এসো হে বৈশাখ এসো এসো। স্বাগতম ১৪১৭ এবং কিছু ইতিবাচক দিক

নতুন মানেই আনন্দ। নতুন মানেই খুশি। তাই নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে দেশে দেশে এতো আয়োজন। অনেক আগে থেকেই বাঙালির একান্ত- নিজস্ব উৎসবের একটি হচ্ছে পহেলা বৈশাখ। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এই দিনটির মাধ্যমে স্বাগত জানায় নতুন একটি বছরকে। এই দিনে একদিনের জন্য হলেও আমরা সবাই বাঙালি। সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা।

নিশি অবসান প্রায় ঐ পুরাতন বর্ষ হয় গত

আমি আজি দূলিতলে জীর্ন জীবন করিলাম নত।

বন্ধু হও শত্রু হও যেখানে যে রও

ক্ষমা কর আজিকার মত

পুরাতন বর্ষের সাথে পুরাতন অপরাধ যত।

১ ৪১৭ বঙ্গাব্দের প্রথম দিবস পহেলা বৈশাখ,শুভ নববর্ষ আজ জীর্ন পুরাতনকে ভাসিয়ে দিয়ে নতুনের জয়গান করার দিন।নববর্ষকে বরণ করে নিতে আজ সকাল থেকেই পথে নামবে মানুষ। যোগ দেবে আনন্দ উতসবে, ঘুরে বেড়াবে উচ্ছাস করবে।নতুন বছরকে বরণ করে নিতে সাধ্যমতো আয়জনে মেতে উঠবে ধর্ম বর্ন নিবিশষে সর্বস্তরের সাধারন মানুষ।হালখাতা হবে, পান্তা ভাতের সাথে ইলিশ মাছ এরং বিভিন্ন ধরনের বাহারী বর্তায় বাঙ্গালী খুজে পাবে নতুন স্বাদ।শহরের মানুষ এদিন পান্তা ইলিশ খাওয়ার মধ্যদিয়ে পালন করে বছরের নতুন দিনটি।

'মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা

অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।

...এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ।'

সাড়ম্বরে পহেলা বৈশাখকে স্বাগত জানানো হয় আজকাল। বাংলা সনের সূচনা দিনে এই উত্সব ঘটা করে আয়োজিত হয় গ্রামগঞ্জ, শহর, বন্দর সবখানে। গ্রীষ্মের খরতাপ উপেক্ষা করে মানুষের ঢল নামে। ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত অব্দি চলতে থাকে বহুমুখী আনন্দের উদযাপন। এখন যে বৈচিত্র্যে ভরপুর উদ্যোগ আড়ম্বর ঘনঘটা চলে বাংলা নববর্ষ নিয়ে, অতীতে সর্বপ্লাবী এ রূপটা ছিল না। কালক্রমে পহেলা বৈশাখ সর্বস্তরের মানুষের হৃদয়ে আপন ঠাঁই করে নিয়েছে। প্রাণের যোগ স্থাপিত হয়েছে দেশজ এই উৎসবের সঙ্গে। কেমন ছিল আগেকার নববর্ষের উদযাপন, কী বিবর্তন ঘটল, আজকাল কেমন করে আবাহন করা হয় নববর্ষকে? ওই নূতনের কেতন ওড়ে... সে কেতন বৈশাখের, নতুন বছরের, নতুন স্বপ্ন ও প্রত্যয়ের।

pohala boisak

অতীতে বাংলা নববর্ষের মূল উৎসব ছিল হালখাতা। চিরাচরিত এ অনুষ্ঠানটি আজও পালিত হয়। ক্রমান্বয়ে নববর্ষের ব্যাপ্তি আরো বিস্তৃত হয়। রূপান্তরিত হয় লোকজ উৎসবে। কালের বিবর্তনে নববর্ষের সঙ্গে সম্পর্কিত অনেক পুরনো উৎসবের বিলুপ্তি ঘটেছে, আবার সংযোগ ঘটেছে অনেক নতুন উৎসবের। ১৯৬৫ সাল থেকে রমনার বটমূলে প্রতিবছর ছায়ানট বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন শুরু করলে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানমালা নগরীতে নতুন তাৎপর্য পায়। একে একে আরো অনেক সংগঠন প্রতিবছর নিয়মিতভাবে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে। আধুনিক জীবন-পদ্ধতির নানা উপাচারের সমারোহে খেরো খাতায় হিসাব রাখার প্রচলন এখন উঠেই গেছে। তবু বাঙালীর চিরায়ত উৎসবের দিন পহেলা বৈশাখে আজ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হয় হালখাতা। মিষ্টি মুখ করান হবে ক্রেতাদের।

pohala boisak

আমরা বাঙালি। পহেলা বৈশাখ আমাদের প্রাণের উৎসব। এদিন সবাই ভেদাভেদ ভুলে এক উৎসবে মেতে উঠতে হবে। বোমাবাজি, উচ্ছৃঙ্খলতা আর উদ্দামতা থেকে দূরে থাকতে হবে। এখন ভয়ে অনেকেই ঘর থেকে বের হতে চান না। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, বৈশাখ এলেই পুলিশকে সতর্ক করে দেয়া হয়। কিন্তু কেন? এ উৎসব গোটা জাতির। এখানে কোনো ধর্ম-বর্ণ নেই, নেই কোনো রাজনৈতিক ছোঁয়া। তাহলে সবাই কেন এক কাতারে দাঁড়িয়ে শান্ত থেকে এ উৎসব উদযাপন করতে পারব না? এটা ছিল  এ প্রশ্ন আমার এ প্রজন্মের কাছে।

নববর্ষের আগমনে তাই গ্রাম-গঞ্জ, শহর-বন্দর সর্বত্র আনন্দের ঢেউ বয়ে যায়। জলবায়ুগত পরিবর্তনের ফলে যদিও ফসল বোনা-কাটার মওসুমের পরিবর্তন ঘটেছে, কিন্তু বাঙালির আনন্দ উৎসবে কোন ভাটা পড়েনি। তাই নববর্ষ এলেই হিসেবের হালখাতা, বৈশাখী মেলা, ঘুড়ি উড়ানোসহ নানা আবহমান উৎসবের ধুম পড়ে যায় সর্বত্র।নববর্ষ আমাদের বিগত বছরের পঙ্কিলতা, গ্লানি, জরা আর জীর্ণতা মুছে দিয়ে প্রত্যেকের জীবনে নতুন প্রাণের সঞ্চার করে।আমাদের সাহিত্য, সংস্কৃতি, কৃষি, ব্যবসা, পার্বণসহ পারিবারিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে বাংলা সনের ব্যবহার ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বর্ষ পরিক্রমার বাংলা নববর্ষ বাঙালীর চেতনায় নতুন করে বারি সিঞ্চন করে, সিক্ত করে ভাবাবেগকে।

ভারতের কোলকাতা সহ বেশি কটি অঙ্গরাজ্যে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হয়। যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বাঙালী সম্প্রদায় বাংলা নববর্ষে স্ট্রিট ফেস্টিভাল এর আয়োজন করে। ইউরোপে এটিই এশিয়ানদের সবচেয়ে বড় উৎসব। বাংলাদেশ ও ভারতের বাইরে এটিই বাঙালিদের সবচেয়ে বড় উৎসবও। এখানে প্রবাসী বাঙালিরা বিভিন্ন স্থানে ছোট আকারের হলেও মেলার আয়োজন করে। সেখানে পান্তা ইলিশেরও ব্যবস্থা থাকে।তবে শুধু ইউরোপেই নয় আজকাল আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াত মোটকথা যেখানেই বাঙালি সম্প্রদায় আছে সেখানেই মহাসমারোহে উদযাপিত হয় পয়লা বৈশাখ। দেশ থেকে সেসব মেলার আয়োজকরা কিনে নিয়ে যান রকমারি পোশাক-আশাক আর ঐতিহ্যবাহি খাবার। বিদেশের মাটিতে দেশি উৎসবে সেখানেও জমে ওঠে বাঙালির এক অনাবিল মিলন মেলা।বিভিন্ন অনলাইন পত্রপত্রিকা থেকে সংগৃহীত কিছু ইতিবাচক খবর শেয়ার করলাম সবার সাথে। তবে আমরা সবাই যদি সব কিছু খুব সহজভাবে ইতবিাচক দিকগুলো গ্রহন করি তাহলে অনেক অনাকাঙ্খিত বিষয় গ্রহন করা আমাদের জন্য অনেক সহজ হবে।

নতুন বাংলা নববর্ষে  কিছু ইতিবাচক দিক লক্ষ্য করা গেছে, সবার সাথে আমি তা শেয়ার করলাম

প্রথমত:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পর এবার তাকে কার্ড পাঠিয়ে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া।

দ্বিতীয়ত:

খুলে গেল আইপি টেলিফোনের দুয়ার -

মাত্র ১০০ টাকা দিয়ে পুরো মাস অন্য আইপি টেলিফোন ব্যবহারকারীর সঙ্গে কথা বলা যাবে। এক্ষেত্রে আলাদা কোনো খরচ দিতে হবে না। অন্য ফোন অপারেটরে কল করার ক্ষেত্রে প্রতি মিনিট ৬৫ পয়সা হারে চার্জ দিতে হবে আইপি টেলিফোনের মাধ্যমে দেশের ভেতরে অন্য আইপি টেলিফোন ব্যবহারকারীদের সঙ্গে একেবারেই কম খরচে কথা বলা যাবে। সেসঙ্গে মোবাইল ফোন অপারেটরদের নম্বরেও অপেক্ষাকৃত কম খরচে কথা বলা যাবে । গত মঙ্গলবার ঢাকার একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সেবা উদ্বোধন করেন বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। আইপি টেলিফোন চালুর উদ্দেশ্যে গত বছর ২২টি কোম্পানিকে আইপি টেলিফোন সার্ভিসের লাইসেন্স দিয়েছিল বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন বিটিআরসি। এর মধ্যে ১৮টি প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।এগুলো হলো_ অ্যাডভান্স ডাটা নেটওয়ার্ক সিস্টেম, অগি্ন সিস্টেম, বিডিকম অনলাইন, বেক্সিমকো, ব্র্যাকনেট, বিটিএস কমিউনিকেশন, কানেক্ট বিডি, ঢাকাকম, গ্রামীণ সাইবার নেট, গ্গ্নোবাল অ্যাকসেস, এইচআরসি টেকনোলজিস, ইনফরমেশন সার্ভিস নেটওয়ার্ক, ইনোভেটিভ অনলাইন, লিঙ্ক-৩ টেকনোলজিস, মেট্রোনেট বিডি, অপটিম্যাক্স বিডি, রয়েল গ্রিন অনলাইন এবং টেলনেট কমিউনিকেশন।

