আসসালামু আলাইকুম। টেকটিউনস ওয়েবসাইটের নতুন আরো একটি টিউনে আপনাকে স্বাগতম। আমি স্বপন আছি আপনাদের সাথে, আশাকরি সকলেই অনেক অনেক ভালো আছেন। স্বাগতম সবাইকে কম্পিউটারের বিভিন্ন পার্টসের নাম ও কার্যকারিতা নিয়ে নতুন আরো একটি টিউনে। বন্ধুরা কম্পিউটার নামটি আমরা সকলেই শুনেছি। এমনকি আজকের পোস্টটি যারা পড়ছেন তাদের মধ্যে অনেকেই কম্পিউটার ব্যবহার করেছেন। এখন প্রশ্ন হল, আপনি কম্পিউটার সম্পর্কে ঠিক কতটা জানেন? আমি শিওর এখানে আপনারা অনেকে আছেন যারা শুধুমাত্র কম্পিউটার ব্যবহার করেন তবে কম্পিউটার সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানেন না। কম্পিউটার শব্দটি একটি গ্রিক শব্দ "কম্পিউট" থেকে এসেছে। কম্পিউট শব্দের আভিধানিক অর্থ হিসাব বা গণনা করা এবং কম্পিউটার শব্দের অর্থ গণনাকারী যন্ত্র।
সারাবিশ্বে বিজ্ঞানভিত্তিক যত বিস্ময়কর আবিষ্কার হয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম আবিষ্কার হল কম্পিউটার। কম্পিউটার একটি প্রোগ্রাম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র, যা ক্ৰমান্বয়ে এবং স্বয়ংক্রিভাবে কাজ করতে সক্ষম। যে কাজগুলো করতে আপনার অনেক বেশি সময় প্রয়োজন সেই কাজগুলোতে কম্পিউটার দ্বারা সহজেই করে নিতে পারবেন। শক্তিশালী এই ডিভাইসটি দিয়ে শুধুমাত্র কাজ করলেই হবে না উক্ত ডিভাইসটির জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির পরিচয় গুলো খুব ভালোভাবে জানতে হবে। ফলে আপনি নিজেই উক্ত ডিভাইসটি নিয়ে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে সমাধান করতে পারবেন। আজকের পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার পর আপনারা যা যা জানতে পারবেনঃ
সাধারণভাবে আমরা কম্পিউটার কি বলতে পারি, কম্পিউটার এমন একটি যন্ত্র যা নির্দিষ্ট নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করে। আরো বলতে গেলে, কম্পিউটার একটি ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস। কম্পিউটার ইনপুট ডিভাইসের সাহায্যে ডাটা গ্রহণ করে এবং সেগুলোকে প্রক্রিয়াজাত করে এবং আউটপুট ডিভাইসের সাহায্যে তথ্য আকারে সেই ডাটা সরবরাহ করে। কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার দিয়ে তৈরি। তাই আমরা বলতে পারি কম্পিউটারকে কোনো অর্থে বেঁধে রাখা যাবে না। কম্পিউটারের অর্থ হল প্রতিটি ব্যক্তির জন্য আর ব্যবহারের উপর নির্ভর করে।
আপনি আপনার প্রয়োজনীয় কোন কাজকে খুব অল্প সময়ে সম্পন্ন করতে কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারেন। কারণ একটি কম্পিউটারের মাঝে সকল প্রকার শক্তিশালী মেশিন অথবা প্রোগ্রামিং স্থাপন করা থাকে। যা আপনার যেকোনো কঠিন কাজকেই মুহূর্তের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে করে দিতে সক্ষম। বর্তমানে বিশ্বেস করে কম্পিউটার প্রোগ্রামের উপর ভিত্তি করে অনেক বড় বড় এ আই অথবা মেশিন লার্নিং ওয়েবসাইট রয়েছে। এই সার্ভিসগুলো মূলত শক্তিশালী কম্পিউটার প্রোগ্রামিং দ্বারা নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে। অনেক কঠিন কাজকে সহজে এবং অল্প সময়ে সমাধান করার মেশিনটিকে কম্পিউটার বলা হয়।
যে যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে কম্পিউটার তৈরি করা হয় তাকে কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ অংশ বলে। এরকম অনেক যন্ত্রাংশ মিলে কম্পিউটার তৈরি করে। কারণ শুধুমাত্র একটা জিনিস দিয়েই এত শক্তিশালী মেশিন লার্নিং প্রোগ্রাম বানানোর সম্ভব নয়। আর আমরা প্রত্যেকে জানি কম্পিউটারের কার্যক্রম কতটা শক্তিশালী হয়ে থাকে। এত পাওয়ারফুল সিস্টেমকে বানানোর জন্য অবশ্যই একাধিক যন্ত্রাংশ ব্যবহার করতে হবে। ঠিক তেমনি একাধিক যন্ত্রাংশ নিয়ে তৈরি শক্তিশালী মেশিন এর নাম হলো কম্পিউটার। এবার আমরা এই কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। তার আগে চলুন কম্পিউটার সম্পর্কে মজার আর একটু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
কম্পিউটার, এটি সাধারণ একটি শব্দ নয়। এর বিশেষ কিছু মানে রয়েছে, তাহলে এবার অনেকে হয়ত ভাববেন কম্পিউটারে ফুল মিনিং/ full from কী? সাধারণত প্রযুক্তিগতভাবে কম্পিউটারের কোনো ফুল মিনিং আবিষ্কার হয় নাই। তবে পৃথিবীতে কম্পিউটারের কাল্পনিক ফুল মিনিং রয়েছে। এই full meaning computer এর কাজ ক্ষমতা এবং আদর্শকে নির্দেশ করে। এটি মূলত বিশ্লেষকরা কিছুটা বিশ্লেষণ করে কম্পিউটার নামের ফুল মিনিং তৈরি করেছে। তবে আমি মনে করি কম্পিউটার সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আপনার এই জিনিসটাও জেনে নেওয়া উচিত। তোর চলুন এবার জেনে নেওয়া যায় কম্পিউটারে ফুল মিনিং কি?
কম্পিউটারের বিভিন্ন পার্টসের নাম ও কাজগুলো সহজ ভাবে আপনাদেরকে কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের নাম বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করব। কারণ আপনারা যদি কম্পিউটারের সমস্ত যন্ত্রাংশ নাম এবং কার্যক্ষমতা সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারেন তাহলে কম্পিউটার ব্যবহার আপনাদের জন্য আরো সুবিধা জনক হয়ে উঠবে। কাজ করতে করতে অনেক সময় অনেকের কম্পিউটারে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা যায়। আপনি যখন কম্পিউটারের সমস্ত যন্ত্রাংশ সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানতে পারবেন, তখন আপনি নিজেই আপনার কম্পিউটারের সমস্যাগুলো খুব সহজেই সমাধান করে নিতে পারবেন। আপনি আপনার কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য ইউটিউব কেউ ফলো করতে পারেন।
কম্পিউটার হার্ডওয়্যার হল কম্পিউটার সিস্টেমের কাজ করার জন্য, একটি সার্কিট বোর্ডের সাথে সবকিছুকে অন্তর্ভুক্ত করা। মাদারবোর্ড, গ্রাফিক্স কার্ড, সিপিইউ (সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট), ভেন্টিলেশন ফ্যান, ওয়েবক্যাম, পাওয়ার সাপ্লাই ইত্যাদি সহ। যদিও হার্ডওয়্যারের ডিজাইন ডেস্কটপ পিসি এবং ল্যাপটপের মধ্যে পার্থক্যের কারণে তাদের আকারের পার্থক্যের জন্য, একই মূল উপাদান উভয়েই পাওয়া যাবে। হার্ডওয়্যার ছাড়া, প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার চালানোর কোনো উপায় থাকবে না যা কম্পিউটারকে এত দরকারি করে তোলে। সফটওয়্যার আপনার কম্পিউটারে চালানো ভার্চুয়াল প্রোগ্রাম হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।
এর মানে হলো অপারেটিং সিস্টেম, ইন্টারনেট ব্রাউজার, ওয়ার্ড-প্রসেসিং ডকুমেন্ট ইত্যাদি। যদিও একটি কম্পিউটার এর কাজ করতে প হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার উভয়ই একসাথে প্রয়োজন হয়। একটি কম্পিউটারের গতি মূলত তার ব্যবহৃত হার্ডওয়্যারের উপর নির্ভর করবে। একটি নতুন কম্পিউটার তৈরি করার সময়, বা কেবল পুরানো অংশগুলি প্রতিস্থাপন করার সময়, আপনাকে আপনার কম্পিউটারের নির্দিষ্ট হার্ডওয়্যারটি জানতে হবে। তাই এই নির্দেশিকাটির উদ্দেশ্য হল আপনাকে আপনার কম্পিউটারের ভেতরের কাজগুলি বুঝতে সাহায্য করা।
একটি পিসি কি কাজ করে তার কেন্দ্রে থাকে মাদারবোর্ড। এটিতে সিপিইউ রয়েছে এবং এটি একটি হাব যা অন্য সমস্ত হার্ডওয়্যারের মাধ্যমে চলে। মাদারবোর্ড মস্তিষ্ক হিসেবে কাজ করে। যেখানে এটির প্রয়োজন সেখানে শক্তি বরাদ্দ করা, অন্য সমস্ত উপাদানগুলির সাথে যোগাযোগ করা এবং সমন্বয় করা - এটিকে একটি কম্পিউটারে হার্ডওয়্যারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলির মধ্যে একটি করে তোলে। একটি মাদারবোর্ড নির্বাচন করার সময়, মাদারবোর্ডটি কোন হার্ডওয়্যার পোর্ট সরবরাহ করে তা পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। কতগুলি USB পোর্ট এবং সেগুলি কী গ্রেড (USB 2.0, 3.0, 3.1), সেইসাথে কোন ডিসপ্লে পোর্টগুলি ব্যবহার করা হয় (HDMI, DVI, RGB) এবং প্রতিটিতে কতগুলি রয়েছে তা পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ৷
মাদারবোর্ডের পোর্টগুলি আপনাকে অন্য কোন হার্ডওয়্যার আপনার কম্পিউটারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে তা নির্ধারণ করতে সাহায্য করবে, যেমন আপনি কোন ধরনের RAM এবং গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করতে পারেন। এই সমস্ত যন্ত্রপাতি মাদারবোর্ডের সাথে সংযুক্ত করতে হয়। আপনি যখন কম্পিউটারের যন্ত্রপাতিগুলো মাদারবোর্ডের সাথে সংযুক্ত করবেন কেবলমাত্র তখনই সেই যন্ত্রটি উক্ত কম্পিউটারের জন্য সচল হয়ে যাবে। কোন যন্ত্রপাতির মাদারবোর্ডের সাথে সংযোগ ত্রুটি হয়ে থাকলে সে যন্ত্রটি উক্ত কম্পিউটারের জন্য বিকল হয়ে যাবে। যার ফলে কম্পিউটার সঠিকভাবে কাজ করবে না। এজন্য একটি কম্পিউটারকে সচল রাখার জন্য অবশ্যই মাদারবোর্ডের গুরুত্ব অপরিসীম।
সিপিইউ (সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট বা প্রসেসর) আপনার কম্পিউটার দ্বারা চালিত প্রোগ্রাম থেকে সমস্ত তথ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য দায়ী। 'ঘড়ির গতি', বা প্রসেসর যে গতিতে তথ্য প্রক্রিয়া করে তা গিগাহার্টজ (GHz) এ পরিমাপ করা হয়। এর মানে হল যে একটি উচ্চ GHz রেটিংয়ের বিজ্ঞাপণ দেয় এমন একটি প্রসেসর সম্ভবত একই ব্র্যান্ড এবং বয়সের একইভাবে নির্দিষ্ট প্রসেসরের চেয়ে দ্রুত কাজ করবে। এক্ষেত্রে একটি সিপিইউ সেন্ট্রাল প্রসেসিং বা প্রসেসর ইউনিট তৈরি হয়ে থাকে। গীগা হার্জ রেটিং একটি কম্পিউটারের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
