এতোটা মন খারাপ কখনো হয়নি টেকটিউনস্ এ ঢুকে। 😥 😥 আপনজন হারানোর একটা পরিচিত কষ্ট হৃদয়টাকে দুমড়ে মুচরে দিলো এই টিউনটি । আমি জানিনা প্রবাসী ভাইয়ের ছাটাই লিস্টে আমার নাম থাকবে নাকি বন্ধুর লিস্টে রাখবে? শুধু এই কথা বলতে পারছি আমার কাছে প্রবাসী বিহিন টেকটিউনস চিরকাল অপূর্ণই থেকে যাবে। আমিতো কষ্টে থাকবো প্রবাসী ভাই। কষ্টে থাকবে আমার মতো আপনার হাজারও শুভাকাঙ্খী। এমন অনেক ভিজিটর আপনাকে মিস করবে যাদের টেকটিউনস এ কোন একাউন্টই খোলা হয়নি কিন্তু তারা নিয়মিত ভিজিট করে টেকটিউনস, আপনার টিউনস্। আপনার ভক্তকূলকে এভাবে শোকের সাগরে ভাসিয়ে কতো খানি ভালো থাকবেন খান রওনক আলী প্রবাসী ভাই। প্রবাসী যার নেশাই হলো টিউন করার মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ের ভালোবাসা জয় করা। সেই ভালোবাসার টেকটিউনস এর সাথে অভিমান করে তার সাথে কথা না বলে কতোখানি ভালো থাকবে আমার প্রিয় সেই টপটিউনার। কারণ “টিউন করা ছাড়লেও টেকটিউনস ছাড়ছিনা” আপনার এমন বক্তব্য এটা স্পস্ট ভাবেই জানান দেয় টেকটিউনস কে কতোটা ভালো আপনি বাসেন। যতোটা আপনি ভালোবাসেন টেকটিউনস্ আমরা তার চেয়ে বেশী ভালোবাসি আপনাকে। চলার পথে অনেক কাছের মানুষের সাথেও ভুল বুঝাবুঝি হয়, মনমালিন্য হয় । তাই বলে চিরতরে সেই কাছের মানুষটির সাথে কি আমরা সম্পর্ক ছিন্ন করি? কখনই করিনা। গত তিন বছরে এর পূর্বে আপনাকে নিয়ে কয়েকবার সমালোচনা হয়েছে কিন্তু সমস্ত সমালোচনার মোকাবেলায় সাহসী ভূমিকা নিয়েছিলো যে প্রবাসী সে কেন এখন পিছু হটে বুক ভরা অভিমান নিয়ে নিরবে চলে যাবে? তা আমরা কিছুতেই মেনে নিতে পারিনা। যা কিছু আপনার মনে কষ্ট দিয়েছে তার জন্য আমি ক্ষমা চাই। আমি ক্ষমা চাই। আমি ক্ষমা চাই। সেই সাথে আমি সম্মানিত মডারেটর এবং টেকটিউনস্ এর মাননীয় এডমিন মেহেদী ভাইকে অনুরোধ করছি আপনারা প্রবাসী ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করে ঘটনাটির একটি সুন্দর সমাধান করে দেবেন।
আপডেটঃ মাননীয় এডমিন মেহেদী ভাইয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। বোধহয় এখন এসব কিছু সুন্দর ভাবে সমাধা করার উদ্যোগ আপনারই নেয়া উচিত। নয়তোবা এক প্রবাসী ইস্যূ নিয়ে যে পরিমান ক্ষতির শিকার টেকটিউনস্ হবে তার কুফল দীর্ঘদিন পর্যন্ত আমাদের বয়ে বেড়াতে হবে। আর টেকটিউনস্ এর সম্মানিত মডারেটরদের উপর আস্থা হারাবেন আমার মতো সাধারণ পাঠকগণ যা নামান্তরে টেকটিউনস্ এর উপর আস্থা হারানোরই সামিল হবে। আর উদ্ভুত সেই দূষিত পরিবেশে কজন ভালো টিউনারই যে টিউন করতে আগ্রহী হবে আর কজনই যে টিটির সাথে থাকবে তা আমার চেয়ে আপনি অনেক ভালো বুঝবেন। তাই আমরা চাই টেকটিউনস্ এ সুন্দর সুস্থ্য পরিবেশ বজায় থাক। এবং সে চাওয়া পূরণে মাননীয় এডমিন মেহেদী ভাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকায় দেখতে চাই।
