বিএনপি সরকারের দ্বিতীয় শাসন আমল ২০০২ সালের মে মাসের গোড়ার দিকে প্রতিষ্ঠিত হয় ’বিজ্ঞান তথ্যযোগাযোগ ও প্রযুক্তি’ মন্ত্রনালয়। নিন্দুকেরা বলে থাকেন, তৎকালীন সময়ের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ড.মঈন খানের মান ভাঙাতেই নাকি এ মন্ত্রনালয়ের সৃষ্টি করেন। তবে সময়ের আবর্তে আইসিটি মন্ত্রনালয় তার কৈশরকাল পার না করতেই মুখ থুবড়িয়ে পড়েছে বলেই সংশ্লিষ্টদের মতামত। কারণ হিসাবে কমবেশি সবাই এ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদেরকেই দুষছেন! অভিযোগ উঠেছিল এ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সর্বোচ্চ ব্যক্তিকর্তা মঈন খানের বিরুদ্ধেই। সোজাসাপটা দূর্নীতির। তাও আবার ৫৪ কোটি টাকার! অবশ্য কেউ কেউ বলেছেন দূর্নীতির এই পরিমানতো অন্যান্য মন্ত্রনালয়ের ব্যক্তিকর্তাদেও তুলনায় ’কিছুই না’। সে যাই হোক, তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট সবারই অভিযোগ এ মন্ত্রনালয় এখন পর্যন্ত কোন উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখতে পারেনি। রাজনৈতিক সরকারের আমলেও এ মন্ত্রনালয়ের তেমন কোন কার্যক্রম চোখে পড়েনি অন্তত প্রযুক্তি সংশ্লিষ্টদের। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও তারই ধারাবাহিকতাই চলছে বলেই ভাবছেন সংশ্লিষ্টরা। স্থবির হয়ে আছে সকল কার্যক্রম। গত দেড় বছরে অনেক ইস্যূতেই এগিয়ে আসতে পারতো এ মন্ত্রনালয়। কিন্তু প্রযুক্তি সংশিল্টদের পাশে দাড়ানোর মত আর কেউ কি তবে নেই। সংশ্লিষ্টদের প্রশ্ন এভাবে আর কতদিন চলবে? তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টাও কি বিভিন্ন অজুহাতে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোকে এড়িয়ে যাবেন? প্রযুক্তিপ্রেমী, প্রযুক্তিই যাদের ধ্যানজ্ঞান তাদের প্রত্যাশা পুরণে আর কত অপেক্ষায় থাকতে হবে এ প্রশ্ন এখন সময়ের।
আমি দুরন্ত। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 9 টি টিউন ও 7 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
প্রযুক্তিতেই মুক্তি
আমলা তান্ত্রিক জটিলতা না কাটালে এই রাহু দশা মুক্ত হবেনা। ভাল পোষ্ট । ধন্যবাদ।