অনেকে আছে অল্প পড়ে অনেক সফল হয়। আবার অনেকে আছে অনেক পড়ালেখার পরও সফলতা পায় না। এর পিছনে মূল কারণ হলো সফলতা পড়ালেখার সময়ের উপর নয়, তা আয়ত্ত করার উপর নির্ভর করে। তাই সময় দিয়ে নয়, কার্যকরীভাবে পড়ালেখা করা উচিৎ। কিন্তু পড়ালেখার কার্যকরী উপায় কী? আসলে পড়ালেখার কোন কার্যকরী উপায় নেই। এটা মানুষে মানুষে ভিন্ন। কিন্তু বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে এমন কিছু কৌশল বের করেছেন যা অনেকের পড়ালেখাকে কার্যকর করতে সক্ষম হয়েছে। আজ আমরা সে সকল উপায় সম্পর্কেই জানব-
- পড়ার মাঝে ছোট ছোট বিরতি নেওয়াঃ গবেষণায় দেখা গেছে যে, অল্প সময় পড়ার পর বিরতি নিয়ে আবার পরতে বসলে সেটি অধিক কার্যকর হয়। এতে যেমন মনোযোগ টিকে থাকে তেমনি ক্লান্তিও দূর হয়।
- বড় লক্ষ্যে পৌছানোর উদ্দেশ্যে নিয়মিত ছোট লক্ষ্য নির্বাচন ও তা পূর্ণ করাঃ আমাদের লক্ষ্য সর্বদা বড় হওয়া উচিত। কিন্তু প্রতিদিন এই বড় লক্ষ্যের পিছনে ছুটতে থাকলে এক সময় ধৈর্য হারিয়ে যায় এবং আমরা ব্যর্থ হই। তাই বিজ্ঞান বলে বড় লক্ষ্যগুলোকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে নেওয়া এবং নিয়মিত ছোট লক্ষ্য গুলো পূর্ণ করার চেষ্টা করা। ফলে একটা ছোট লক্ষ্য শেষ হলেই আমরা পরের ছোট লক্ষ্য নিয়ে ভাবা শুরু করে দেই। এভাবেই আমরা ছোট লক্ষ্য পূর্ণ করায় ব্যস্ত হয়ে বড় লক্ষ্যে পৌছে যাই।
- প্রতিটি অধ্যায় শেষ করার পর ছোট সারসংক্ষেপ তৈরি করা ও পড়া মনে করার চেষ্টা করাঃপ্রতিটি অধ্যায় শেষ করার পর ঐ অধ্যায়ের বিষয়বস্তু নিয়ে ছোট একটি সারসংক্ষেপ তৈরি করা। তারপর ঐ সারসংক্ষেপ দেখে পড়াগুলোকে মনে করার চেষ্টা করা। বিজ্ঞানীরা এই পদ্ধতিকে সামারাইজিং অ্যান্ড আ্যক্টিভ রিকল বলে। পড়া মনে রাখার ও কার্যকারী করার সব চেয়ে গ্রহণযোগ্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি এই সামারাইজিং অ্যান্ড আ্যক্টিভ রিকল।
- পড়া শেষ করার সময়সীমা নির্ধারণ এবং সে অনুযায়ী শেষ করার চেষ্টা করাঃ গবেষণায় দেখা গেছে যে, একটি পড়া নির্দিষ্ট সময় পর শেষ করার লক্ষ্যে পড়া শুরু করলে তা যেমন সময় বাচায় তেমনি অধিক কার্যকরীও হয়ে উঠে। তাই পড়া শুরুর আগে নির্ধারণ করে নেওয়া উচিত যে পড়াটি ঠিক কতক্ষণের মধ্যে শেষ করতে হবে।
- পড়ার জন্য আলো, বাতাসপূর্ণ নিরব স্থান নির্বাচন করাঃ আলো, বাতাসপূর্ন পরিবেশে মন ভালো থাকে। এছাড়াও পড়ালেখা জন্য নিরব পরিবেশ চাই। তাই এ সকল বিষয় খেয়াল রেখেই পড়ার স্থান তৈরি করতে হবে।
এভাবেই এ সকল উপায় অবলম্বন করে আমরা আমাদের পড়ালেখাকে কার্যকরী করে তুলতে পারি। কিন্তু সর্বদাই মনে রাখতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত নিজে থেকে পড়ালেখার প্রকৃত মর্ম উপলব্ধি করা যাবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত তা প্রকৃতপক্ষে কার্যকরী হয়ে উঠবে না।