এই মহাবিশ্ব কি অসীম নাকি স্থিতিশীল জায়গায় সসীম???? এই প্রশ্নটি আগেকার জ্ঞানী জনদের নিকট বিতর্কের বিষয় ছিল। অনেক যুক্তিতর্ক করেও তারা একটি পরিষ্কার সিদ্ধান্তে উপনীত হতে বেরথ হয়। একটি সময় আতিবাহিত হয়েছে যখন আটি দার্শনিকদের অনুমানের বিষ
য় বলে গণ্য করা হত যতক্ষণ না পর্যন্ত এটি পদার্থ বিজ্ঞানে নিজের জায়গা করে নেয়। কোন কোন জ্ঞানী বেক্তি এই মহাবিশ্ব সম্পর্কে বলেছিলেন যে এর কোন ব্যাপ্তি বা ধরাবাধা কোন আয়তন নেই আবার কেউ কেউ বলেছিলেন যে এটার নিরদিস্থ আয়তন আছে। কিন্তু মহাগ্রন্থ আল-কুরআন বলে যে মহাবিশ্ব একটা ক্রমবর্ধমান এবং গতিশীল(dynamic) বিশ্ব।
“এবং এই আকাশমণ্ডলী যাদেরকে আমি আমার ক্ষমতাবলে সৃষ্টি করিয়াছি এবং বস্তুত আমই এর সম্প্রসারণকারী।“(সূরা আয-জারিয়াত, আয়াত-৪৭)
এতে বিষয়টি একটি নতুন রুপ লাভ করে এবং তৎকালীন সময়ে বিজ্ঞানিদের মাঝে আলোড়ন তুলে এবং স্থম্ভিত করে দেয় সাথে সাথে তারা আল-কুরআন কি আল্লাহ্(সৃষ্টিকর্তার) বানী কি না সেটা যাচাই করার সুযোগ পেয়ে যায়। এই ব্যাখ্যার একদিকে অর্থাৎ পক্ষে ছিলেন মুহাম্মদ(সাঃ) যিনি আরব এর মরুভুমিতে বসবাস করতেন যিনি আক্ষরিক অর্থে চিন্তাবিদ বা দার্শনিক ত ছিলেন ই না ওনার আক্ষরিক জ্ঞান ও ছিলনা।আর অন্যপক্ষে এরিস্টটল, তলেমি,ব্রনু, গেলিলিও বা নিওটন এর মত মহৎ এবং অনন্য দার্শনিক ও চিন্তাবিদগন। তাদের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় যে তারা তাদের চিন্তা ,যুক্তি এবং সুচতুর ভাবনা থেকে বলেছিলেন যে মহাবিশ্ব হয় অসীম বা সসীম। কিন্তু বিংশ শতাব্দির আগে এই কথা কেউ বলেননি কিংবা জানতে পারেননি যে এই মহাবিশ্ব ব্যাপ্তিময় এবং গতিশীল( dynamic) স্থান। এই বিস্ত্রিতিময় তত্ত্ব সর্বপ্রথম আবিস্কার করেন এডত্তইন হাবল ১৯২০ সালে যেটা বিগ ব্যাঙ(Big bang theory)নামে পরিচিত। কিন্ত মহাগ্রন্থ আল-কুরআন প্রায় ১৫০০ বছর আগে তা েজারালু উক্তি দিয়ে সেটা উপস্থাপন করেছিল।
“তাহারা (অবিশ্বাসীরা) কি চিন্তা করিয়া দেখেনা আমি আকাশ এবং পৃথিবীকে পুিঞ্জভুত করে রেখেছিলাম তারপর আমি তাদেরকে পৃথক করিয়া দিলাম এবং প্রত্যেক প্রানিকে সৃষ্টি করলাম পানি থেকে?? তারপরও কি তারা বিশ্বাস করবেনা???”(সূরা- আম্বিয়া, আয়াত-৩০)
এইটা অনেক সাধারণ ব্যাপার সৃষ্টিকর্তা বেতিত এই কথা ১৫০০ বছর আগে কে বলতে পারে যেটা আধুনিক বিজ্ঞান জেনেছে মাত্র এক শতাব্দি আগে???দুঃখ সে সব জ্ঞানী লোকদের জন্য যারা না জেনে অবিশ্বাসী অবস্থায় পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিয়েছেন।
এই আয়াত থেকে আরেকটা তথ্য পাওয়া যায় সেটা হল প্রত্যেক প্রাণী পানি হতে সৃষ্ট। এটা নিয়ে পরে আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ্। কিন্তু খুবই দুঃখ হয় যখন দেখি কিছু কিছু মুসলিম ভাই বোনেরা কিছু না বুঝে আল্লাহ্ এর অস্তিত্তে অস্বীকার করে বসে। মাঝে মাঝে মনে হয় নাস্তিক হওয়াটা ফ্যাশান হয়ে দাঁড়িয়েছে। আল্লাহ্ চিন্তা করার জন্য মানুষকে বিবেক দিয়েছেন। দয়া করে চিন্তা করুন । অনে্যর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নিজের বিশ্বাস এর গলায় ছুরি চালাবেন না।
আরও জানার জন্য ফেইসবুকে লাইক দিন