SEO শেখার জন্য সেরা ৮ টি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ

টিউন বিভাগ প্রোগ্রামিং
প্রকাশিত
জোসস করেছেন
Level 34
সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা

আসসালামু আলাইকুম টেকটিউনস কমিউনিটি, কেমন আছেন সবাই? আশা করছি ভাল আছেন। বরাবরেই মত আজকেও চলে এসেছি নতুন টিউন নিয়ে।

বর্তমানে আপনি অনেক ধরনের প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ শিখতে পারেন। তবে আপনি যদি স্পেসিফিক ভাবে SEO এর জন্য প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ শিখতে চান তাহলে আপনার জন্য কিছু প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ সাজেস্ট করা যেতে পারে। SEO এর জন্য কোন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ শিখবেন এটা নির্ভর করবে আপনি কি ধরনের কাজ করতে চান তার উপর।

যখন SEO প্রফেশনালরা  SEO এর জন্য  কোন প্রোগ্রাম তৈরি করে তখন তারা  কিছু উদ্দেশ্যে এটি করে যেমন,

  • তাদের কাজকে সহজ করতে চায়
  • অটোমেশন সিস্টেম এড করে, কাজকে দ্রুত করতে চায়
  • তাদের সিভিতে এড করার মত উল্লেখ্যযোগ্য কিছু চায়
  • ইঞ্জিনিয়ারিং টিমের সাথে যেন ভাল করে কাজ করা যায় সেটা নিশ্চিত করতে চায়

শেষ কারণটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ কারণ যাদের কোডিং সম্পর্কে কোন ধারণা নেই তাদের পক্ষে, W3C Validation এর মত কোডিং ইস্যু খুঁজে বের করা কঠিন হয়ে পড়ে।

SEO ওয়ার্ল্ডে অবশ্য একটা বিতর্ক আছে যে, SEO শিখতে হলে কি কাউকে প্রোগ্রামার হতে হবে? অথবা প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ জানতে হবে? এর সহজ এবং সোজা উত্তর হচ্ছে না। SEO শিখতে হলে আপনাকে প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ জানতে হবে না। SEO ফিল্ডে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আপনি কতটা ভাল ভাবে দ্রুত সময়ের মধ্যে টার্গেটেড কিওয়ার্ড র‍্যাংক করাচ্ছেন। SEO এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো হল, Link, Content, Keyword Optimization, ইত্যাদি। কোডিং বিষয়টি আসবে আপনি যখন ইউজার এক্সপেরিয়েন্স উন্নত করতে চাইবেন তখন।

আপনি যখনি SEO এর ক্ষেত্রে প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ শিখবেন তাখন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আপনি যেমন এগিয়ে থাকবেন তেমনি এটা আপনার অনেক কাজকে সহজ করে দেবে। আপনি দ্রুত সমস্যা খুঁজে বের করার পাশাপাশি এই স্কিল থেকে অনেক সুবিধা পাবেন।

আজকের এই টিউনে আমরা জানব কেন SEO প্রফেশনালদের প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ শেখা উচিত এবং কোন ৮ টি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এই মুহূর্তে তাদের শেখা দরকার।

কেন SEO প্রফেশনালদের প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ শেখা উচিৎ?

SEO এর জন্য প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ শেখা জরুরি না হলেও এটা একজন SEO প্রফেশনালকে অনেক সুযোগ সুবিধা দিতে পারে। চলুন SEO তে প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ শেখার সুবিধা গুলো দেখে নেয়া যাক।

ওয়েব ডেভেলপারদের সাথে সুসম্পর্ক বৃদ্ধি করে

SEO এক্সপার্টদের মূলত ওয়েব ডেভেলপারদের সাথে কাজ করতে হয়। আপনি যখন ওয়েব সাইটের কোডিং বুঝবেন তখন আপনার কাছে এই বিষয়টি জানা সহজ হবে যে কোন কোন জিনিস চেঞ্জ হচ্ছে, বা আপনার চেঞ্জ করা উচিৎ। ডেভেলপার টিমের সাথে কাজ করে আপনি আরও চমৎকার ভাবে আপনার সমস্যা চিহ্নিত করতে পারবেন।

আপনি আপনার রিকোমেন্ডেশন গুলো তাদের জানাতে পারবেন। তাছাড়া একজন SEO প্রফেশনাল হিসেবে আপনার অনেক টেকনিক্যাল ইনভেস্টিগেশন এবং প্রবলেম সলভিং কাজ করতে হবে। যখন আপনি ল্যাংগুয়েজ এর কনসেপ্ট বুঝবেন তখন আপনি এই কাজ গুলো সহজেই কর‍তে পারবেন।

