১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের বহু মানুষ নিজেদের প্রনের মায়া ত্যাগ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছে কিন্তু আজকে বাংলাদেশের দিকে তাকালে আমার করুনা হয় কেননা এমন সুন্দর একটি দেশকে প্রতিনিয়তই কিছু মানুষ রক্তচোষা জোকের মত বাংলাদেশকে চুষে খাচ্ছে। যারাই শহীদ বা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন কি এইরকম দেশকে দেখার জন্য। আমরা মুক্তি যুদ্ধের সময় হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলিম, খ্রীষ্টান সবাই কাধে কাধ মিলিয়ে মুক্তি যুদ্ধ করেছি। কিন্তু আমরা কি আমাদের অর্জিত স্বাধীনতা ধরে রাখথে পেরেছি। আমার মনে হয় আমরা ৯০% ব্যার্থ হয়েছি। না হলে মালায়শিয়ার অবস্থা কোন এক সময় আমাদের থেকেও খারাপ ছিল। কিন্তু তারা দিনে দিনে উন্নতির উচ্চশিখরে চলে যাচ্ছে আথচ আমরা হা করে তাদের অবস্থা দেখছি এবং তাদের চাকর হয়ে সে দেশে পাড়ি জমাচ্ছি। হায় রে বাঙ্গালি.....
১. আমাদের এই দেশও হয়ে পারত মালায়শিয়ার মত একটি মধ্যউন্নত দেশ। কিন্তু বাংলাদেশের ২টা প্রধান রাজনৈতিক দল আমার কাছে মনেহয় দায়ী।
২. দায়ী তাদের মন-মানসীকতা
৩. দূর্ণীতি
৪. তাদের সন্তাসী কার্যকলাপ
এইরকম আরও অনেক কথা বলা যাবে কিন্তু আমার মূল উদ্দেশ্য হল ২ টা প্রধান দলেরই প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে না হলে বাংলাদেশ কখনই উন্নতি লাভ করতে পারবে না। এটা আমি ছোট মস্তিস্কে গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি। কেননা যখনই আওয়ামিলীগ ক্ষমতায় আসে তখন তারা বিরোধী দলে থাকা বি.এন.পি এর বিভিন্ন ভবনের নাম পরিবর্তন করে থাকে এবং বি.এন.পি ক্ষমতায় থাকলে তারাও এই কাজটি করে থাকেন। আমার কথা হচ্ছে যদি নাম দিতেই হয় নিজের দল নির্মান করে নাম রাখলেই তো হয়।
আগে এই থিয়েটারের নাম ছিল ভাষানী নবথিয়েটার কিন্তু বর্তমান নাম ........... আপনারাই ভাল জানেন
চীন মৌত্রি সম্মেলন কেন্দেরও নাম ব্যপকভাবে পরিবর্তিত হয়ে তা এখন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নামান্তর হয়েছে। কিছুদিন পরে দেখবেন বাংলাদেশ হয়ত কোন একটি দেশের গোলাম হয়ে গেছে। বাংলাদেশের মানুষ কি আজও প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাধ উপভোগ করতে পেরেছে। তেমনি নামকরন করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু সেতু। আসলে আমাদের এই নোংরা রাজনীতি পরিহার করতে হবে। কিছুদিন আগে বাংলাদেশ সরকার থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল যে আগামি ৪ সাল মানে ২০১৪-২০১৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে রুপান্তরিত হবে। কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদগন এই বিবৃতির সরাসরি বিপক্ষে চলে গিয়েছীলেন কেননা তারা অর্থনীতির প্যাচ ভালই বুঝেন। যদি হয় তা হলে তা হবে কাগজে কলমে মানেটা হল কিছু মানুষই ১৫-১৮ কোটি মানুষের টাকা ভোগ করছে। সে হিসেবে হয়ত কাগজে এবং আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশ হতে পারে কিন্তু কখনই ৪০-৫০ বছরের মধ্যে মানে প্রধান ২ দলের দাসত্ত থেকে বাংলঅদেশের মানুষ মুক্তি পাবে ততদিন বাংলাদেশ এই অবস্থা থেকে সামনের দিকে যেতে পারবে না।
১. আমার মতে গনতান্ত্রিক ব্যবস্থা আমেরিকার মত করা মানে একজন ২ বারের বেশী প্রধানমন্ত্রী অথবা রাস্ট্র্রপতি হতে পারবে না।
২. নিয়মিত সংসদে উপস্থিত হতে হবে।
৩ . নির্বাচনের আগে এবং পরে এমপি মন্ত্রীদের সম্পত্তির হিসাব দিতে হবে।
৪. কোন এমপি বা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পেলে তা দ্রুত এবং সঠিক বিচার করতে হবে
৫.বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।
৬. সিন্ডিকেটদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
৭. চাঁদাবাদ এবং সন্ত্রাসমুক্ত রাজনৈতিক দল গঠন করতে হবে।
৮. শিক্ষাঙ্গনে আর্মি ক্যাম্প দিতে হবে যাতে সম্পূর্ন হানাহানিমুক্ত শীক্ষার পরিবেশ বজায় থাকে।
৯. পুলিশ চাচাদের প্রতি বিশ্বাস এখন বাংলাদেশের মানুষের নেই বললেই চলে তাই প্রত্যেক এলাকায় আর্মি ক্যাম্প দেওয়া উচিৎ তাহলে অন্তত সাধারন মানুষ কিছুটা হলেও শান্তিতে ঘুমোতে পারত।
আমার এই কথাগুলো শুনতে খারাপ লাগলেও আর কতকাল সহ্য করা যায় এই অবস্থা। আমাদেরও তো স্বাধীনতা বলতে কিছু আছে। আমরা চাই তিনবেলা পেটপুরে ভাত খেতে এবং রাতে শান্তিতে ঘুমোতে। টেকটিউনসে এই টিউন প্রকাশ করা আমার ঠিক হচ্ছে না কিন্তু তবুও সম্প্রতি পোষ্ট নেই বলে এই বিতর্কিত পোষ্টটি করা। ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সকলকে ধন্যবাদ.....................
আমি রাখাল বালক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 202 টি টিউন ও 1117 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
এদেশের ৯৯% মানুষই কোন না কোন ভাবে দূর্নীতির সাথে জড়িত। হয়ত কেউ ঘুষ দেয় অথবা কেউ নেয় দুটোই তো সমান অপরাধ। আর মায়ের পেটে থাকা শিশুটিও দূর্নীতির অর্থে কেনা খাবার খেয়ে বড় হয়ে উঠে। আর আমরা আশা করছি দেশপ্রেমিক এক নেতা। এটা নিম গাছ লাগিয়ে আম আশা করার মত হয়ে...
প্রথম আলোর একটা ডাযলগ আছে
আপনি আগে বদলান বাকীরা ঠিকই বদলাবে
আমরা সবাই যদি এটা মেনে চলতাম