বিখ্যাত আর.টি.আর সিরিজের পথ ধরে এসেছে নতুন বাইক অ্যাপাচি আর.টি.আর হাইপার এজ । যেটা ইতিমধ্যেই অ্যাপাচি সিরিজের বাইকগুলোর মধ্যে পরবর্তী প্রজন্মের বাইক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে । হাইপার এজ অ্যাপাচির বাইকগুলোর মধ্যে নতুন ডিজাইনের বাইক হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে, যা অ্যাপাচি সিরিজের পরবর্তী বাইকগুলোতে অনুসরন করা হবে । সকল গুণকীর্তন ও প্রশংসা করার পর মূল বিষয় হল বাইকটি একটি উন্নত মানের সম্পূর্ণ প্যাকেজ এবং আশা করা যায় একটি ভালো বাইকের মত পারফর্মেন্স এটা হতে পাওয়া যাবে । অবশ্য অ্যাপাচি সিরিজের সমালোচকেরা বলেছেন যে এতে “হাইপার এজ” নামটি ছাড়া আর কিছুই নেই , কিন্তু এটা কি সমালোচকদের কথার জবাব দিতে পারবে ?
এর ক্ষমতা অনুযায়ী এর ওজনের অনুপাত একে বাজারে বিদ্যমান সবচেয়ে হালকা ওজনের স্পোর্টস বাইকে পরিণত করেছে । টিভিএস সবসময় আর.টি.আর সিরিজের বাইকগুলোকে রেসিং বাইক হিসেবে প্রচার করতে চেয়েছে । কিন্তু সকল পাঠকের কাছে এটা পরিস্কার যে ইয়ামাহা আর১৫ এর পারফর্মেন্সের পর রেসিং বাইক সম্পর্কে বিদ্যমান সকল ধারনাই পাল্টে গেছে । পুরনো আর.টি.আর ১৫০ এর মসৃণতার সাথে সাথে নতুন হাইপার এজের ডিজাইনে অনেক উন্নয়ন করা হয়েছে । ডিজাইনে যে সব উন্নয়ন বা আপগ্রেড করা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল পাখার ন্যায় ট্যাঙ্কের ঢাকনা ও পিছনের পরিবর্তনীয় ঢাকনা যা একে দৃষ্টি আকর্ষণীয় করেছে।
বাজারের অন্যান্য টু হুইলার তৈরীকারকদের মধ্যে একমাত্র টিভিএস এরই রেস ট্র্যাক দল রয়েছে যেটা চেন্নাই ফর্মুলা ৫০০ তে অংশগ্রহন করেছিল। তাই এটা দেখার বিষয় যে সেখান থেকে শেখা বিষয়গুলো কতটুকু বাইকে দিতে পেরেছে । একটি ১৫০ সিসি এয়ারকুল ইঞ্জিনসহ এটি অন্যান্য বাইক যেমন বাজাজ পালসার ১৫০ সিসি হতে অনেক বেশী কার্যকর । মানে রাস্তায় এটা বেশি পরিমাণ কাজ ও শক্তিতে চলে ।
কিন্তু বাইকটিতে চড়ার সময় মনে হয় এটা যেন নতুন বোতলে পুরান ওয়াইন । বাইকটির মূল সমস্যা ছিল যখন কেউ তীব্র গতিতে চালাতে চায় তখন ইঞ্জিন কাপে যা এখনও আছে । যদিও ৯০-৯৫ কিলোমিটার বেগে চালালে বড় ধরনের ভূমিকম্প হয় না । সর্বোচ্চ ১৪.৯ হর্স পাওয়ার গতিতে বাইকটি রাস্তায় নিজের মত করে চলতে পারে ।
এর জ্বালানী সাস্রয় ক্ষমতা পূর্বের মত । যখন আমি আমার বাড়ির পাশের স্থানীয় ম্যানেজারকে জিজ্ঞেস করি তখন তিনি বলেছিলেন যে এটা গড়ে প্রতি লিটারে ৪০-৪৫ কিলোমিটার যাবে । অর্থাৎ এটা পূর্বের মডেলের মতই জ্বালানী ব্যবহার করবে এটা আমি জেনেছি কারণ আমার বন্ধুর পূর্বের মডেলটি রয়েছে । আমি নিশ্চিত নই টি.ভি.এস বাইকের অভ্যন্তরে কতটুকু পরিবর্তন করেছে। এটা দেখে এবং চড়ার অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায় নতুন অ্যাপাচি আর.টি.আর ১৫০ হাইপার এজ এর সাথে পূর্বেরটির খুব বেশী পার্থক্য নেই । যদিও অ্যাপাচি আর.টি.আর ১৫০ হাইপার এজ অ্যাপাচি পরিবারে একটি নতুন সংযোজন কিন্তু বাইকটি দেখে মনে হয় এটি যেন এর পূর্বের মডেলগুলোর মত ।
টিভিএস সম্ভবত এই নতুন ভার্সনে টিউবলেস টায়ার ও ডিসি লাইট ব্যবহার করেছে ।
সৌজন্যে: বাইকবিডি
আমি suvrosen007। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 9 টি টিউন ও 18 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
বাংলাদেশের ওয়ালটন বাইক ভারতের বাজাজ এপাচে বাইকের চেয়ে অনেক জোস।
দেশকে ভালবাসুন,দেশের পন্যকেও ভালবাসতে শিখুন।