কিছু প্রতিষ্ঠান বলছে ২০ হাজার টাকা দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কোর্স করে আপনি মাসে ৩০ থেকে ৫০ হাজার কামাতে (আয় করতে) পারবেন, আর আম জনতা তাই খাচ্ছে। একটা সহজ হিসাব কেন তারা কেউই করছে না, যদি সেটা তেমনী হয় তবে তারা ১০ / ১২ হাজার টাকায় দেশের বেকারদের জব দিয়ে তাদের মাধ্যমে মাসে ৫০ হাজার এক এক জনের দিয়ে কামাইয়া নিতো। একটা কথা বলি, ভাই কেউ কেউ পানি বিক্রয় করে কোটিপতি হইসে তার মানে এই না যে আপনাকে আমি পানি বোতলিকরন শেখাবো আর আপনি কোটিপতি হবেন। আরে ভাই, থামেন তো। যান জিরা পানি খান। শীর্ষ করদাতা কয়েছ (সম্ভবত) হাকিমপুর জর্দা (তামাক) বিক্রয় করে কোটিপতি। ব্যবসায় তার প্রথম ইনভেস্টমেন্ট আড়াই হাজার। যান তো, আপনারা বরং তামাক বিক্রয় করুন।
ব্যাপারটা হচ্ছে, তার সময়ের জন্য তার পদক্ষেপ সঠিক ছিল। সঠিক সময়ে সঠিকভাবে সে সঠিক কাজ করতে পেরেছিল। আমার এই কথার মাঝেই সব কথা বলে দেয়া হয়েছে, যারা বুঝার তারা বুঝে নিন আর না হয় বাশ কোম্পানীতে (ভুয়া কোম্পানী) গিয়ে বিনামূল্যে খেয়ে আসুন। অনলাইনে আমি এমন অনেক ফ্রিলেন্সারদের পরিচয় প্রমানসহ দিতে পারব যারা আপনার জন্য দোয়া করবে এই কথা বলে কোটি টাকা কামাইসে। তারা কিন্তু আসলেই কামাইসে। আবার অনেক আছে যারা দৈনিক ১৬ ঘন্টা কাজ করে ৫ ডলার কামাইসে। এরপরও যদি আপনি আবাল থাকেন (ভুল পথে থাকেন) তবে আপনার জন্য বদনা (হতাশা) ফ্রী।
উনি সেই মহান গুরুজী 😛 যিনি উনার কসমিক পাওয়ার বিক্রয় করে ৩ হাজার ৬ শত বারের বেশী গিগ বিক্রয় করতে পেরেছেন। স্বীকার না করে উপায় আছে, পাওয়ার না থাকলে এতো বার সেইল হয়। দোনিয়াতে আবারের অভার তো একেবারেই কম নয়।
প্রতিযোগিতায় উনি একেবারেই পিছিয়ে নেই। পাওয়ার একটু কম থাকায় উনার গিগ কম সেইল হইছে। একটু দেরীতে উনি এই বিজনেসে আসছেন তাই একটু মান্দা বিজনেস করছেন। আমরা দোয়া করব যেন উনার বিজনেস আরো বেশী হয়। 😆
আরে আরে গুরুজী। কি করেন? আপনি আগে কোথায় ছিলেন? এতো দেরীতে এসেছেন যে, সবাই সব লুটেফুটে খেয়ে নিয়েছে। উনি দেরীতে বিজনেসে নামায় এতো মান্দা বিজনেস করছেন। 🙄
আ হা! বেচারা! না আছে কসমিক পাওয়ার, না আছে তামাক বিক্রয় করার অভিজ্ঞতা। তবে আমি উনাকে স্যালুট করি। উনা যা আয় করছেন তা কষ্ট করেই আয় করছেন। হতে পারে পরিমানে কম। হালাল রুজির স্বাধ তো আর সবাই বুঝেও না। প্রোগ্রামিং এর মতো জটিল জটিল সমস্যার সমাধান দিয়ে উনি গিগগুলো সেইল করছেন। অথচ উনার বিক্রয় হাজার ডলারও অতিক্রম করল না। কেন ভাই?
