যেকোন একটা প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ভালভাবে শিখতে বেগ পেতে হবে ঠিকই তবে এর পরিনতি সুস্বাদু। প্রোগ্রামার এর চাহিদা পৃথিবীতে কখনই কমবেনা বরং দিনদিন সব কিছুই অটোমেটেড তথা মেশিন ভিত্তিক হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। প্রত্যেকটি ডিডিজটাল সিস্টেমে সফটওয়্যার বাধ্যতামূলক আর তাই প্রোগ্রামারও আবশ্যক। প্রোগ্রামিং "ক্যারিয়ার" হিসেবে কেন রোমাঞ্চকর তার ১০০ টারও বেশি কারন দেখাতে পারি। নিচে কয়েকটি আলোচনা করা
কারন ১ : প্রোগ্রামিং এমন একটা জিনিস, ভালভাবে শিখলে হিরো। এটা কোন খেলা নয় যে আজকে ভাল খেললেন তো হিরো, কাল ফর্ম নেই তো জিরো। কোডিং শেখাটা সময়সাপেক্ষ এবং অনেক ধৈর্য্যের ব্যাপার। মনে হতে পারে এতদিন ধরে শিখছি কিন্তু আউটপুট তো জিরো। এই ZERO টেম্পরারি বাট শিখে গেলে HERO পার্মানেন্ট।
কারন ২ : যেকোন একটা ল্যাংগুয়েজ ভালভাবে শিখলেই হবে, তবে ল্যাংগুয়েজটি মেইনস্ট্রিম ল্যাংগুয়েজ হতে হবে যেমন জাভা, সি, পিএইচপি, পাইথন কিংবা এরুপ কোন ল্যাংগুয়েজ। ১টা ভালভাবে শেখার কথা এজন্য বললাম কারন পৃথিবীর সব মেইনস্ট্রিম ল্যাংগুয়েজ একই শুধু সিনট্যাক্স এবং টুকিটাকি এটা সেটা পার্থক্য। তাই যেকোন সময় ল্যাংগুয়েজ switch করা মাত্র ১ সপ্তাহের ব্যাপার। আপনি যদি সেরা প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এ এক্সপার্ট হন তাহলে এরপর যেকোন ল্যাংগুয়েজ শিখতে ১ সপ্তাহের বেশি লাগবেনা। তবে হ্যা নতুন যে ল্যাংগুয়েজ শিখলেন সেই ল্যাংগুয়েজের কোন এক্সপার্টের সাথে আপনার শুধু কিছু অভিজ্ঞতার পার্থক্য থাকবে সেটাও দ্রুত রিকভার করা যায়।
কারন ৩ : সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর বিষয় হচ্ছে এই সেক্টরে সার্টিফিকেটের তুলনায় ট্যালেন্ট এবং যোগ্যতার মুল্য বেশি। কাজ জানেন তো ডিগ্রী ছাড়াই হিরো যেমন জুকারবার্গ কিংবা বিল গেটসের কথা ভেবে দেখুন। আর কাজ না জানলে ডিগ্রী থাকলেও হয়রানি।
কারন ৪ : চাকরি যদি নাও করেন তবুও নিজেই একটা ইকমার্স প্রজেক্ট বাজারে ছেড়ে দিলেই তো এরপর শুধু মার্কেটিং এর কাজ, তারপর বসে বসে খাও।
কাজেই প্রোগ্রামিং কে ক্যারিয়ার বানান, ২/২.৫ বছর চ্যালেন্জ face করুন এরপর পাবলিকের টাকা আপনার পকেটে ঢুকান।
আমি আমিরুল সিজান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 6 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
Bangladeshi Blogger