“Pleeeeease, take me, I need to feed my family! I’ll do it cheaper than everybody”
আমার যখন ৩৫ বছর ছিল আমার অভিজ্ঞতার ঝুলিতে তখন অনেক কিছুই যুক্ত হয়েছে। একজন সাবেক রেস্টুরেন্ট এর মালিক, সাবেক প্রধান ইলেক্ট্রনিক আইটেম উৎপাদনের কোম্পানি তারপর অগনিত দোকানের সেলস ম্যানেজার হিসেবে যা ছিল রাশিয়াতে। আমার বেতন ছিল অনেক খারাপ যা বলার মত নয়। আমার জীবনটা ছিল একটি অন্ধকার গহ্বর এর মত।
একদিন আমার জীবন আরো শোচনীয় হয়ে উঠল, যখন আমার স্ত্রী দ্বিতীয় কন্যা সন্তানের জন্ম দিল। আমি একটি ওয়েব সাইট খুললাম হেড হান্টারদের জন্য আরো বেশী অর্থ উপার্জনের আশায়। আর খুঁজতে থাকলাম কিভাবে আরো বেশী ইনকাম করা যায়। তখন মোবাইল ডেভেলপার ট্রেন্ড এ ছিল সব জায়গায়। সবার কাছেই স্মার্ট ফোন ছিল। তাই মার্কেটের জন্য অনেক অনেক APPS লিখা হত।
এক রাতে আমি নিজেকে বলতে থাকলাম আমি একটি মোবাইল APPS বানাতে চাই। আমি সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত সেলস ম্যানেজার এর কাজ করতাম। যখন বাসায় যেতাম টিউটোরিয়াল পড়তাম, জাভা এবং android নিয়ে শিখতাম রাত ৩ টা পর্যন্ত। আমি দু বছর যাবত দিনে ৫ ঘন্টার বেশী ঘুমাইনি।
আমার মনে পরে আমি আমার এক বন্ধুর বন্ধুকে জিজ্ঞাস করেছিলাম যে কিনা একজন প্রোগ্রামার ছিলেন, ভাই Class জিনিস টা কি? খায় না মাথায় দেয়? আমি এটি বুঝতে পারছি না। আমার বয়স ৩৫ আর আমার মাথা এসব নিতেই পারছিল না বরং এসব আরো ফিরেয়ে দিচ্ছিল। কিন্ত আমি আমাকে বলছি ” আমি পারব”। আমার একটি বড় সমস্যা ছিল, আমি বুঝতে পারছিলাম না Java র Interface টা কি। আমি অনেক হাবা ছিলাম। কিন্তু ৬ মাস পর আমি একটি Apps Google Play তে ছাড়তে সক্ষম হই। এটা লিখা হয়েছিল খুবুই বাজে ভাবে সহজ কথায় খুবুই খারাপ ভাবে। আমার খুবুই অল্প ইনকাম হয়েছিল সেই Apps থেকে, কিন্তু কাজ করেছিল।
আমার বন্ধু আমাকে একটি Apps বানানোর জন্য জন্য বলল কিছু অর্থের বিনিময়ে। আমরা ১ মাসের চুক্তিতে সম্মতি হলাম দুজন। আমি এক বছর লাগিয়ে দিলাম Apps টা তৈরী করতে। সেই সময়ে আমি আমার পড়া চালিয়ে যাচ্ছিলাম সাথে সাথে কাজও করছিলাম সেলস ম্যানেজার হিসেবে। আমার বেতন তিন মাস দেরীতে পাওয়ায় চাকরিটি ছেড়ে দেই।
আমার স্ত্রী হতাশ হয়ে পরে। আমাদের দুটি কন্যা সন্তান ছিল। একটি নতুন সন্তান হওয়ায় আমার স্ত্রীও কাজ করতে সক্ষম ছিল না। আমাকে তাদের সকল কিছু দেওয়া লাগত। আমি তখনো প্রোগ্রামিং থেকে কিছুই ইনকাম করতে পারিনি। এইটা ছিল একটি খারাপ দিক। সে আমাকে বলত যাও আবার সেলস ম্যানেজার হিসেবে কাজ শুরু কর। আমি বলতাম “Honey তুমি বলছ আমাকে রাস্তা পরিষ্কার করতে যখন আমি আমি তেল পাম্প করতে পারব শীঘ্রই। কিছুটা দিন ধৈর্য্য ধর শুধু”।
এইটা ছিল জুন মাস যখন আমি android এর অনেক কিছু শিখে ফেললাম, প্রায় সব কিছুই যা দরকার ছিল। সারাদিন শিখতাম দিনে ৩-৫ ঘন্টা ঘুমাতাম। এবং নভেম্বরে আমি একটি ওর্ডার পেলাম একটি ফ্রিলেন্সার সাইট থেকে যখন আমি লিখেছিলাম :
তারপর আমি আমার প্রথম ওর্ডার পেলাম যা ছিল খুব জটিল। সেটি বানাতে আমার এক মাস সময় চলে গেল। এরপর আমি কিছু লোককে পেলাম যারা বলল আমাদের জন্য কাজ কর তোমার বাসায় থেকেই। আমি বললাম ঠিক আছে করব। এরপর আমাকে একজন আরেকটি জটিল Apps বানাতে দিল যা আমি ১১ দিনে বানিয়ে দিলাম। সুতরাং আমার আবারো ঘুমানোর সময় ছিল না। আমাকে খুবুই অল্প টাকা দেওয়া হল। কিন্তু একটির বেশী Apps বিক্রি হওয়ায় আমাকে তা উৎসাহিত করল।
এরপর আমি একটি মেইল পেলাম মস্কোর বিখ্যাত বই ইস্যু কোম্পানি থেকে। তারা আমার প্রথম Apps টি কোথাও থেকে দেখেছে এবং আমাকে তাদের জন্য কাজ করাতে বলেছে বাসায় থেকেই। পরবর্তিতে আমি আরো ভাল একটি কোম্পানি থেকে অফার পেলাম। তারা আমাকে নিল, এর পর আরেকটা কোম্পানি, এর পর আরেকটা আমাকে নিল তারপর আবার। ২০১৪ পর্যন্ত আমি ৪ টি প্রতিষ্ঠান বদলিয়েছি এবং প্রত্যাকেই আরো বেশী টাকা আমাকে অফার করেছিল।
অবশ্যই আমার দক্ষতা বেড়েছিল প্রতিটি প্রজেক্টে প্রতি মাসে। এখন আমি প্রায় ৪০ বছরে পা দিয়েছি। আমি কাজ করছি Lead Android developer হিসেবে একটি Useless Social Network এ। রাষ্টের যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে Android developer হিসেবে কাজ করেছি। সম্প্রতি আমি চাকরি পেয়েছি Research and developement Microsoft product এর।
আমার ব্লগে ঘুরে আসতে পারেন আপনিও
আমি তরিকুল ইসলাম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 9 টি টিউন ও 15 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 5 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 2 টিউনারকে ফলো করি।
" ক্ষুধার্ত থেকো বোকা থেকো " স্টিভ জবস আমি বোকা মানুষ জ্ঞান আরোহণ করে বেড়াই।