আমার সাথে কেউ কি আছেন? আজ আমি কিছু কথা বলতে চাই। ভেবে দেখবেন কথা গুলা ঠিক কি না।
আমরা যারা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান তাদের সবার জীবনের লক্ষ হচ্ছে অনার্স করার পর কিছু একটা করা।
যেহেতু মধ্যবিত্ত পরিবারের তাই বাবার জমানো টাকা নাই যে কোন ব্যবসা করবো। তাই আমাদের সবার ইচ্ছা যে কোন ১ টা চাকরি যোগার করা। আর যখন ই মনে হয় চাকরি নামের এই সোনার হরিনের কথা তখন মাথায় ভর করে নানার চিন্তা। কারন আমাদের দেশে চাকরি পাওয়া এত সহজ না।
তারপর ও চাকরি যে আমাদের চাই ই চাই। তাই শুরু হল চাকরি নামের সোনার হরিনের পিছনে ছোটা।
সোনার হরিনের পিছে ছুটতে যেয়ে পদে পদে হয়রান হয়ে শেষ পর্যন্ত ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত, জীবনের প্রতি ঘৃণা নিয়ে অনেক জীবন অকালে ধ্বংস হয়ে যার। কেউ হয় বখাটে, কেউ বা পকেটমার, কেউ হয় ড্রাগ এর গোলাম।
এবার আসি কিছু কথায়। আমি যেহেতু ব্যবসায় শিক্ষা থেকে এস.এস. সি , এইস. এস. সি এবং অনার্স করলাম তাই আমার দিক টা ই বলি।।
ব্যবসায় শিক্ষায় পড়ার সমায় আমার এক মাত্র ইচ্ছা ছিল “ব্যাংকার’ হব। অনার্স শেষ করার পর এক ভাই যে কিনা ব্যাংক এ চাকরি করে সে আমায় পরামর্শ দিল কোন এক টা কোচিং এ ‘ ব্যাংক জব” এর কোর্স টা কর। এটা তোমায় ব্যাংক এ চাকরির ব্যপারে সাহায্য করবে। তার কথা মত কোচিং এ ভর্তি হলাম। এখন দেখি এস.এস. সি , এইস. এস. সি এবং অনার্স পর্যন্ত যা পরলাম তার কিছু ই কাজে লাছে না।কারন ব্যাংক এর কোন পরীক্ষায় ব্যবসায় শিক্ষা থেকে কোন প্রশ্ন আসে না। তা হলে এত বছর আমার পড়ে লাভ কি হল? তার পর দেখলাম ব্যাংক তার বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করে “ যে কোন বিভাগ” থেকে অনার্স করলে ই আবেদন করতে পারবে।
আমার কথা হল ‘যে কোন বিভাগের’ লোক কি ব্যাংক এর হিসাব নিকাশ, বিনিয়োগ এর কিছু বুজে?
এর পর আসি ব্যাংক এ আবেদন করার ব্যপারে। সরকারি ব্যাংক এ আবেদন করতে গেলে লাগে ৩০০-৫০০ টাকা। আর বেসরকারি ব্যাংকে ৫০০ টাকা এর নিচে নাই। আবার অনেক বেসরকারি ব্যাংক ফ্রী আবেদন করতে দিলেও লোক নিয়োগ আগে থেকে ই হয়ে যায়। শুধু ফর্মালিটি রক্ষার জন্য আবেদন আর পরীক্ষা। এখন বলছি যে ৩০০/৫০০ টাকা যা ই হোক তা একজন বেকার ছেলের জন্য যোগার করা কতটা কঠিন আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেরা ভাল করে ই জানে।
অনেকে হয়তো বলছেন ৩০০/৫০০ টাকা দিতে পার না চাকরি করবা কেন? ৩০০/৫০০ টাকা কথা না কথা হচ্ছে আমাদের দুর্বলাতার সুযোগ নিয়ে এরা যে কত বড় ব্যবসা করছে তার হিসাব কি কেউ কখনও করেছেন?
আমাদের দেশের শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা অনেক। কোন ব্যাংক যদি আবেদন পত্রের মাধমে ৩০০ টাকা করে জমা নেয় তা হলে মোট কত টাকা হয় একটু হিসাব করে দেখেন। আমার একটা হিসাব দেখালাম, যদি ৫০,০০০ হাজার জন আবেদন করে তা হলে হয় ৫০,০০০X৩০০=১,৫০,০০,০০০ টাকা। এই টাকা আমরা তাদের দিচ্ছি যা কিনা ফেরত যোগ্য নয়। মানে ঝুঁকি বিহীন ইনকাম। চাকরি পাবে কত জন?সরকারি ব্যাংক এ আবেদনকারীর সংখ্যা অনেক। যত দিন তাদের টার্গেট পুরন না হয় তত দিন আবেদনের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
তাই আমার মতে ব্যাংক এ চাকরির জন্য শর্ত হওয়া উচিতঃ
১. আবেদনকারীকে ব্যবসায় শিক্ষা থেকে এস.এস.সি, এইস.এস.সি ও অনার্স পাশ করতে হবে।
২. নিয়োগ পরীক্ষায় ব্যবসায় শিক্ষা থেকে কম করে হলে ও ২০ তা প্রশ্ন থাকতে হবে।
৩. আবেদনের নামে অর্থ আয় বন্ধ করতে হবে।
৪. নিয়গের ক্ষেত্রে স্বজন প্রিতী বন্ধ করতে হবে।
আশা করি আমার মত মধ্যবিত্ত পরিবারের ভাই-বোন সবাই আমার সাথে একমত হবেন।
আমি nizam uddin। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 6 টি টিউন ও 88 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Carry on …..