সহজেই প্রবলেম খুঁজে বের করতে পারবেন এবং সেটার সমাধানে কি করতে হবে সেটা বুঝতে পারবেন। এই ধরনের কিছু কাজ করার জন্য কখনো কখনো SEO প্রফেশনালদের জন্য প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ শেখা বেশ জরুরী।

এক্সপেন্স ম্যানেজমেন্ট আরও ভাল হয়

আপনি প্রোগ্রামিং শিখে অনেক সুবিধা পাবার পাশাপাশি নিজের খরচও কমিয়ে আনতে পারবেন। প্রথমত, আপনি প্রোগ্রাম তৈরি করা জানলে সেটা আপনাকে অন্যান্য SEO প্রফেশনালদের থেকে এগিয়ে রাখবে দ্বিতীয়ত নিজের সমস্যা নিজেই সমাধান করতে পারবেন। যখন আপনি কোডিং এর কোন ইস্যু ফেস করবেন তখন সেটা ঠিক করার জন্য অন্য কাউকে টাকা দিতে হবে না নিজেই এর সমাধান দিতে পারবেন।

আপনার ডাটা এনালাইসিস স্কিল আরও সমৃদ্ধ হবে

যখন আপনি SEO নিয়ে কাজ করবেন এটা বলার অপেক্ষা রাখে না, আপনাকে অনেক ডাটা নিয়ে কাজ করতে হবে। আর ডাটা দেখে কতটা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন এর উপরই আপনার সফলতা নির্ভর করবে।

আপনি যখন কোন প্রোগ্রামে ডাটা ইনপুট করেন সেটা পূর্বনির্ধারিত কমান্ড অনুযায়ী আপনাকে ফলাফল দেবে। কিন্তু যদি আপনার প্রোগ্রামিং সম্পর্কে ভাল ধারণা থেকে তাহলে সেখান থেকে আপনি ইচ্ছে মত ডেটার ফলাফল বের করতে পারবেন।

যেমন আপনি যদি Python শিখে থাকেন তাহলে তাইলে ইচ্ছে মত রো, কলাম চেঞ্জ করে নিজের মত ফলাফল বের করতে পারবেন। প্রয়োজনীয় গ্রাফ বের করে সেখান থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

SEO সম্পর্কে জ্ঞান আরও বাড়বে

বর্তমান সময়ে অনেক অল্প বয়সেই প্রোগ্রামিং শিখে থাকে। এমনও দেখা যায় বিভিন্ন দেশে স্কুল থাকাতেই বাচ্চাদের এই বিষয়ে দক্ষ করে তুলা হয়। আপনার কখন শেখা উচিৎ ছিল আর কখন শেখেন নি এটা বিষয় না, চাইলে এখনি আপনি শেখা শুরু করতে পারেন।

এটি অটোমেটেড AI ভিত্তিক সলিউশন দিয়ে আপনাকে আরও ভাল ডেটা ইনসাইট তৈরি কর‍তে সাহায্য করবে। প্রোগ্রামিং শিখতে আপনাকে কয়েক বছর ধরে স্কুলে যেতে হবে না। বেসিক বিষয় গুলো থেকেই আপনি অনেক ভাল কিছু জানতে পারবেন।

SEO এর জন্য সেরা প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ

প্রোগ্রামিং ওয়ার্ল্ডে, C থেকে C# পর্যন্ত কোন ল্যাংগুয়েজটি আপনি শিখবেন এটা নির্ধারণ করা বেশ কঠিন। আপনি কোনটি শিখবেন এবং আপনার জন্য কোনটি ভাল হবে এটা নির্ভর করবে সেটা আপনি কোন কাজে ব্যবহার করতে চান।

প্রোগ্রামিং শেখার আরেকটা সুবিধা হচ্ছে আপনি কোন ওয়েব পেজ বা ডকুমেন্টে ঢুকার সাথে সাথে বুঝতে পারবেন কিভাবে এর Object মডেল রেন্ডার হয়েছে। আপনি আরও বুঝতে পারবেন কিভাবে সার্চ ইঞ্জিন Crawler চিন্তা করে।

চলুন প্রোগ্রামিং এর পাশাপাশি HTML, CSS, শেখার কিছু সুবিধা জেনে নেয়া যাক।

HTML/CSS

অনেকের মধ্যে একটা বিষয়ে কনফিউশন থাকে HTML বা CSS কোন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ কিনা। না, এগুলা আসলে কোন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ না, HTML/CSS কে বলা হয় মার্কআপ ল্যাংগুয়েজ। প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এবং মার্কআপ ল্যাংগুয়েজ এর মধ্যে অনেক পার্থক্যও আছে।

Markup Languages

মার্কআপ ল্যাংগুয়েজ এর কাজ হল লেআউট ডিজাইন করা, রেন্ডার করা, ওয়েব ব্রাউজারে পেজ এলিমেন্ট ডিসপ্লে করা। ওয়েব ব্রাউজার মার্কআপ ল্যাংগুয়েজ এর সাথে ইন্টারপ্রেট করে এবং ফাইনাল আউটপুট শো করে, যা মানুষ দেখে।

প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ

অন্য দিকে প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ আরও জটিল একটা বিষয়। সেখানে একটি ল্যাংগুয়েজ থাকে যাকে মেশিনে, মেশিন কোড হিসেবে ইন্টারপ্রেট করা হয়। কিন্তু তারা নিজে থেকে কিছু করতে পারে না। এই কোড গুলোকে প্রথমে নির্দেশনা দিয়ে প্যাক করতে হয় তারপর মেশিনে আন-প্যাক করতে হয়, যাকে আমরা ইন্সটল করা বলি।

এর পর মেশিনে কোড গুলো রান হয় যা পরবর্তীতে মানুষের ব্যবহার যোগ্য গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেস দেয় এবং নির্দিষ্ট কাজ করার সুযোগ তৈরি হয়। তাছাড়া প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এর রয়েছে অনেক জটিল লজিক স্ট্র‍্যাকচার যা ফাইনান্সিয়াল অ্যাপ থেকে শুরু করে ভিডিও গেম তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।

সহজ ভাবে বলতে গেলে মার্ক-আপ ল্যাংগুয়েজ ব্যবহৃত হয় ইনফরমেশন ডিসপ্লে এবং প্রেজেন্ট করতে অন্যদিকে প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ কম্পিউটারকে নির্দিষ্ট ইনফরমেশন প্রোভাইট করে যা দিয়ে কম্পিউটার নির্দিষ্ট টাস্ক ফুলফিল করে থাকে।

চলুন এবার ৮ টি সেরা প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ নিয়ে আলোচনা করা যাক,

১. Python

যখন আপনার কাজ হবে ডাটা নিয়ে এবং ওভারঅল ডাটা এনালাইসিস ইম্প্রুভ নিয়ে তখন আপনার জন্য শেখা ভাল হবে Python। এটি আপনার ওভার ডাটা এনালাইসিস আরও সহজ করে দেবে এবং এর মাধ্যমে আপনি ডাটা এনালাইসিস রিলেটেড অনেক কিছুই করতে পারবেন।

Python এর রয়েছে প্রি-বিল্ড অনেক লাইব্রেরি যা আপনাকে ডাটা এনালাইসিসে দারুণ ভাবে সাহায্য করতে পারে।

R এর মত অন্যান্য প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এর সাথে এর পার্থক্য হচ্ছে এর সমৃদ্ধ লাইব্রেরী দিয়ে আপনি ভিন্ন ভিন্ন টাস্ক করতে পারবেন। যেমন আপনি Python এর মাধ্যমে মাল্টিপল সোর্স থেকে ডেটা কম্পাইল একটি প্রেজেন্টেবল ফাইলে নিয়ে আসতে পারবেন।

আবার একটি GUI অ্যাপলিকেশন ডেভেলপ করতে Python এক্সিকিউট করতে পারেন যা আপনাকে অনেক গুলো আর্টিক্যালকে একটি আর্টিকেলে নিয়ে আসতে সাহায্য করবে।

২. JavaScript

ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্টে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় Javascript। এটা শেখার মাধ্যমে আপনি ওয়েবসাইটে দিতে পারেন দারুণ সব ফিচার। আপনার ওয়েবসাইটকে ডাইনামিক হতে সাহায্য করে Javascript। ওয়েবসাইটের বিভিন্ন ফিচার এবং ফাংশনালিটি দেয়া হয় JavaScript দিয়ে। ক্লাইন্ট সাইড স্ক্রিপ্ট কমিউনিকেশনেও এটি ব্যবহৃত হয়।

বিভিন্ন SEO কাজেও Javascript কাজে লাগে যেমন হেডলেস থিম তৈরিতে, ফর্ম ডাটা প্রসেসিংএ, ইউজার এক্সপেরিয়েন্স ইম্প্রুভমেন্টে। কোন ধরনের জটিল কম্পাইলার বা প্লাগ-ইন এর প্রয়োজন ছাড়াই Javascript এর মাধ্যমে এই কাজ গুলো করা যায়।

