আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ফলাফল প্রস্তুতের সময় GPA, CGPA, CA সহ নানা প্রকার ঝুট ঝামেলা পোহাতে হয়। এছাড়া এমসিকিউ পরীক্ষার খাতার উত্তর বের করাতো এক মহাযজ্ঞ। আবার ফলাফল প্রস্তুত হলে তা সব শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে অভিভাবককে অবহিত করতে গিয়েও ব্যয় হয় প্রচুর শ্রম। এ সমস্ত সমস্যার উত্তরণে একটা পরীক্ষামূলক চ্যারিটি প্রোজেক্টের কাজ দিলাম। তাই ফলস্বরূপ ইজি এক্সামিনার। চেষ্টা করেছি যতটা সম্ভব বাগ মুক্ত করার জন্য। যতটা আইডিয়া মাথায় এসেছে তার কিছুই বাদ রাখিনি। কোন ভুল-ভ্রান্তি থাকলে অভিজ্ঞজনেরা তা শুধরে দেবেন আশা করি। এর ডাটাবেজ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে SQLite এমবেডেড ডাটাবেজ। কারো বিশদ কিছু জানার থাকলে টিউমেন্টে জানাতে পারেন অথবা মেইল করতে পারেন। যথা সম্ভব দ্রুত উত্তর দেবো। এটি একটি ফ্রিওয়্যার এপস। আশা করি মডারেটরগণ বিষয়টি চেক করে দেখবেন। যারা ডাউনলোড করবেন তাদের প্রতি অনুরোধ, অন্তত প্রথম তিনটি ভিডিও টিউটোরিয়াল ভালোভাবে দেখে তারপর শুরু করবেন।
কিভাবে ব্যবহার করবেন:
প্রথমে নিচের দিকে দেয়া লিংক থেকে ডাউনলোড করে নিন। এরপর সি ড্রাইভ ছাড়া অন্য যে কোন ড্রাইভে রেখে এক্সট্রাকট করে নিন। এর মধ্যে সম্পূর্ণ সফটওয়্যারের বাংলায় ভিডিও টিউটোরিয়াল MP4 ফরম্যাটে দেয়া আছে। দেখে শুরু করুন, সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই।
কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে এই সফটওয়্যারে:
১. সৃজনশীল, লিখিত, এমসিকিউ, ব্যবহারিক, ভাইভা, CA (Continuous Assessment) সহ যে কোন ধরণের পরীক্ষার ফলাফল স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রস্তুত।
২. ঘন্টায় ২০০০ এর অধিক এমসিকিউ ফরম শিক্ষার্থীদের ভুলের ধরণসহ প্রসেস করার সুবিধা।
২. স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ইউনিভার্সিটি, কোচিং সেন্টারসহ যে কোন ধরণের শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্যবহার্য্য।
৩. প্রাথমিক থেকে মাষ্টার্স পর্যন্ত যে কোন শ্রেণীর জন্য ব্যবহার উপযোগী।
৪. যে কোন পরীক্ষার ফলাফল অভিভাবক বা শিক্ষার্থীর মোবাইলে এসএমএস অথবা ফ্রি ইমেইল করে দেয়ার সুবিধা।
৫. বাৎসরিক দুই বা ততোধিক পরিক্ষার জন্য সিজিপিএ বের করার পদ্ধতি।
৬. শিক্ষার্থীর রেজাল্ট শীট, ক্লাস রেজাল্ট শীট বা বিষয় ভিত্তিক রেজাল্ট শীট তৈরী।
৭. সিজিপিএ বা সাধারণ পরীক্ষা ভিত্তিক মেরিট লিষ্ট তৈরী।
৮. নিজস্ব ধরণ অনুযায়ী এমসিকিউ পরীক্ষার OMR ফরম ডিজাইন করার সুবিধা।
৯. প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব লোগো সম্বলিত প্যাডে যে কোন রেজাল্ট প্রিন্ট অথবা পিডিএফ, এক্সেল ফরম্যাটে এক্সপোর্টসহ ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা।
১০. শিক্ষার্থী বা অভিভাবকদের এসএমএস বা ইমেইলে যে কোন নিজস্ব সাধারণ নোটিশ নাম অনুযায়ী পাঠানোর সুবিধা।
