সবাই কেমন আছেন? আশাকরি সবাই ভাল আছেন। অনেক দিন লিখি নাহ। আসলে একটু ব্যস্ততা আর অলসতায় লিখতে পারছিলাম নাহ। আবারো লিখার প্রত্যয় নিয়ে ফিরে এলাম। যাই আসল কথায় আসি। ফেসবুক কি তা তো কারো অজানা নেই। তারপরও বলি এটা সামাজিক যোগাযোগ এর সাইট। এখানে আপনি আপনার মনের অনুভূতি স্ট্যাটাস এর মাধ্যমে শেয়ার করতে পারবেন, আপনার ছবি, ভিডিও, গান সব শেয়ার করতে পারবেন আপনার বন্ধুদের সাথে। সাথে আপনার ফ্রেন্ড যা শেয়ার করবে আপনি তা দেখতে পারবেন। তাতে মন্তব্য করতে পারবেন। লাইক বাটনের মাধ্যমে তা পছন্দ হয়েছে তা জানাতে পারবেন। আবার তা অন্য বন্ধুকে ট্যাগ করার মাধ্যমে জানাতে পারবেন। এইরকম অনেক অনেক সুবিধা পাবেন এই সামাজিক যোগাযোগের সাইটে। দিন যত যাচ্ছে ফেসবুকের ইউজার তত বাড়ছে এবং তা বাড়বে। এখন মানুষ যোগাযোগের অন্যতম একটা মাধ্যম হিসাবে ফেসবুককে ব্যবহার করে। এখন মানুষ কারো সাথে পরিচিত হলে তার ফেসবুক আইডিও যোগ করে বলে “দোস্ত তোর ফেসবুক আইডিটা বল আর তুই আমাকে এড করে নিস” ফেসবুক নিয়ে বর্তমানে কৌতুকও হচ্ছে একটি কৌতুক দেখি আসি -
স্যার পল্টুকে বললেন.
স্যার : তুমি বড় হয়ে কি করবে ?
পল্টু : ফেসবুক ইউজ
স্যার : আমি বুঝাতে চাচ্ছি বড় হয়ে তুমি কি হবে ?
পল্টু: ফেসবুক ইউজার
স্যার : আরে আমি বলতে চাচ্ছি তুমি বড় হয়ে কি পেতে চাও ?
পল্টু: পোষ্টে লাইক
স্যার : গাধা,তুমি বড় হয়ে মা বাবার জন্য কি করবে?
পল্টু: পেজ খুলব
স্যার : গর্দভ,তোমার বাবা মা তোমার কাছে কি চায় ?
পল্টু: আমার আকাউন্টের পাসওয়ার্ড
স্যার : ইয়া খোদা... তোমার জীবনের লক্ষ্য কি ?
পল্টু : আপনার মেয়ের আকাউন্ট হ্যাক করা।
স্যার অজ্ঞান. :p :p
যাক মূল কথায় ফিরে আসি। ফেসবুক আমাদেরকে এত এত সুবিধা দিচ্ছে যে আমাদের আরেকটা ভার্চূয়াল লাইফ তৈরি হয়ে যাচ্ছে। ফেসবুকে এসে নোটিফিকেশন, ফেন্ড রিকোয়েস্ট, ইনবক্স না চেক করলে যেন অস্বস্থি লাগে। আর চ্যাটিং এবং ভিডিও কল এর যোগাযোগকে করেছে আরও সহজ। এটা চক্রাকারে চলতে থাকে--
নোটিফিকেশন চেক ---> লাইক বা মন্তব্য ---> মেসেজের জবাব --- > নুতন পোস্ট দেয়া ---> বন্ধুদের সাথে চ্যাটিং ---> এভাবেই চলতেই থাকে। কেউ যদি বলে তার সময় কাটছে নাহ... তাকে বলুন ফেসবুকে জয়েন করতে তার সময় কিভাবে চলে যাবে সে টেরও পাবে নাহ। সাম্পতিক এক জরিপ মোতাবেক একজন একটিভ ইউজার প্রতিদিন ২- ৪ ঘন্টা ব্যায় করে ফেসবুকের পিছনে। ওয়েবে গুগল এর পরেই স্থান ফেসবুক দখল করে নিয়েছে। ফেসবুক এখন অন্যতম একটি টাইমকিলিং হিসাবে পরিচিত। বর্তমানে ফেসবুকের লগ আউট বাটনটাতে ক্লিক করা যে কত কষ্টের তা ফেসবুক প্রেমীরা ভাল বলতে পারবে। ফেসবুকে অনেকে আসক্ত হয়ে পড়ছেন। যাদের ফেসবুকে লগিন নাহ করলে মানসিক অবস্বাদ, অশান্তি, বিষন্নতা ইত্যাদি দেখা দিচ্ছে। দেখা যাচ্ছে অনেকে অফিসে বসে কাজ করা বাদ দিয়ে ফেসবুকে লগিন করছে। সবাই শুধু নতুন নুতন বন্ধু যুক্ত করতে ব্যস্ত। বন্ধুদের পোষ্ট পড়া, লাইক, চ্যাটিং ইত্যাদিতে সময় ব্যয় করছেন। অনেককে দেখা যায় প্রতিদিন ৮ ঘন্টার উপর ফেসবুকে ব্যয় করছে। যা আমাদের জন্য খুবই ক্ষতিকর। প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভাল নয়।
এছাড়াও আরো অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। এই ধরনের সমস্যা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে।
উপরের গুলো আপনি পালন করলে আপনি ফেসবুক টাইমকিলার থেকে দূরে থাকতে পারবেন বলে আশা করা যায়। তবে মনোবল আসল আপনার মনোবল প্রখর করতে হবে।
সবাই ভাল থাকবেন। আজ এতটুকুই।
এই টিউনটি পূর্বে আমার ব্লগ এ প্রকাশিত।
আমি mnuworld। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 114 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ভালবাসি সহজ সরলভাবে চলতে, বন্ধুদের সাথে আড্ডা অথবা বেড়াতে যেতে। ইন্টারনেটে আসক্ত একজন কাজ পাগল ছেলে!!!! আমাকে খুজে পাবেন Facebook নামক টাইম কিলিং মেশিনে। আর গুগল প্লাস+
খুবই ভালো হয়েছে টিউনটা। আমি ত যাওয়াই ছেড়ে দিছি ফেবুতে। ধন্যবাদ নাসির সুন্দর টিউনটার জন্য।