আমার দৃষ্টিতে উনিই সফল। ফটো এটিং করে প্রায় ১০ হাজার বার গিগ সেইল করতে পারার কপাল সবার হয় না। উনি যে সময় শুরু করেছিলেন সেই সমযের অনেকই উনার ধারে কাছেও নাই। কারণ হলো, উনি তার প্রতিটি গিগ খুবই প্রফেশনালীজম ছুয়া রেখেছেন। একটি দুটি ডেমো নয়, অসংখ্য ডেমো উনার প্রজেক্টে দেখিয়েছেন। উনার গিগ নিয়ে আমি যত রিসার্চ করি ততই নিজেকে বোকা হিসেবে খুজে পাই। আহা আগে কেন আমার মাথায় এলো না। উনার এই আইডিয়া এখন কপি করার কোন মানেই নাই। 😎
এতোক্ষণ ছবিসহ এই কাজগুলো দেখার কারণ কি ধরতে পেরেছেন? সময় পাল্টে গেছে। আসলেই সময় পাল্টে গেছে। এখন অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়তে হলে পরিশ্রম এবং দক্ষতার বিকল্প নেই।
কথা হচ্ছে, ফ্রিল্যান্সিং এ ভবিষ্যৎ আছে যদি আপনি সঠিক মানুষের কাছে সঠিক গাইডলাইন নিয়ে আপনার ভাবনার প্রয়োগ করতে পারেন। শেষে একটি সত্যি ঘটনা বলছি, আপনারা হয়ত জানেন, একজন মানুষ অনলাইনে কোটিপতি হয়েছে শুধু এই কথা বলে যে, আমাকে এক সেন্ট দান করে আমাকে কোটিপতি বানিয়ে দিন প্লীজ। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ এক সেন্ট করে দান করে সত্যি সত্যি তারে কোটিপতি বানিয়ে দিয়েছে। এর কারণ হলো, সেই ছিল প্রথম অনলাইন ভিক্ষুক। তার আইডিয়া ছিল নতুন এবং ক্রিয়েটিভ। এবার যান, ভিক্ষুকের কাছ ভিক্ষা শিখে নিন 😛
অনেকেই আমার কাছে অনলাইনে আয় করার বিষয়ে পরামর্শ চান। যারা কোন কোন বিষয়ে দক্ষ তাদের গাইড করা সহজ হয়। যারা কিছুই জানেন না কিন্তু আয় করে ফেলতে চান তাদের কথা শুনি আর ভাবি, এরাই এক সময় ব্যার্থ হয়ে অনলাইন বাবাদের কাছে গিয়ে ধরা খেয়ে সুজা হয়। কেউ কেউ আবার অনলাইন আয় বলতে কিছু নাই সব মিডিয়ার সৃষ্টি টাইপ স্ট্যাটাস দিয়ে ফেইসবুকের টাইমলাইনে লংমার্চ শুরু করে দেয়। 😳
অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং এর সঠিক গাইডলাইন পেতে আমার সাথে থাকুন আর টিউনটি শেয়ার করুন। আপনার সেই বন্ধুকে রক্ষা করুন যে তার শেষ সম্বল ডিজিটাল চোরদের হাতে তুলে দিতে চাচ্ছে। আমি চাই একজন হলেও এই প্রতারণা থেকে বাচুক। আপনাদের সমর্থন পেলে আমি আমার ৯ বছরের ফ্রিল্যান্সিং অভিজ্ঞতা ধারাবাহিক ভাবে আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
বিনিত অনুরোধ, দোয়া করে কন্টেন্ট কপি করবেন না। কপি পেইসটের যন্ত্রনায় অতিষ্ট হয়ে লেখালেখি ছেড়েই দিয়েছিলাম প্রায়। এই টিউনের অংশবিশেষ ফেবুতে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। যে হারে কপি হতে শুরু হলো তাতে মনে হলো, অনেকেই ভাবতে পারে আমিই কপি করেছি। কেননা, আমার টিউনে যতটা লাইক শেয়ার, যে কপি করেছে তার টিউনে আরো অনেক বেশী। আসলের চেয়ে নকল যখন জ্বল জ্বল করে তখন আসল প্রদীপ নিজেকে লুকিয়ে রাখা ছাড়া আর কি করার আছে। অরিজিনেল কন্টেন্টের রাইটারকে যদি চোর মনে হয়, তবে তার লেখার কোন প্রয়োজন নাই। তাই আপনারা দয়া করে শেয়ার ও টিউমেন্ট করুন। আর যারা কন্টেন্ট চুরি করে তাদের তথ্য সংগ্রহ করে আমাকে দিন। তাদের নিয়েও আমার একটা প্লান আছে। কন্টেন্ট চোরদের সবাই চিনে রাখা উচিত।
ফেইসবুকে আমাকে পাবেন -> https://web.facebook.com/obaydul.shipon
আমি ওবায়দুল হক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 52 টি টিউন ও 109 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
লিজেন্টদের কমিউনিটি টিটি তে আমার মতো সামান্য এক টিউনার আপনাদের সাথে থাকতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আমি খুবই ক্ষুদ্র একজন ওয়েব ডেভলাপার। যেকোন ইকমার্স ওয়েবসাইট ডেভলাপ করতে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। পিএইচপি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে যেকোন ডায়নামিক ওয়েবসাইট ডেভলাপ করতে যোগাযোগ করুন। http://websoftltd.com Mobile: 01718023759 http://www.fb.com/obaydul.shipon
লেখাটা খুব সুন্দর হইছে। ট্রেনিং সেন্টারের নামে যে প্রতারনা চলছে তা তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।