১১. প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব একাউন্টে অনলাইন ডাটা ব্যাকআপ পদ্ধতি, যা কোন কারণে কম্পিউটার নষ্ট হলেও ডাটা ফেরত পাওয়ার ১০০% নিরাপত্তা দেয়।
১২. কোন পরীক্ষার সামগ্রিক শিক্ষার্থীদের পাশের হারসহ বিস্তারিত তথ্য।
১৩. ১০০% সঠিক মার্কস এন্ট্রিসহ ফলাফল।
১৪. বাংলা ও ইংরেজী ভাষায় পূর্ণাঙ্গ ভিডিও টিউটোরিয়াল।
১৫. সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
ডাউনলোড: ইজি এক্সামিনার ১.০.১
সফটওয়্যারটির জন্য একটি ফেসবুক ফ্যান পেজ খোলা হয়েছে। লিংক প্রয়োজনবোধ করলে লাইক দিয়ে রাখুন। নিয়মিত আপডেট পাবেন।
যেকোন সমস্যার বা জিজ্ঞাসার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন: rubel.tv[@]gmail.com
দুটি সমস্যার সমাধান:
একটিভেশনের সময় এরর:
একটিভেশনের সময় এরর হলে চেক করে দেখুন আপনার দেয়া তথ্যের কোন অংশে ' চিহ্নটি আছে কিনা। থাকলে মুছে দিয়ে আবার করুন সমস্যার সমাধান হবে।
ভাইরাস হিসেবে ডিটেক্ট করছে:
মুলত এই সফটওয়্যারটি এনক্রিপশন প্যাক করা হয়েছে ConfuserEx দিয়ে। এই একই এনক্রিপশন সিস্টেম কিছু কিছু ভাইরাস রাইটাররা ব্যবহার করে তাদের অসৎ উদ্দেশ্যে। যার কারণে কিছু কিছু এন্টিভাইরাস কোম্পানি ConfuserEx দ্বারা প্যাক করা যে কোন ফাইলকেই ভাইরাস হিসেবে ডিটেক্ট করে। একটু উদাহরণ দিয়ে বলছি, ধরুন একটি ধারালো অস্ত্র আপনি আপনার বাসায় ব্যবহার করেন তরকারি কাটার জন্য সেই একই অস্ত্র সন্ত্রাসীরা হয়তো অন্য কোন অসৎ কাজে ব্যবহার করে, পুলিশ হয়তো আপনাকেও সেই অস্ত্র সমেত পেলে সন্ত্রাসীই মনে করবে। প্রশ্ন হতে পারে আমার ConfuserEx ব্যবহার করার কারণ কি। আসলে এই সফটওয়্যারটি তৈরী করতে প্রায় দেড় বছর সময় লেগেছে। আমি চাইবনা আমার সোর্সকোড কেউ ওপেন করে মডিফাই করুক। আর সেজন্যই এই এনক্রিপশন সিস্টেম ব্যবহার করতে হয়েছে। যেমনটা আপনার তরকারি কাটার জন্য ধারালো কিছু লাগবেই। এই একই কাজটি ভাইরাস রাইটাররা তাদের ভাইরাসের কোড প্রটেকশনের জন্য ব্যবহার করে। আমার কথার সমর্থনে একটি লিংক দিচ্ছি:
https://github.com/yck1509/ConfuserEx/issues/17
উত্তরণের উপায় কি: এই সফটওয়্যারটি ভাইরাসটোটাল https://virustotal.com/ নামে একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সবগুলো এন্টিভাইরাস দিয়ে চেক করানো হয়েছে। তার মধ্যে মাত্র দুটি এন্টিভাইরাস এটিকে ভাইরাস হিসেবে ডিটেক্ট করে, এই দুটির মধ্যে আপনার ব্যবহার করা ই-সেট একটি। তাই সমাধান হচ্ছে অন্য যে কোন ভাল এন্টিভাইরাস ব্যবহার করা, মানে আপনার এন্টিভাইরাসটি পাল্টে ফেলুন। একটু ভেবে দেখুন, আমার যদি ভাইরাস লেখার ইচ্ছা থাকত তাহলে এতবড় প্রোগ্রাম না করে আরো ছোট মাপের দুদিনে তৈরী করা যায় এমন কোন আকর্ষণীয় প্রোগ্রাম বানিয়েই তা সারতে পারতাম।
আমি কামরুল ইসলাম রুবেল। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 18 টি টিউন ও 352 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
কখনো থামিনি, কখনো পিছন ফিরেও চাইনি। আর থামবোও না কোনদিন। চলছি। চলবই।
Thanks brother.