ডিজিটাল বাংলাদেশ শব্দটি আমাদের সকলের পরিচিত। আমরা যে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি সেই স্বপ্নকে যারা তাদের মেধা, দক্ষতা, আর তারুন্যের শক্তি দিয়ে বাস্তবে রূপান্তরিত করবে তারা আজ কেন লেখাপড়া, ক্লাস,পরীক্ষা,গবেষণাগার ছেড়ে দিয়ে মাঠে, তাদের মুখে আজ কেন স্লোগান? এই মেধাবী তরুণদের পাশে কি, আজ কেউ নেই? তাহলে ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্নটির বাস্তবায়ন কেমন করে হবে?
গাজীপুরস্থ ঢাকা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) বাংলাদেশের পাঁচটি সরকারী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের মধ্যে অন্যতম একটি। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট তিনটি অনুষদে সাতটি বিভাগ (নতুন দুটি বিভাগ সহ) হতে স্নাতক এবং পাঁচটি বিভাগ হতে স্নাতকত্তর ডিগ্রী প্রদান করা হয় । এছারাও পি এইচ ডি এবং এম ফিল কোর্সের সুযোগ ও এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান । অথচ অতি পরিতাপের বিষয় বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ও মেধাবীদের এই বিদ্যাপীঠের মোট ভুমির পরিমান মাত্র ২০.২৯ একর (প্রায়)।
মাত্র এই ২০.২৯ একর জমির ওপর দাড়িয়ে আছে ৪ তলা মূল একাডেমীক ভবন, একটি ওয়ার্কশপ ভবন, পাশে মসজিদ, নির্মাণাধীন নতুন একাডেমীক ভবন, আরও নির্মাণাধীন ৩ টি ভবন, শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য ৮টি ভবন,একমাত্র একাডেমিক ভবনে উপাচার্যের দপ্তর, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তর, অডিট ও অর্থ শাখা, বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানের কার্যালয়, কম্পিউটার সেন্টার, শ্রেণীকক্ষ ও শিক্ষকদের কক্ষ রয়েছে।
এছাড়া খেলার মাঠের মধ্যেই রয়েছে ৫ তলা লাইব্রেরী ভবন,শুধু লাইব্রেরী ভবন বললে যে কেউ যদি প্রথম এ ভবনে প্রবেশ করেন তাহলে বিভ্রান্তিতে পরতে বাধ্য হবেন।কারণ এর নিচতালায় রয়েছে চিকিৎসাকেন্দ্র, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক, গবেষণা ও সম্প্রসারণ পরিচালক, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন পরিচালকের দপ্তর, শ্রেণীকক্ষ এবং শিক্ষকের কক্ষ। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের আবাসনের ব্যবস্থাও অপর্যাপ্ত। তাই তারা ক্যাম্পাসের বাইরে বাড়িভাড়া নিয়ে বসবাস করতে বাধ্য হয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র খেলার মাঠে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। ফলে শিক্ষার্থীরা অচিরেই খেলাধুলা ও বিনোদনের জন্য শেষ অবলম্বনটুকুও হাড়াবে।
অন্যান্য সরকারী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের সাথে ডুয়েট এর ভূমির পরিসংখ্যান
চুয়েট ১৭৬৭ ১৬৩ একর
কুয়েট ২৫৮৭ ১৫০ একর
রুয়েট ১৯৫৫ ১০১ একর
বুয়েট ৫৫০০ ৭৬.৭৮ একর
ডুয়েট ১৯৬৪+M.sc ২০.২৯ একর (???!!!)
উপরোক্ত পরিসংখ্যান (উৎস VersityAdmission.com এবং প্রসপেক্টাস) হতে সহজেই অনুমান করা যায় যে ডুয়েট এ জমির প্রয়োজনীয়তা কতখানি।ডুয়েট এর সূচনা লগ্ন থেকেই দাবি ছিল প্রয়োজনীয় ভুমির। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম সঠিক ভাবে পরিচালনার জন্য ভুমি অধিগ্রহন একটি অপরিহার্য হয়ে দারিয়েছে। কিন্তু, সরকারী কার্যক্রমের দীর্ঘসূত্রিতার কারনে আজ অবধি প্রয়োজনীয় ভূমি পায়নি ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের একমাত্র সরকারী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ডুয়েট।
তাই বর্তমানে এমন পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে যে শিক্ষার্থীরা আর ঘরে বসে থাকতে পারেনি। গত রবিবার থেকে তারা লাগাতার পরীক্ষা ও ক্লাস বর্জন সহ বিক্ষভ সমাবেশ, মিছিল, দেওয়াল লিখন ইত্যাদি কর্মসূচী পালন করছে।তাদের কথা “দাবি মোদের একটাই এই মূহর্তে জমি চাই” “ভুমি ছাড়া কোন আপোষ না।ভুমি না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।” তাদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্ত-কর্মচারী একত্বতা প্রকাশ করে এ আন্দোলনকে সফল করার চেষ্টা করছেন।ডুয়েট ভুমি অধিগ্রহন আন্দোলন নিয়ে ক্যাম্পাস পত্রিকা "দৈনিক মানচিত্র" বের করা হয়েছে।
............................................................................................................................
আসুন আমরাও ব্লগাররা এ যৌক্তিক আন্দোলনকে সমর্থন করি এবং তাদের দাবি আদায়ে সহায়তা করি।আপনারা এ আন্দোলনকে সমর্থন করার জন্য এখান থেকে ডুয়েট ভুমি অধিগ্রহন আন্দোলনএর ফেসবুক পেজে প্রবেশ করতে পারেন।
আমি অসীম কুমার পাল। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 147 টি টিউন ও 469 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 17 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি অসীম কুমার পাল। ইলেকট্রনিক্স এবং ওয়েব ডিজাইনকে অন্তরে ধারণ করে পথ চলতেছি। স্বপ্ন দেখি এই পৃথিবীর বুকে একটা সুখের স্বর্গ রচনা করার। নিজেকে একজন অতি সাধারণ কিন্তু সুখী মানুষ ভাবতে পছন্দ করি।
সফল হউক