অনেক দিন পর টিউন করতে ইচ্ছা হল, তাই খাতা-কলম নিয়ে.........থুড়ি কিবোর্ড-মাউস নিয়ে বসে পড়লাম। এটি আমার দ্বিতীয় টিউন। নীচের লেখাটি কপি করা, কিন্তু আমি সাইট এর নাম বললাম না। ক্রেডিট টা অন্তত আমার থাক হা! হা!! হা!!!
যাইহোক ভারতীয় চ্যানেল জি বাংলার জনপ্রিয় কমেডি শো মীরাক্কেল-৬’র হট ফেভারিট বাংলাদেশের আবু হেনা রনি। তিনি বলেছেন, আমি বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করার কঠিনতম ব্রত নিয়ে টপ নাইনে টিকে আছি। আপনারা শুধু দোয়া করবেন আর ইন্টারনেটের মাধ্যমে সমর্থন জানিয়ে আমার স্বপ্ন সফল করতে সাহস যোগাবেন। মীরাক্কেলের শেষ হাসিটা আমিই হাসতে চাই। তিনি আরও বলেন, ভারতীয় দর্শকেরা আমাদের বাংলাদেশের মতোই। তারা ভালোকে ভালো বলতে দ্বিধা করেন না। আমি বাংলাদেশের ছেলে জানার পরও তাদের যে ভালোবাসা ও অকুণ্ঠ সমর্থন পেয়েছি, এক কথায় অ-সা-ম ছালা! সবার ভালোবাসায় সিক্ত হয়েই আমি মীরাক্কেলের প্রায় শেষ প্রান্ত পর্যন্ত এসে পৌঁছেছি। আশা করছি শেষটুকু আরও ভালো হবে। নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার আব্দুল লতিফ ও বিনা বেগম দম্পত্তির ৪ ছেলের মধ্যে আবু হেনা রনি দ্বিতীয়। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগ থেকে সম্মান পাস করেছেন। ছোটবেলা থেকেই রনি বন্ধু-বান্ধব, বাবা-মা, ভাই কিংবা আত্মীয়স্বজন কাউকে কখনও মন খারাপ রাখতে দিতেন না। সব সময় মজার মজার কথা কিংবা কৌতুক বলে সবাইকে মাতিয়ে রাখতেন। এখন সেই কাজটাই করছেন মীরাক্কেলের মাধ্যমে অনেক অনেক মানুষের জন্য। সারাজীবন তিনি এভাবেই অন্যের হাসিমুখ দেখে নিজে হাসি-খুশি থাকতে চান। মীরাক্কেলের প্রাথমিক অডিশনে বাংলাদেশ থেকে সর্বমোট ৩৫ জন সুযোগ পেয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ১৫ জন চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়ে মঞ্চে ওঠার সুযোগ পান। বর্তমানে মীরাক্কেলে ৯ জন টিকে আছেন, যাদের মধ্যে ৪ জন বাংলাদেশের। বলা বাহুল্য, রনি এদের মধ্যে হট ফেভারিট।
রনি জানান, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে আমি মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে থাকি। তারপর মীরাক্কেল বাংলাদেশে অডিশনের ব্যবস্থা করে। আমি বগুড়া থেকে অডিশনে অংশ নিয়ে সরাসরি চলে এলাম কোলকাতায়। সম্পূর্ণ নতুন পরিবেশ। নতুন নতুন মানুষ। এখানে আসার পর প্রথম প্রথম বাবা-মা, বন্ধু-বান্ধব অনেককেই মিস করতাম। কেমন যেনো হতাশা কাজ করতে থাকে। কারণ বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে যেসব কৌতুক বলতাম, মীরাক্কেলে সে ধরনের কৌতুক অচল। পরবর্তীতে কৌতুকগুলোকে নতুনভাবে সাজিয়ে উপস্থাপন করতে গিয়ে অনেক বেগ পেতে হয়েছে।
আবু হেনা রনি বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজস্ব আইডিয়া নিয়ে শুরু করতে হয়। এতে কোনো বাধা-নিষেধ নেই। অনেক সময় বিশেষ একটা বিষয়ের ওপর সব কৌতুক তৈরি করতে হয়। এজন্য প্রচুর কৌতুকের বই পড়তে হচ্ছে। প্রসঙ্গত, রাজিব আহমেদের রাজনৈতিক কৌতুক সমগ্র বইটি বেশ সাহায্য করছে। এছাড়া মাঝে মধ্যে ইন্টারনেট থেকেও প্রাসঙ্গিক কৌতুক সংগ্রহ করি। পরিকল্পনাটা প্রাথমিকভাবে দাঁড় করানোর পর গ্রুমাররা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।
রনির মতে গ্রুমার হলেন মীরাক্কেলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ৫ জন গ্রুমার আছেন। তাদের কাজ হলো কৌতুকগুলোকে সঠিকভাবে উপস্থাপনের জন্য যতো রকম কলাকৌশল আছে সেগুলো রপ্ত করিয়ে দেয়া। মীরাক্কেলের মঞ্চে ওঠার পূর্ব মূহূর্ত পর্যন্ত পর্দার অন্তরালে যতো ধরনের সাপোর্ট দেয়া যায়, তারা তা দেন। আর যারা বিচারকের দায়িত্বে আছেন, তাদের কাছে থেকে পাওয়া দিক-নির্দেশনা প্রতিযোগীদের সামনে চলার পথকে আরও সুন্দর ও সহজ করে দেয়।
রনির কাছ থেকে জানা গেলো, মীরাক্কেলের উপস্থাপক তথা প্রাণপুরুষ মীরের পুরো নাম মীর আশফাক আলী। তার সবচেয়ে বড় গুন হলো, কোনো স্ক্রিপ্ট ছাড়াই অনর্গল অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতে পারেন। মূলত তিনিই সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি মাতিয়ে রাখেন। প্রতিযোগীদের প্রত্যেকটি পদক্ষেপেও থাকে মীরদার সুপরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা।
মীরাক্কেল এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। আসন্ন ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই মীরাক্কেলের ফাইনাল রাউন্ড শেষ হয়ে যাবে। এখন আর কোনো প্রতিযোগী বাদ পড়বেন না। দর্শকদের এসএমএস একটা বড় ভূমিকা রাখবে। শুধুমাত্র কোলকাতার দর্শকেরাই এসএমএস’এ অংশ নিতে পারবেন। আর বাংলাদেশিরা পাবেন ইন্টারনেটের মাধ্যমে অভিমত জানানোর সুযোগ। চূড়ান্ত পর্বে অবশ্য বিচারকরাই প্রথম স্থান নির্বাচন করবেন।
আবু হেনা রনি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, প্রথম প্রথম আমাকে সেইভাবে কেউ চিনতো না, যখন জি বাংলায় আমাকে দেখাতো, তখন বাবা-মা, গ্রামের কিছু লোক আর বন্ধু-বান্ধব বলতো ওই আমাদের রনি। আস্তে আস্তে বাংলাদেশে মীরাক্কেল জনপ্রিয় হয়ে উঠলো, তখন সমগ্র বাংলাদেশ বলতে শুরু করলো ওই আমাদের রনি! প্রতিনিয়ত ফেসবুকে তারা আমাকে উৎসাহ যুগিয়ে চলেছেন। এখন অবশ্য পশ্চিমবঙ্গবাসীও আমাকে আপন করে নিয়েছেন- এটাই আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া। যদিও পড়াশুনার খানিকটা ছেদ পড়েছে; আশা করছি বাংলাদেশে ফিরে আবার নতুন করে মাস্টার্স শুরু করতে পারবো। তবে ফেরার আগে মীরাক্কেলের শেষ হাসিটা হেসে আমি বাংলাদেশের মুখ উজ্জল করতে চাই। ভোট দিতে ক্লিক করুন Vote Me – তে।
রনির ফেসবুক পেজ : http://facebook.com/ahenarony
রনির ওয়েবসাইট : http://ahenarony.blogspot.com
আমি আব্দুল্লাহ আল-আমিন দীপ্ত। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 11 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ব্লগিং করা আমার নেশাও নয় পেশাও নয়, তবুও টেকটিউনসের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে শখ করে ব্লগিং শুরু করলাম। আমার জন্য দোয়া করবেন। ধন্যবাদ সবাইকে!
আমি নিয়মিত ভোট দেই। তাই আপনারা ও দিন। আপনারা SMS দিয়ে ও ভোট দিতে পারেন- নিয়ম
MKL (space) RONY এবং পাঠিয়ে দিন 2233 এই নম্বরে।