বর্তমান সময়ে Affiliate ও CPA Marketing এর চাইতেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে Online Drop Shipping বিষয়টি। বিজনেস সম্পর্কে সাধারন জ্ঞান সম্পন্ন যে কোনো মানুষ একটু পরিশ্রম করলেই এটির মাধ্যমে মাসে ২০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকারও বেশি আয় করতে পারে ঘরে বসেই।
ড্রপশিপিং ব্যবসা সম্পর্কে এখনও অনেকেই তেমন জানে না। আর যারা একবার এই বিজনেসটিকে বুঝতে পেরেছে, তারা আজ লক্ষ টাকার মালিক হয়ে গেছে।
এই ড্রপশিপিং আসলে কি, ব্যবসাটি করার জন্য আপনাকে কোন কোন বিষয় গুলো জানতে হবে, কিভাবে কোনো টাকা ছাড়াই একটি ড্রপশিপিং বিজনেস শুরু করবেন– এই সব গুলো টপিক নিয়েই আজকের টিউন।
তাই আপনি যদি ড্রপশিপিং বিজনেস করে ইনকাম করতে চান এবং এর মাধ্যমে একটি সফল ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে একটু সময় নিয়ে আজকের পুরো টিউনটি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল।
প্রথমেই ড্রপশিপিং কি তা একটু জেনে নিই,
এটি হলো মূলত অনলাইনের মাধ্যমে এক প্রকার ব্যবসা করার পদ্ধতি।
চিন্তা করে দেখুন তো, একটি ব্যবসায়ে কি কি লাগে? প্রথমেই বড়সড় একটি ইনভেস্ট লাগে, প্রোডাক্ট সোর্সিং করতে হয়, এমপ্লয়ি লাগে, ওয়েবসাইট লাগে, প্রোডাক্টটি ডেলিভারী দিতে হয়, return management করতে হয়, আরো কতো কি!
আর ড্রপশিপিংয়ে এসব কিছুই আপনি পাবেন ফ্রিতে। কোনো প্রকার ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই। আপনি যেকোনো জায়গা থেকেই এই বিজনেসটি করতে পারবেন। শুধু এই বিজনেসের প্রসেসটা জানা থাকলেই হবে। এই বিজনেসটি কিন্তু দেশের বাইরে দীর্ঘদিন থেকে চলে আসছে কিন্তু বাংলাদেশে এই কনসেপ্টটা বেশি পুরাতন না।
ড্রপশিপিংয়ের কাজটা হলো, আপনি জনপ্রিয় কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা বিশ্বস্ত ই-কমার্স ওয়েবসাইটের পণ্য আপনার নিজের ই-কমার্স ওয়েবসাইটে প্রচার করবেন। তারপর সেখান থেকে তা কাস্টমারদের কাছে বিক্রি করবেন। আর এখানে আপনার লাভটা কোথায়?
লাভটা হলো সেলস কমিশন।
এবার সহজ করে বোঝাচ্ছি ব্যাপারটা,
ধরুন, এ্যমাজনে একটি ঘড়ির দাম ১৫ ডলার। আপনি ওই ঘড়িটি আপনার ওয়েবসাইটে ২০ ডলার মূল্যে সেল করার অ্যাড দিলেন। যদি কেউ আপনার কাছে ওই পণ্যটি অর্ডার করে, তাহলে আপনি ১৫ ডলার আসল মূল্য এ্যমাজনকে পরিশোধ করে, ঘড়িটি কাস্টমারের কাছে পাঠিয়ে দিলেন এবং বাকি ৫ ডলার নিজের কাছে রেখে দিলেন। আর এটাই হলো ড্রপশিপিং বিজনেসের সেলস কমিশন বা প্রফিট।
এখানে আপনি প্রোডাক্ট সেল করবেন কিন্তু সেটাকে ধরা ছোয়া কিছুই করতে হবে না, সবই করে দেবে অন্য সাইট। আপনি শুধু মাঝখান থেকে প্রোডাক্ট সেল করে প্রাফিটটা নিবেন।
এবার এই ড্রপশিপিং বিজনেস করার প্রসেস সম্পর্কে জেনে নিই-
পণ্যের ক্যাটাগরি সিলেক্ট করতে হবে:
ড্রপশিপিংয়ের জন্য শুরুতেই আপনি কোন কোন প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করতে চান সেটা সিলেক্ট করতে হবে। এই বিজনেসে অনেক ধরনের প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করার সুযোগ থাকে কারণ এখানে প্রোডাক্ট স্টক করার ঝামেলা নেই। যেসব পণ্যের মার্কেটিং আপনি সহজেই করতে পারবেন এবং যে ধরনের পণ্য কাস্টমাররা বেশি কেনে এমন জনপ্রিয় পণ্যকে আপনি ড্রপশিপিং এর জন্য সিলেক্ট করতে পারেন।
ভালো সাপ্লাইয়ার খুঁজতে হবে:
পণ্য সিলেক্ট করার পর সেগুলো সাপ্লাই দিতে পারবে এমন এক বা একাধিক সাপ্লাইয়ারদের সাথে ডিল করে রাখতে হবে। যেন কোনো অর্ডার আসলে তারা ঠিকভাবে কাস্টমারের অ্যাড্রেসে পাঠিয়ে দেয়।
সাপ্লাইয়ার যদি ভালো না হয় বা তাদের প্রোডাক্ট কোয়ালিটি যদি খুব একটা ভালো না হয় তাহলে কিন্তু কাস্টমাররা আপনার কাছে এসেই অভিযোগ করবে এবং এর জন্য আপনাকেই ঝামেলা পোহাতে হবে। এজন্যই দেখেশুনে ভালো সাপ্লাইয়ার ফাইন্ড করতে হবে।
অনলাইন স্টোর তৈরি:
প্রোডাক্টও সিলেক্ট করা হলো, সাপ্লাইয়ারও খোঁজা হলো এখন যেটা প্রয়োজন সেটা হলো একটি দোকান বা স্টোর। আর হ্যা সেটা অবশ্যই অনলাইন স্টোর, যেখানে আপনি আপনার প্রোডাক্টের ডিটেইলস সাজিয়ে রাখবেন এবং যেখান থেকে কোনো কাস্টমার আপনার সেই প্রোডাক্ট অর্ডার করবে৷
এক্ষেত্রে আপনি Shopify বা WordPress- এ আপনার অনলাইন স্টোর তৈরি করতে পারেন। সুন্দর গোছানো একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে আপনার প্রোডাক্ট গুলোকে শো করতে পারেন। মূলত সেখান থেকে দেখেই কাস্টমারদের প্রোডাক্টের প্রতি ফার্স্ট ইমপ্রেশন তৈরি হবে।
পণ্য মার্কেটিং:
এরপর আসবে আসল কাজ। প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং করা, যাকে ড্রপশিপিং ব্যবসার মূল কাজ বলা চলে। ড্রপশিপিংএ পণ্যের সঠিকভাবে মার্কেটিং করাকেই এই ব্যবসায়ে সফলতার মূলমন্ত্র বলা হয়ে থাকে। ড্রপশিপিং বিজনেসে প্রোডাক্ট বিভিন্নভাবে মার্কেটিং করা যায়। আর সবগুলোই অনলাইন মার্কেটিং এর আওতায় পড়ে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ব্যবহার করে সহজেই মার্কেটিং করা যায়। আর আপনি চাইলে ওয়েবসাইটের পাশাপাশি ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে পেইজ খুলে প্রোডাক্টের মার্কেটিং সেখান থেকে করতে পারবেন।
আর ওয়েবসাইটে অবশ্যই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও করতে হবে, এটি আপনার ওয়েবসাইটকে সার্চ রেজাল্টের প্রথম দিকে নিয়ে যেতে হেল্প করবে। এর ফলে আপনার বিক্রিও অনেক বেড়ে যাবে।
এছাড়াও আপনি চাইলে পেইড এডভার্টাইজিংও ব্যবহার করতে পারেন।
এই সহজ কিছু স্টেপ ফলো করে কিন্তু এই সহজ ব্যবসাটি আপনি কোনো ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই শুরু করে দিতে পারেন।
এবার অনেকে হয়তো জানতে চাইবেন এই ড্রপশিপিং ব্যবসার সুবিধা কি এবং এর কি অসুবিধাও আছে নাকি?
আচ্ছা এবার এই বিষয়টার ওপর ফোকাস করা যাক।
ড্রপশিপিং ব্যবসার সুবিধা:
১.ড্রপশিপিং এর প্রথম ও প্রধান সুবিধা হলো ইনভেস্টমেন্ট খুবই কম দরকার হয় এই বিজনেসে। একটি দোকান ভাড়া নিয়ে অনেক টাকা ইনভেস্ট করে সেখান থেকে বিজনেস শুরু করা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না। যারা বিশেষ করে কম টাকা ইনভেস্ট করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এই ড্রপশিপিং ব্যবসাটি সুবিধাজনক। তবে একটি অনলাইন স্টোর বা ওয়েবসাইট তৈরি করার ক্ষেত্রে কিছু অর্থ খরচ করতে হবে। আবার আপনি যদি নিজেই ওয়েবসাইট তৈরি কিংবা ডিজাইনিং এর কাজ জানেন তবে আপনাকে এই খরচটুকুও করতে হবে না।
২.ড্রপশিপিং বিজনেসে যেহেতু একজন সেলারের কোনো প্রোডাক্ট স্টোর করতে হয়না সেহেতু আলাদা কোনো ঝামেলাই নেই। সুতরাং প্রোডাক্ট স্টকের ঝামেলা থেকে বাঁচতে হলেও ড্রপশিপিং বিজনেস পারফেক্ট বলে আমি মনে করি।
৩. এই ব্যবসায়ে ঝুঁকি কম। আবার ঝুঁকি নেই বললেই চলে কারণ এখানে আপনি সেল না করতে পারলেও আপনার লস হয়ে যাবে না। প্রোডাক্ট তো আর আপনি নিজে স্টক করে রাখছেন না। কম ঝুঁকি থাকায় এই বিজনেসের প্রতি এখন সকলেই আগ্রহী হচ্ছে।
৪.এই বিজনেসটি যেকোনো স্থানে বসে করা যায়। মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপ এবং ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে আপনি দেশের যেকোনো প্রান্তে বসে এই বিজনেসটি পরিচালনা করতে পারবেন।
৫.একজন ড্রপ-শিপার সারা বিশ্বব্যপী প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারে অর্থাৎ তার মার্কেট অনেক বড়, সে চাইলে কাস্টমারের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারবে আর সে যদি কাস্টমারকে স্যাটিসফাই করতে পারে তবে তার স্টোর থেকে পরে সে আবার প্রোডাক্ট কিনবে। এতে তার জনপ্রিয়তাও বৃদ্ধি পাবে।
ড্রপশিপিং ব্যবসার অসুবিধা:
কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে বলেই কি আপনি ড্রপশিপিং বিজনেস করবেন না? অবশ্যই করবেন! এক্ষেত্রে আপনাকে ড্রপশিপিং বিজনেসের অসুবিধাগুলো জেনে নিয়ে সেগুলো মোকাবেলা করার ব্যবস্থা করতে হবে। এই ব্যবসার অসুবিধাগুলো হলো–
১.অতিরিক্ত প্রতিযোগিতা: বর্তমানে প্রায় সকল ই-কমার্স ব্যবসাতে রয়েছে ব্যাপক প্রতিযোগী ভাব। ড্রপশিপিংও কিন্তু এক ধরনের ই-কমার্স বিজনেস এবং এর প্রতিযোগিতাও অনেক বেশি।
২.কম লাভ হওয়া: অনেক সময় দেখা যায় ড্রপশিপিং ব্যবসায় অনেক কম লাভ করা যাচ্ছে। এজন্য অনেকে এই ব্যবসাটি শুরু করেও আবার বন্ধ করে দেয়। কারণ এতো সময় দিয়ে যদি ঠিকঠাক মতো ইনকামই না হয় তবে এই ব্যবসা করারই বা কি দরকার।
৩.প্রোডাক্ট কোয়ালিটির ওপর নিয়ন্ত্রণ না থাকা: এই ব্যবসায়ে আপনি যে প্রোডাক্ট গুলো সেল করবেন সেগুলোর কোয়ালিটি কেমন হবে সেটা কিন্তু আপনি না দেখে বুঝতে পারবেন না। এক্ষেত্রে অনেক সাপ্লাইয়ার খারাপ কোয়ালিটির প্রোডাক্ট কাস্টমারদের দেয়ার ফলে আপনার বিজনেসের নাম নষ্ট হবে।
সাকসেস স্টোরি:
ড্রপশিপিং বিজনেসের অসুবিধাগুলোকে overcome করে এর সুবিধাগুলো কাজে লাগাতে পারলে এই বিজনেস থেকে অনেক সাকসেসফুল হওয়ার চান্স থাকে।
বিশ্বের বিভিন্ন সাকসেসফুল বিজনেস ওনাররা এই ড্রপশিপিংকে কাজে লাগিয়েই সফল হয়েছেন। ইন্টারনেট ঘাঁটলেই এমন অনেক সাকসেসফুল হওয়ার স্টোরি আমরা পেয়ে যাবো।
চলুন জেনে নিই ড্রপশিপিংয়ের জগতে সাকসেসফুল ব্যক্তিদের সাকসেস স্টোরি।
The e-com king: Mohammed Kamil Sattar
সারা বিশ্বে ই-কমার্স বিজনেস কিং নামে পরিচিত মুহাম্মদ কামিল সাত্তার ড্রপশিপিং বিজনেসের ক্ষেত্রে অনেকেরই রোল মডেল। তার সাকসেস স্টোরি আজও অনেককে অনুপ্রাণিত করে।
তার এই জগতের যাত্রা শুরু হয় যুক্তরাজ্যের টেলফোর্ডে থাকা অবস্থায়। অল্প বয়স থেকেই তিনি বিভিন্ন ট্রেডিং প্লাটফর্ম এবং ড্রপশিপিং নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি স্কুল ছেড়ে দিয়েছিলেন এবং ইনকাম করার জন্য তাকে অনেক ধরনের জবও করতে হয়েছিলো। কিন্তু তার আগ্রহ ছিলো অনলাইন বিজনেসের প্রতি। ২০১৭ সালে এই সেক্টরে তার আসল জার্নি শুরু হয়। তখন থেকে তিনি ধীরে ধীরে প্রোডাক্ট রিসার্চ, মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি এবং কাস্টমার সাইকোলজি নিয়ে বিভিন্ন কিছু শেখা শুরু করে দিলেন।
এরপর তিনি Shopify এর ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করেন। প্রথম দিকে অনেক লসে পড়তে হয় তাকে এবং তিনি Shopify অলমোস্ট ছেড়েই দিয়েছিলেন। তারপরও তিনি হাল ছাড়েননি, চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। এর কারণেই বর্তমানে তিনি সবার নিকট পরিচিত একজন ব্যক্তি।
Tze Hing Chan – The Bubbletea Plush Toy Maestro
Tze Hing Chan হলেন একজন মালয়েশিয়ান উদ্যোক্তা যিনি ড্রপশিপিং এ সাকসেসফুল হয়েছেন। তিনি একটি ইউনিক নিশে ড্রপশিপিং করেছেন। যেটা হলো bubble tea plush toys.
তিনি বিজনেস রিলেটেড পড়াশোনার জন্য Melbourne থেকে Singapore এ ট্রান্সফার করেন। তিনি finance এবং marketing বিষয়ে ইন্টার্নশিপ করে স্টার্টআপ শুরু করেন। ইন্টার্নশিপ করার সময় তিনি ড্রপশিপিং ব্যবসার কথা জানতে পারলেন এবং সেটা ট্রাই করার সিদ্ধান্ত নিলেন। প্রথমে তিনি bubble tea themed phone case দিয়ে ব্যবসাটি শুরু করলেও সেটা লসের সম্মুখীন হয়। পরে অনেক এক্সপিরিয়েন্স গেইন করার পর তিনি cute seal plush toys নিয়ে একটি অনলাইন স্টোর খোলেন এবং ফেসবুক অ্যাডের মাধ্যমে মার্কেটিং শুরু করেন। তার টার্গেটেড কাস্টমার ছিলো এশিয়ানরা কারণ এদের মধ্যেই বেশি bubble tea এর জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করা যায়।
এভাবে তিনি মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে ৭, ৫০০ ডলার আয় করেন। যার মধ্যে প্রায় ১, ৫০০ ডলার প্রফিট ছিলো। আর এখন তিনি সাকসেসফুল ড্রপশিপার হিসেবে সকলের নিকটই পরিচিত।
আশাকরি এই সাকসেস স্টোরিগুলো থেকে আপনারা বুঝতেই পারছেন ড্রপশিপিং ব্যবসা কতটা সম্ভাবনাময় একটি বিজনেস মডেল। তবে এর জন্য দরকার সঠিক প্ল্যান, ধৈর্য্য এবং পরিশ্রম।
ড্রপশিপিং বিজনেসের সাকসেস রেট কেমন?
আসলে ড্রপশিপিং এর সাকসেস রেট একেক জনের জন্য একেক রকম। এটি বিভিন্ন ফ্যাক্টরের ওপর ডিপেন্ড করে যেমন- প্রোডাক্ট সিলেকশন, মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি, প্রোডাক্ট কোয়ালিটি ইত্যাদি। তবে গবেষণায় দেখা যায়, ট্রেডিশনাল বিজনেস রিটেইলারদের তুলনায় ড্রপশিপিং রিটেইলারদের সাকসেস রেট একটু বেশিই হয়ে থাকে।
ড্রপশিপিং যেহেতু আমাদের দেশে নতুন একটি কনসেপ্ট আর এটি অনলাইন বেসড এজন্য এই ক্ষেত্রে সাকসেসফুল হওয়ার অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।
২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী ড্রপশিপিং এর মার্কেট ভ্যালু 155.6 বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল এবং ২০৩১ সালের মধ্যে তা 1670.1 বিলিয়নে পৌঁছাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
তাহলে বোঝাই যাচ্ছে, এটি আমাদের দেশের নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য বড় একটি সুযোগ।
ড্রপশিপিং ব্যবসায়ে শুধু দেশের ভেতরের কাস্টমারদের থেকেই নয়, দেশের বাইরে থেকেও ভালো পরিমাণে ইনকাম করা সম্ভব। তাহলে আর দেরি কেন?
একটি সুন্দর পরিকল্পনা করে কোনো ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই শুরু করে দিন ড্রপশিপিং বিজনেস।
আশাকরি আজকের টিউনটি আপনাদের ভালো লেগেছে। দেখা হবে পরবর্তী টিউনে। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
আমি রওনক জাহান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।