এটি একই সাথে বিভিন্ন প্রোগ্রামিং স্টাইল সাপোর্ট করে। যেমন Object-Oriented Programming থেকে Functional Programming উভয়রই সাপোর্ট এখানে পাওয়া যায়।

Javascript সম্পর্কে ধারণা থাকার আরেকটা কারণ হচ্ছে ডেভেলপাররা Javascript সঠিক ভাবে ব্যবহার করছে কিনা সেটা জানা যায়। কখনো কখনো ভুল ভাবে Javascript ইমপ্লিমেন্টেশনে SEO তে নেগেটিভ প্রভাব পড়তে পারে। এমনও হতে পারে ইমেজ শো এ ভুল ভাবে Javascript ইমপ্লিমেন্টেশনে গুগল সেটা বুঝতে অসুবিধা হল।

তাছাড়া ওয়ার্ডপ্রেসে আপনি বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন প্লাগ-ইন ব্যবহার করেন, কখনো কখনো সেগুলো আপনার পেজে রেন্ডারিং ইস্যু তৈরি করতে পারে। মূলত কি জন্য এই সমস্যা হচ্ছে এটা জানতে আপনাকে Javascript শেখা উচিৎ।

৩. PHP – Hypertext Preprocessor

PHP এর অন্য নাম Hypertext Preprocessor Programming Language। এটি মূলত একটি সার্ভার সাইড প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ। যা ওয়েব ডেভেলপমেন্টের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। তবে এটি সাধারণ প্রোগ্রামিং কাজেও ব্যবহার করা যায়। WordPress, Facebook, Digg এর মত ওয়েবসাইট গুলোর ব্যাক-এন্ডে কিন্তু PHP কাজ করছে। বেশিরভাগ SEO প্রফেশনালরা WordPress এর মত প্ল্যাটফর্ম গুলোতে কাজ করে, শুধু WordPress ই নয় এছাড়া বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মও PHP দিয়ে তৈরি করা।

তবে PHP এর HTML, CSS কোড রেন্ডারে খুব বেশি প্রভাব নাই। আপনি যদি SEO প্রফেশনকে অন্য লেভেলে নিতে চান তাহলে PHP থেকে HTML, CSS কোডিং এ বেশি গুরুত্ব দিন।

৪. Go (Golang)

Golang হচ্ছে Google এর একটি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ। এটি হাই পারফরম্যান্স প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ। এটি Python, এর মত ইন্টারপ্রিটেড ল্যাংগুয়েজ নয় যার ফলে এটি Python থেকে অনেক ফাস্ট। এটি কোন এক্সট্রা ওয়ার্ক ছাড়াই মাল্টিপল CPU থ্রেড ইউটিলাইজ করতে পারে।

আপনি যদি প্রোগ্রামিং শিখতে আগ্রহী হোন তাহলে, তাহলে শুরু থেকে শিখতে এবং এক্সপেরিমেন্ট করতে এর ল্যাংগুয়েজটি দারুণ হতে পারে।

৫. C

C প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজটির অনেক গুলো ভ্যারিয়েশন আছে যেমন, C, C+, C#। C একটি মেশিন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ যা অটোমেটেড প্রোগ্রাম তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এটি দিয়ে সহজেই SEO প্রফেশনালদের জন্য বিভিন্ন অটোমেশন সফটওয়্যার তৈরি করে ফেলা যাবে।

এটি আজ থেকে প্রায় ৪০ বছর আগে পাবলিশ হলেও এখনো অন্যতম জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ। এটি আবিষ্কৃত হয় ১৯৭২ সালে এবং পাবলিশ হয় ১৯৭৮ সালে। অনেক অভিজ্ঞ প্রোগ্রামাররা এটিকে সেরা প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ বলে থাকে কারণ অন্যান্য প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ গুলো C এর ধারণা থেকেই তৈরি করা।

এর আরেকটি সুবিধা হচ্ছে এর সিকিউরিটি ব্যবস্থা। খুব কম মানুষ ব্যবহার করে বলে এটাতে সাইবার এটাকের সম্ভাবনা কম।

৬. C+

C+ কে মূলত C এর এক্সটেনশন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি ডেনমার্কে, Bjarne Stroustrup ডেভেলপমেন্ট করেন। অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং এর স্পীড এবং ইফিসিয়েন্সি বাড়িয়ে এর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যই মূলত C+ এর উৎপত্তি।

৭. C#

C# মাইক্রোসফট ডেভেলপ করে। C এরই এক্সটেনশন এই প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজটি.NET Framework ভিত্তিক একটি ল্যাংগুয়েজ। কম্পাইলিং প্রসেসে এখানে মেশিন কোডের পরিবর্তে Byte Code ব্যবহৃত হয়।

এখানে পার্থক্য হচ্ছে এই কোডটি ভার্চুয়াল মেশিনে এক্সিকিউট হয় এবং এটি একই সময়ে মেশিন রিডেবল কোডে ট্রান্সলেট হয়।

C# বেশির ভাগ সময় এন্টারপ্রাইজ এপ্লিকেশনে কমার্শিয়াল সফটওয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি অধিকাংশ সময় ক্লায়েন্ট এবং সার্ভার ডেভেলপমেন্টের জন্য ব্যবহার করা হয় যা.NET framework.ব্যবহার করে।

৮. R

স্ট্যাটিসক্যাল এবং ডেটা এনালাইসিসের একটি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ হচ্ছে R। SEO এর মত কাজে প্রেডিকশন এনালাইসিসের মত কাজে এই প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ব্যবহৃত হয়।

এটি একটি ফ্রি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ, যা ফ্রি সফটওয়্যার এনভায়রনমেন্টে পাওয়া যায়। এটি বিশেষ করে স্ট্যাটিসক্যাল এবং ডেটা এনালাইসিসের কাজের জন্য তৈরি করা হয়েছে বলে এটি প্রিডেক্টিভ এনালাইটিক্স এপ্লিকেশনে বেশি ব্যবহৃত হয়।

এই প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজটি SEO তে ব্যবহৃত হওয়ার পাশাপাশি ডাটা মাইনিং, স্ট্যাটেসটিকস সহ আরও অনেক প্রফেশনে কাজে লাগে। ডাটা এনালাইসিস এবং স্ট্যাটেসটিক্যাল সফটওয়্যার তৈরিতে এটি ব্যবহৃত হয়। মেশিন লার্নিং এনালাইটিক্সও এর ব্যবহার রয়েছে।

অসংখ্য ডাটা স্ট্র‍্যাকচার R দিয়ে প্রসেস করা যায় যেমন, Vector, List, এবং Array।

এর অন্যতম আরেকটা সুবিধা হচ্ছে এটি ওপেন সোর্স প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ। যার মানের আপনি ফ্রিতে এর লাইব্রেরী এবং কোড ম্যাটারিয়াল অনলাইনে পেয়ে যাবেন সাথে পাবেন কমিউনিটি সাপোর্ট। আর যেকোনো প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এর কমিউনিটি সাপোর্ট পাওয়া মানে সহজেই বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পাওয়া।

আপনি SEO তে R কিভাবে ব্যবহার করতে পারেন? SEO তে আপনি R দিয়ে ডাটা ড্রাইভেন প্রোগ্রাম তৈরি করতে পারেন যা ওয়েবসাইট Crawl করে আপনাকে ডাটা দিবে। ম্যাসিভ একাউন্ট ওয়েব সাইট থেকে ডাটা কালেক্ট করার মত কাজে আপনি R ব্যবহার করতে পারেন।

এই ল্যাংগুয়েজ গুলো ব্যবহার করে আপনি কী তৈরি করতে পারেন?

আপনি এই ল্যাংগুয়েজ গুলো ব্যবহার করে একটি এপ্লিকেশন তৈরি করতে পারেন, যা আপনার সকল SEO ডাটা কম্পাইল করে দেবে এবং সেটার আউটপুট ডিসপ্লে করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। তাছাড়া আপনি স্ক্রেপিং আপ্লিকেশনও তৈরি করতে পারেন। তৈরি করতে পারেন লিংক এনালাইসিস এত মত অ্যাপও।

শেষ কথা

একজন SEO প্রফেশনাল হিসেবে প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ শিখে আপনি অনেক কিছুই করতে পারেন। ক্যারিয়ারকে নিয়ে যেতে পারেন নেক্সট লেভেলে। ডেভেলপারদের সাথে কমিউনিকেশনের পাশাপাশি অটোমেশনের মাধ্যমে কাজের গতি বাড়াতে প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ শেখার বিকল্প নাই।

তো আজকে এ পর্যন্তই পরবর্তী টিউন পর্যন্ত ভাল থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

Level 34

আমি সোহানুর রহমান। সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 627 টি টিউন ও 200 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 118 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

কখনো কখনো প্রজাপতির ডানা ঝাপটানোর মত ঘটনা পুরো পৃথিবী বদলে দিতে পারে।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস