হ্যাকিং কি,কেন ,কিভাবে হয় ? হ্যাকার দুনিয়ার ময়নাতদন্ত Exclusively @ সাবটাইটেল মামুন

হ্যাকিং নিয়ে আমাদের আগ্রহের কমতি নেই । সবাই হ্যাকার হতে চায় । হ্যাকারদের সবাই খুব মেধাবির চোখে দেখে ।হ্যাকিং কি ভাবে করে কারা করে এগুলো নিয়ে আমাদের সবারই কম বেশি আগ্রহ আছে । আর তাই আজকে হাজির হলাম হ্যাকিং দুনিয়ার খবর নিয়ে। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে টিউনের দিকে মনোযোগ দেই।

হ্যাকিং কি ?

কম্পিউটার দুনিয়ার শুরুতে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এবং কম্পিউটার নিরাপত্তা বিষয়ে অতি দক্ষদের বলা হতো হ্যাকার তারা বিভিন্ন প্রোগাম,ওয়েবসাইটের বা কম্পিউটারের ফাক ফোকর বের করত এবং এগুলো বন্ধের জন্য ব্যবস্হা গ্রহণ করত । কিন্তু এর কিছুদিন পর পাল্টে যায় অবস্হা , কম্পিউটিংয়ে দক্ষ কিছু লোক তাদের জ্ঞানকে ভালো কাজে না লাগিয়ে বরং বিভিন্ন নিরাপত্তা সিস্টেমের দুবলর্তাকে কাজে লাগিয়ে ক্ষতিকার কাজে ব্যবহার করা শুরু করে আর তারপর থেকেই হ্যাকার এর সংজ্ঞা পুরোটাই বদলে গেছে এখন অধিকাংশ মানুষই হ্যাকিং বলতে অতি জ্ঞানীদের ডিজিটাল চুরি আর হ্যাকার বলতে অতি জ্ঞানী ডিজিটাল চোর ভাবে । তবে এই ধারনাতে ভুল আছে ।

হ্যাকারদের ধরন

আমরা সাধারনত ভাবি সব হ্যাকারই এক ধরনের কাজ করে । অনলাইনে টাকা চুরি করা বা বিভিন্ন মানুষের আইডি চুরি করা বা ওয়েবসাইটের তথ্য চুরি করা ইত্যাদি ইত্যাদি ।কিন্ত ধারণাটা সর্ম্পূর্ন ভুল হ্যাকারদেরকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায় হোয়াইট হ্যাট, ব্ল্যাক হ্যাট ও গ্রে হ্যাট।
হোয়াইট হ্যাটওয়ালারা হল ভদ্র মানুষ এরা কারো কোন ক্ষতি করেনা । সাধারণত বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকুরীরত সিকিউরিটি প্রফেশনালরা এই দলভুক্ত। এদের হ্যাকিং ও হ্যাকারদের টুল সম্বন্ধে প্রচুর জ্ঞান এবং তা কাজে লাগিয়ে তারা সিস্টেমের দুর্বলতা বের করে প্রতিরোধ ব্যবস্হা গড়ে তোলে যেমন মনে করুন মাইক্রোসফট,গুগল সহ বড় বড় প্রতিষ্টানে এরা চাকুরি করে এবং তাদের সিস্টেমের বিভিন্ন দুর্বলতা খুজে বের করে এবং তা বন্ধ করার ব্যবস্হা করে

ব্ল্যাক হ্যাটদের কথা সবদিকেই শুনা যায় । এদের প্রোগ্রামিং স্কিল খুব ভালো কিন্তু তারা সেটা ব্যবহার করে অসৎ উদ্দেশ্যে। এরা সাধারণত ডেটাবেজ সিস্টেম, রিমোট মেশিনের নিরাপত্তা ভেঙে দেয়া, ক্রেডিট কার্ডের নম্বর চুরি করা, অবৈধ অনলাইন ট্রানজেকশান , আইডি চুরি করা, তথ্য চুরি করা ,বিভিন্ন ওয়েবসাইট হ্যাক করা ইত্যাদি অপকর্ম করে থাকে এবং মাঝে মাঝে এরাই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে এবং এদের নাম ধামই আমরা বেশি শুনি ।তবে ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারদের অনেকেই বলে ক্র্যাকার
হোয়াইট ও ব্ল্যাক এই দুই দলের মাঝখানে রয়েছে গ্রে হ্যাটরা। এরা হচ্ছে সুবিধাবাদী হ্যাকার। অবস্হা বুঝে এরা ব্যবস্হা নেয় কথনো এরা হোয়াইট কখনো আবার ব্ল্যাক । অনেক সময় এরা বিভিন্ন প্রতিষ্টানের দুবলর্তা ধরিয়ে দেবার বিনিময়ে টাকা নেয় বা সুযোগমত এরা এর ব্যবহার করে ।

কিভাবে হয় এই হ্যাকিং

অনেক সময় পেপার পত্তিকায় দেখা যায় হ্যাকাররা কম্পিউটারে বসে কোনো ব্যাংকের বিভিন্ন অনলাইন অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা নিজেদের অ্যাকাউন্টে সরিয়ে নিয়ে নিয়েছে বা পাসওয়ার্ড চুরি করে সিস্টেমটি নিজেদের ইচ্ছামতো চালাচ্ছে বা ওয়েবসাইট হ্যাক করে নিজস্ব মেসেজ বসিয়ে দিচ্ছে এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন কৌশল ও টুল ব্যবহার করে তারা পাসওয়ার্ড চুরি করে। পাসওয়ার্ড ক্র্যাকিংয়ের দ্রুততম কৌশল হচ্ছে ডিকশনারি অ্যাটাক। এই কৌশলে ডিকশনারির সব শব্দ একটি টেক্সট ফাইলে লোড করা হয় । তারপর এই ফাইলটি পাসওয়ার্ড ক্র্যাকিং অ্যাপ্লিকেশন বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন যেমন L0phtCrack-এ লোড করে ইউজার অ্যাকাউন্টের বিপরীতে চালনা করা হয় ।
আরেক ধরনের কৌশল হচ্ছে হাইব্রিড অ্যাটাক। ডিকশনারি শব্দের সাথে নম্বর বা সিম্বল যোগ করে এ্যাটাক করে । এই দুই কৌশলে যখন কাজ হয় না, তখন হ্যাকাররা ব্যবহার করে ব্রুটফোর্স পদ্ধতি। পাসওয়ার্ড খুব বেশি জটিল হলে এই ধরনের পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয় । আরো দুটি জনপ্রিয় কৌশল হল উইনগেট ও শেল অ্যাকাউন্টের ব্যবহার । উইনগেট একধরনের প্রক্সি যার মাধ্যমে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। এই কৌশলে হ্যাকারের আইপি ঠিকানা চিহ্নিত করা যায় না। শেল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দূরবর্তী কম্পিউটার এক্সেস করা যায় এবং যেকোনো কমান্ড দেয়া যায়। এ ছাড়া ব্যাকডোর, ট্রোজান, রুটকিট, এক্সপ্লয়েন্ট, বাফার ওভারফ্লো, এসকিউএল ইনজেকশান ইত্যাদি কৌশলেও হ্যাকাররা হ্যাকিং করে।

হ্যাকিংয়ের কখন শুরু হয়

১৯৬০ সালে এআইটি ল্যাবের কিছু ছাএ একটি প্রোগ্রামের কিছু শটকার্ট বের করেন তারপর থেকে তখন তাদের কে হ্যাকার বলা হত । এরপর ১৯৭০ সালে জন ড্রেপার টেলিফোন সিস্টেম হ্যাক করে বিনামূল্যে প্রচুর টেলিফোন করেন আর তখন থেকেই মুলত হ্যাকিং ব্যাপারটা জোরে শোরো শুরু হয় এই হ্যাকিংয়ের জন্য তাকে Captain Crunch নামে উপাধি দেয়া হয়েছিলো । Captain Crunch নামে খ্যাত জন ড্রেপার বেচারা হ্যাকিংয়ের দায়ে ওই বছরই গ্রেপ্তার হন ।

তবে হ্যাকিংয়ে উৎসাহ দেয়ার জন্য ১৯৮৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত Wargames মুভিটিকে অনেকেই দায়ী করেন । ১৯৮৩ সালে ৪১৪ নামে ছয়জন টিনএজ আমেরিকার বিভিন্ন প্রতিষ্টানের সিস্টেম অকেজো করে দেয় তবে তারা খুব তাড়াতাড়িই পুলিশের হাতে ধরা খান এবং wargames মুভিটি দেখে তার উৎসাহ পান বলে স্বীকার করেন ।

১৯৮৪ সালে প্রথমবারের মতো প্রকাশ হয় হ্যাকারদের ম্যাগাজিন ২৬০০।
১৯৮৬ সালে University of California এর অধিকাংশ হিসেবে ভুল আসার পর তদন্ত করে দেখা যায় এটা হ্যাকার দের কাজ পরবর্তীতে University of California তে হ্যাকিং এর দায়ে ৫ জন জামার্নকে গ্রেপ্তার করা হয় ।

১৯৮৬ সালে আমেরিকায় হ্যাকিংয়ের বিরুদ্ধে আইন করা হয়। ১৯৮৭ সালে হার্বাট জিন নামের ১৭ বছর বয়সী হাইস্কুল ছাত্রকে ১৯৮৬ সালের হ্যাকিং আইনে গ্রেফতার করা হয় এটিঅ্যান্ডটি ল্যাবের তথ্য চুরির অভিযোগে।১৯৮৮ সালে Cornell University এর রবার্ট মরিস একটি ইন্টারনেট ওয়ার্ম এর সাহায্যে ৬০০০ নেটওয়ার্ককে থামিয়ে দেয় তবে তিনি খুব দ্রুত গ্রেপ্তার হন এবং তাকে ৩ বছরের জেল সাথে ১০০০০ ডলার জরিমানা করা হয় ।

১৯৯৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লসএঞ্জেলেস একটি রেডিও স্টেশন একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে যেখানে বলা হয় ১০২তম ফোনকারীকে তারা গাড়ি পুরস্কার দেবে। ফেভিন পলসেন রেডিও স্টেশনের টেলিফোন সিস্টেমে হ্যাক করে এমন ব্যবস্খা করেন যাতে তার ফোন ছাড়া অন্য কারো ফোন যেন রিসিভ না হয়। ফলাফল তিনি ঠিকই গাড়ি জিতে নেন। কিন্তু পরে গ্রেপ্তার হয়ে খাটতে হয় ৫১ মাসের জেল।
এছাড়া
Kevin Poulsen, Ronald Austin and Justin Peterson এই তিনজন মিলেও ফোন লাইন সিস্টেম হ্যাক করে ২০০০০ ডলার জিতে নেয় তবে বেচারারাও পরে ধরা খায়।

১৯৯৪ সালে Richard Pryce ১৬ বছর বয়সী , যাকে alias Datastream Cowboy নামে জানা হয় সে প্রায় ১০০ কম্পিউটারের সিকিউরিটি সিস্টেম ভেংগে ফেলে যার মধ্যে নাসা,কোরিয়ান পারমিণবিক সংস্হা সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন সংস্হার নেটওয়ার্ক ছিল।
এছাড়া হ্যাকিং জগতে অন্যতম বড় ব্যাংক ডাকাতি করেন রাশিয়ান গণিতবিদ ভাদিমির লেভিন। তিনি নিউইয়র্কের সিটি ব্যাংক থেকে কাস্টামারদের ১০ মিলিয়ন ডলার নিজের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি ইংল্যান্ডের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার হন এবং তিন বছর জেল খাটেন।সব টাকাই ফেরত পাওয়া যায় তবে ৪০ লাখ ডলার পাওয়া যায়নি।

হ্যাকার দুনিয়ার গুরু যারা

ব্লাক হ্যাকারদের মাঝে কেভিন মিটনিককে বলা হয় হ্যাকারদের গুরু ।তার হ্যাকিং বিদ্যার জন্য তাকে গ্লেন কেজ উপাধি দেওয়া হয়।এই বিখ্যাত হ্যাকিং গুরুর বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়েছিলো তা হল

  • Los Angeles এর বাস সিস্টেম হ্যাকিং করে ফ্রী ভ্রমণ
  • DEC সিস্টেম হ্যাকিং যার কারনে তাদের ১৬০০০০ ডলার ক্ষতি হয়েছিলো
  • Motorola, NEC, Nokia, Sun Microsystems and Fujitsu Siemens সিস্টেম হ্যাকিং
  • এফবিআই এর সিস্টেমে হ্যাকিং এর চেষ্টা
  • IBM এর মাইক্রোকম্পিউটার প্রজেক্টে এ্যাটাক

  • এছাড়াও শত শত নেটওয়ার্ক হ্যাকিংয়ের চেষ্টা ,ফ্রী কল করার হ্যাকিং ,বিভিন্ন মেইল সিস্টেম হ্যাকিং চেষ্টার শত শত অভিযোগ ছিল তবে তা প্রমাণ করা যায় নি।
    তাকে জেলে পাঠানো হয় ২০০০ সালে কেভিন মুক্তি পান, তবে শর্ত ২০০৩ সালের আগে তিনি কোনো কম্পিউটার, সেল ফোন এবং ইন্টারনেটযুক্ত ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। মিটনিকের ব্যতিক্রমী এবং শক্তিশালী হ্যাকিং কৌশলের জন্য হ্যাকার জেনারেশনের আদর্শ হয়ে আছেন। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির সিকিউরিটি কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করছেন। তার ওয়েবসাইট http://mitnicksecurity.com/

    হ্যাকিং দুনিয়ার আরেকজন গুরু হল গ্যারি ম্যাককিনন। ধরা হয়, একটি মিলিটারি সিস্টেমে হ্যাক করে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় হ্যাকিংটি তিনিই করেছেন। ২০০০ ও ২০০১ সালে তিনি নাসা ও পেন্টাগনের ইনফরমেশন সিস্টেমে অ্যাটাক করেন। বর্তমানে তার ইন্টারনেটযুক্ত কোনো কম্পিউটার ব্যবহার নিষেধ। এছাড়াও Adrian Lamo, Jonathan James , Robert Tappan Morris , Kevin Poulsen কেও হ্যাকিং দুনিয়ার বস বলা হয় ।

    হোয়াইট হ্যাট হ্যাকারদের মধ্যে অন্যতম গুরু বলা হয় সুতুমু শিমুমোরা। ১৯৯৪ সালে সানডিয়েগো সুপার কম্পিউটার সেন্টারে রিসার্চ সায়েন্টিস্ট হিসেবে কাজ করার সময় একজন হ্যাকার তার কম্পিউটার থেকে গোপনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ ফাইল চুরি করেন। সেই হ্যাকারটি ছিল কেভিন মিটনিক।

    এরপর ১৯৯৫ সালে ট্রেস ডায়ালিং কৌশল এবং টেলিফোন লুপ সিগন্যাল ব্যবহার করে মিটনিকের অবস্হান চিহ্নিত করে এফবিআই’র হাতে ধরিয়ে শিমুমোরা প্রতিশোধ নেন।
    [ভবিষ্যতে হ্যাকার গুরোদের নিয়ে বিস্তারিত পোস্ট দেব ইনশাল্লাহ ]

    শাহী মিজার্র হ্যাকিং এবং বাংলাদেশ

    শাহী মির্জার নাম আমরা অধিকাংশরাই জানি । র‌্যাবের ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে শাহী মির্জা আলোতে আসেন। তাহলে চলুন দেখি শাহী মির্জার হ্যাকিং কি ধরনের । শাহি মির্জাকে সহজ অর্থে হ্যাকার বলা যায় না । তবে তাকে Script kiddie হ্যাকার বলা যায় । Script kiddie রা অন্যের তৈরি করা হ্যাকিং টুল বা স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে হ্যাক করে থাকে যেমন কী লগার ব্যবহার করে হ্যাকিং । এধরনের হ্যাকিং প্রকৃত হ্যাকিং হতে অনেক সহজ ।
    শাহী মির্জাও অন্যের তৈরী টুল ব্যবহার করে মুলত হ্যাকিং করেছিলো । এজন্য শাহী মির্জাকে যতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিলো ততটা দেওয়ার দরকার ছিলোনা ।তবে শাহী মির্জা নিজের বোকামির জন্যই ধরা পড়েছিলো । কারণ হ্যাকারদের সিস্টেম সম্বন্ধে অগাধ জ্ঞান থাকতে হয় না হয় জেলের ভাত নিশ্চিত ।

    এছাড়া মাঝে মাঝে বাংলাদেশ সরকারের ওয়েবসাইটগুলো হ্যাকিংয়ের খবর আসে । কিছুদিন আগে সেনাবাহিনী , নৌবাহিনীর ওয়েবসাইট হ্যাকিং হয়েছিলো । আবার ইরানের কিছু হ্যাকার মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট হ্যাকিং করেছিলো আবার আজকে দেখলাম সরকারের কিছু ওয়েবসাইট ইন্ডিয়ান হ্যাকার দ্বারা হ্যাকিং এর শিকার হয়েছ নমুনা দেখতে এখানে ক্লিক করুন । তবে একথা দিনের আলোর মত সত্য যে সরকারী ওয়েবসাইগুলোর নিরাপত্তা একেবারেই নিচু পর্যায়ে । জেলা পোটার্লগুলো মুলত ফ্রী জুমলা দিয়ে তৈরী করা হয়েছে । তবে সিকিউরিটি প্যাচ গুলো আপডেট করা হয়নি এজন্যই মুলত বাচ্চা হ্যাকাররা ছোটকালে শেখানো হ্যাকিং পদ্ধতি দিয়ে হ্যাকিঙ করেছে । সেদিক হতে বাংলাদেশে কোন ভালো হ্যাকার বা হ্যাকিং গ্রুপ গড়ে উঠে নাই বলেই আমার ধারনা। বাংলাদেশের ছেলেরা এখনও ফেইসবুক নিয়ে ব্যস্ত বলে তারা হ্যাকিংয়ের দিকে মনোযোগ দিতে পারে নাই । ইনশাল্লাহ ফেইসবুক জ্বর মাথা হতে যাওয়ার পরই হ্যাকিংয়ে মনোযোগ দিবে ইনশাল্লাহ ।

    হ্যাকিং থেকে বাঁচতে সতর্কতা

    হ্যাকারদের আক্রমণ হতে বাচতে পিসিতে ভালো এন্টিভাইরাস ব্যবহার করুন । ফায়ারওয়াল ব্যবহার করুন ।যেকোন একাউন্টের পাসওয়ার্ড দেওয়ার সময় অক্ষর,সংখ্যা,প্রতিকের মিশ্রণে পাসওয়ার্ড দিন। যতটা সম্ভব কঠিন পাসওয়ার্ড দিন। সন্দেহ হলে মেইল এর এটাচমেন্ট খুলা হতে বিরত থাকুন ।

    আশা করি আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্টস দিবেন । না দিলে টিউন কইরা মজা পাইনা । আর এই লেখাটির মুল আইডিয়াটি মাসিক একটি ম্যাগাজিন হতে পেয়েছি তারপর নিজের মত পরিবর্তন,পরিবর্ধন ফরম্যাটিং করে প্রকাশ করেছি।

    Level 0

    আমি বিল্লাহ মামুন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 142 টি টিউন ও 1447 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

    করি মায়ের ভাষায় চিৎকার........ http://bloggermamun.com


    টিউনস


    আরও টিউনস


    টিউনারের আরও টিউনস


    টিউমেন্টস

    আজ ইন্ডিয়ান হ্যাকাররা হ্যাক করলো ফেনী জেলার ওয়েব সাইট……

      হুম দেখলাম আসলে দোষ আমাদেরই সরকারী ওয়েবসাইটগুলোর অবস্হা একেবারে ছন্নছাড়া হ্যাকার ধরার আগে ডেভেলেপারদের ধরা উচিত । সাইটগুলোর ডেভেলেপারদের ধরে জেলে দেওয়া উচিত ।এরা ইচ্ছা মত টাকা নিয়েছে আর যেনতেন ওয়েবসাইট তৈরী করেছে ।

    Level 0

    দেখুন শয়তান দল কী অবস্থাইটা না করেছে। http://www.dcrangpur.gov.bd/

      সরকারী ওয়েবসাইটের যে সিকিউরিটির অবস্হা আমার তো মনে হয় তারা আমাদের প্রতি একটু রহম করেছে । আগে নিজেদের সিকিউরিটি নিজেরাই করতে হবে ।

    এত বড় আর ভালো টিউন ,ওয়াও। 😛
    আমার মনে হইয় এটা মামুনের বেষ্ট টিউন। 😛
    মামুন নাম টা চেঞ্জ করো ভাই, হ্যকার মামুন রাখো। 😀
    অসধারনসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসসস। 😀
    ওলে ওলে ওলে। 😉

      মিয়া আমিতো হ্যাকিং এর উপরে আর্টিকেল লিখলাম ।আমিতো আর হ্যাকার না ।দুই একটা হ্যাকিং করতে পারলেই হ্যাকার মামুন টাইটেলটা নিয়া নিমু ।:) ওলে ওলে 🙂

      সহমত হ্যকার মামুন রাখো।

      নারে ভাই মোটামুটি হ্যাকিং জিনিসটা ধরতে পারলেই নাম চেন্জ কিন্তু তার আগে ? মাফ চাই । যা নিজে করতে পারি না তার ক্রেডিট নিতে আমি রাজি না ।

      সাম্য ভাই বা মামুন ভাই। আপনারা কি টিকটিউন্সে আছেন। জলদি বলেন…. আমার টিউন করতে সমস্যা হচ্ছে। টিউন লিখছি অথচ পাবলিশ বাটন টা নাই

      প্রকাশ বাটনটা আছে কিনা দেখুন না হয় এই পোস্টটা পিসিতে সেভ করে নতুন পোস্ট হতে দেখুন আবার প্রকাশ করতে পারেন কিনা । তা্রপরও না পারলে মডারেটর ছাড়া কোন উপায় নেই।

    বাপ্রে! ধৈর্য আছে বলতে হবে!!!!
    মাশাল্লাহ………………।

    Hacking is not a crime.

      @ ইয়াকুব ভাই….
      কারো প্রাইভেসি নষ্ট করা কি অপরাধ না….???

      হ্যাকিং কোন ক্রাইম/ অপরাধ এর মধ্যে পড়ে না। ক্র্যাকিং করা অপরাধ। উদাহরনঃ
      যেমন ধরুন আপনার প্যান্টের পিছনের পকেট দিয়ে আপনার মানি ব্যাগটি বের হয়ে আছে। কেউ যদি আপনাকে বলে/ দেখিয়ে দেয় যে আপনার মানি ব্যাগটি বের হয়ে আছে, এটাকে বলা হয় হ্যাকিং/ ওই ব্যাক্তিকে বলা হয় হ্যাকার। আর যদি আপনাকে না দেখিয়ে ব্যাক্তিটি আপনার মানি ব্যাগটি নিয়ে চলে যায় তাকে বলা হয় ক্র্যাক/ ওই ব্যাক্তিকে বলা হয় ক্র্যাকার।

      এখন আপনারাই বলুন কোনটা ভালো 😉

      আরে ভাইজানেরা আমিতো বলেছিই তিন ধরনের হ্যাকার আছে । সাদা,কালো,সুবিধাবাদী । কালোরো হল ক্রাকার ।

      ডেটাবেজ সিস্টেম, রিমোট মেশিনের নিরাপত্তা ভেঙে দেয়া, ক্রেডিট কার্ডের নম্বর চুরি করা, অবৈধ অনলাইন ট্রানজেকশান , আইডি চুরি করা, তথ্য চুরি করা এ গুলো রোধ করার জন্য আজকের আধুনিক পৃথিবীতে হ্যাকারদের ভূমিকা বেশী। টেকনলোজী ভালো বা খারাপ পথে ব্যবহার করা নির্ভর করে সব আপনার উপর। বিভিন্ন দেশে হ্যাকারদের উতসাহ দেয়া হয়, ক্রাইম হলেতো উতসাহ দেয়া হতেনা অার ইদানিং হ্যাকার পদের ভালো ডিমান্ড, প্রফেসনাল সেলারী ভালো।

      ইয়াকুব ভাই আপনার কথাতো ঠিকই আছে কিন্তু যারা তাদের জ্ঞান খারপ কাজে ব্যায় করে তাদের জন্যতো হ্যাকিং অবশ্যই ক্রাইম।তাদেরকে অবশ্য অণেকে হ্যাকার না বলে ক্রাকার বলে ।

    মামুন ভাই কি দেখাইলেন এটা? পদধুলি চাই।

    porachhi valo lagllo

    Level 2

    চমৎকার হয়েছে মামুন। কিন্তু তুমিতো কোন কমেন্ট এর রিপ্লাই দিচ্ছ না। সমস্যা কী?

      এইযে আপনার কমেন্টস এর রিপ্লাই দিলাম । কেমন আছেন ইসমাইল ভাই ??

      Level 2

      হ্যাঁ, ভাল আছি তোমার কুইক রিপ্লাই পেয়ে আরও ভাল লাগছে। ভাল থেকো।

    ব্যাপারটা ভাল কি মন্দ জানি না তবে এ ব্যাপারে আমার আগ্রহ প্রচন্ড।
    আপনার কাছে এরকম আরো টিউন প্রত্যাশা করছি।

    Level 0

    বেশ গুরপ্তপূর্ণ তথ্য………..।

    Level New

    মামুন ভাই জটিল টিউন। কপি মারতেছি। মাইন্ড করবেন না 😉

      সমস্যা নাই তবে আসল লেখার লিংক অবশ্যই দেবেন লেখকের নামও দেবেন ।

      Level New

      আচ্ছা ভাইয়া আমি কি মামুন দিব নাকি সাবটাইটেল মামুন মামুন দিব ??

      সাবটাইটেল মামুন দাও

    nice information dear.thanks for share

    খুব খুব কাজের ও তথ্য পূর্ণ পোস্ট ।

    কঠিন টিউন মামুন ভাই। আইডিয়াটি মাসিক কোন ম্যাগাজিন থেইকা নিছেন তা বুঝতে পারতাছি। তয় আমার মনে হইতাছে ম্যাগাজিন থেইকা আপনার এই পরিবর্তন,পরিবর্ধন ফরম্যাটিং করে প্রকাশ করা টিউন টা পাইলে ওরা আপনাকে ওদের পত্রিকায় লিখতে কইব 😛

      হুম এবার তাহলে চাকরিটা আমি পেয়ে গিছি বেলা শুনছো গানটা গাওয়া যায়

    Level New

    এক কথায় অসাধারণ,তবে কমেন্ট পাওয়ার প্রত্যাশা করার জন্যে নয়(যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসেরে তবে একলা চলরে)

    মামুন ভাই আপনার জন্য> একলা বলরে বা লিখরে

    ধন্যবাদ

      আসলে আমরা অনেকেই পড়েই চলে যাই ভালো লাগলেও কমেন্টস দেইনা । আমি কিন্তু বলেছি ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্টস দিবেন । কমেন্টস হল টিউনের প্রাণ ।

    ভাইয়া একটা সাধারন হ্যাকিং শিখাও না?টিউন টা খুব ভালো হয়েছে

      কি লগার দিয়ে হ্যাকিং হলো সবচেয়ে সহজ হ্যাকিং । কি লগারের ব্যাপারে যদি ধারণা না থাকে তাহলে গুগলে সার্চ দিয়ে জেনে নাও ।

      ভাইয়া তুমি পারলে আমাকে একটা ফ্রী কি লগার খুজে দাও।দেখি কতটুকু পার।আমি অনেক খুজেছি।অনেক কস্ট

    এটা কি করলেন মামুন ভাই । অসাধারন একটা টিউন ।

    Saon. Prokash button ta ki ase?

    আমি হ্যাক খাব……… 😛 😛 😉

      তুমি নরখাদকদের নিয়ে যে টিউন করছো আমারতো বুমি আসার জোগাড় । এই ধরনের টিউন করার আগে একটু ভেবে চিন্তে করার অণুরোধ রইলো।

    মামুন ভাই, আমি হ্যাক এর উপর পিএইচডি করতে চাই, কোথায় যামু একটু কন?

      নিজের পিসি থেকে চেষ্টা করতে খাকেন । ইনশাল্লাহ হয়ে যাবেন হ্যাকার ।:)

    এত কমেন্টের ভীরে আমার কমেন্ট পরতেন নাকি তাই চিন্তার বিষয় ছিল। মামুন ভাই আপনে আসলেই বস!!!!! আমারে একটু টিপস দিয়া হেল্পান……….. আমি মিয়া ভালা টিউন করবার চাই….. করতে পারি না কেন?

      দুর মিয়া কি কও ? তোমার টিউনতো মোটামুটি ঠিকই আছে । তবে যেহেতু এখন তুমি এডমিন প্যানেল + মডু হইছো তাই লেখা আরও ভালো করতে হবে ।

    ব্রেইনটা হ্যাং হয়ে গেল।

    জটিল টিউন ….মামুন ভাই, এই কথাটি আমার খুব ভাল লেগেছে – “বাংলাদেশের ছেলেরা এখনও ফেইসবুক নিয়ে ব্যস্ত বলে তারা হ্যাকিংয়ের দিকে মনোযোগ দিতে পারে নাই । ইনশাল্লাহ ফেইসবুক জ্বর মাথা হতে যাওয়ার পরই হ্যাকিংয়ে মনোযোগ দিবে ইনশাল্লাহ ।”

      এটাতো চরম সত্যি কথা ।ফেইসবুক শুধু বাংলাদেশ না পৃথিবীর জন্য অভিশাপরুপে এসেছে ।

    ভাই, আমারে একটু ভারো করে শিখান। আপনি আসলে বস.

    Level 0

    WHAT IS FIREWALL?

      ফায়ারওয়াল হচ্ছে পিসির এক ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্হা যা আপনাকে বিভিন্ন ধরনের হ্যাকারেরআক্রমণ হতে রক্ষা করবে।

    ami techtune e notun o tech bishoye motamuti oggo.ami technology bishoye shikhte chai.

    ভালো টিউন করেছেন দারুণ চালিয়ে যান।
    আমাদের দেশে পোলাপাইনদের ফেসবুক জ্বর যে কবে যাবে?
    যাইহোক খুজলে অনেককেই পাওয়া যাবে যাদের নেটে বিনোদন থেকে শিক্ষা গ্রহণটাই প্রধান। তাদের সবাইকে যদি একসাথে গ্রুপ করে কিছু একটা করা যেতো, তাহলে খুবই ভালো হতো।
    যাই হোক আপনারা যারা এ ব্যাপারে অভিজ্ঞ সবাই দয়া করে নিয়মিত টিউন করবেন।

    Level 2

    Kub Valo Tune. Jat iiiiiiiiiiiiiiiiiiiiiiiiiiiiiiiiiiiiiiiiiiiii L Hoisay. Thanks

    গ্যারি ম্যাককিনন আমার গুরু তবে গুরুর মত ভুল আমি করব না। দোয়া কর ।হ্যাকার হলেও কারও লস করুম না।

    জটিল জিনিস, জটিল টউন 🙂

    সুন্দর-সুন্দর…….. সুন্দর টউন।