আধুনিক যুগে আমরা অনেক বেশি ট্যাব বা স্মার্ট ফোনের দিকে ঝুকে পরছি। বর্তমানে এমন কোন মানুষ পাওয়া যাবে না যে স্মার্ট ফোন চেনেনা। কথা বলা থেকে শুরু করে যে কোন কাজেই আমরা কম বেশি স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে থাকি।
ট্যাব এবং স্মার্ট ফোনের মূল পার্থক্য হলো এর স্ক্রিন সাইজ। ট্যাব সাধারণত ল্যাপটপ থেকে আকারে কিছু টা ছোট হয় কিন্তু ওজনে অনেক হাল্কা। ট্যাব এর ডিসপ্লে সাধারণত ৭ ইঞ্চি থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সাইজের হয়ে থাকে। স্মার্ট ফোন থেকে বড় ডিসপ্লে হওয়ায় ওয়েব ব্রাউজিং, মুভি দেখা কিংবা নোট করতে ট্যাবের চাহিদা অনেক।
বাজারে অনেক ব্রান্ডের ট্যাব পাওয়া গেলেও সিংগভাগ ট্যাবের বাজার দখল করে আছে Apple inc. আইওস অপারেটিং সিস্টেম ছাড়াও বর্তমানে Android অপারেটিং সিস্টেমের নামি দামি ব্রান্ডের ট্যাব বাজারে পাওয়া যায়। ট্যাব এবং স্মার্ট ফোনের বেশ কিছু সুবিধা - অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করব যাতে করে কোনটি কিনবেন সেই বিষয়ে আপনার একটু হলেও সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হয়।
১.ডিসপ্লে:
বড় ডিসপ্লে হওয়ায় ভিডিও, ওয়েব ব্রাউজিং, গেম খেলা কিংবা বই পড়তে স্মার্ট ফোন থেকে ট্যাবই অনেক ভাল। বড় ডিসপ্লে তে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ভিডিও, ইমেজ, ওয়ব ব্রাউজিং কিংবা বই পরতে ভালো ভাবে উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়া বড় ডিসপ্লে হওয়ায় চোখের উপর চাপ কম পরে। তবে কমদামের ট্যাবের ডিসপ্লের রেজুলেশন এবং পিপিআই ফোনের থেকে অনেক কম থাকে। ppi যত বেশি হবে তত বেশি ইমেজ সার্প হবে ভিডিও, ছবি কিংবা লেখা আরো স্পষ্ট হবে।
২. কম দাম:
মেইল চেক করা, ওয়েব সাইট ভিজিট করা, ভিডিও কন্টেন্ট দেখা কিংবা অনলাইন ক্লাস করা, বই পড়া সব কিছুর জন্য একটি ল্যাপটপ কিংবা স্মার্ট ফোন কিনার কথা ভাবছেন কিন্তু টাকা পর্যাপ্ত নেই তাহলে নিসন্দেহে ট্যাব কিনার কথা ভাবতে পারেন। কারন আপনি মধ্যম মানের কনভিগারেশনের স্মার্টফোনের টাকা দিয়ে ভালো মানের একটি ট্যাব কিনতে পারবেন।
৩.ক্যামেরা:
ভালো মানের ছবি তোলা, ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করার জন্য ট্যাব উপযুক্ত নয় কারন ট্যাবের ক্যামেরা রেজুলেশন অনেক কম থাকে স্মার্ট ফোনের তুলো নায়। তবে টুকটাক ছবি তোলা কিংবা নোট নেওয়ার জন্য ট্যাবের ক্যামেরা ঠিক আছে।
৪.ম্যাল্টি টাস্ক:
আমরা অনেকেই একসাথে অনেক গুলো কাজ করতে চাই যেমন কোন ভিডিও দেখার পাশাপাশি ফেসবুক ব্যবহার করা কিংবা কোন একটা ওয়েব সাইট ভিজিট করার পাশাপাশি চ্যাট করা এই ধরনের মাল্টি কাজ গুলো স্মার্টফোন দিয়ে সম্ভব না যেটা ট্যাব দিয়ে করা যাবে কারন এর বড় ডিসপ্লে সেই সাথে এর ইউজার ইন্টারফেস। ট্যাবের ইউজার ইন্টারফেস এমন ভাবে ডিজাইন করা হয় যে আপনি সহজেই মাল্টিটাস্ক করতে পারবেন।
৫.কানেক্টিভিটি :
কানেক্টিভিটির জন্য ট্যাব থেকে মোবাইলই সেরা। ট্যাব সাধারনত ওয়াই ফাই দিয়ে কানেক্ট হয়। সিম ইউজ করা যায়না আবার সিম ইউজ করা গেলেও কেবল মাত্র নেট ইউজ করা যায় কিন্তু রেগুলার ভয়েজ কল কিংবা মেসেজ দেওয়া যায়না। সে ক্ষেত্রে অনলাইনে কানেক্ট হতে গেলে অবশ্যই আশেপাশে ওয়াইফাই সুবিধা থাকতে হবে। তবে বর্তমানে বেশ কিছু কম্পানি সিম ব্যবহার করা যায় এমন ট্যাব বাজার জাত করছে কিন্তু এই ধরনের ট্যাবের দাম তুলনামূলক বেশি।
৬.পেশাদারিত্ব:
আপনি যদি ভিডিও এডিটিং, অডিও এডিটিং কিংবা গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে চান তাহলে মোবাইল থেকে ট্যাব অনেক ভালো পারফরম্যান্স দিবে কারন ট্যাবে আপনি স্টাইলাস পেন ব্যবহারের সুবিধা পাবেন পাশা পাশি বড় ডিসপ্লে হওয়ার কারনে আপনি কাজ করার সময় অনেক বেশি সাছন্দ্য অনুভব করবেন।
শেষ কথা: যারা হাল্কা ধরনের কাজ করতে চান যেমন বই পড়া, ভিডিও কন্টেন্ট দেখা, ওয়েব সাইট ব্রাউজিং করা তাদের জন্য ট্যাব হতে পারে একটি পারফেক্ট ডিভাইজ কিন্তু যারা ছবি তোলা, ভিডিও করা কিংবা গেইম খেলতে চান তাদের জন্য স্মার্টফোন কেনাটাই হবে সেরা সিদ্ধান্ত।
আমি শেখ লাজু। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 7 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
যা জানি তা সবাই কে জানাতে চাই