পৃথিবীতে ভূত বলে আদৌ কোন কিছু আছে নাকি আমার জানা নেই। তবে ছোট বেলা থেকে অনেক ভূতের গল্প শুনেছি, এবং ভূতের গল্প পড়েছি। এখনও ভূতের গল্প পড়তে ভালোবাসি এবং পড়ি। বিজ্ঞান ভুতের অস্তিত্বকে স্বীকার করে না। আমি সায়েন্সের স্টুডেন্ট ভুত বিশ্বাস করি না কিন্তু যখন কোন ভুতের ছবি দেখি বা গল্প পড়ি তখন কিন্তু ভয় ঠিকই পাই। আমি জানি আপনাদের মাঝে অনেকেই আছেন যারা ভুতে বিশ্বাস করেন না কিন্তু ভুতের ভয় ঠিকই পান!! গ্রামের বাড়িতে সন্ধ্যার পর বাঁশ ঝাড়ের পাশ দিয়ে যখন হেঁটে যাবেন তখন গা টা কিন্তু ঠিকই শিরশির করবে।
অনেকেই আবার ভাবতে পারেন এই টেকনোলজি ব্লগে কেন এই সব অবাস্তব টপিক। ছোটবেলা থেকেই আমি রহস্যের ব্যাপারে একটু বেশি আগ্রহী, সেই সুবাদে আমি অনেক রহস্যময় টপিক সম্পর্কে জানি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার সংগ্রহে থাকা তেমনি কিছু রহস্যময় ভৌতিক ফটোগ্রাফ। যে ফটোগুলো একসময় খুব আলোচিত ছিলো, ফটোগুলো ইন্টারনেট এবং আমার বন্ধুদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা। আশা করি আপনাদের সবারই ভালো লাগবে এবং যদি আমার এই টিউন আপনাদের মনে সামান্যতম ভয়ের কাঁপন ধরাতে পারে তবেই এই টিউন টি সার্থক হবে। আর কথা না বাড়িয়ে সরাসরি চলে যাই ছবিতে.........................
১৯১৬ সালের ফটোগ্রাফ, তখন কি ফটোশপ ছিলো?
লক্ষ করুন মহিলাটির পা নেই।
ওই ছেলেটি আগেই মারা গিয়েছিল।
গাড়ির ভিতর দেখুন।
টেলিভিশনটা তখন বন্ধ ছিলো।
নো কমেন্টস।
ছবিটির মুখের দিকে এক দৃষ্টিতে মিনিট দুই তাকিয়ে থাকুন, শত চেস্টা করলেও মুখটি কিছুক্ষন মন থেকে সরাতে পারবেন না।
ছবির মাঝে আরেক রহস্যময় ফটোগ্রাফ।
শিশুটির ডানপাশে কে????
সিড়ির মাঝে কি অতৃপ্ত আত্মা??
ছবির মাঝখানটায় লক্ষ করুন।
এই ছবিটা নিয়েও যথেষ্ট বিতর্ক আছে।
এক সন্ধায়, ঝড়ের পর ফটোগ্রাফটি তোলা।
কফিনের ডান পাশে ওটা কে??
ছবি তোলার আগে টাওয়ারের উপরটি ছিলো ফাঁকা বাট ধোলাই করার পর ........................
"গাজীপুরের রহস্য" এই শিরোনামে বছর দেড়েক বা দুই, আগে বেশ কয়েকটি পত্রিকায় খবরটি এসেছিলো, সেখানে দাবি করা হয় যে একদল তরুন গাজীপুরের ন্যাশানাল পার্কে বনভোজনে যায়। বণে হাটতে হাটতে তারা অনেকটাই গভীরে চলে এলো। সহসাই সন্ধ্যা নেমে এল। দেখা পেল দূরে দাঁড়িয়ে আছে কি যেন! কিছু একটার অস্তিত্ব টের পেয়ে তরুন দল ভয় পেয়ে গেল। পরে সাহস করে এক তরুন ছবি তুলে চলে এল দ্রুত। ভয়ে ঘাবড়ে গেলেও ভাল ভাবেই ফিরে এল তারা। কিন্তু দুই দিন পরেই ছবি তোলা তরুনটি মারা গেল। যে ছেলেটি ভুতের ছবি তুলে ছিল সে চির তরে পংগু হয়ে গেল। মারা যাওয়া তরুনটির পোষ্টমর্তম প্রতিবেদনে দেখা গেল তরুন সেই ছেলেটির হার্ট এবং লিভার মিসিং। ছবিটি ডেভেলপ করার পর আসলো উপরের ছবিটি। হয়তো অনেকই এই বিষয়টি সম্পর্কে জানেন এবং এই বিষয়ে জনকন্ঠ সহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল। গাজীপুরের এই ঘটনায় দেশে মিশ্র প্রতিক্রিয়া চলছে। অনেকেই বিষয়টিকে আজগুবি বলে উড়িয়ে দিচ্ছে আবার অনেকেই ঘটনাটিকে সত্য বলে বিশ্বাস করেছে।
এই হল আমার সংগ্রহে থাকা ছবি গুলো, এগুলোর সত্য মিথ্যা বলতে পারি না, সুপার ইম্পোজড কিনা তা ও বলতে পারি না জাস্ট এতটুকু জানি যে ছবি গুলো কোন না কোন সময় তুমুল আলোচিত ছিলো। জাস্ট ভয় দেখানোর জন্যই আপনাদের সাথে শেয়ার করা, কারন ভুত আছে কি নাই সেটা নিয়ে অনেক বিতর্ক থাকতে পারে বাট ভুতের "ভয়" টা যে ১০০% সত্য সেটা নিয়ে কোন বিতর্কের অবকাশ নেই। আর আপনাদের দোয়ায় এবং ভালোবাসায় আমি আমার ৫০তম টিউনের কাছাকাছি চলে এসেছি,শুধুমাত্র আপনাদের জন্যই আমি এতদূর আসতে পেরেছি। তবে ৫০তম টিউনে আপনাদের জন্য রয়েছে চমক।
ছোট এই টিউনটি যথাসম্ভব গুছিয়ে করার চেষ্টা করেছি।কতটুকু পেরেছি তা আপনারা ভাল বলতে পারবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখবেন এবং একটা অনুরোধ, ভাল মন্দ যে কোন ধরনের কমেন্ট এবং সমালোচনা বেশি বেশি করবেন,যার ফলে এই টিউনের ভুল গুলো আমার চোখে পরবে এবং নেক্সট টিউনে সেগুলো শুধরে নেওয়ার চেস্টা করবো ফলে ভবিষ্যতে আরও ভাল টিউন আপনাদের উপহার দিতে পারব।
ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ সবাই কে।
আকাশ
আমার আগের টিউন গুলি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
আমি শুভ্র আকাশ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 72 টি টিউন ও 1922 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
খুবই সুন্দর টিউন!