প্রাণী- মশা। নাম- এডিস। লিঙ্গ- স্ত্রী। প্রজাতি দু'টি। ইজিপ্টাই এবং এলবোপিক্টাস।
ইজিপ্টাইয়ের দায়িত্ব নগর, সিটি, শহর ও উপশহরাঞ্চলে কামড়ানো। হাইরাইজ বিল্ডিং- এর ২০/৩০ তলায়ও অনায়াসে এরা পৌঁছে যায়। আর এলবোপিক্টাস কামড়ায় গ্রামে।
এ মশাদের কেউ কেউ ডেঙ্গু ভাইরাস বহন করে, কেউ করে না। ভাইরাসবাহী কোন মশা যাকে কামড়ায় তার শরীরে ডেঙ্গু ভাইরাস প্রবেশ করে। কামড়ানোর ৪ থেকে ৬ দিনের মধ্যে আক্রান্ত করে। জীবাণু বহন করছে না এমন কোনটি আক্রান্ত ঐ ব্যক্তিকে কামড়ানো মাত্রই তা ভাইরাস বাহকে পরিণত হয়। আর এভাবেই এ মশার কর্মপরিধি বাড়তে থাকে। এ চক্র চলতেই থাকে।
এ মশার ডিমও সংক্রমিত হয়। ঐ ডিম থেকে যে মশার জন্ম তা আরও মারাত্মক। জন্মসূত্রে ভাইরাসবাহী এ মশা তার গোটাজীবন ধরে আমাদের বিরুদ্ধে এ্যাকশন চালিয়ে যেতে থাকে। তবে আমাদের ভাগ্য ভালো যে, ভাইরাস বহন না করলে এডিস মশার গড় আয়ু প্রায় ১ মাস। আর ভাইরাস বাহকের আয়ু মাত্র ৮/১০ দিন।
ডিম্ব পরিস্ফুটন ও বেঁচে থাকার জন্য খাদ্যের প্রয়োজন মেটাতে।
এরা পরিস্কার আবদ্ধ পানিতে থেকে বংশ বিস্তার করে আর দিনের আলোতে বিশেষ করে বিকেলে এবং খুব সকালের মৃদু আলোয় আমাদের বংশ ধ্বংস করে অর্থাৎ দিনে কামড়ায়।
পরিত্যক্ত পাত্র বা স্থান যেখানে পরিস্কার পানি ৫ দিনের বেশী সময় ধরে জমে থাকে।
যেমন- ফুলদানী, ফুলের টব, মাটি/ চিনামাটির পাত্র, গাছের কোটর, বাঁশের গর্ত, মাটির গর্ত, ঢাকনাবিহীন পানির ট্যাঙ্ক, বালতি, ড্রাম, প্লাষ্টিকের কৌটা, এ্যাকুরিয়াম, ফ্রিজ/এসির নীচে, বাড়ীর ছাদে/ ইটের উপরকার অক্ষরখচিত অংশে জমে থাকা পানি এবং ফেলে দেয়াঃ-
ডাব/ নারিকেল/ তালের খোসা, পুরনো টায়ার, টিনের কৌটা, মিনারেল ওয়াটারের বোতল/ ড্রিংকস্-এর ক্যান, চিপস্/ বিস্কিটের প্যাকেট, সেলোফেনের ব্যাগ, আইসক্রিমের কাপ।
খালি চোখে সাধারণ মশার মতোই মনে হয়। আকারে কিছুটা বড়ো। ম্যাগনিফাই করলে এর সারা শরীরে সাদা সাদা দাগসহ বুকের দুপাশে কাস্তের মতো দুটি সাদা 'ডেঞ্জার সাইন' দেখা যায়।
১। এ মশার বংশ বৃদ্ধি রোধ করা।
২। ডেঙ্গু প্রতিরোধ।
এদের ঠিকানায় যা কিছু উল্লেখ করা হয়েছে তা ধ্বংস করে ফেলা।
যা ধ্বংস করা সম্ভব নয় তাতে যেন ৫ দিনের বেশী সময় ধরে পানি জমে না থাকে তা নিশ্চিত করা।
গাছের কোটর/ বাঁশের গর্ত মাটি বা সিমেন্ট দিয়ে বন্ধ করা।
খুঁটি বা বেড়ার বাঁশ গিঁট ঘেঁষে এমনভাবে কেটে দেয়া যেন পানি জমতে না পারে।
দিনে ঘুমাতে মশারী অস্বস্তিকর হলেও ব্যবহার করা।
খুব সকালে ফ্যানের বাতাস পুরোটাই খাওয়ার জন্য মশারী গুটিয়ে আবার ঘুমিয়ে না পড়া।
উপসর্গ দু'রকম। একটি ক্লাসিক্যাল অপরটি হিমোরেজিক।
হঠাৎ ১০৪-১০৫ ডিগ্রী জ্বর ওঠা।
চোখের পেছনে, মাথা, মাংসপেশী ও হাড়ে অসহনীয় ব্যাথা।
বমি ভাব বা বমি।
ত্বকে লালচে ছোট ছোট দাগের আবির্ভাব।
ক্লাসিক্যাল উপসর্গের পাশাপাশি ত্বক, খাদ্যনালী, নাক, মুখ, গলা, মস্তিস্ক, বুক ও যৌনাঙ্গ দিয়ে রক্তক্ষরণ।
কালো রঙের মল।
রোগীকে বিশ্রামে রাখা।
তাজা ফলের রস ও প্রচুর পরিমাণ ওরস্যালাইন খেতে দেয়া।
চোখের পেছনে, মাথা, মাংসপেশী ও হাড়ের অসহনীয় ব্যাথা থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তিদানের লক্ষ্যে এসপিরিন, ডাইক্লোফেনাক, ষ্টেরয়েড বা এন্টিবায়োটিক কোন ঔষধ খেতে না দেয়া। এমনকি ডোজ সম্পর্কে চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে প্যারাসিটামলও খেতে না দেয়া।
ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বর চিকিৎসা ছাড়াই ৭ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। কিন্তু ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বরে সংক্রমিত কেউ ডেঙ্গু- ১, ২, ৩ ও ৪- এ চার ধরণের ডেঙ্গু ভাইরাসের মধ্যে অপর একটি দ্বারা আবার সংক্রমিত হলে হিমোরেজিক হয়ে যায়। হেমোরেজিকের ক্ষেত্রে উচ্চপ্রযুক্তিসম্পন্ন চিকিৎসার তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় রোগী বাঁচানো দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে।
ভয় পাওয়ার কিচ্ছু নেই। ডেঙ্গু থেকে বাঁচবো আমরা। বাঁচাবো টেকটিউনস্ কে। টেকটিউনস্ এর মাধ্যমে এ সতর্কতা ছড়িয়ে দেবো সারা দেশে। গোটা বিশ্বে।
সূত্রঃ ১। প্রায় ৭ বছর আগে কুড়িয়ে পাওয়া দৈনিক ইত্তেফাকে ডাঃ গোলাম মোর্শেদ এর প্রতিবেদন।
২। বিভিন্ন চিকিৎসকের পরামর্শ।
৩। ডেঙ্গু রোগীদের নিকট থেকে সংগৃহীত তথ্য।
আমি রিপন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 20 টি টিউন ও 229 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
If you love your Mother, your Wife/ Husband will be good & Baby will be sweet.
Joss hoyse jossjossjossjossssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssss