লক্ষাদিক আনন্দের একটি স্থান হল আমাদের প্রিয় স্কুল (পড়ালেখা আর পরীক্ষার কথা বাদ দিলে)। বছরের শুরু থেকে ইতিমধ্যে সারা বিশ্বের অনেক দেশে ক্লাস শুরু হয়ে গেছে । কিন্তু বিশ্বের কিছু অংশে রয়েছে এমন কিছু স্কুল যেখানে যাওয়া অনেকটা কষ্টকর ব্যাপার। সারা বিশ্বের অনেক শিশুকে শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য সবচেয়ে কষ্টকর, অবিশ্বাস্য এবং অকল্পনীয় যাত্রা পথে চলতে হয়।
ইউনেস্কোর মতে, স্কুলের সাথে শিশুদের সংযোগের অগ্রগতি গত পাঁচ বছর ধরে অনেক হ্রাস পেয়েছে। এমনিতে এই দুর্গম পথে পাড়ি দিয়ে স্কুলে যাওয়াটা কষ্টকর ব্যাপার তার উপর প্রায়ই বন্যা কিংবা প্রাকৃতিক ঝরের কারণে স্কুলে যাওয়াটা আরও কঠিন হয়ে পরে বাচ্চাদের জন্য। বিপজ্জনক পথ পাড়ি দিতে হবে বলে অনেক শিশু স্কুল ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
আপনি হয়ত ভাবছেন এর সমাধান সহজ হতে পারে: যেমন সড়ক ও সেতু নির্মাণ, বাস ক্রয় এবং একটি ড্রাইভার ভাড়া। যাইহোক, অনেক দেশে ফান্ডের অভাব এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য সকল সুবিধা শিশুদের প্রদান করা কঠিন হয়ে পরে।
আজ এমনই কিছু যাত্রাপথের সংগৃহীত কিছু ছবি এই টিউনে তোলে ধরলাম।
গুলু, চীন, সম্ভবত সবচেয়ে দূরবর্তী আর বিপদজনক স্কুলের পথযাত্রা । পর্বতমালার মধ্যে ১ ফিট প্রশস্ত পথ এবং ৫ ঘন্টা জার্নি করতে হয় সেই পথ ধরে স্কুলে পোঁছতে হলে।
অসুরক্ষিত কাঠের মই বেয়ে উপরে আরোহণ করতে হয় স্কুলে যাওয়ার জন্য , ঝাঙ জিওইয়ান গ্রাম, দক্ষিণ চীন ।
যান্সকারের মাধ্যমে একটি বোর্ডিং স্কুলে ভ্রমণরত শিশুরা , হিমালয় পর্বত ।
ছাত্রদের একটি ক্ষতিগ্রস্ত ব্রীজ পারাপার, লেবাক , ইন্দোনেশিয়া ।
এই ক্ষতিগ্রস্ত ব্রীজের কথা শুনার পর ইন্দোনেশিয়া বৃহত্তম ইস্পাত প্রযোজক, পিটি ক্রারকাটাউ ইস্পাত, একটি নতুন সেতু নির্মাণ করে দেন যাতে শিশুরা নিরাপদে নদী পার করতে পারে ।
রিও নিগ্রো নদীর, কলম্বিয়ায় একটি স্টিলের তারের উপরে শিশুরা রীতিমত উড়ে যাতায়াত করে!!
ছাত্রদের শাল্তি বাহিয়া যেতে হয় স্কুল করার জন্য। রিও,, ইন্দোনেশিয়া।
একটি বৃক্ষমূল সেতু দিয়ে যেতে হয় শিশুদের তাদের স্কুলে, ভারত ।
একটি মেয়ে ষাঁড়ের উপর বসে স্কুলের পথে রওনা দিয়েছে, মায়ানমার।
স্কুলে যেতে হয় তাদের অটোরিক্সায় করে, বেলডাঙা, ভারত ।
তুষারপাতের মধ্যে একটি ভাঙা সেতু পার হয়ে স্কুলে যাচ্ছে ছাত্ররা। দুজিয়াং্যান, সিচুয়ান প্রদেশ, চীন ।
শ্রীলঙ্কায় ১৬ শতাব্দীতে নির্মিত দুর্গের দেয়ালে একটি কাঠের তক্তা জুড়ে দিয়ে তার উপরে হেঁটে চলেছে স্কুলের মেয়েরা।
একটি বোর্ডিং স্কুলে যাওয়ার জন্য ১২৫ মাইল পথযাত্রা করতে হয়। পিলি, চীন ।
একটি কাঠের নৌকার ছাদে ভ্রমণরত শিশু রা, পাঙ্গুরুরুরান, ইন্দোনেশিয়া ।
একটি ৩০ ফুট উঁচু নদীর উপরে টাঙানো দড়ি বেয়ে স্কুলে পৌছতে হয় ছাত্রদের , পদং, সুমাত্রা, ইন্দোনেশিয়া ।
ফিলিপাইন, রিজাল প্রদেশের প্রাথমিক স্কুলের ছাত্র টায়ারের টিউবে করে একটি নদী পার হচ্ছে কেবলমাত্র স্কুলে যাওয়ার জন্য
একটি অস্থায়ী বাঁশের ভেলায় করে ক্চিলাংকাপ নদী পাড় হচ্ছে চিলাংকাপ গ্রামের ছাত্রীরা, ইন্দোনেশিয়ার ।
এত কষ্ট করে আমাদের কখনো স্কুলে যেতে হয়নি। কিন্তু তবুও আমাদের স্কুল ভালো লাগতো না!! 🙂
আমি Ripa das। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 6 টি টিউন ও 15 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
অস্থির লেখা