপাতি কিনে দিলো, এরপর সেটা কিভাবে use করতে হয় সেটা শিখার জন্য India/ America যাওয়া যাইতে পারে। আর তাহলেই আমাদের মুভির উন্নতি সম্ভব বলে আমার মনে হয়।
আর India-r সাংস্কৃতি বিনিময় :::::
আসলে সাংস্কৃতি-টিতি কিছু না। Indiar আসলে সাংস্কৃতি বলে যে কিছু নাই সেটা একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন সবাই। দেখলেন না কিছুদিন আগে ওরা গে (Gay) আইন পাশ করলো। আর একটা জিনিস খেয়াল করছেন কি না জানি না.. আমি শাহরুখ খানের maximum মুভিতে দেখছি যে ও কারো প্রেমিকা / বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে এমন মেয়ে / অন্য কারো বউকে ভাগায়ে / প্রেম করে / some how manage বিয়ে করছে। তো এইগুলা হয়তো দেখতে ভালো লাগে.. নায়ক তো মানুষ দোষ ও দেয় না, কিন্তু কাজটা কি ঠিক করে নায়ক?? আর এইগুলা আমদানী করতে চাই আমরা।আর সবচাইতে বড় কথা আমরা বলছি কি — সাংস্কৃতি বিনিময় :::: আর India কি বলে জানেন??- বলে যাক ব্যবসার একটা new market
পাওয়া গেলো। আসলে সবই ব্যবসা। আরও অনেক কিছু মনে আসতেছে কিন্তু লিখে শেষ করা যাবে না। আমি India থেকে একটা সুই আমদানীর বিপক্ষে ( Bad Boy ).
বিষয়টা হলো সংস্কৃতি। আপনি কি বলতে পারেন, যে দেশ আমাদের দেশীয় একটা টিভি চ্যানেল তাদের দেশে প্রদর্শিত হতেদেয়না, সে দেশের সংস্কৃতি আপনি পয়সার বিনিময়ে কিনতে চাচ্ছেন কোন যুক্তিতে?
আর বিদ্যুৎ, চিকিৎসা এবং ছবি এক জিনিষ নয়, এটা আমাদের যেমন বুঝা দরকার তেমনি হুমায়ন আহাম্মেদ সাহেবের ও বুঝা দরকার ছিলো। আমি বলছিনা যে হুমায়ন আহাম্মেদের চেয়ে আমি বেশি বুঝি। যুক্তিটা হলো এই যে, বিদ্যুৎ ও চিকিৎসা আমাদের আপরিহার্য জিনিষ তাই এটা কেনার যুক্তি থাকতে পারে। কিন্তু ভারতীয় সংস্কৃতি আমাদের জন্য আপরিহার্য নয়। এই দেশে সংস্কৃতি কিন্তু বিজয় গাথা।
(( স্যাটেলাইট চ্যানেলে বাংলাদেশের কতভাগ দর্শক হিন্দি সিনেমা দেখেন বা সিডি/ডিভিডি স্টোরগুলো থেকে কতভাগ লোক হিন্দি মুভি কেনেন, অথবা মহল্লার ভিডিওর দোকান থেকে কতভাগ দর্শক হিন্দি সিডি/ডিভিডি ভাড়া নিয়ে দেখেন- তার পরিসংখ্যান কি কেউ দেবেন? ))
এই ডিজিটাল যুগে সব কিছু নিয়নত্রন করা যায় না। কিন্তু যেটুকু সম্ভব সটুকু নয় কেন। নেটে গেলে অনেক পন্য সাইট পাওয়া যায়। সকল দেশ, ধর্ম, জাতি সেটাকে সমর্থন করেনা তার পরেও তো …………………………….