একটি কম্পিউটারে গীগা হার্জ রেটিং যত ভালো হবে সে কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা তত দ্রুত হবে। গীগা হার্জ মূলত একটি কম্পিউটারে স্পিড অপটিমাইজ করার জন্য অনেক বেশি জরুরি। আমরা যখন কম্পিউটারে কাজের সময় কোন অপশনে ক্লিক করব সে অপশনটি গিগা হাজের কারণে অনেক দ্রুত লোডিং হবে। গিগা হার্জ রেটিং এর কারণে একটি কম্পিউটারের গেমিং পারফরম্যান্স তুলনামূলকভাবে অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই কম্পিউটার কেনা অথবা বানানোর সময় অবশ্যই আপনাকে উচ্চ গিগাহার্জ সম্পূর্ণ সিপিইউ বাছাই করা উচিত। এতে আপনি আপনার কম্পিউটার থেকে অনেক ভালো পারফরম্যান্স পাবেন।
RAM এর পূর্ণরূপ হচ্ছে 'RANDOM অ্যাক্সেস মেমােরি' 'RANDOM ACCESS MEMORY'। এছাড়া, কিছু ক্ষেত্রে RAM কে 'Direct Access Memory' বলা হয়। RAM হচ্ছে কম্পিউটার এর একটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি হার্ডওয়্যার। র্যান্ডম অ্যাক্সেস মেমরি, বা RAM, মাদারবোর্ডের মেমরি স্লটে পাওয়া হার্ডওয়্যার। RAM-এর ভূমিকা হল প্রোগ্রামগুলির দ্বারা তৈরি করা অন-দ্য-ফ্লাই তথ্য অস্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা এবং এমনভাবে করা যাতে এই ডেটা অবিলম্বে অ্যাক্সেসযোগ্য হয়। RAM মেমরি প্রয়োজন যে কাজ হতে পারেঃ
ডেক্সটপ কম্পিউটার অথবা স্মার্টফোনের RAM হচ্ছে এমন একটি 'স্টোরেজ মেমােরি ডিভাইস' যা কিছু সময়ের জন্যে যেকোনো 'অ্যাপ্লিকেশান' প্রসেস করার উদ্দেশ্য অ্যাপ্লিকেশানের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন তথ্য এবং ডাটাকে অস্থায়ীভাবে নিজের কাছে জমা রাখে। আপনার কতটা RAM প্রয়োজন তা নির্ভর করে আপনি যে প্রোগ্রামগুলি চালাবেন তার উপর। মাঝারি তীব্রতার গেমিং অন্যান্য প্রোগ্রামের সাথে সঞ্চালিত হলে সাধারণত 8GB মেমরি ব্যবহার করে, তবে ভিডিও/গ্রাফিক ডিজাইন 16GB এর উপরে RAM ব্যবহার করতে পারে। আপনার কম্পিউটারের কত মেমরি প্রয়োজন তা খুঁজে বের করুন।
হার্ড ড্রাইভ একটি স্টোরেজ ডিভাইস যা স্থায়ী এবং অস্থায়ী ডেটা সংরক্ষণের জন্য দায়ী। এই তথ্যটি বিভিন্ন আকারে আসে, তবে এটি মূলত কম্পিউটারে সংরক্ষিত বা ইনস্টল করা কিছু: যেমন, কম্পিউটার প্রোগ্রাম, পারিবারিক ছবি, অপারেটিং সিস্টেম, ওয়ার্ড-প্রসেসিং ডকুমেন্ট ইত্যাদি। হার্ডডিস্ক ড্রাইভ হলো কম্পিউটারের সহায়ক মেমোরি, যা বিভিন্ন ভাগ বা পার্টিশনে এক একটি খণ্ড খণ্ড স্টোরেজ হিসেবে থাকে। আর এ খণ্ড খণ্ড স্টোরেজ নির্দেশকগুলো হলো ড্রাইভ আইকন, যাকে বলে লোকাল ডিস্ক। এই ডিস্ক ড্রাইভগুলো C, D, E ইত্যাদি নামে থাকে। ডেস্কটপের This PC আইকনে ডাবল ক্লিক করলে কার্যকরী ড্রাইভগুলোর তালিকা দেখা যায়। ড্রাইভের মধ্যে ডিরেক্টরি বা ফোল্ডার এবং বিভিন্ন ধরনের ফাইল থাকে।
কম্পিউটারে হার্ড ড্রাইভ ছাড়াও সিডি ড্রাইভ ও অন্যান্য ড্রাইভ থাকতে পারে। দুটি ভিন্ন ধরনের স্টোরেজ ডিভাইস রয়েছে: ঐতিহ্যবাহী হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ (HDD) এবং নতুন সলিড স্টেট ড্রাইভ (SSD)। হার্ড ডিস্ক ড্রাইভগুলো স্পিনিং ম্যাগনেটিক ডিস্কগুলিতে বাইনারি ডেটা লিখে কাজ করে যাকে প্ল্যাটার বলা হয়। যা উচ্চ গতিতে ঘোরে এবং ডেটা সঞ্চয় করে। একটি ভালো হার্ডডিস্ক ড্রাইভ আপনার কম্পিউটারের লোডিং স্পিড তুলনামূলকভাবে অনেক বাড়িয়ে দিতে সক্ষম। এছাড়া আপনি যদি একজন গেমিং ইউজার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার কম্পিউটারের জন্য অবশ্যই একটি ভালো মানের হার্ডডিস্ক ড্রাইভ ব্যবহার করা উচিত। এতে আপনার কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা অনেক বেড়ে যাবে।
