বিটকয়েন নিয়ে প্রথম লিখছি। বিটকয়েনসম্পর্কে খুব একটা না জানলেও খুব একটা খারাপ জানি না।
আজকের টিউনে বিট কয়েন এর উপর একটা সাধারণ ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করব।
তবে তার আগে চলুন বিটকয়েনের ইতিহাস সম্পর্কে এবং এর একক সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক।
বিটকয়েন হল লেনদেন হওয়ার সাংকেতিক মুদ্রা। ২০০৮ সালে সাতোশি নাকামোতো এই মুদ্রাব্যবস্থার প্রচলন করেন। তিনি এই মুদ্রাব্যবস্থাকে পিয়ার-টু-পিয়ার লেনদেন নামে অভিহিত করেন। বিটকয়েনের লেনদেনটি বিটকয়েন মাইনার নামে একটি সার্ভার কর্তৃক সুরক্ষিত থাকে। পিয়ার-টু-পিয়ার যোগাযোগ ব্যাবস্থায় যুক্ত থাকা একাধিক কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের মধ্যে বিটকয়েন লেনদেন হলে এর কেন্দ্রীয় সার্ভার ব্যবহারকারীর লেজার হালনাগাদ করে দেয়। একটি লেনদেন সম্পন্ন হওয়ার সাথে সাথে নতুন বিটকয়েন উৎপন্ন হয়। ২১৪০ সাল পর্যন্ত নতুন সৃষ্ট বিটকয়েনগুলো প্রত্যেক চার বছর পরপর অর্ধেকে নেমে আসবে। ২১৪০ সালের পর ২১ মিলিয়ন বিটকয়েন তৈরী হয়ে গেলে আর কোন নতুন বিটকয়েন তৈরী করা হবে না।
খুব কঠিন মনে হচ্ছে? কোন সমস্যা নাই। এক বিটকয়েন সমান কত ডলার তা জানলেই পাগল হয়ে যাবেন বিটকয়েন আয় করার জন্য।
এবার আসা যাক বিটকয়েন সম্পর্কিত কিছু কিছু এককের ধারণায়-
আপনার বিটকয়েন কোথায় পাবেন এবং কোথায় রাখবেনন ঃ-
আপনার বিটকয়েন রাখার জন্য অবশ্যই আপনার একটা বিটকয়েন ওয়ালেট লাগবে। বিটকয়েন ওয়ালেট আপনি কয়েনবেস থেকে পেতে পারেন। ওয়ালেট এর জন্য এখনই Coinbase -এ গিয়ে আপনার ই-মেইল এড্রেস, পাসওয়ার্ড দিয়ে একটা একউন্ট খুলে নিন।
বিটকয়েন পাওয়ার জন্য জন্য অবশ্যই আপনাকে যে সকলসাইট থেকে বিটকয়েন আর্ন করা সম্ভব সেগুলো থেকে একটা একাউন্ট করে নিতে হবে
বিটকয়েন এড্রেসস ঃ-
বিটকয়েন আর্ন করার জন্য আপনাকে অবশ্যই বিটকয়েন এড্রেস এর অধিকারী হতে হবে।
বিটকয়েন এড্রেস কোথায় পাবেন ভাবছেন.?
কোনো সমস্যা নাই। আপনার কয়েনবেস একাউন্ট থেকেই এই এড্রেস পাবেন। এজন্য প্রথমে সেটিংস > বিটকয়েন এড্রেস -এ ক্লিক করুন। তারপর অইখানে আপনি Create a new - তে ক্লিক করলেই নতুন একটা এড্রেস পেয়ে যাবেন।
নোটঃ মনে রাখবেন, প্রত্যেকটি সাইটের জন্য আলাদা একটা করে এড্রেস তৈরী করবেন। তা না হলে বিপদে পড়বেন।
এবার আসা যাক বিটকয়েন আর্ন করার পদ্ধতিতে ঃ-
বিটকয়েন আর্ন করার কয়েকটি পদ্ধতির মধ্যে সবচেয়ে বেশী ব্যাবহৃত হয় মনে হয় মাইনিং আর কল।
তবে পিটিসি এবং ট্রেডিং এর মাধ্যমেও আর্ন করা যায়।
তবে সবচে সহজলভ্য হলো কল করা।
প্রথম তো বিট কয়েন গেটওয়ে একাউন্ট তৈরি করলেন অনেকটা পেইজার মত। এবার তো আয় করতে হবে। আসলে বিট কয়েন নিয়ে আয় করার অনেক সাইট দেখেছি। কোনটিই আমার তেমন পচ্ছন্দ হয়নি। যে কয়টি সাইট দেখেছি অনেকটাই স্ক্যাম। অর্থাত বিট কয়েন নাম দিয়ে ব্যবসার ফায়দা লুটছে। তাছাড়া নিজে পর্যবেক্ষনে অআছি। যদি তেমন ভাল সাইট পাই তাহলে পরবর্তী পোস্টে জানাব। তবুও মন খারাপের কোন কারন নাই। ফ্রিভাবে বিট কয়েন পাবার জন্য আপনাদের এমন একটি সাইটের লিংক দিব যেখানে প্রতি ঘন্টাতে বিট কয়েন পাবেন কোন রকম কাজ ছাড়াই!
১) প্রথমেএই লিঙ্কেযান।
Your Bitcoin Address – এ কিছুক্ষণ আগে যে বিটকয়েন অ্যাড্রেস তৈরি করলেন সেটা দিন।
Password For Your Account – এখানে আপনার পাসওয়ার্ড দিন।
Repeat Password – এখানে পুনরায় একই পাসওয়ার্ড দিন।
Your Email – এখানে আপনার ইমেইল দিন।
ব্যাস এরপর SIGN UP বাটনে ক্লিক করুন। আপনার একাউন্ট হয়ে গেছে।
অতপর সাইটে লগইন করুন।
এরপর নিচের মত পেজ আসবে।
এরপর কেপচা দেখে বক্স পূরণ করে ROLL এ-ক্লিক করুন।
এরপর যদি নিচের চিত্রের মত টাইমার উঠা শুরু করে তাহলে আপনি Success। আরযদি Invalid Code লেখা আসে তাহলে আবার TRY করুন হয়ে যাবে। এভাবে প্রতি ঘণ্টায় আপনি বিটকয়েন আর্ন করতে পারবেন। আবার ১ ঘন্টা পর আসুন এবং কেপচা পূরণ করে ROLL-এ ক্লিক করুন। দেখবেন একাউন্টে বিট কয়েন যোগ হয়েছে। এভাবে ১ঘণ্টা পরপর ওয়েবসাইটে যান এবং আর্ন করতে থাকুন।
এখানে উল্লেখ্য, re capsa না দিয়ে solve media ব্যবহার করেন। এটা অনেক সহজ। এটা ১০০% পে করে।
এরা প্রতি রবিবার পে করে। আপনার একাউন্ট Balance যদি 0.00030000 বিটকয়েনের বেশি হয় তাহলে সেটা অটোমেটিকভাবে রবিবারে আপনার একাউন্টে চলে যাবে। আপনার কিছু করতে হবে না।
আমি সুজন চক্রবর্তী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 13 টি টিউন ও 28 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।