আইপি টেলিফোন কী?আইপি টেলিফোন মূলত এক ধরনের ভিওআইপি টেলিফোন। ইন্টারনেটের মাধ্যমে টেলিফোন কল আদান-প্রদানে সক্ষম এ ফোনগুলো বিশেষায়িত সফটওয়্যারচালিত। এ ফোন ব্যবহার করে বৈধভাবে শুধু দেশের ভেতরেই অন্য আইপি টেলিফোন এবং মোবাইল বা টেলিফোন ব্যবহারকারীদের সঙ্গে কথা বলা যাবে। কথা বলার পাশাপাশি এ ফোনের মাধ্যমে অন্য ব্যবহারকারীর ভিডিওচিত্র বা সরাসরি ছবিও দেখার সুযোগ রয়েছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে গ্রাহকদের মধ্যে কথা হয় বলে এ ফোনে খরচও অনেক কম। আমাদের দেশে একজন গ্রাহক মাসে মাত্র ১০০ টাকা দিয়ে পুরো মাস অন্য আইপি টেলিফোন ব্যবহারকারীর সঙ্গে কথা বলতে পারবে। এক্ষেত্রে আলাদা কোনো খরচ দিতে হবে না। তবে অন্য কোনো মোবাইল অপারেটরে কল করার ক্ষেত্রে প্রতি মিনিট ৬৫ পয়সা হারে চার্জ দিতে হবে বলে জানা গেছে।যেভাবে কাজ করবে আইপি টেলিফোন আমাদের দেশে টেলিকম শিল্পে পিএসটিএন এবং মোবাইল অপারেটর গ্রাহকদের কথা বলার সুবিধা দিতে জিএসএম সার্কিট সুইচিং টেকনোলজি ব্যবহৃত হয়। অন্য টেকনোলজির তুলনায় আইপি টেলিফোন সিস্টেমের রক্ষণাবেক্ষণ খরচ খুবই কম। কম্পিউটারের মাধ্যমে আইপি টেলিফোন ব্যবহারের সুযোগ থাকার পাশাপাশি কম্পিউটার ছাড়াও ইন্টারনেটের মাধ্যমে কথা বলার সুযোগ রয়েছে এ প্রযুক্তিতে। কম্পিউটার ব্যবহার না করেও শুধু বিশেষায়িত আইপি টেলিফোন ক্রয় করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কথা বলা যাবে। একই সঙ্গে কর্ডলেস আইপি টেলিফোন সেটের মাধ্যমে ওয়াইফাই প্রযুক্তির আওতায় থাকা গ্রাহকরা এ সেবা ব্যবহার করতে পারবেন।আইপি টেলিফোন  যেহেতু আইপি টেলিফোন ইন্টারনেটভিত্তিক টেলিফোন সেবা, তাই এ সেবার সঙ্গে যুক্ত হতে ব্যবহারকারীর অবশ্যই ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। প্রাথমিকভাবে আইপি টেলিফোন ব্যবহার করতে হলে লাইসেন্সপ্রাপ্ত আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে আইপি টেলিফোন ব্যবহারের কোড নম্বর নিতে হবে। এরপর গ্রাহকরা তাদের সাধারণ টেলিফোন সেটে অ্যাডাপ্টার লাগিয়ে আইপি টেলিফোন ব্যবহার করতে পারবেন। অ্যাডাপ্টারের দাম পড়বে ২ হাজার টাকার মতো। 'অবশ্য সাধারণ আইপি টেলিফোন সেটই পাওয়া যায় ২ থেকে ৫ হাজার টাকায়' জানান বিডিকম অনলাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুমন আহমেদ সাবির। তবে এতে আলাদা কোনো অ্যাডাপ্টার লাগাতে হবে না। ব্যবহারকারীদের পরস্পরের ছবি দেখতে হলে বাজার থেকে ভিডিও টেলিফোন সেট কিনতে হবে। এক্ষেত্রে দাম পড়বে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। এছাড়া ডেস্কটপ কম্পিউটার এবং ল্যাপটপে নির্দিষ্ট আইপি টেলিফোন সফটওয়্যার ইন্সটল করেও তাতে আইপি টেলিফোন সংযুক্ত করা যাবে। আর ডেস্কটপ বা ল্যাপটপে ব্যবহারকারীর ছবি দেখার জন্য ওয়েবক্যাম ব্যবহার করতে হবে। আইপি টেলিফোনে অল্প খরচে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কথা বলার সুযোগ প্রদান করায় বাংলাদেশের টেলিকম শিল্পে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসার পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে বলে প্রত্যাশা করছেন তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্টরা।

তৃতীয়ত:

টেন্ডার সন্ত্রাস বন্ধে চার সরকারী সংস্থায় অনলাইন দরপত্র-

অনলাইনের মাধ্যমে সরকারি চারটি সংস্থার কাজের দরপত্র প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন। সংস্থা চারটি হচ্ছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড। অনলাইন প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের জন্য আমেরিকার একটি কোম্পানিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে গতকাল বিকেলে সরকারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়েছে। অনলাইন প্রক্রিয়া চালু হলে তখন আর প্রচলিত টেন্ডার পদ্ধতি থাকবে না। আগ্রহী দরদাতা যে কোনো স্থান থেকে সরকারি যে কোনো ক্রয়কাজের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন। এতে সময় কমার পাশাপাশি দরপত্র প্রক্রিয়া সহজ ও হয়রানিমুক্ত হবে। টেন্ডার সন্ত্রাসও বহুলাংশে কমে যাবে।

