ফ্রিল্যান্সিং কি এটা আমরা অনেকে জানিনা। ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) মূলত এমন একটি পেশা যেখানে আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এটি সাধারন চাকরির মতোই, কিন্তু ভিন্নতা হলো এখানে আপনি আপনার স্বাধীন মতো কাজ করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় সাইট। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার আমাদের মাঝে জনপ্রিয়।
আমাদের মতো তরুণ দেড় ফ্রিল্যান্সিং এর জুক একটু বেশি। বর্তমান তরুণ সমাজ পড়াশুনা বা চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং কে গুরুত্ব দিচ্ছে। এছাড়া নিজের ইচ্ছা মতো স্কিল অনুযায়ী কাজ করতে পারছে। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বিভিন্ন কাজ আছে এখানে আপনি আপনার কাজের দক্ষতা দিয়ে উপার্জন করবেন। যেমন- কন্টেন্ট রাইটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন, ডাটা এন্ট্রি, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি।
এই সকল বিষয় নিচে আমরা জানতে পারবো।
১. ফ্রিল্যান্সিং এর সেক্টরসমূহ
ফ্রিল্যান্সিং এর অনেকগুলো ধাপ বা অধ্যায় আছে। প্রথমে আপনাকে চিন্তা করতে হবে আপনি কোন কাজে আগ্রহী বেশি। কোন বিষয় আপনার কমবেশি জ্ঞান আছে। ধরেন আপনার ভিডিও বানাতে অনেক ভালো লাগে। আপনি মোটা মুটি ভিডিও ধারণ, ভিডিও এডিটিং ধারণা আছে তাহলে আপনি ইউটিউব বা ফেসবুকে কনটেন্ট আপলোড করতে পারেন। এ ছাড়াও আরো অনেকে কাজের চাহিদা আছে সেগুলা নিয়ে আমরা নিচে কথা বলবো।
২. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট একটি জনপ্রিয় পেশা। অনেকে এই পেশার উপরে জীবিকা নির্বাহ করে। যে ব্যক্তি ওয়েবসাইট তৈরী বা ডেভেলপ করে তাকে ওয়েব ডেভেলপার বলা হয়। প্রতিটি ওয়েবসাইট দেখাশোনার জন্য একজন ওয়েব ডেভেলপার এর দরকার হয়। আপনার অল্প কিছু ধারণা থাকলে আপনি খুব সহজে কাজটি করতে পারেন। আপনি একজন শিক্ষার্থী হিসাবে পার্ট টাইম জব করতে পারবেন।
বর্তমান সময় আমাদের কোনো কিছু জানার প্রয়োজন থাকলে আমরা গুগল থেকে জানতে পারি। বিভিন্ন ইনফরমেশন নিয়ে বা পণ্য বিক্রির উদ্দেশ্যে অনেক ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে। একটি ওয়েব সাইট তৈরি করতে যে কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রয়জন একটি দক্ষ ওয়েব ডেভেলপার। আপনি যদি কাজে দক্ষ হতে পারেন তাহলে দেশে ও দেশের বাহিরে অনেক কাজের সুযোগ পাবেন।
যে ব্যক্তি ওয়েবসাইটের নকশা তৈরি করে তাকে ওয়েব ডিজাইনার বা নকশাকার বলা হয়। অসংখক নতুন ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে আবার পুরোনো ওয়েবসাইট আপডেট করা হচ্ছে। নতুন ফিচারযোগ হচ্ছে এতে প্রয়জন একজন দক্ষ ওয়েবে ডিজাইনারের। আপনার কাজের দক্ষতা গড়লে আপনি অনেক কাজ করতে পারবেন।
৪. ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয়
অনলাইন থেকে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা উপার্জন করার সহজ মাধ্যম ইউটিউব। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করার অনেক উপায় রয়েছে। সব থেকে সহজ উপায়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন ইউটিউব থেকে। ইউটিউব চ্যানেল খুলে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারবেন না। অর্জন আপনাকে সঠিক নিশ বাছাই করতে হবে। চ্যানেলের জন্য ইউনিক এবং দর্শকদের চোখে পড়ার মতো একটি নাম বাছাই করতে হবে।
নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে হবে। আপনার ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন করতে হবে। এর জন্য আপনার চ্যানেলে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার বং ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম পূরণ করতে হবে। আপনাকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে যায় পর্যায় আন্তে হলে, তবে আপনি গুগল এডসেন্স পেয়ে গেলে আপনার আইয়ের পথ অনেকটা সহজ হয়ে যাবে।
দ্রুত ফ্রিল্যান্সার হতে চান এমন কাজগুলো বেছে নিতে হবে যেগুলো আয়ত্ত্ব করা সহজ। অনেক দীর্ঘ প্রশিক্ষণ প্রয়োজন হয় না। তেমন কিছু টিপসই নিচে পড়ুন।
1.আপনি কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করতে পারেন। কাজটি আপনি মোবাইল দিয়েও করতে পারবেন। তবে আপনার রিসার্চ করে গুছিয়ে লেখার যোগ্যতা থাকতে হবে। যে বিষয় কন্টেন লিখতে যাবেন সে বিষয় আপনি যথেষ্ট জানবেন। একটা বিষয়ে জানা আর সে বিষয়কে নির্ভরযোগ্যভাবে উপস্থাপন করতে হবে।
2.দ্রুত ফ্রিল্যান্সার হওয়ার আরেকটি উপায় গ্রাফিক্স ডিজাইনিং। আপনি ইউটিউব ভিডিও দেখে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং শিখে নিয়ে অল্প সময়ে কাজ শুরু করতে পারেন।
3.ওয়েব ডিজাইনের কাজ করতে পারেন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ শিখে। এ কাজের ব চাহিদা অনেক। মোটামুটি দক্ষ হলে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়া সম্ভব।
4.অনলাইন মার্কেটপ্লেসে বর্তমানে ফটোশপ এবং ভিডিও এডিটিং এর প্রচুর কাজ রয়েছে, যা আপনি চাইলে ঘরে বসেই করতে পারবেন। এবং আপনার দক্ষতা অনুযায়ী পেমেন্ট পাবেন।
আমি ইমন সিকদার। ১ম বর্ষ, সরকারি দোহার-নবাবগঞ্জ কলেজ, নবাবগঞ্জ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 মাস 3 সপ্তাহ যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 23 টি টিউন ও 6 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।