এবং সূর্য তার সমাধিস্থলে এগোচ্ছে। এটাই তার শাসক দ্বারা নির্ধারিত যিনি সর্বজান্তা (সূরা ইয়াসিন ,৩৮)
সূর্য তার মধ্যে ক্রমাগত রাসায়নিক বিক্রিয়ার কারনে প্রায় ৫ বিলিয়ন বছর ধরে তাপ নিরগত করে আসছে। কিন্তু ভবিষ্যতে এমন এক মুহূর্ত আসছে যা আল্লাহ কত্রিক নির্ধারিত যখন সূর্য তার সমস্থ শক্তি হারাবে তার ফলে এই রাসায়নিক বিক্রিয়ার পরিসমাপ্তি ঘটবে এবং সূর্য বিলিন হয়ে যাবে। সূর্যের সকল শক্তি একদিন নিঃশেষ হবে এই ব্যাখ্যার জন্য হয়ত উপরুল্লেখিত আয়াত টি সূত্র হতে পারে(আল্লাহই ভাল জানেন)।
আরবি শব্দ “লিমুস্তাকাঋন” একটা নির্দিষ্ট জায়গা বা সময় এর দিকে ইঙ্গিত করে। “তাজ্রী” শব্দটি “দউরানু(run)” অর্থ দাড় করানো যায় যেটা কিনা “স্থানান্তর,ধিরে ধিরে নরা কিংবা প্রবাহিত হউয়াকে” বুঝায়। সুতরাং এই শব্দ সমস্থি দ্বারা এটা বুঝা যায় যে সূর্য সময়ের সাথে সাথে স্থান ও প্রদক্ষিন করছে এবং এই গতি বা স্থানান্তরতা একটা নিরদিস্থ এবং পূর্বনির্ধারিত সময় পর্যন্ত চলতে থকবে।
“যখন সূর্য অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে(সূরা আত-তাকবির, ১)”
এই আয়াতটি একটা ধ্বংসাত্মক সময়ের দিকে ইঙ্গিত প্রদান করে যেটা সামনে অপেক্ষা করছে। এই সময়টির কথা আল্লাহ্ তায়ালা ই ভাল জানেন।
আরবি শব্দ “তাকদিরু” অর্থ “নিয়তি” যার মানে “ধার্য করা, কোন কিছুর ফলাফল নির্ধারণ করা”। এই অর্থে সূরা ইয়াসিন এর ৩৮ নং আয়াতে বলা হয়েছে যে
“সূর্যের আয়ু একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সীমাবদ্ধ,আল্লাহ্ ই একমাত্র শাসনকর্তা ”(সূরা ইয়াসিন আয়াত ৩৮)
পবিত্র কুরআন এর এই বিষয়ের অন্যান্য আয়াত গুলু হল
“আল্লাহ ই ঊর্ধ্ব দেশে স্তম্ভ ছাড়া আকাশ মণ্ডলী স্থাপন করেছেন- তুমরা এ দেখেছ। অতঃপর তিনি আরশে সমাসীন হলেন এবং সূর্য ও চন্দ্রকে নিয়মাধিন করলেন,প্রত্তেকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আবর্তন করে। তিনি সকল বিষয়ের নিয়ন্ত্রক এবং নিদর্শনসমূহ বিশদভাবে বর্ণনা করেন। যাতে স্বীয় প্রভুর সাক্ষাত সম্মন্ধে নিশ্চিত বিশ্বাস করতে পার”(সূরা রা-আদ, ২)
“তিনি(আল্লাহ্) রাত্রিকে দিনে পরিনত করেন এবং দিনকে রাত্রিতে, তিনি সূর্য ও চন্দ্রকে নিয়ন্ত্রিত করেছেন; প্রত্যেকে এক নির্দিষ্টকাল আবর্তন করে।তিনিই আল্লাহ্, তুমাদের রব। সার্বভৌমত্ব আল্লাহ্ই। এবং তুমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের ডাক তারাত অতি তুচ্ছ, কিছুরই অধিকারি নয়”(সূরা ফাতির ,১৩)
“তিনি সুপরিকল্পিত ভাবে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করিয়াছেন। তিনি রাত্রি দ্বারা দিনকে আচ্ছাদিত করেন এবং রাত্রিকে আচ্ছাদিত করেন দিন দ্বারা,তিনি চন্দ্র ও সূর্যকে করেছেন নিয়মাধীন,প্রত্যেকে আবর্তন করে এক নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত সাবধান!তিনি মহাপরাক্ক্রমশালি এবং ক্ষমাশীল।”(সূরা জুমার, ৫)
