সবাই গুগলে ওয়েবসাইট র্যাঙ্ক করাতে চায়। এই ওয়েবসাইট র্যাঙ্ক করার জন্য আমরা কত কিছুই না করি। অনেক কিছু করার পরও অনেকে র্যাঙ্ক করতে পারে না। কারণ তাদের কাজের মধ্যে অনেক ভুল থাকে। এই ভুল গুলো হওয়ার অন্যতম কারণ হল অনেকেই ওয়েবসাইট এসইও করার কাজ শুরু করে কিন্তু গুগল এর গুরুত্বপূর্ন র্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর গুলো না জেনেই। সে জন্য কোন কোন বিষয় গুলোর উপর গুরুত্ব দিলে বা কি কি করলে একটি ওয়েবসাইট র্যাঙ্ক করবে তা আগে জানতে হবে।
১. ডোমেইনের বয়স গুগল র্যাকিং এর একটি ফ্যাক্টর। যদিও একটি খুব বড় বিষয় নয় কিন্তু এটিও বিবেচনা করতে হবে।
২. ডোমেইনের মধ্যে কীওয়ার্ড থাকা একটি রিলেভেন্সি সিগন্যাল হিসেবে কাজ করে তাই ডোমেইন কেনার সময় কীওয়ার্ড যুক্ত ডোমেইন কেনার চেষ্টা করুন।
৩. ডোমেইনের মধ্যে যদি কোন দেশের এক্সটেনশন থাকে (যেমনঃ .bd, .cn, .pt. তাহলের সেই ডোমেইনটি ঐ দেশের জন্য ভালো র্যাঙ্ক করবে কিন্তু ওয়াল্ড ওয়াইড র্যাঙ্কিং এর ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ থাকবে।
৪. একটি ওয়েবসাইটের URL ওয়েবসাইট র্যাঙ্কিং এ ভুমিকা রাখে। URL যদি বেশি লম্বা হয় তা র্যাঙ্কিং এর জন্য ঝুকিপূর্ন।
৫. URL এ কীওয়ার্ড ব্যবহার র্যাঙ্কিং এর জন্য ভালো। এটি রিলেভেন্সি সিগন্যাল প্রকাশ করে।
৬. টাইটেলে কীওয়ার্ড একটি ওয়েবসাইটকে র্যাঙ্কিং করতে সাহায্য করে। এটি হল একটি পেজের ২য় গুরুত্বপূর্ন বিষয়। যে টাইটেলটি কীওয়ার্ড দিয়ে শুরু হয় তা অন্য যে টাইটেলের শেষে কীওয়ার্ড থাকে তার থেকে রাঙ্কিং এ এগিয়ে থাকে।
৭. H1 ট্যাগ হল ২য় গুরুত্বপূর্ন ট্যাগ যা গুগল এর কাছে রেলিভেন্সি সিগন্যাল পাঠায়। তাই অবশ্যই H1 ট্যাগে কীওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত।
৮. একটি কন্টেন্ট কতটুকু বড় তার উপর নির্ভর করে একটি ওয়েবসাইটের র্যাঙ্কিং। গুগল বড় কন্টেন্ট গুলো বেশি পছন্দ করে কারণ বড় কন্টেন্ট গুলোর মধ্যে কোন একটি বিষয়ের অনেক গুলো দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। পিলার আর্টিকেল এর ভ্যালু বেশি গুগল এর কাছে। পিলার আর্টিকেল বলতে ৩০০০ শব্দের আর্টিকেলকে বোঝানো হয়ে থাকে।
৯. কন্টেন্টের মধ্যে LSI কীওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। LSI কীওয়ার্ড হলো কীওয়ার্ডের সাথে সমার্থক বা সম্পর্কিত শব্দ। যেমনঃ SEO কীওয়ার্ডের সাথে সম্পর্কিত SEO Optimization, On page optimization ইত্যাদি সবগুলোই LSI কীওয়ার্ড। র্যাঙ্কিং এর জন্য কন্টেন্টে LSI কীওয়ার্ডের ব্যবহার করতে হবে।
১০. গুগল র্যাঙ্ক করার ক্ষেত্রে পেজ লোডিং স্পীডকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে। ওয়েব পেজের প্রত্যেকটি HTML কোড এবং ফাইল সাইজ গুগল র্যাঙ্কিং এ প্রভাব ফেলে।
১১. একজনের কন্টেন্ট কপি করে আরেকজন ব্যবহার করা গুগল এর কাছে একটি অপরাধ হিসেবে গণ্য। ডুপ্লিকেট কন্টেন্টের ওয়েবসাইট গুগল র্যাঙ্ক করে না।
১২. ইমেজ অপ্টিমাইজেশন গুগল র্যাঙ্কিং এর ক্ষেত্র একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ন ফ্যাক্টর। ইমেজের ফাইল নাম, Alt Tag, টাইটেল, ডেসক্রিপশন এবং ক্যাপশন অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে গুগল এর কাছে রেলিভেন্সি সিগন্যাল যায়।
১৩. কীওয়ার্ড প্রমিনেন্স হল কন্টেন্টের প্রথম ১০০ ওয়ার্ডের মধ্যে কীওয়ার্ড থাকা কে বুঝায়। আপনার কীওয়ার্ড যদি কন্টেন্টের প্রথম ১০০ ওয়ার্ডের মধ্যে থাকে তাহলে র্যাঙ্কিং এর জন্য ভালো।
১৪. যখন কোন কীওয়ার্ড অর্ডার অর্থাৎ কীওয়ার্ড ফ্রেজের ওয়ার্ডগুলো গুছানো থাকে তখন সেই কীওয়ার্ড অগোছালো কীওয়ার্ডের তুলনায় ভালো র্যাঙ্ক করবে। যেমনঃ “Graphic Design Tutorial” এবং “Tutorial of Graphic Design” কীওয়ার্ড নিয়ে কাজ করলে “Graphic Design Tutorial” কীওয়ার্ডটি ভালো র্যাঙ্কিং করবে।
১৫. অথরিটি সাইটের সাথে ওয়েবসাইটে আউটবাউন্ড লিঙ্ক থাকলে তা র্যাঙ্কিং এ গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখে।
** Other most important is social media marketing for website ranking. if your want to know details just visit:
আমি মেহেদি হাসান চেীধুরী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 3 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।