বিঃ দ্রঃ যারা এইমাত্র টেকটিউনস্ এ ঢুকে সংশ্লিষ্ট ঘটনা সম্পর্কে কিছু বুঝতে পারছেন না তারা এখানে থেকে জেনে নিন ঘটনাটি কি। ঘটনার সার সংক্ষেপ হলো
"কিন্তু এটাকে নিয়ে রাজনীতি করলেন এবং এর কাটিং সবখানে ছড়িয়ে দিলেন।প্রমান নীচে।
উল্লেখ্য যে এই মডারেটরের হাত ধরেই আমি টেকটিউনসে প্রবেশ করেছিলাম এবং গুরু বলে মানতাম।যাক আমার কারো প্রতি কোন ক্ষোভ নেই।"
উল্লেখ্য উক্ত ঘটনার সাথে টেকটিউনস্ এর সম্মানিত বর্তমান মডারেটর
১।সোর্ড ফিশ (মাহাবুব ভাই)
২। সাইফুল ভাই। কিংবা আমাদের মাননীয় এডমিন
৩। মেহেদী ভাই
কোন ভাবেই জড়িত নন। তাই দয়া করে সম্মানিত বর্তমান এডমিন এবং মডারেটরদের কেউ দায়ী ভাববেন না।
এই আচরণে এতো বেশী পরিমান দুঃখ প্রবাসী ভাই পেয়েছেন তার কারণ তিনি তাকে গুরুর মর্যাদায় মানতেন এবং তার হাত ধরেই প্রবাসী ভাইয়ের টেকটিউনস এ যাত্রা শুরু হয়েছিল। যেমনটি আমার যাত্রা শুরু প্রবাসী ভাইয়ের হাত ধরে। প্রবাসী ভাই কাছের মানুষের দেয়া কষ্ট কতোটা ভারী তাতো আপনি নিজেই বুঝেছেন আপনারআচরণে। আর আপনি আমাদের সবারই খুব কাছের মানুষ তাই আপনার দেয়া দুঃখটা আমাদেরও ততটাই কষ্ট দিচ্ছে যতটা আপনি পেয়েছেন আরিফুল ইসলাম শাওন এর কাছে। তাই সাবেক একজন মডারেটর এর কথা মনে না রেখে আপনি আপনার বর্তমান ভক্তদের দিকে তাকান। গত টেকটিউনস্ এর মিট আপেও কনকনে ঠান্ডায় আমরা আপনার কথা মনে করেছি। আপনাকে মিস্ করেছি। আপনার উদ্দেশ্যে হাতি তালি বাজিয়েছি সবাই যা আপনি নিজে কখনো দেখেন নি বা শুনেননি। আপনি যদি সেদিন আমাদের সাথে থাকতেন তাহলে কখনই এইভাবে আমাদের ছাড়ার কথা ভাবতেই পারতেন না। সেদিন এডমিন মেহেদী ভাই স্বয়ং বলেছিলো যে আপনাকে বিশেষ ভাবে সম্মানিত করা উচিত। আপনার কাছে টেকটিউনস্ কৃতজ্ঞ তা সেদিন উপস্থিত মডারেটর সোর্ডফিশ ভাই সহ সকলেই স্বীকার করে আপনাকে উদ্দেশ্য করে তালি বাজিয়েছেন। এই ভালোবাসার কি কোন মূল্যই নেই আপনার কাছে? আমাদের এতোগুলো মানুষের ভালোবাসার চেয়ে আপনার কাছে একজন সাবেক মডারেটর কি বড় হয়ে গেল?
ফেসবুকে কি হয়েছে সেই বিষয় নিয়ে টেকটিউনস ছেড়ে দিতে হবে কেন? ফেসবুক আর টেকটিউনস দুইটা আলাদা প্লাটফর্ম। ফেসবুক এ সমস্যা হলে ফেসবুক ছেড়ে দেয়া যেতে পারে কিন্তু টেকটিউনস ছাড়তে হবে এইটা কেমন কথা?
প্রবাসী ভাইকে বলবো দ্বিতীয়বার চিন্তা করতে।