চুক্তি অনুযায়ী ওই কোম্পানি চারটি সরকারি সংস্থার ২০টি অফিসে পরীক্ষমূলকভাবে ই-টেন্ডারিং বা অনলাইনে দরপত্র চালু করবে আগামী ছয় মাসের মধ্যেই। নিয়োগকৃত আমেরিকাভিত্তিক কোম্পানি জিএসএস ইনফোটেক লিমিটেড এ বিষয়ে একটি সফটওয়্যার ডেভেলপ করে অনলাইন চালু করবে। এর ফলে চারটি সংস্থার অধীনে ২০টি অফিসের যাবতীয় কাজের আদেশ অনলাইনে সম্পন্ন সম্ভব হবে। এটি সফল হলে সারাদেশের সব অফিসকে অনলাইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। চারটি সংস্থার সারাদেশে প্রায় ৬০০ অফিস আছে।

সরকারের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের মহাপরিচালক অমূল্য কুমার দেবনাথ এবং জিএসএসের পক্ষে আবদুল কাদের। এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খোন্দকারসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। চুক্তি স্বাক্ষর শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ই-টেন্ডারিং চালু হলে সরকারি ক্রয় কার্যক্রমে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা হবে।

বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রিফর্মস প্রজেক্ট-২-এর অধীনে এটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ চারটি সংস্থাকে আপাতত পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এর সফলতার ওপর নির্ভর করে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের যাবতীয় ক্রয় অনলাইনের আওতায় আনা হবে। সূত্র জানায়, এ চারটি সরকারি সংস্থা দেশের অবকাঠামো এবং অন্যান্য জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ কাজে জড়িত। সরকারি কেনাকাটার বড় একটি অংশ এসব বিভাগের মাধ্যমে হয়ে থাকে এবং তা চলতে থাকে বছরজুড়ে। এ জন্য তাদের পরীক্ষামূলক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। বিরাজমান সরকারি কেনাকাটা, টেন্ডারসহ বিভিন্ন কাজে দুর্নীতি ও রাজনৈতিক প্রভাবে সন্ত্রাসের হাত থেকে।

বিশ্বব্যাংকের হিসাব মতে, বাংলাদেশে বছরে ৩০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ ২১ হাজার কোটি টাকা সরকারি কেনাকাটায় খরচ হয়ে থাকে। দর প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতার কারণে সরকারি ক্রয়ে ব্যাপক দুর্নীতি হয়। বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে সরকার পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট (পিপিএ)-২০০৬ এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস (পিপিআর)-২০০৮ তৈরি করেছে। ওই অ্যাক্ট ও বিধিতে সরকারি কেনাকাটায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। সূত্র জানায়, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, তার ৮০ শতাংশই খরচ হয় ক্রয়খাতে।

আসুন একটু আনন্দ শেয়ার করি সবাই-

দুই বন্ধুর মধ্যে কথা হচ্ছে-১ম বন্ধু : কীরে মন খারাপ কেন তোর?২য় বন্ধু : সীমার সঙ্গে আমার বিয়ে ভেঙে গেছে। আমার তো টাকা-পয়সা নেই, তাই সে বিয়ে ভেঙে দিল।

১ম বন্ধু : কেন, তুই তাকে তোর বড়লোক চাচার কথা বলিসনি?

২য় বন্ধু : হ্যাঁ, বলেছি। তাই তো সে এখন আমার চাচী!

১ ৪১৭ বঙ্গাব্দের প্রথম দিবস পহেলা বৈশাখ,শুভ নববর্ষ আজ জীর্ন পুরাতনকে ভাসিয়ে দিয়ে নতুনের জয়গান করার দিন।নববর্ষকে বরন করে নিতে আজ সকাল থেকেই পথে নামবে মানুষ। যোগ দেবে আনন্দ উতসবে, ঘুরে বেড়াবে উচ্ছাস করবে।নতুন বছরকে বরণ করে নিতে সাধ্যমতো আয়জনে মেতে উঠবে ধর্ম বর্ন নিবিশষে সর্বস্তরের সাধারন মানুষ।হালখাতা হবে, পান্তা ভাতের সাথে ইলিশ মাছ এরং বিভিন্ন ধরনের বাহারী বর্তায় বাঙ্গালী খুজে পাবে নতুন স্বাদ।