“মুসাম্মান” শব্দটি দ্বারা উপরের আয়াতে বুঝানু হয়েছে যে সূর্য কিছু নির্দিষ্ট কারনে চলবে(specified term). বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় বলা হয় সূর্য প্রতি সেকেন্ডে ৪ মিলিয়ন বস্থু নিঃশেষ করে এবং বলা হয় যে যখন তার সব জ্বালানি শেষ হবার সাথে সাথে সূর্য ও নিঃশেষ হয়ে যাবে। সূর্য থেকে তাপ এবং আলো তখনই নির্গত হয় যখন তার মধ্যের হাইড্রজেন অনু নিউক্ল্রিয়ার ফিউশন প্রসেসে ভেঙ্গে হিলিয়াম পরমানুতে পরিনত হয়। সূর্যের শক্তি এবং এর জীবন এই জ্বালানী শেষ হবার সাথে সাথে নিঃশেষ হয়ে যাবে(আল্লাহই ভাল জানেন)।বিবিসি এর একটি রিপোরটে যার ভুমিকা ছিল “The death of the sun” এ বিবিসির science Department বলে যে
“...... সূর্য ক্রমাগত মারা যাচ্ছে যেমন কিনা একটি তারা তার অভভন্তরে নিঃশেষ হয়, এ কারনে এর মধ্যে অবস্থিত হিলিয়াম পরমানু কে খুব বেশি উত্তপ্ত করে।হিলিয়াম পরমানুগুলু কার্বন অনু উৎপন্ন করতে নিজেদের মধ্যে বিস্ফুরন ঘটায়, যখন এই হিলিয়াম সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে তখন সূর্য তার কেন্দ্রে গুটিএ যাবে এবং তার atmosphere অন্তঃসারশূন্য হয়ে যাবে । সূর্য এত বিশাল না যে সে নিজেকে পুনরায় শক্তিশালী করতে পারবে। সুতরাং এটি সম্প্রসারিত হতে থাকবে এবং তার আবহ কে ছায়াবৃত করবে... পরিশেষে এটি কার্বন ও অক্সিজেন এর তৈরি সাদা ক্ষুদ্রাকৃতি গুলাকার বস্তুতে পরিনত হয়ে যাবে। সূর্যের তেজ ম্রিয়মান হবে এবং এক সময় বিলিন হবে। ”
আর একটি documentary যেটা national geography তে telecast হয়, যাতে বলা হয়
“সূর্য তাপ উৎপন্ন করে এবং আমাদের গ্রহে জীবনের অস্তিত্ত টিকিয়ে রাখে। কিন্তু মানুষের মত সূর্যের ও নির্দিষ্টকাল এর জীবন রয়েছে। তারাদের মত এটিও উত্তপ্ত ও প্রসারিত হবে , আমাদের গ্রহের সব সমুদ্রের পানি কে বাস্পে পরিনত করবে এবং সকল প্রাণী কে নিঃশেষ করবে।সূর্য স্ফিত হবে এবং দানব আকৃতির লাল তারায় পরিনত হবে।এর আকর্ষণ শক্তি কমতে থাকবে তাই পৃথিবী তার অক্ষ থেকে ছিতকিএ সরে যাবে। পরিশেষে এটি সাদা ক্ষুদ্রাকৃতি গুলাকার তঁারাতে পরিনত হয়ে যাবে ”
সাম্প্রতিক কালে বিজ্ঞানীরা সূর্যের আকার বা আকৃতি এবং এর মাঝে কি ঘতছে তা আবিস্কার করেছে। তার আগে সূর্যের শক্তির উৎস বা তাপ ও আলো কিভাবে নিরগত করছে তা কেউ জানতোনা। এই বিশাল আকৃতির শক্তি যে একদিন শেষ হবে সেটা ১৪০০ বছর আগে কুরআন এ নাযিল হয়েছে। এই জ্ঞান আল্লাহর তরফ থেকে এঁসেছে যার জ্ঞান সব কিছু কে জরিয়ে রেখেছে। কুরআন এর আর একটি আয়াত
“...... আমার প্রভু জ্ঞান এ সকল জিনিস করায়ত্ত, তারপর ও কি তুমরা অনুধাবন করবেনা????”(সূরা আন আম,৮০)
আমি Md. Faisal Mirza। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 5 টি টিউন ও 21 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
chaliye jan. valo laglo 🙂