টেকটিউনস মীটআপের পর মাথায় একরকম ভূতের মতো চেপে বসেছিল একটা ওয়ার্কশপের আয়োজন করতেই হবে, না হলে যে জোয়ার পেয়েছি তা হারিয়ে যেতে পারে।তাই হাত পা গুটিয়ে বসে না থেকে কাজে নেমে পড়লাম।একের পর এক মিটিং চলছিল কিভাবে করা যায় কোথায় করা যায়? এরকম হাজারো প্রশ্নের মাঝে হাজারো উত্তর খুঁজে নিয়ে শুরু করলাম একে একে কাজ।প্রথমে গুটি কয়েক গ্রুপ সদস্যদের জিজ্ঞাসা অতঃপর তা গ্রুপে ঘোষণা(এনাউন্স)।এর মাঝে আমি আমার সংগঠনের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম কিন্তু তাই বলে কি থেমে থাকব? মোটেই না পথিক,নিযাম,রুপক,আসিফ,শুভ্র,শাহিন < ভাইদের অক্লান্ত কাজ শুরু দিন রাত এক করে কাজ করা প্রচারণা করা।এরই মাঝে আমি আমার কাজ শেষ করে ফিরে এলাম আবার।প্রচারণা চলছেই গ্রুপে।তারপর সাড়া পাওয়া।কিন্তু হঠাৎ শেষে এসে শঙ্কা এত প্রচারণা কিন্তু প্রতিউত্তর কই?সাথে সাথে অন্যরকম ভাবনা, পেয়েও গেলাম উত্তর অবলম্বন করলাম শেষ মুহুর্তের শেষ পন্থা ভাগ্যের জোরে তা লেগেও গেলো অনেক সাড়া পেতে থাকলাম।মনে যেনো নতুন প্রেরণা ফিরে পেলাম।আর একদিন পরেই অনুষ্ঠান কি হবে? কেমন হবে? ঠিক মতো হবে কিনা? এসব উতকন্ঠা নিয়ে অপেক্ষায় থাকা তারপর সেই প্রতীক্ষিত দিনটি আসলো।চট্টগ্রামের পাঁচলাইশের সি আর আই মিলনায়তনে বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠান শুরু করার কথা কিন্তু অথিতি আর প্রোজেক্টর এর কারনে বসে থাকা অবশেষে সেটার সমাধান হলো।হঠাৎ করেই আমাদের মাঝে এসে উপস্থিত হলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ডঃ হোসেন জিল্লুর রহমান স্যার।তিনি কিছুটা সময় আমাদের সাথে ছিলেন, আশা দিলেন, তাঁর কিছু পরিচিত ব্যাক্তিদের আমাদের কর্মকান্ড সম্পর্কে জানালেন।
তারপর ৩.৩০ এর দিকে শুরু করলাম।শুরুতেই কোরান তেলাওয়াত করলেন সাইফুল্লাহ ভাই তারপর ওয়েব সার্ভার,টেকনোলোজি এসবের ক্লাস নেন পথিক রসূল,এইচ টি এম এল ৪ এর ক্লাস নেন আব্দুল মান্নান আসিফ,সি এস এস ২/৩ এর ক্লাস নেন পথিক রসূল।এ দিয়ে প্রথম দিনের কর্মশালা শেষ হয়।এরপর পরের দিনের ভাবনা।কি করা যায়? কিভাবে করলে ভালো হয়?যারা যারা ক্লাস নিবেন কেমন নিবেন এইসব।পরদিন বিকাল ৩ টায় শুরু হওয়ার কথা সব ঠিক,সবাই উপস্থিত আমাদের মাঝে বাব রুপম জেসিবি ভাই,রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য দাদা,মাহাবুব টিঊটো ভাই কিন্তু প্রোজেক্টর বাবাজি তখনো আসে নাই।কি আর করা বসে থাকা তার জন্য কিন্তু সেও এসে গেলো ২০ মিনিটের মধ্যে তারপর কি বসে থাকা যায়?শুরু করে দিলাম কর্মশালা নাফি ভাইকে দিয়ে কোরান তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় কর্মশালা।প্রথম দুটি ক্লাস জয় ভাইকে দিয়ে নেওয়া হলো।
খুবই সুন্দর করে বুঝালেন এইচ টি এম এল ৫ এবং ড্রিমওয়েভারের কাজ।সবাই খুশি তাতে।এর মাঝে বিরতিও ছিলো, পরেও ছিলো সাথে হালকা নাস্তার আয়োজনও ছিলো।তারপর এলেন সি প্যানেল নিয়ে মাহাবুব টিঊটো ভাই, সবাইকে বুঝাতে ৩ ডলার দিয়ে একটি হোস্টিংও কিনে নিলেন।মজায় মজায় বুঝালেন।
দেখেতে দেখতে সময় চলে যাচ্ছিল হঠাৎ করেই বাব রুপম জেসিবি ভাই বলে উঠলেন উনাকে যেতেই হবে তাহলে কি আর করা ছেড়ে দিলাম তাকে তবে যাওয়ার আগে উনাকে দিয়ে আমাদের প্রশিক্ষনার্থী বন্ধুদের জন্য কিছু নির্দেশনা আদায় করে নিলাম।
তারপর মাহাবুব ভাই এর ক্লাস শেষে শুরু হোলো আইকিউ টেস্ট পর্ব দুইদিনে কতোটুকু শিখাতে পারলাম আমরা তারই টেস্ট খুবই চিন্তায় ছিলাম এই ভয়ে যে কেউ যদি শুন্য পায়?
কিন্তু না তারা আমাদের মোটেও হতাশ করেননি সবাই পাঁচ এর উপর পেলেন পনেরো এর মাঝে।
এরপর কর্মশালা নিয়ে প্রশিক্ষনার্থীদের মতামত জানতে চাওয়া,চট্টগ্রামের আইটি নিয়ে তাদের মতামত এবং সিওপিসি নিয়ে তাদের প্রত্যাশা জানতে চাওয়া।এভাবেই শেষ করলাম আমরা আমাদের প্রথম উদ্যোগ এবং আগামীতে গ্রাফিক্স এর উপর কর্মশালার আশা ব্যক্ত করে আমরা সবার কাছ থেকে বিদায় নিলাম।
একটি এক্সট্রা ছবিঃ-
এতোগুলা এক্সপার্টদের মাঝে নিজেরে গুটাইয়া রাখলাম।ডানদিক শুরুতে রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য পাশে আমি,আমার পাশে ব্লাক মুন(নিযাম),তাঁর পাশে বাব রুপম জেসিবি,বাঁদিকে আমাদের মাহাবুব টিউটো ভাই,পাশে তাঁর ভাই।এসকল ছবির জন্য আসিফ ভাইকে ধইন্যা।
দ্বিতীয় দিনে রুপক,শাহিন ভাইদের খুবই মিস করেছি আমি।
অনেক রাত হলো এবার যাই ঘুমাব। কাল আবার ক্লাস আছে রামকৃষ্ণ দাদার কাছে।শুভ রাত্রি।
ভালো থাকবেন অনেক ভালো সেই কামনায়।
সিওপিসি এর জন্য আপনাদের দোয়া কাম্য।আমাদের স্বপ্ন যেন সফল হয়।
ফেবুতে পাবেন:- http://facebook.com/sumitland
বিস্তারিত জানতে:- http://sumitland.4t.com
আমি সুমিত। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 9 টি টিউন ও 185 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি যদি সবি জানতাম তবে আমি ভিটামিন ক্যাপসুল হয়ে যেতাম
সুন্দর একটা কাজ করল COPC