প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন সূর্য। তাঁকে ঘিরে থাকবে গ্রহ, উপগ্রহ। তারা প্রধানমন্ত্রীকে কেন্দ্র করেই ঘুরপাক খাবে। প্রধানমন্ত্রী তাদের কথা এবং পরামর্শ শুনবেন। পত্র-পত্রিকায় যারা লিখবেন তারা গ্রহ-উপগ্রহের বাইরে। কে শুনবে তাদের কথা?…………………………………………………
একটি স্কুলে একজন ছাত্র, সে প্রতিবার ই প্রত্যেক শ্রেনীতে প্রথম স্থান অধিকার করে কারন তার কোন প্রতিযোগী নেই । প্রতিযোগী থাকলে সেই ছাত্রটি আরো কিছু শিখতে পারতো নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারতো……………………………………………………………………
বিদ্যুৎ, চিকিৎসা এবং ছবি এক জিনিষ নয়।
(( মেঘবন্ধু says:
যুক্তি দেখানোর জন্য শুধু ভারতের কথা তুলে ধরা হয়েছে। কারন আমরা ভারত থেকে বিদ্যুৎ কিনতে যাচ্ছি। আর খারাপ ছবির কথা বলছেন? আমাদের দেশেতো সেই কবে থেকে ১ টিকিটে ২ ছবি চলে আসছে, কই সেইসব ছবি দেখার জন্যতো কাউকে পরিবার নিয়ে হলে যেতে দেখিনি। তাহলে আমাদের দেশে যদি ভালো ছবির পাশাপাশি খারাপ ছবি আসে তবে সেই সব ছবি ১ টিকিটে ২ ছবির মত বয়কট করা যাবেনা কেন? ))
মেঘবন্ধু সাহেব আমি আপনার সব বিষয়ের সাথে ছিলাম, আছি এবং থাকবো, শুধু এই বিষয়টাছাড়া। এই বিষয়টা আপনি যেভাবে দেখছেন আসলে তা নয়। বিষয়টা হলো সংস্কৃতি। আপনি কি বলতে পারেন, যে দেশ আমাদের দেশীয় একটা টিভি চ্যানেল তাদের দেশে প্রদর্শিত হতেদেয়না, সে দেশের সংস্কৃতি আপনি পয়সার বিনিময়ে কিনতে চাচ্ছেন কোন যুক্তিতে?
ধন্যবাদ।
(( অক্ষর says: স্যাটেলাইট চ্যানেলে বাংলাদেশের কতভাগ দর্শক হিন্দি সিনেমা দেখেন বা সিডি/ডিভিডি স্টোরগুলো থেকে কতভাগ লোক হিন্দি মুভি কেনেন, অথবা মহল্লার ভিডিওর দোকান থেকে কতভাগ দর্শক হিন্দি সিডি/ডিভিডি ভাড়া নিয়ে দেখেন- তার পরিসংখ্যান কি কেউ দেবেন? ))
বিষয়টা হলো সংস্কৃতি। আপনি কি বলতে পারেন, যে দেশ আমাদের দেশীয় একটা টিভি চ্যানেল তাদের দেশে প্রদর্শিত হতেদেয়না, সে দেশের সংস্কৃতি আপনি পয়সার বিনিময়ে কিনতে চাচ্ছেন কোন যুক্তিতে?
আর বিদ্যুৎ, চিকিৎসা এবং ছবি এক জিনিষ নয়, এটা আমাদের যেমন বুঝা দরকার তেমনি হুমায়ন আহাম্মেদ সাহেবের ও বুঝা দরকার ছিলো। আমি বলছিনা যে হুমায়ন আহাম্মেদের চেয়ে আমি বেশি বুঝি। যুক্তিটা হলো এই যে, বিদ্যুৎ ও চিকিৎসা আমাদের আপরিহার্য জিনিষ তাই এটা কেনার যুক্তি থাকতে পারে। কিন্তু ভারতীয় সংস্কৃতি আমাদের জন্য আপরিহার্য নয়। এই দেশে সংস্কৃতি কিন্তু বিজয় গাথা।
এই ডিজিটাল যুগে সব কিছু নিয়নত্রন করা যায় না। কিন্তু যেটুকু সম্ভব সটুকু নয় কেন। নেটে গেলে অনেক পন্য সাইট পাওয়া যায়। সকল দেশ, ধর্ম, জাতি সেটাকে সমর্থন করেনা তার পরেও তো …………………………….
Nurjahan, ধন্যবাদ আপনাকে। প্রথমেই বলে নিচ্ছি- এখানে করা প্রশ্নগুলো আপনাকে করছিনা, শুধু একটু যুক্তি তুলে ধরছি। সংস্কৃতি? কোন সংস্কৃতির কথা বলছেন? যে দেশে পাইরেটেড দাবি করে বাংলা লেখার অধিকার কেড়ে নেবার পা্যতারা চলছে, সেই সংস্কৃতি? নাকি যে দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সামান্য একটু জমির জন্য পিটিয়ে মেরে ফেলা হয় সেই সংস্কৃতি? নাকি একদিনের জন্য বাঙালি হওয়ার সংস্কৃতি? নাকি ভাষা দিবসের দিন শহীদ-মিনারে জুতা নিয়ে উঠে সম্মান জানানোর সংস্কৃতি? এরকম অনেক উদাহরন আমাদের দেশের সংস্কৃতি নিয়ে দেয়া যাবে। আর আমাদের দেশে যখন Star Cineplex এ ১৫০ টাকা টিকিটের বিনিময়ে উচ্চবিত্তরা হলিউডের, বলিউডের ছবি দেখতে পারে তাহলে মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরা বাদ যাবে কোন যুক্তিতে? আর আমরা যেখানে ছবি মুক্তি পাওয়ার পরদিনই CD/DVD এর মাধ্যমে ছবিটি দেখতে পারছি তখন সংস্কৃতির কোন সমস্যা হ্য়না কিন্তু হলে গিয়ে দেখলেই সমস্যা? আর ভাই আমিতো সিনেমা ব্যবসা্যী না। সিনেমা আসলে আমি আর্থিক ভাবে লাভবানও হচ্ছিনা। শুধু একটা সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের বিপরীতেই আমার মন্তব্য জানানোই প্রধান ইচ্ছে ছিল এর চেয়ে বেশি কিছু নয়। অন্যা্য কিছু বলে থাকলে আমি ক্ষমা চাইছি।
ভাই অক্ষর, উপমাদেশের ছবি বলতে কেন আপনার হিন্দি ছবির কথাগুলোই মনে হল? কেন, ভরতী বাংলা ছবি গুলো কি এর মধ্যে পরেনা নাকি? CD/DVD এর পরিসংখান চান? তবে শুনুন- আমাদের দেশের সিডির দোকানদাররা একটা সিডি কিনে আনে ২৩ থেকে ২৮ টাক দরে এবং একেকটি সিডি ভাড়া দে্য প্রতিবার ৭ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত, ক্যাসেটের চাহিদা বুঝে। যখন বাংলাদেশে জিৎ এর সাথী ছবিটি প্রথম এসেছিল তখন একেকটি ক্যাসেট ২০ টাকা করেও ভাড়া দিতে দেখেছি।আবার যখন MY NAME IS KHAN, 3 IDIOTS এর মত ছবি আসে তখনতো আগে আগে সিরিয়াল দিতে হয়। আমাদের দেশের ছবির (আদৌ যদি এগুলোকে আপনার ছবি বলে মনে হয়) ভাড়ার হাড় খুবই নগন্য। ভারতী বাংলা + হিন্দি + ইংলিশ ছবির ভাড়ার হার ৮০% !
আর ওরা যেহেতু আমাদের দেশের চ্যানেল প্রচারিত হতে দেয়না, তাহলে ওদের দেশের ছবি বন্ধ করার আগে আমাদেরতো ওদের চ্যানেলগুলোই সর্বপ্রথম বন্ধ করা উচিত। তাই নয় কি? প্রশ্ন রইলো।
বদলে যাও বদলে দাও কদিন ধরে এই কথাটা নান যায়গাতে দেখতে পচ্ছি। কিন্তু আমারা বাঙ্গালী নিজেও বদলাব না কোন কিছু বদলাতেও দেব না।আর বাংলাদেশের চলচিত্রের কথা যদি বলেন তাহলে পরিবার সহ না আপনি যদি একালা দেখতে যান তা হলেও আপনার লজ্জা লাগবে।দুই একটা ভিন্ন হয় কিন্তু সারা বচর যা হয় তা আসলে দেখা যায় না।আর কম্পিটিশন না থাকলে কোন জিনিষ ভালো হবার কথা না।এই ভাবে চললে আমাদের চলচিত্রের মান উন্নত হতে এখনো ১০০ বছর সময় লাগবে।
আর রিয়াপু বলেছেন কম্পিউটারের জিনিষ পত্র বাংলাদেশের জনবল দ্বারা তৈরি কথার কথা আমিও তার সাথে একমত। কিন্তু তার জন্য কিছু না কিছু আমাদের বাহিরে থেকে সংগ্রহ করতে হবে।বাংলাদেশ যদি নিজেরা মাইক্রোচিপ তৈরি করার কথা চিন্তা করে তাহলে আগামি ৫০০ বছরেও তা সম্বভ না।এর জন্য অবশ্যই আমাদের প্রথমে বিদেশি সাহায্য প্রয়োজন।
লেখাটা কালের কন্ঠে পড়লাম ।হুমায়ন আহমেদের আমি আবার অন্ধ ভক্ত ।হুমায়ন আহমেদের সাথে আমি একমত তবে ঢালাও ভাবে ছবি আমদানির বিপক্ষে আমি ।প্রতি মাসে ১/২ ভারতিয় ছবি আনা যেতে পারে।তাতে হবে কি মাসে ৪ সপ্তাহের মাঝে ২ সপ্তাহ অন্তত বাংলা সিনেমার জন্য রিজার্ভ থাকবে এতে বাংলাদেশের পরিচালকরাও চাপে পড়ে ভালো সিনেমা বানাতে বাধ্য হবে ।আর না হলে কি হবে আজীবন তোরে খাইচি,তুই প্রেমিক আমি ভন্ড এই টাইপ চলতে থাকবে অবশেষে সব সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাবে