মোবাইল ফোন কোম্পানির বিজ্ঞাপনঃ কী শেখাচ্ছে তরুণ প্রজন্মকে?

মাস দু’য়েক ধরে দেশের ভিজ্যুয়াল আর প্রিন্ট মিডিয়ায় গ্রামীণ ফোনের একটি নতুন বিজ্ঞাপন প্রচার করে যাচ্ছে। বিজ্ঞাপনে বলা হচ্ছে ‘বন্ধু, আড্ডা ও গান এখানেই, হারিয়ে যাও’, কখনওবা প্রিন্ট মিডিয়ার বিজ্ঞাপনে বলা হচ্ছে ‘মাত্র ৩০ টাকায় হারিয়ে যাও’। গ্রামীণ ফোন তাদের বিজ্ঞাপনে বৈচিত্র আনতে গিয়ে নানাভাবে নতুন নতুন মেসেজ দিয়েছে। সেগুলোর সবগুলোই যে খুব সফল ছিল তা নয়। এর আগেও তাদের বিভিন্ন বিজ্ঞাপণ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তবে এবারের ‘ডিজুস’ এর এ বিজ্ঞাপণটি সরাসরি দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রজন্ম ‘তরুণ' দেরকে সঠিক দিক নির্দেশনার পরিবর্তে ভ্রান্তিমূলক পথে পরিচালিত করছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। দেশের বিশিষ্ট জনেরা প্রশ্ন রেখেছেন এভাবে কোন বিজ্ঞাপণের মাধ্যমে আমাদের মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো তরুণ প্রজন্মকে অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে ঠেলে দিতে পারে কি না?

djuice-ad-01.jpg

যেকোন দেশের জন্য তার তরুণ প্রজন্ম অসম্ভব এক গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। তরুণরাই যে দেশের ভবিষ্যত এ ব্যাপারে আজ পর্যন্ত কেউই দ্বিমত পোষণ করেনি। আমরা জানি, আজ যে তরুণ তাকেই তৈরি হতে হবে ভবিষ্যতে হাল ধরার জন্য। নতুবা পুরোনোদের দায়িত্ব শেষ হবার পর তৈরি হবে ভয়াবহ এক শুন্যতার। আর সে শুন্যতা পুরণে প্রতিটি ক্ষেত্রের জন্য তরুণদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষে উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কাজ শিখতে হবে। আর এ জন্য তরুণদের বেশিরভাগ সময়ই ব্যয় করতে হবে শিক্ষা মূলক ও প্রশিক্ষণের কাজে। অথচ আমাদের তরুণদের বোঝানো হচ্ছে যে, বন্ধু,আড্ডা আর গানের মাঝেই তোমাদের মুক্তি। আর সে কারণেই হারিয়ে যাও এসবের মাঝেই। আমাদের তরুণ প্রজন্মকে বোঝানো হচ্ছে আড্ডা, গান আর বন্ধুর মাঝেই সকল আনন্দ। জীবন একটিই আর তাই যেভাবেই হোক উপভোগ করে নাও তোমার এই জীবন!

djuice-ad-02.jpg

বাস্তবতার নিরিখে, বিশ্বায়নের এ সময়ে, প্রতিটি মুহূর্ত তরণদের জন্য যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। পৃথিবী প্রতি নিয়ত এগিয়ে চলেছে। তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশের নাগরিক হিসাবে আমাদের টিকে থাকার লড়াইটা অন্যদের তুলনায় একটু বেশিই। আর সেকারণেই আমাদের তরুণদের প্রস্তুতিটা হওয়া দরকার আরো মজবুতভাবে। প্রযুক্তিগত কারণে প্রতিনিয়ত ‘ডিজিটাল ডিভাইড’ বেড়ে চলেছে। প্রযুক্তি বিশ্বে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোর তালিকায় অন্তত প্রথম দশটির ভেতরেই বাংলাদেশের নাম খুঁজে পাওয়া যায়। অথচ প্রযুক্তি ছাড়া আমাদের মুক্তির ভিন্ন কোন পথ আছে কি না এখন পর্যন্ত কেউ জানাতে পারেনি। এসব বিষয় মাথায় রেখেই আমাদের তরুণদের হতে হবে আরো প্রযুক্তিমুখী। অথচ সেখানে আমাদের তরুণদেরকে শেখানো হচ্ছে তোমার জন্য ভোগের দরজা খোলা হয়েছে। এখনই ঝাঁপিয়ে পড় ভোগের সমুদ্রে। কারণ তুমি তো জানো না আর কত দিনই বা তুমি বাঁচবে।

দেশের বিশিষ্ট তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, শিক্ষক এবং প্রথিতযশা কথা সাহিত্যিক মুহম্মদ জাফর ইকবালও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এ বিষয়ে। সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকের কলামে লিখেছেন তার উদ্বেগের কথা। মুহম্মদ জাফর ইকবালের মতে তরুণ প্রজন্মকে বোঝানো হচ্ছে ভোগেই প্রকৃত সুখ। আর সেই ভোগেই জীবনকে ভাসিয়ে দাও এখনই। কিন্তু তার মতে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য শিক্ষাই একমাত্র উপযুক্ত হাতিয়ার। সত্যিকারের শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি কোন দিন উন্নতি করতে পারেনি। উপযুক্ত শিক্ষার পাশাপাশি হাতে কলমে প্রশিক্ষণ নেয়াটাও জরুরী।

মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো মিডিয়া দখলের প্রতিযোগিতায় প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করে বাহারীসব বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে গ্রাহক আকৃষ্ট করাই যেন এসব ফোন কোম্পানিগুলোর প্রধান কাজ হয়ে দাড়িয়েছে। আপনাদের হয়তো মনে আছে এক সময় দেশের আরেক শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ফোন অপারেটর ‘বাংলালিংক’ এক সময় বিজ্ঞাপনে বলতো ‘রাত ভোর হয়ে যায় কথায় কথায়’। অর্থাৎ তরুণ প্রজন্মকে ইঙ্গিত করা হয়েছিল সারারাত জেগে জেগে কথা বলে সময় পার করার জন্য। সবারই হয়তো মনে আছে তখন দেশের প্রতিটি মোবাইল ফোন কোম্পানিই রাতে কথা বলার জন্য বাহারী বিজ্ঞাপণ দিয়ে তরুণদের আহবান করতো। আর তরুণরাও রাতে নির্ঘুম থেকে মোবাইলে কথা বলে সারাদিন ঝিমুতো। দিনের বেলা মোবাইল বিল বেশি রাখা হত। আর এভাবেই রাতে কথা বলার জন্য এক প্রকার বাধ্য করতো আমাদের এই সব মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো।

সময় এসেছে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর এসব ভ্রান্তিমূলক বিষয়গুলো জাতির কাছে তুলে ধরার। মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো তাদের প্রকৃত সার্ভিসের পাশাপাশি কর্মসংস্থানসহ দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে একথা অনস্বীকার্য। কিন্তু তাই বলে এসব মোবাইল কোম্পানিগুলোর বল্গাহীন আহবান এবং বিভ্রান্তিমূলক দিক নিদের্শনা নিশ্চয় নিরবে মেনে নেয়া নিশ্চয় কোন শুভবুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক নয়। একটি প্রজন্ম কে নিঃশেষিত করার অধিকার বোধহয় আমাদের কারোরই নেই! এ নির্মম সত্যটি আমাদের আরো একবার মনে রাখা দরকার!

Level 0

আমি দুরন্ত। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 9 টি টিউন ও 7 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

প্রযুক্তিতেই মুক্তি


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level New

Grameen Phone Call Rate SuX

এই ডিজুস পোলাপানগুলারে ধইরা একটা ডলা দেয়া দরকার। তাইলে যদি মানুষ হয়।

আর দুরন্ত ভাই ………… আরেকটি অসাধারন টিউনের জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ।

প্রসঙ্গটি সমসাময়িক, বেশ ভাল লেগেছে লেখাটি
যদিও আমি এখনও মোবাইল ফোন ব্যবহার করিনি, সে ক্ষেত্রে এ ব্যপারগুলো আমাকে কোনভাবেই প্রভাবিত করেনা, কিন্তু সমাজের একটি অংশ ঠিকই প্রভাবিত হচ্ছে

Level 0

একমাত্র সচেতনাই হতে পারে এই সব নব্য ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ।
ধন্যবাদ ।

আর কয়েন না ভাই > > আমি একটা প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়ি – > এমন একটা পোলাপাইন পাওয়া যাবেনা যে সিগারেট না খায় ? আর প্রথমে সিগারেট এরপর মদ এরপর গাঁজা এরপর হেরইন শেষে ইয়াবাহ … জাতি শেষ হয়ে যাচ্ছে… আর মোবাইলের কথা ভাই যা বলছে তার চাইতেও মারাত্নক !! আমি সত্য চিন্তিত

কম্পিউটার বা তারও আগে টিভি যখন এ দেশে এসেছিলো বা স্বাধীনতার আগে পাকিস্তান সরকার যখন এ দেশে কনডম ইন্ট্রোডিউস করলো তখন অনেক বড় বড় নেতা, মোল্লা, বুদ্ধিজীবি অনেকেই অনেক কথা বলেছিলেন। এমনকি যখন ফাইবার অপটিকের লাইন বাংলাদেশে যুক্ত হয়ে গিয়েছিলো তখন আমাদের দেশের জাতীয় প্লেবয় এরশাদ চাচা বা ধাননেত্রী খালেদা জিয়া অনেক অজুহাত দেখিয়ে ছিলেন। এই পোস্ট টা ঠিক তাদের কাথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে। হাস্যকর ব্যাপার হলো অনেকের কমেন্টও সেরকম!

আমি আবার সঙ্গীতের ভক্ত আর তা যদি হয় আন্ডারগ্রাউন্ডের ব্যান্ড রেভ্যুলিউশন প্রোমোট করার জন্য। আমাদের বুদ্ধিজীবিরা তো অনেক কথাই বলেছিলেন আবার এমনও বলা হয়েছিলো গ্রামীনের লোগো আমাদের দেশের ঐতিহ্যের সাথে খাপ খায় না কিন্তু যখন দেখি রিক্সাওয়ালা পর্যন্ত তার গ্যান্জ্ঞীতে এই লোগোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে তখন মনে হয় এর চেয়ে সফল ব্রান্ড এ দেশের কর্পোরেট ইতিহাসে আছে কি না সন্দেহ, আর যেখানে টেলিনরের অন্যান্য অপকোসে এই ব্রান্ড সফল ভাবে তুলে ধরা হয় তখন এ নিয়ে কথা বলাটা বোধ হয় নিজেকে ব্যাকডেটেড করে রাখার প্রানান্ত চেস্টা মাত্র!

আর ডিজিটাল ডিভাইডের কথা বলাটা অনেকটা এরকম শোনায় যেমনটা শোনায় এলএইচসি প্রজেক্টের বিরোধিতার করার মতই একটা হাইপ। না হলে সিআইসি, টেলিমেডিসিন, বিকেএসপি প্রোমোট, বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়ন, মেডিক্যাল সার্ভিস টু দ্য রিমোট ইন দ্যা নেম অফ সিএস আর এ যতটা ইনভেস্ট করা হয়েছে এতটা মনে হয় বাংলাদেশের অন্য কোনো কোম্পানী করেছে কিনা সন্দিহান।

অবশ্য একটা প্রশ্ন করতে চাই বাংলাদেশের অন্যকোন সেবা প্রতিঠান বা এনজিও কি সারাদেশে ডিজিটাল ডিভাইড সেভাবে দূর করতে পেরেছে অথবা এতটা সফল ভাবে আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে কি?

প্স্টেরোটাইপ প্রশ্ন করা সহজ, কিন্তু মাঝেমাঝে মনে হয় ডিটেলস জানাটা কারো কারো জন্য খুব কঠিন!

আর বুদ্ধিজীবিদের ব্যাপারে আমি একটা কথাই বলবো যেখানে এখনও তারা বুঝতে পারছে না নিউক্লিয়ার এ্যানর্জি কি জিনিস, যেখানে এখনও বুঝতে পারছে না টাকা দিয়ে প্রাইভেট ভার্সিটি করলেই শিক্ষার মান উন্নয়ন হয় না,, অথবা যেখানে এখনও বুঝতে পারছে না কয়লা মাটির নীচ থেকে উঠানো দেশটার বাসের অযোগ্য করা সেখানে তাদের উপর বিশ্বাস রাখা মোল্লার হাতে রিলেটিভিটি ধরিয়ে ব্যাখ্যা করতে দেয়ারই নামান্তরই!

তাদের ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই তবে দুঃখ হয় কিছু আ_ল দেশ চালায় আর নিত্য ছিড়ে কুড়ে খায়!

@রিন ভাই – আপনি অনেক কথাই বল্লেন। কিন্তু আপনি এই টিউনের চিন্তা কেন ব্যাকডেটেড বল্লেন আমি বুঝলাম না। গ্রামীনফোনের সাথে নিশ্চই কারোও ব্যক্তিগত সমস্যা নেই। তরুণ সমাজকে এভাবে বন্ধু আড্ডা আর গানের প্রতি অতিরিক্ত আকর্ষণের বিজ্ঞাপন তৈরি করার কী কোন যৌক্তকতা আছে? আপনার ছেলে তা মেয়েটি যদি নিজের জীবন গড়ার প্রতি উদাসীন হয়ে বন্ধু আড্ডা আর গানে মেতে থাকে তবে কী আপনি খুব বাহবাহ দেন? এগুলো জীবনের প্রয়োজন নেই এমন নয় কিন্তু তরুণদের দিকনির্দশনা মূলক বিজ্ঞাপনও তো তৈরি করা যায়। এবং করেছে ও। নাকি এগুলো তৈরি করলে তরুণরা জানতে পাবে না যে ডিজুস নামে কোন কম্পানি আছে? বাংলাদেশের কর্পোরেট কম্পানি হিসেবে মোবাইল কোম্পানি গুলোকে তো দেখলাম না তরুণদের ক্যারিয়ার বিল্ডআপের জন্য কিছু করতে, মেধা খোঁজার কোন উদ্যাগ নিতে.. তাহলে তারা তরুণদের গান বাজনার প্রতি মাতিয়ে রাখতে এত ব্যস্ত কেন? কারণ, তারা তরুণদের ভাল চায় এমনটা না নিশ্চই। আসলে এই বিষয়টা দিয়ে তারা ভাল ব্যবসা করতে পারবে.. এর বেশি আর কিছুই না..

আর রিক্সাওয়ালা তার গেঞ্জিতে গ্রামীনের লোগ লাগানো কী গ্রামীনে ক্রডিট? তারা কী সেগুলো ফ্রি দিচ্ছে। আর এই কারণেই যদি তারা বিশাল বড় কর্পোরেট হয়ে থাকে তবে তো এমাজন, সান আর গুগলের জেঞ্জিতে পুরো আমেরিকা ছেয়ে যাওয়ার কথা।

আসলে আমাদের অনেকেরই একটা অভ্যাস হয়ে গেছে যে কোন কিছুর বিরোধিতাই আমরা মোল্লার গুণ বলে মনে করি। ভাল হোক আর খারাপ হোক। আর নতুন যা আসুক সেটা গ্রহণ করাকেই প্রগতি আর আধুনিক মনে করি। আমি বলি না যে সবই খারাপ। কিন্তু যেটা আমাদের আর আমাদের প্রজন্মের জন্য ক্ষতি করছে সেটা তো আর সবাইকে দেদারসে গ্রহণ করতে বলব না..

@অর্পন ভাই, আমার কমেন্ট কি জন্য ব্যাক্তিগত মনে করা হলো সেটা আমার বোধ গম্য নয়। তবে কিছু ইনফো আমি আপনাদর দিতে পারি। বাংলা লিংক যখন রিক্রুট শুরু করে ওরাসকমের ব্যানারে তখন বিশাল বড় একটা সার্কুলার ছিলো যেটাকে এখনই সবাই ঈর্ষা করে এ্যাড করে যেকোনো কনফারেন্স করে (সাবেক জ্বালানী উপদেস্টার এক সাক্ষৎকার অথবা আই ইবি গতবছরের বার্সিক সভায় সাবেক সাধারন সম্পাদকের বক্তৃতা) বলে থাকেন।মনে পড়ে ওদের টেকনিক্যাল ডিভিশনের লোকের জন্য সেবছরে বুয়েটে গিয়ে 4 র্থ ঈয়ারের ছেলে পেলেদের ক্যারিয়ার কাউনস্সেলিং করিয়ে রিক্রুট করানো হয়। গ্রামীনের সাধারন একটা নিয়মই আছে যেটা হলো প্রতিটা নামজাদা ইউনিতে গিয়ে ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং করিয়ে সেরা সেরা ছেলে মেয়ে দেরকে মোটিভেট করানো হয়। আপনি যদি গ্রামীনে পর্মানেনট্ট ইম্পোলয়ী হন তাহলে জেনে থাকবেন এদেশের কোনো ছেলে বাইরে ভালো সাবজেক্টে চান্স পেলে তার জন্য খুব ভালো স্কলারশীপ দেয়।

আরও কিছু ইনফো দেই। এসব টেলিকম কোম্পানী আসার আগে বাংলাদেশের ইন্জ্ঞিনীয়াররা সবচেয়ে বেশী ইল পেইড ছিলো। অথচ আমি মনে করি টেকনিক্যাল সাইডে লেখা পড়া করেছে তাদের সাথেখুব কম তুলান চলে। দুনিয়াতে এমন উন্নত দেশ খুব কম আছে যেখানে শুধু ইন্জ্ঞিনিয়ারদের বসিয়ে রেখে টপ ম্যানেজম্যান্টের থেকে বেশী সেলারী আর সুযোগ দেয় বয়স শেষ হয়ে গেলেও। জার্মানী ফিনল্যান্ডের মতো অনেক দেশেই তা করা হচ্ছে। কিন্তু তখন বাংলাদেশেপ্রায় সবগুলো কোম্পানিতেই কিন্তু এই বৈষম্য ছিলো। কিন্তু টেলিকম আসাতে বলা যায় ইন্জ্ঞিনিয়ারিং সেক্টরে স্কিল ডেভেলপমেন্ট, সেল্ফ আপগ্রেডেশন ইত্যাদির প্রভূত উন্নতি হয়েছে। এক্ষেত্রে বলা যায় এসব মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীগুলো ক্যারিয়ার ডেবেহলপমেন্টের জন্য কি করছে না সেটা আমি বুঝে পাই না!

আর দ্বিতীয় কথা আমার ছেলে মেয়েদের ব্যাপারে। তাহলে আমি বলতে পারি এটা ব্যাক্তি গত আক্রমন। তবে এটাতেও আমি কিছউ মনে করবো না কারন দেখা যাচ্ছে সঙ্গীতকে প্রফেশন বা ধর্মীয় দৃস্টিতে চিন্তা করা আসলেই কতটা ব্যাকডেটেড। আপনি হয়তো ক্যারিয়ার হিসেবে এটা কিরকম? আমি বলবো এখনও যদি আমি স্লিকনটের মতো মাঝারী ব্যান্ডের কথা বলি তাহলে তার কনসার্ট লিস্ট দেখলাম এটা কি সম্ভাবনা ময়। আর আমার দেশের ছেলে মেয়েদের কথাই বলি তাহলে বলবো এরা বিপ্লব ঘটাচ্ছে সঙ্গীতের জগৎ এ। আর একটা কথা বলে রাখি আমার এক আত্নীয় আছে যারা এসব ব্যান্ড এর কাজে জড়িত। আমার আপগ্রেডেশন আসলেই দরকার এহেন কথা বলবার আগে। ছোটকালে আমিও একটা ব্যান্ডের সাথে জড়িত ছিলাম। আমি এমনও ব্যান্ড দেখেছি যারা মাসে ভালো টাকা ইনকাম করছে শো করে কিন্তু তারা এখনও তেমন কোনো ভালো এ্যালবাম বের করেনি তবে আজও আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যান্ড হিসেবে তাদের বেশ সুনাম আছে ।

আসলেই সেল্ফ আপগ্রেডেশন দরকার আর ব্লগ যদি বিরোধিতা সহ্য করতে নাই পারে তাহলে মুক্তচিন্তার গলা টিপে ধরা দরকার,তাই নয় কি? আসুন আমরা গলা টিপে ধরি। বিরোধিতা করি মাথা খাটানোর দরকার নাই সবাই ঠিক বলছি যুক্তির দ্বার রুদ্ধ করি।

@ রিন + অর্পন = অর্পন আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে আপনি ছাত্রকালে তার্কিক ছিলেন। যুক্তি দিয়েই আপনি বলেছেন। কিন্তু আপনার যুক্তিতে ব্স্তবতা কতটুকু মিলেছে আর সেই বাস্তবতা আমার দেশের জন্য আমাদের যুব + ছাত্র সমাজের জন্য সর্বোপরি আমাদের দেশীয় সংস্কৃতির জন্য কতটা ভালো বা কতটা মন্দ তা আমাদের সবারই ভাবা উচিৎ, রিন ভাই আপনারও। প্রথমেই বলি ডি-জুস কিছুদিন আগে ব্যান্ডর কিছু শিল্পি বের করেছে বাংলাদেশ সার্চ করে। এতে কার লাভ হইছে —- 10 টা ব্যান্ডের 50টা ছেলের ( 5%) + বিচারক বাচ্চু ভাই (5%) + গ্রামীনফোনের ( 90%) [এস এম এস দিয়ে ] আর এপর ঐ সব ব্যান্ড যেখানেই যাবে সেখান থেকে অটোমেটিক গ্রামীনফোনের ( লাইফটাইম 100%) লাভ হবে। আর আমার দেশের + আমাদের যুব + ছাত্র সমাজের লাভ = আমার দেশের সংস্কৃতির সর্বনাশ আর ছাত্র+যুব সমাজের সর্বনাশ আর এসব কনসার্টে যেভাবে পোলাপাইন নেশা দ্রব্য খায়। আমি তো মাদক বিরোধী কনসার্টে দেখেছি পোলাপাইন কেমনে গাঁজা টানে। এরপর কোন একদিন গ্রামীনফোন এইসব মাদকাসক্ত পোলাপাইনের জন্য একটা ডোনেশন দিবে আর আমরা সবাই বলেবা বাহ!!! গ্রামীনফোনের কী দেশেপ্রম। এসব কনসার্টে আরও নানা রকম বাজে কাজ হয় সেইগুলা আমার বলার ইচ্ছা নাই। আর এসাব উশৃংখল ছেলে-মেয়ে দিয়ে দেশ গড়া আমার মনে হয় সম্ভবনা। অন্যসব মোবাইল কম্পানীরও মুটামুটা একই অবস্থা।

সামান্য একটা কথা লিখলাম– এখন আমার কথা লিখি
1> কনসার্ট তো অনেক করে গ্রামীনফোন বলেন কয়টা প্রোগ্রামিং কনটেষ্টের আয়জন করেছ গ্রামীনফোন ?
ওরা ব্যান্ডের দলকে প্রমোট করছে টাকার ব্যবস্থা করছে কিন্তু ভার্সিটির যে ছেলেটা অনেক বুদ্ধি ব্রেন খাটিয়ে প্রোগ্রামিং করে তার জন্য তো প্রোগ্রামিং কনটেষ্টের আয়জন করেছ না গ্রামীনফোন ? এভাবেও তো কম্পানী প্রচার করতে পারে। কারন ওরা জানে এসব প্রোগ্রামার ছেলেদের সহজে বোকা বানানো যাবেনা। তাই প্রথমে ব্যান্ডের মত আবুল ছেলেদের কব্জা করো এরপর প্রোগ্রামার ছেলেদের ডিসকারেজ করো। আবুল পোলাপাইন বাড়লে তখন দেশ এমনিতে ধংস হবে।

বি ঃ দ্র ঃ এখানে আমি প্রোগ্রামার আর ব্যান্ড শব্দ 2টা প্রতীক হিসাবে ব্যাবহার করেছি। আমার ভালো ব্যান্ডের গানের প্রিত কোন ক্ষোভ নাই। আমি ভালো সব ধরনের গানই শুনি। আর রিন ভাই মনে কিছু নিয়েন না আমি আপরনার কথার প্রেক্ষিতে লিখছি বটে কিন্তু আপনাকে আঘাত করে নয়। কষ্ট পাইলে ক্ষমা করবেন। আর বাস্তবতা হলো মোবাইল ফোন কম্পানীগুলা আমাদের দেশের জন্য অনেক ভালো কাজ করলেও আমাদের দেশর জন্য ক্ষতিকর অনেক কাজও করছে। দেশ তো আমাদের সো প্রতিবাদ আমাদেরই করতে হবে তাই না ? ছোট একটা তথ্য বলি নরওয়ের কম্পানী টেলিনরকে বাংলাদেশের ডঃ মো. ইউনুস একা গ্রমীনফোনের মাধ্যমে যত টাকা লাভ করে দিয়েছে তা নরওয়ের ইতিহাসে কোন কম্পানী তো বটেই পৃথিবীর কোন মোবাইল কম্পানী করতে পারেনাই। এটা নরওয়ের একটা ফিনেন্স মেগাজিনে গত বছর প্রকাশিত।

ভাই আজ আর না। অনেক পড়া বাকি এক্সাম এসে পড়ছে। আসলে অনেক কিছু বলতে চাই লিখতে চাই কিন্তু আমি তো ক্ষুদ্র এক মানুষ আমার কথা শুনবে কে আর বুঝবে কে

( সালমান )

যার যার ভিউপয়েন্টে সে সে ঠিক অবস্থানে আছে। সবি ঠিক তারপরেও মোবাইল ফোন কোম্পনিগোলো এখন অনেকটা ক্ষমতাবান হয়ে গেছে, যারা কিনা একটা দেশের কালচার কন্ট্রল করার ক্ষমতা রাখে। যা মোটোও কাম্য নয়।

ওরে ব্যাডবয় তুমি দেখি আরো বড় তার্কিক ……… পুরা দুইজন রে একসাথে ………..

Level New

আমি নতুন টিউনার হয়ার পর থেকে ডিজুসের এই বিজ্ঞাপনটি নিয়ে যে লেখাটি হয়েছে তার শিরনাম প্রথম পাতাই অনেক বার দেখেছি আজ পড়লাম।
সবার মন্তব্য দেখলাম।আমি ছোট ভাই হিসাবে এইটুকু বলবো-দুনিয়ার সব কিছুর ভাল দিক খারাপ দিক থাকে। আমরা বা আমি যে দিকটি বেছে নেব সেটাই আমার।
বিজ্ঞাপনটিকে নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে তাই আমি অন্য কিছু বলতে চাই।internetর কিছু খারাপ দিক আছে যা আমরা সবাই জানি।তরুণদের কি দশ-বারো বছরের
পোলাপানরা [যারা নেট ব্রাউজ করে]ছাড় পায় না।আর ভাল দিকটা তো জানেন।
বিঃদ্রঃ ব্যাড বয় সালমান ভাই নিজের চোখ দিয়া শুধু দুনিয়ার খারাপ দিকটা দেখলে নিজেও খারাপ হতে হয়।যেমন আপনার নাম ………
চোখ দিয়া ভাল দিকটা দেখেন হয়তো বা এক সময় আপনার নাম হবে-গুড বয় সালমান….
ছোট ভাইর কথায় দুঃখ মাফ করে দিয়েন।