অনলাইনে ই- টিন রেজিষ্ট্রেশন বা টেক্সট আইডেন্টিফিকেশন নাম্বারের জন্য আবেদন করা যায় এটা অনেকেই হয়তোবা জানেন না। তবে, কিভাবে মাত্র পাঁচ মিনিটেই এই অনলাইন রেজিষ্ট্রেশনটি করে আপনি ই টিন সার্টিফিকেটটি হাতে পেতে পারেন সেটা হয়তোবা অজানাই রয়ে গেছে। তবে আজকে এই কনটেন্ট পড়ার পর আর অজানা থাকবে না। আপনার এই গুরুত্বপূর্ণ সার্টিফিকেটটি অন্য কারো মাধ্যমে না করিয়ে আপনি নিজেই ঘরে বসে কিভাবে মাত্র পাঁচ মিনিটেই আপনার টেক্সট আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার সহ আপনার ই টিন নাম্বারটি পেতে পারেন সেটা নিয়েই আমার এই কনটেন্টটি লিখা। তাই কন্টেন্টি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলেই সবকিছু বুঝতে পারবেন।
ই-টিন সার্টিফিকেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। ই-টিন সার্টিফিকেট যখন আপনার প্রয়োজন পরবে অথবা যখনই আপনি টি আই এন নাম্বারের কথা ভাববেন তখনই আপনার মাথায় আসতে পারে ই-টিন সার্টিফিকেট এর কথা। ই-টিন সার্টিফিকেট কেন প্রয়োজন এবং ই-টিন সার্টিফিকেট গ্রহণকারী হিসেবে আপনার সুবিধা গুলো কি কি? তাই আপনারা ই-টিন সার্টিফিকেট আপনার কোন কোন কাজে প্রয়োজন এবং এর সুনিধা গুলো কি কি সে সম্পর্কেই আলোচনা করবো।
১. আমদানি করার জন্য: আমাদানি করার ক্ষেত্রে আমদানিপত্র রেজিস্ট্রেশন করার জন্য ই-টিন সার্টিফিকেট প্রয়োজন।
২. ট্রেড লাইসেন্স করার জন্য: আপনার বিভাগীয় জেলা শহরের অথবা পৌরসভায় ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য আপনার ই-টিন সার্টিফিকেট প্রয়োজন।
৩. বানিজ্যিক দরপত্রের জন্য: মাল সরবরাহ অথবা চুক্তিনামা অথবা অন্যান্য যেকোনো বানিজ্যের দরপত্রের জন্য ই-টিন সার্টিফিকেট প্রয়োজন।
৪. লাইসেন্স করার জন্য: সাধারণ বিমা তালিকাভূক্তকরন অথবা লাইসেন্স তৈরি করার জন্য ই-টিন সার্টিফিকেট প্রয়োজন।
৫. জমি বা ভবন রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য: এক লক্ষ টাকার উপরে সিটি করপোরেশনভুক্ত অঞ্চলে যেকোনো জমি বা ভবন রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য ই-টিন সার্টিফিকেট প্রয়োজন।
৬. ক্রেডিট কার্ডের জন্য: ক্রেডিট কার্ড ইসু করার জন্য ই-টিন সার্টিফিকেট প্রয়োজন।
৭. রজিস্ট্রেশন: কম্পানি রেজিস্ট্রেশন করার জন্য ই-টিন সার্টিফিকেট প্রয়োজন।
৮. ভ্রাগ লাইসেন্স: ভ্রাগ লাইসেন্স এর জন্য ই-টিন সার্টিফিকেট প্রয়োজন।
৯. সমিতি সদস্যলাভ: যেকোনো ব্যবসায়িক সমিতির সদস্য হবার জন্য ই-টিন সার্টিফিকেট প্রয়োজন।
১০. আইএসভি টেলিফোন সংযোগ: আইএসভি টেলিফোন সংযোগের জন্য ই-টিন সার্টিফিকেট প্রয়োজন।
১১. বিবাহ ও তালাকনামা রেজিস্ট্রেশন: মুসলিম বিবাহ ও তালাকনামা রেজিস্ট্রেশন এর জন্য ই-টিন সার্টিফিকেট প্রয়োজন।
১২. ভবন নির্মাণ: ভবন নির্মাণ করার পরিকল্পনা কতৃপক্ষকে জমা দেওয়ার জন্য ই-টিন সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন পরে।
১৩. গাড়ি রেজিস্ট্রেশন: গাড়ি, জিপ অথবা মাইক্রোবাসের রেজিস্ট্রেশন কিংবা মালিকানা পরিবর্তন ও ফিটনেস লাইসেন্স এর জন্যই-টিন সার্টিফিকেট প্রয়োজন।
১৪. ঋন গ্রহণ: কোনো ব্যক্তির কমার্শিয়াল ব্যাংক অথবা লিডিং কম্পানি থেকে ঋন গ্রহণ অথবা অনুমোদনের জন্য ই-টিন সার্টিফিকেট প্রয়োজন।
ই-টিন সার্টিফিকেট এর অনেক সুবিধা রয়েছে। তার মধ্যে বহুল জনপ্রিয় কিছু সুবিধা নিচে উল্লেখ্য করা হলো -
১. আপনাকে কর-সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে তথ্য দিয়ে সাহায্য করবে।
২. কতৃপক্ষ কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলে তার সিদ্ধান্তের বিপরীতে আপনি আবেদন করতে পারবেন।
৩. রেজিসট্রেজন কারার কারনে আপনি তাদের কাছ থেকে যেকোনো তথ্য/ সেবা পাবেন।
৪. তাদের দেওয়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপনার ভাউচার তাদেরকে প্রদান করতে হবে।
৫. টিন সার্টিফিকেটের জন্য আপনি যেকোনো বিষয় থেকে আশঙ্কামুক্ত থাকবেন।
আশাকরি বুঝতে পেরেছেন আপনার কোন কোন বিষয়গুলোর জন্য টিন সার্টিফিকেট প্রয়োজন এবং টিন সার্টিফিকেটের সুবিধা গুলো কি কি। এরপর আসি আপনি কিভাবে ঘরে বসে অনলাইনে মাত্র পাঁচ মিনিটেই রেজিসট্রেশন করতে পারবেন এবং টি আই এন/ TIN নাম্বার টি কিভাবে সংগ্রহ করবেন।
আমি আয়শা আক্তার দিপা। প্রথম বর্ষ, সরকারি বাঙলা কলেজ, ঢাকা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 11 টি টিউন ও 6 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।