বাংলাদেশে সিম কেনার সময় রেজিস্ট্রেশন করাটা অনেকের কাছে বিরক্তিকর বলে মনে হয়,কারন রেজিস্ট্রেশন করতে আপনাকে জাতীয় পরিচয় পত্র,ছবি ইত্যাদি সঙ্গে আনতে হয়। তাই অনেকে সিম রেজিস্ট্রেশান না করে সিম কিনে ফেলেন। আর তাতেই যত সমস্যার সৃষ্টি হয়।বর্তমানে সরকার আর BTRC এর কঠোরতার কারনে সব আপারেটর গুলো সিম বাধ্যতামূলক করলেও এতে তাদের সিম বিক্রির পরিমান সামান্য কমে যায়। তাই তারা সিম বিক্রেতাদের এক রেজিস্ট্রেশান এ অনেকগুলো সিম দিয়ে দেয়। অর্থাৎ এক জনের নামেই অনেকগুলো সিম। আপনারা অনেকেই লক্ষ্য করেছেন যে সাধারন দোকান থেকে গ্রামীণফোন এর সিম কেনার সময় তারা বলে এগুলো Active করা,তার মানে এরা সব সিম রেজিস্ট্রেশান করে ফেলেছে ৭২ ঘন্টার মধ্যে। আর তাই আপনাকে
আর সিম রেজিস্ট্রেশান
করতে হয়না। কিন্তু আপনার সিম এর রেজিস্ট্রেশান পেপার আপনাকে দেয়না।এভাবেই আপনি ফাঁদে পরেন।এইবার আসি আসল ঘটনায় !! কিছুদিন আগে ঘটা ২টি ঘটনা থেকে আমার এই টিউনটা লিখা।
এক মাস আগে আমার এক ভাই নিজের জন্য রেজিস্ট্রেশান ছাড়া একটা সিম কিনে
রাস্তার এক দোকান থেকে।এক মাস পর ওই সিমে হটাত Network বন্ধ হয়ে যায়।আমার ভাই Graminphone হেল্পলাইন এ কল দিলে ওরা বলে আপনার সিম ৭২ ঘন্টার মধ্যে রেজিস্ট্রেশান না করায় এটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরে আমার ভাই ওই দোকানদারকে বললে ও বলে "সিম Active করা ছিল,আপনার সিম এর সমস্যা আপনি Graminphone Center এ গিয়ে বলুন।"আমি আমার ভাইকে সাহায্য করতে Graminphone Center এ যায়।আসলে কি হয়েছে জানতে ওঁদেরকে SIM TRACK এর কপি দিতে বলি।ওটা পাওয়ার পর দেখি ও আসলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কাগজ ঠিকই জমা দেয়।আমার ভাই যেখান থেকে সিম কিনে ওখানে সিম চালুর TRACK PLACE দেখায়। কিন্তু একমাস পর নোয়াখালী নামক স্থান থেকে সিমটা রিপ্লেস্মেন্ট করা হয়। 😯 অর্থাৎ ওই দোকানদার বিক্রি করা Sim টা উঠিয়ে নিয়েছে কারন ওর নামেই সিমটা ছিল। আমার ভাই ওই দোকানদারকে ওটা বললে ও অস্বীকার করে। এখন আমার ভাই Graminphone Center এর হেড অফিস বরাবর দরখাস্ত করেছে সিম আর সিম এর প্যাকেট সহ।
ঈদ এর আগে এক দোকান এ ৫০০ টাকা ফ্লেক্সি করতে গেলে সেই দোকানদার বলে আপনি যদি ৭০০ টাকা Recharge করেন তাহলে আপনাকে ১০০০ টাকা দেওয়া হবে।আমি প্রথমে জিপির অফার মনে করেছিলাম কিন্তু ২০০ টাকা অতিরিক্ত না থাকায় আমি ৫০০ টাকায় Recharge করেছিলাম। পরে আমার এক পরিচিত ভাইকে এটা বলি যিনি এরকম দোকানে কাজ করে। উনি বলে আসলে এরা এভাবে টাকা Recharge করে চুরি করে। এতে ২ নম্বর পথ অনুসরণ করে যেখানে অন্যের ক্ষতি হয়। ধরা পরলে জেল জরিমানা হতে পারে। এছাড়া যার সিমে Recharge করবে ওটাও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
√ রেজিস্ট্রেশান ছাড়া কখনই সিম কিনবেন না।এর ফলে সব সমস্যার শুরু হয়। রেজিস্ট্রেশান করবেন উনার নামে যিনি সিম ব্যাবহার করবেন।
√ ৫০০ টাকা দিয়ে ১০০০ টাকা বা কম টাকায় বেশি টাকা ফ্লেক্সির ফাঁদ থেকে দূরে থাকুন। মনে রাখবেন “ চোরের দশদিন আর গেরস্তের একদিন”
√ আপনি যদি রাস্তার দোকান থেকে সিম কিনেন তাহলে অবশ্যয় ওই সিম এর করা রেজিস্ট্রেশান পেপার নিয়ে নিবেন। দিতে না চাইলে সিম কিনবেন না।কারন ওটা পাওয়া আপনার অধিকার।
সবশেষে বলব চোখ কান খোলা রাখুন। কারন এটা আপনাকে নতুন কিছু জানতে সাহায্য করবে। ভাল থাকবেন আশা করি।
আমি আছি আপনার কাছাকাছি,শুধু খুজে নিন।
আমি আদিল শাহরিয়ার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 20 টি টিউন ও 113 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি একটু বেশিই অসামাজিক।
ভাইয়া আমি আপনার সাথে এ ব্যাপারে একদম একমত । ধন্যবাদ এ রকম সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য ।