3D রেন্ডারিংয়ের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, GPU ঠিক যা তার নাম প্রস্তাব করে এবং গ্রাফিক ডেটার বিশাল ব্যাচগুলিকে প্রক্রিয়া করে। আপনি দেখতে পাবেন যে আপনার কম্পিউটারের গ্রাফিক্স কার্ডে অন্তত একটি জিপিইউ আছে। পিসি মাদারবোর্ড সরবরাহ করে এমন মৌলিক অন-বোর্ড গ্রাফিক্স ক্ষমতার বিপরীতে, গ্রাফিক রেন্ডারিং-এ প্রায় একচেটিয়াভাবে কাজ করার জন্য একটি সম্প্রসারণ স্লটের মাধ্যমে ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স কার্ডগুলি মাদারবোর্ডের সাথে ইন্টারফেস করে। এর মানে হল আপনি আপনার গ্রাফিক্স কার্ড আপগ্রেড করতে পারেন যদি আপনি আপনার পিসি থেকে একটু বেশি পারফরম্যান্স পেতে চান। পিসির পারফরম্যান্স বাড়ানোর জন্য গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট (GPU) এর ব্যবহার দিন দিন তুলনামূলকভাবে বেড়েই চলছে।
গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট (GPU) আসলেই একটি পিসির খুব ভালোভাবেই পারফরম্যান্স বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে আপনি যদি একজন নিয়মিত গেমিং ইউজার হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার কম্পিউটারের জন্য গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট (GPU) সেটআপ করতে হবে। নয়তো আপনি আপনার কম্পিউটার থেকে গেমিং এর জন্য খুব ভালো পারফরমেন্স পাবেন না। অনেক সময় দেখবেন গেমিং এর মাঝে আপনার কম্পিউটার ল্যাগিং, হ্যাং হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সব নানারকম সমস্যা দেখতে পারবেন। এছাড়াও পিসিতে কোন ভারী কাজ যেমন প্রফেশনাল ভাবে ভিডিও এডিট করতে ধরলে আপনার পিসি আগের তুলনায় অনেক স্লো কাজ করবে। তাই আপনার পিসির পারফরম্যান্স ঠিক রাখতে অবশ্যই আপনার কম্পিউটারের জন্য গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট (GPU) ব্যবহার করা উচিত।
পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট, আপনার কম্পিউটারকে পাওয়ার সরবরাহ করার চেয়ে আরও বেশি কিছু করে। এটি এমন একটি বিন্দু যেখানে শক্তি একটি বাহ্যিক শক্তির উৎস থেকে আপনার সিস্টেমে প্রবেশ করে এবং তারপর মাদারবোর্ড দ্বারা পৃথক উপাদান হার্ডওয়্যারে বরাদ্দ করা হয়। সমস্ত হার্ডওয়্যারকে কার্যকরভাবে পাওয়ার জন্য একটি আধুনিক কম্পিউটারের জন্য সাধারণত 500W-850W এর মধ্যে রেট করা একটি পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট প্রয়োজন, যদিও পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট এর আকার সম্পূর্ণরূপে সিস্টেমের শক্তি খরচের উপর নির্ভর করবে।
গ্রাফিক ডিজাইন বা গেমিংয়ের মতো অত্যন্ত নিবিড় কাজগুলির জন্য ব্যবহৃত কম্পিউটারগুলিতে আরও শক্তিশালী পাওয়ার সাপ্লাই প্রয়োজন হবে এবং এইভাবে এই অতিরিক্ত প্রয়োজন মেটাতে একটি বড় পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট ব্যবহার করতে হবে। আপনি যখন আপনার কম্পিউটার দিয়ে কোন ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন তখন মাত্র এক ঘণ্টা অথবা ২ ঘণ্টায় আপনার ভিডিও এডিট সম্পূর্ণ হবে না। একটি ভিডিও সম্পূর্ণভাবেই এডিট করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা সময় ব্যয় করতে হবে। এই লম্বা সময় আপনার কম্পিউটারকে সচল রাখার জন্য অবশ্যই একটি ভালো পাওয়ার সাপ্লাই ব্যবহার করতে হবে। নয়তো একটু পরে পরে আপনার পিসি অটোমেটিক বন্ধ হওয়া এবং চালু হওয়ার মত জটিল সমস্যা হতে পারে।
বন্ধুরা আজকের টিউনে কম্পিউটারের বিভিন্ন পার্টসের নাম ও কার্যকারিতা সম্পর্কে খুব ভালোভাবেই জানতে পারলাম। আপনার যদি একটি কম্পিউটার থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। আপনি যদি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে খুব বেশি না জানেন তাহলে হঠাৎ করেই আপনার কম্পিউটারে কাজের মাঝে কোন সমস্যা হলে আপনি নিজেই সেই সমস্যা সমাধান করতে পারবেন না। আর আপনি যখন আপনার কম্পিউটারের সকল যন্ত্রাংশ সম্পর্কে খুব ভালোভাবে ধারণা পাবেন তখন আপনার কম্পিউটারে যেকোনো ধরনের সমস্যাকে আপনি নিজেই সমাধান করতে পারবেন। ফলে কম্পিউটার সার্ভিস করানোর বার্তি খরচ বেঁচে যাবে।
এছাড়া আপনি আপনার কম্পিউটার সার্ভিস করার জন্য যখন কোন সার্ভিসিং সেন্টারে যান তখন তারা আপনার সমস্যাজনিত জিনিস থেকে আরও বেশি সমস্যা করে অনেক বেশি অর্থ দাবি করে। যার ফলে খুব ছোট সমস্যাও অনেক বড় হয়ে যায় এবং আপনাকে অনেক বেশি অর্থ খরচ করে সমস্যার সমাধান করতে হয়। তারপর কয়দিন পর পর দেখবেন সেই সমস্যা পুনরায় দেখা যায় এবং আপনাকে পুনরায় অর্থ খরচ করে সে সমস্যার সমাধান করতে হয়। আজকের পোস্টটি পড়ার পর কম্পিউটারে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সম্পর্কে আপনি জানলেন আশাকরি আপনার সেই যন্ত্রাংশগুলোর যে কোন সমস্যায় আপনি সহজে বুঝতে পারবেন। এবং আপনি নিজেই তা সমাধান করতে পারবেন। এছাড়াও আজকের টিউন নিয়ে আপনার মনে কোনো মন্তব্য থেকে থাকলে তা অবশ্যই টিউমেন্ট করে জানাবেন। আপনার করা মন্তব্যটি গঠনমূলক হলে তা অবশ্যই আমি আমার টিউনে যুক্ত করে নেব।
তো বন্ধুরা, এই ছিল আমাদের আজকের টিউন, কম্পিউটারের বিভিন্ন পার্টসের নাম ও কার্যকারিতা! আশাকরি টিউন টি আপনাদের একটু হলেও হেল্পফুল হবে। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি, দেখা হবে পরবর্তী টিউনে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ততক্ষণ অবধি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং টেকটিউনস এর সাথেই থাকবেন।
আমি স্বপন মিয়া। Sonic টিউনার, টেকটিউনস, গাইবান্ধা, রংপুর। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 107 টি টিউন ও 29 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
টেকনোলজি বিষয়ে জানতে শিখতে ও যেটুকু পারি তা অন্যর মাঝে তুলে ধরতে অনেক ভালো লাগে। এই ভালো লাগা থেকেই আমি নিয়মিত রাইটিং করি। আশা করি নতুন অনেক কিছুই জানতে ও শিখতে পারবেন।