বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির অগ্রগতির এই যুগে হাতে হাতে স্মার্ট ফোন। আর স্মার্ট ফোন চালাতে একটি ইমেইল একাউইন্ট প্রয়জন। ফোনের অ্যাপস ইন্সটল থেকে শুরু করে ফোন সিস্টেম ও বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস পোগ্রাম ব্যবহার করতে ইমেইল প্রয়জনের গুরুত্ব বেড়ে চলেছে। তারই সাথে সাথে ইমেইল মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তা বেড়েছে। ডিজিটাল মার্কেটিং অন্যতম সহজ পদ্ধতি ইমেইল মার্কেটিং। নিচে Email Marketing নিয়ে বিস্তারিত জানতে পারবো।
ইমেইল মার্কেটিং কি?
কোন কোম্পানি বা ব্র্যান্ড তাদের পণ্যের প্রচার এবং বিক্রির উদ্দেশ্যে সম্ভাব্য গ্রাহকের কাছে ইমেইল প্রেরণের মাধ্যমে যে মার্কেটিং করা হয় তাকে Email Marketing বলে। আপনি যদি খুব সহজে বুঝতে চান তবে বলা যায় যে, আপনার কাস্টমার যারা আছে আপনার পণ্য কিনতে পারে এমন সব মানুষের ইমেইলে আপনার পণ্য, ব্যবসা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য বা অফার পাঠানো। আপনি মানুষকে ইমেইল করার মাধ্যমে আপনার পণ্য বা ব্যবসার মার্কেটিং করলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভাষায় ইমেইল মার্কেটিং বলে।
ইমেইলের ধরন
ইমেইল কয়েক রকমের হয়ে থাকে। ইমেইল মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে এর প্রকারভেদ আগে জানতে হবে। নিচে দেওয়া হলো:
স্প্যাম ইমেইল
স্পাম ইমেইল হলো জাংক ইমেইল এর একটি রুপ। মূলত এসব মেইলে বিজ্ঞাপণ থাকে, যা গ্রাহকের অনুমতি ছাড়া পাঠানো হয়। কেনা ইমেইল লিস্ট, ফেক কনটেস্ট, ইমেইল হারভেস্টিং প্রোগ্রাম,
ইত্যাদির মাধ্যমে বেশিরভাগ স্পাম ইমেইল এর সূচনা ঘটে। একাধিক ইমেজ পাঠানো, ফ্রি, অফার এই ওয়ার্ডগুলো সাবজেক্ট এ ইউজ করা, অ্যাফিলিয়েট লিংক পাঠানো, ব্লক লিস্ট আইপি ব্যবহার করা ইত্যাদি।
বাউন্স ইমেইল
ইমেইল বাউন্স (Email bounced) হচ্ছে আপনি যাকে ইমেইল পাঠাবেন তার সার্ভার যদি তা গ্রহন না হয় তাহলে, যে বা জিনি ইমেইল টা পাঠান তার কাছে ফিরত চলে আসে। এই ফিরত চলে আসাকে আমরা বলে থাকি ইমেইল বাউন্স।
Email টেম্পলেট
কোনো প্রডাক্ট বিজ্ঞাপণের জন্য যে ডিজাইন প্রোমোশন করে ইমেইল এ সেন্ড করা হয় সেটাই টেম্পলেট। এই ইমেইলে ওয়েবসাইটের লিংক ও অ্যাড করা যায়।
Email সাবজেক্ট
ই-মেইল তথা ইলেক্ট্রনিক মেইল হল ডিজিটাল বার্তা যা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়। একটি ইমেইল ওপেন সাধারণত তার সাবজেক্ট দেখে করা হয়। ম্যাসেজ হবে তথ্যবহুল এবং স্ট্যান্ডার্ড।
Email Marketing কেন করবেন?
ইমেইল মার্কেটিংর কারণ গুলো দেওয়া হলো:
১.ইমেইল মার্কেটিং করে মাসে ২-৫ ডলার খরচ করে ৪০-৫০ডলার লাভ করা সম্ভব।
২.মাঝারি ব্যবসায়ীরা ইমেইল ব্যবহার করে ৮০% সময় কাস্টমারদের ধরে রাখে।
৩.নতুন কাস্টমারকে স্বাগত জানানো ওয়েলকাম ইমেইলের অপেন রেট ৮০%।
৪.ইমেইলের মাধ্যমে রি-মার্কেটিং করে ৬৯% সফলতা লাভ করা সম্ভব হয়েছে।
Email List তৈরি
ইমেইল লিস্ট ২ ভাবে তৈরির করা যায়।
১) ফ্রি মেইল লিস্ট
২) পেইড মেইল লিস্ট
ফ্রি ইমেইল লিস্ট
ফ্রি মেইল লিস্ট তৈরির অনেক গুলো মাধ্যম আছে। চাইলে আপনি ম্যানুয়ালি লিস্ট করতে পারবেন বা নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইটর মাধ্যমে লিস্ট করতে পারবেন। ওয়েবসাইট থাকলে তাতে ব্লগ সাবস্ক্রিপশন বা নিউজ লেটার অপশনের মাধ্যমে ইউজারদের লিস্টে যোগ হওয়ার জন্য বলতে পারেন। ইমেইল লিস্টে নিজেকে যোগ করলেই তারা সব রকমের ব্লগের আর্টিকেল বা ব্লগ টিউন ইমেইলের মাধ্যমে পাবেন।
পেইড ইমেইল লিস্ট
টাকা দিয়ে ইমেইল মার্কেটিং করানোকে পেইড ইমেইল মার্কেটিং বুঝায়। পেইড ইমেইল মার্কেটিং এ কিছু ওয়েবসাইট বা অনলাইন টুলের থেকে হাজার হাজার ইমেইল কন্টাক্ট কেনা যায়। কিছু টাকা খরচ করেই আপনি অনেক লোকেদের ইমেইল আইডি কিনতে পারবেন। একবার ইমেইল আইডি কেনার পর ইমেইল মার্কেটিং টুল গুলর ব্যবহার করে ইমেইল মার্কেটিং করতে পারবেন।
ইমেইল মার্কেটিং এর সুবিধা
ইমেইল মার্কেটিং এর সুবিধা সমূহ নিচে উল্লেখ করা হলঃ
১। ইন্টারনেটের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি নতুন কাস্টমার পাওয়া যায়।
২। হাজার হাজার ভিজিটর বা ট্রাফিক আনতে পারে ব্লগ এবং ওয়েবসাইটের জন্য।
৩। কোনো বিজ্ঞাপণের ফি, মুদ্রণ বা মিডিয়া স্পেস ব্যয় নেই।
৪। কেবল একটি ইমেইল পাঠিয়েই যেকোনো নতুন ভিডিও, ব্লগ আর্টিকেল, প্রোডাক্ট বা বিজিনেস
সম্পর্কে ঘরে বসেই লোকেদের জানানো যায়।
৫। ফ্রি কিছু ইমেইল মার্কেটিং টুল ব্যবহার করে ফ্রীতেই ব্যবহার করা যায়।
৬। ইমেইল মার্কেটিং অনেক সোজা এবং এর থেকে লাভ অনেক বেশি।
৭। ইমেইল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মেইলগুলো পারসোনালাইজড করা যায়। অর্থাৎ, প্রত্যেক ব্যক্তির
নাম উল্ল্যেখ করে মেইল করা যায়। সাধারণ মেইলের চেয়ে পারসোনালাইজড মেইলের ওপেন
রেট অনেক বেশি।
আমি ইমন সিকদার। ১ম বর্ষ, সরকারি দোহার-নবাবগঞ্জ কলেজ, নবাবগঞ্জ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 মাস 3 সপ্তাহ যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 23 টি টিউন ও 6 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।