Level 3

আমি মোহাম্মদ ইয়াকুব। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 42 টি টিউন ও 322 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 6 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 16 টিউনারকে ফলো করি।

ICT Specialist & IT Business Entrepreneurship, Course Curriculum expert, eLearning, Education & Industry Partnership expert. Expertise in Cyber Security, Cloud Computing, AI, Big Data, RFID, Technology Project Management, Change management, leadership & the development of comprehensive large scale eHealth programs. Former Asset Professor in University of Kuala Lumpur, Kuala Lumpur,...


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

কৌতুকটাই মজা পেলাম।

    বাংলা নববর্ষের শুভচ্ছা, খুব ভালো লেগেছে আপনার কমন্টেসে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

সুন্দর বিশ্লেষন।কৌতুকটা বেশ মজার।”ক্ষমা কর আজিকার মত
পুরাতন বর্ষের সাথে পুরাতন অপরাদ যত” আসাধারন…………………

    নিশি অবশান প্রায় ঐ পুরাতন বর্ষ হয় গত
    আমি আজি দূলিতলে জীর্ন জীবন করিলাম নত।
    বন্ধু হও শত্রু হও যেখানে যে রও
    ক্ষমা কর আজিকার মত
    পুরাতন বর্ষের সাথে পুরাতন অপরাধ যত — সত্যিই অসাধারন।
    আপনার জন্য রইল বাংলা নববর্ষের ফুলেল শুভেচ্ছা,

এক্সক্লুসিভ টিউন…….. ইয়াকুব ভাই
ভাল হয়েছে টিউন’টি বিশেষ করে টেলিকমিনিকেশনের তথ্য গুলো…
আর সত্যি আপনার সাখে মিট করতে পেরে খুব ভাল লেগেছে 🙂

    বাংলা নববর্ষের ফুলেল এবং আন্তরিক শুভেচ্ছা ।
    আমারো খুব ভালো লেগেছে।
    অনেক অনেক ধন্যবাদ তোমাকে।

Level New

এক্সক্লুসিভ টিউন…….. ইয়াকুব ভাই
ভাল হয়েছে টিউন’টি বিশেষ করে টেলিকমিনিকেশনের তথ্য গুলো>(Copy from Nabil Amin)

    Level New

    বন্ধু হও শত্রু হও যেখানে যে রও
    ক্ষমা কর আজিকার মত
    পুরাতন বর্ষের সাথে পুরাতন অপরাধ যত।

    যেহেতু Copy from Nabil Amin তাই Reply টা কিছু অংশ কপি করা নাবিল আমিন এর কমেন্টস থেকে- 🙂
    বাংলা নববর্ষের ফুলেল এবং আন্তরিক শুভেচ্ছা ।
    আমারো খুব ভালো লেগেছে।
    অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। 🙂

🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂

ভাল তথ্য দিলেন। ধন্যবাদ। শুভ নববর্ষ ১৪১৭,বৈশাখ-২

    অনেক ধন্যবাদ টে.টি আমার সর্বশেষ টিউনসটিতে কমেন্টস করার জন্য। অবশ্যই ভালো থাকবেন। ১৪১৭ বাং বছরে।

এম ইয়াকুব আপনাকে আনেক ধন্যবাদ ।
শুভ নববর্ষ । ভালো হোক বছরের প্রতিটি দিন ।

    হ্যা তানভির আহমদ শুভ বাংলা নববর্ষ ১৪১৭, নিত্যদিন কাটুক পহেলা বৈশাখ এর আমেজে এই প্রত্যাশায় টে.টি থেকে বিদায় নিলাম। ধন্যবাদ।

টিউনটি খুব ভাল লেগেছে । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।

    স্বপ্না আপনার টিউনগুলোও চমৎকার। সামনে অনেক দূর এগিয়ে যাবেন এই প্রত্যাশা করি এবং শুভ বাংলা নববর্ষ ১৪১৭ এর শুভেচ্ছা।