আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন আশাকরি ভাল ও সুস্থ আছেন আপনাদের দেহ ও মন কে আরও সুস্থ করতে সুষম খাদ্যের বিকল্প নেই তাই আরটিকেল টি লিখলাম মানব দেহের জন্য ৩ টি সুপার ফুডস নিয়ে। কি জন্য এই তিনটি খাদ্যকে সুপার ফুডস বলা হয় তা জানলে অবাক হবেন আর এই তিনটি ফলের উপকারি গুনাগুন অকল্পনীয় যে মহান আল্লাহ সুবহানা তা'লা কি রকম পুষ্টিগুন এই ফলগুলির মধ্যে রেখেছেন সুবহানআল্লাহ
চলুন এবার এই তিনটি ফলের সমন্ধে বিস্তারিত জেনে আসি
আমাদের প্রথম নম্বরে আছে
চিয়া বীজ
চিয়া বীজ অত্যান্ত পুষ্টিগুন সম্পন্ন খাবার পুষ্টিবিদরা বলেন যার মধ্যে আছে আছে দুধের চেয়ে ৫ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম। কমলার চেয়ে ৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি। পালংশাকের চেয়ে ৩ গুণ বেশি আয়রন। কলার চেয়ে দ্বিগুণ পটাশিয়াম। মুরগির ডিম থেকে ৩ গুণ বেশি প্রোটিন। স্যামন মাছের চেয়ে ৮ গুণ বেশি ওমেগা-৩।
পুষ্টিবিদগন আরও জানান যে চিয়া সিডকে সুপারফুড নামে ডাকতে কারণ এতে আছে প্রচুর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, কোয়েরসেটিন, কেম্পফেরল, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ও ক্যাফিক অ্যাসিড নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশ
চিয়া বীজ খাওয়ার উপকারিতাঃ
পুষ্টিবিদরা জানান, চিয়া সিডে থাকা ওমেগা-৩ হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এবং ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করতে কাজ করে। দিনে দুই চা চামচ চিয়া সিড শরীরের শক্তি দেয় এবং কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
এবং
প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় চিয়া সিড রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করে। মেটাবলিক সিস্টেমকে উন্নত করার মাধ্যমে এটি ওজন কমাতে সহায়তা করে। এটি রক্তে চিনির প্রবাহ স্বাভাবিক রাখে বলে ডায়বেটিসের ঝুঁকি কমে।
এছাড়া
হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় চিয়া সিড দারুণ কাজ করে। কারণ এতে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম। চিয়া সিড কোলন পরিষ্কার রাখতে কাজ করে বলে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমে।
এবং
চিয়া সিড শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে আনে। দূর করে অ্যাসিডিটির সমস্যা।
চিয়া সিড ভালো ঘুম হতেও সাহায্য করে বলে বিশ্বাস করেন চিকিৎসকরা। শুধু কি তাই! হাঁটু ও জয়েন্টের ব্যথা কমায়। সুন্দর রাখে ত্বক, চুল ও নখ।
চিয়া বীজ দেখতে কেমন?
চিয়া বীজ। সাদা, কালো ও বাদামি রঙের চিয়া বীজগুলো আকারে খুবই ছোট, অনেকটা তিলের মতো। পানিতে ভেজালে চিয়া সিড ফুলে উঠে ১২ গুণ পর্যন্ত বড় হতে পারে।
ওজন কমাতে চিয়া সীডের পানি
১ গ্লাস পানিতে ১ চা চামচ চিয়া বীজ দিয়ে নেড়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন। পরে ছেঁকে নিয়ে পানি পান করুন। স্বাদ বাড়াতে চাইলে এতে লেবুর রস, কমলার রস, গোল মরিচ গুড়ো, বা মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন।
কিভাবে খাবেনঃ
চিয়া সিড খাওয়ার নিয়মঃ
চিয়া সিড স্বাদ ও গন্ধবিহীন একটি খাবার। এটা খাওয়ার জন্য রান্না করারও দরকার হয় না। পানিতে ভিজিয়ে সহজেই খাওয়া যায় চিয়া সিড। চাইলে ওটস, পুডিং, জুস, স্মুথি ইত্যাদির সঙ্গে মিশিয়ে খেয়ে নেয়া যায়। এ ছাড়া কেউ চাইলে টকদই, রান্না করা সবজি বা সালাদের ওপরে ছড়িয়েও খেতে পারেন।
পুষ্টিকর এই খাবারটি সপ্তাহের সাত দিনই খাওয়া যায়। তবে ৩-৪ দিন খেলেও শরীরে উপকারে আসে।
চিয়াবীজ সম্পর্কে আরও জানতে গুগল করে দেখতে পারেন টিউন টি বড় হবার দরুন অল্পই লেখা হলো আশাকরি এতটুকুই যথেষ্ট হবে
আমাদের তালিকার ২ য় নম্বর ফলটি হলো
খেজুর সুস্বাদু আর বেশ পরিচিত একটি ফল, যা আমাদের দেশে শুধুমাত্র রমজান মাসেই এর ব্যবহার দেখা যায় কিন্ত আমরা কি জানি
আমাদের এই খেজুর কত পুষ্টিগুন সম্পন্ন
খেজুর ফ্রুকটোজ ও গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ। এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়। খেজুর ফলকে চিনির বিকল্প হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। খেজুরের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে বলা হয় চারটি বা ৩০ গ্রাম পরিমাণ খেজুরে আছে ৯০ ক্যালোরি, এক গ্রাম প্রোটিন, ১৩ মিলি গ্রাম ক্যালসিয়াম, ২.৮ গ্রাম ফাইবার এবং আরও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। খেজুর শক্তির একটি ভালো উৎস। তাই খেজুর খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শরীরের ক্লান্তিভাব দূর হয়। আছে প্রচুর ভিটামিন বি, যা ভিটামিন বিসিক্স মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক
পুষ্টিগুণে ভরপুর খেজুরে রয়েছে ভিটামিন, আঁশ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্ক।
খেজুর একজন সুস্থ মানুষের শরীরে আয়রনের চাহিদার প্রায় ১১ ভাগই পূরণ করে। তাই প্রতিদিন খেতে পারেন খেজুর।
পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরের প্রয়োজনীয় আয়রনের অনেকটাই খেজুর থেকে আসে। এ ছাড়া ডায়াবেটিস থাকলে প্রচলিত খেজুরের বদলে শুকনো খেজুরকে ডায়েটে রাখতে বলেন বিশেষজ্ঞরা।
এছাড়াও
আসুন জেনে নেই খেজুরের উপকারিতাঃ
খেজুর এই ফলটিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার, খনিজ এবং ভিটামিন। প্রতিদিন সকালে ৩-৪ টি খেজুর খেলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। বিশেষত যারা কনস্টিপেশন বা কোনো ধরনের পেটের রোগে ভুগছেন তাদের জন্য তো এই ফলটি মহৌষধ! খেজুর খাওয়া যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ভালো আবার তেমনই চুল ও ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখতেও খেজুরের অনেক গুণ রয়েছে। কারণ খেজুরের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ, বি ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সালফার, প্রোটিন, ফাইবার এবং আয়রন।
খেজুর
মস্তিষ্ক সচল রাখে : খেজুরের সব থেকে বড় গুণ হল খেজুর মস্তিষ্ককে প্রাণবন্ত রাখে। আমাদের ক্লান্ত শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ শক্তির জোগান দিতে সক্ষম এই খেজুর।
গ্লুকোজের অভাব দূর করে : শরীরে গ্লুকোজের অভাব খেজুর দ্রুত পূরণ করতে সাহায্য করে। বিশেষত রোজায় অনেকক্ষন খালি পেটে থাকা হয় বলে দেহের প্রচুর গ্লুকোজের দরকার হয়। সকল রোজাদারের তাই ইফতারিতে খেজুর খাওয়া প্রয়োজন।
কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে : তুলনামূলকভাবে যেসব খেজুর একটু শক্ত সেই খেজুর সারারাত পানিতে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে সেই পানি পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য অনেকাংশে দূর হয়।
বদহজম দূরে রাখে : আমাদের মুখের লালাকে ভালোভাবে খাবারের সঙ্গে মিশতে সাহায্য করে খেজুর। ফলে আমাদের বদহজম অনেকাংশে দূর হয়।
খুসখুসে কাশি দূর করে : সাধারণত যাদের খুসখুসে কাশি হয় তারা ২০-২৫ গ্রাম খেজুর, ২ কাপ গরম জলে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ওই খেজুর চটকে নিয়ে সরবতের মতো করে খেলে খুসখুসে কাশি থেকে ১৫ দিনের মধ্যে উপকার পাবেন।
ত্বককে টানটান করে : অনেক সময়ে বয়স বাড়ার ফলে মুখের চামড়া কুঁচকে যায়। খেজুরে ভিটামিন বি রয়েছে। যা ত্বকের পক্ষে অত্যন্ত উপকারি। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ৪-৫টি খেজুর নিয়ম করে খান। দেখবেন আস্তে আস্তে দাগ মিলিয়ে যাবে।
গর্ভবতী মায়েদের জন্য খেজুর : ৭/৮ মাস সময় থেকে গর্ভবতী মায়েদের জন্য খেজুর একটি উৎকৃষ্ট খাদ্য। এসময় গর্ভবতী মায়েদের শরীরে অনেক দুর্বলতা কাজ করে। তখন খেজুর মায়েদের শরীরের এই দুর্বলতা কাটাতে অনেক সাহায্য করে এবং ডেলিভারীর পর মায়েদের অতিরিক্ত রক্তপাত বন্ধ করতে ও খেজুর সহায়ক ভূমিকা পালন করে এবং পরবর্তী সময়ে শিশুর প্রয়োজনীয় পুষ্টির জন্য মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে খেজুর কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
হাড় শক্ত করে : খেজুরে উপস্থিত খনিজ এবং ভিটামিন হাড়কে এতটাই শক্তপোক্ত করে দেয় যে বয়স্কালে অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে কমে যায়।
অ্যানিমিয়া রোগকে দূরে রাখে : খেজুর ফলটি আয়রণ সমৃদ্ধি তাই এটি অ্যানিমিয়ার মতো রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ ভুমিকা পালন করে। শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিলেই মূলত এই ধরনের রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়।
অ্যালার্জির প্রকোপ কমায় : ২০০২ সালে প্রকাশিত এক গবেষণা পত্রে দাবি করা হয়েছিল খেজুরে উপস্থিত সালফার কম্পাউন্ড অ্যালার্জির মতো রোগ থেকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
আমাদের ৩য় নম্বরে ফলটি রয়েছে যার নাম
ত্বীন ফল
ত্বীন ফল
আসুন যেনে নেই
ত্বীন হল এক প্রকার ডুমুরের মত ফল। গাছটির বৈজ্ঞানিক নাম Ficus carica। এটি Moraceae পরিবারের Ficus গণের একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ। বর্তমানে বিভিন্ন দেশে খুব লাভজনকভাবে এর চাষ হচ্ছে। এমনকি বাংলাদেশেও। ফাইকাস জেনাসের প্রায় 800 প্রজাতির মধ্যে আনজি হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতি। এই ফলের আকার ডুমুরের চেয়ে বড়; এটি একটি জনপ্রিয় মিষ্টি ও রসালো ফল। হিন্দি, মারাঠি, ফার্সি ও উর্দুতে এই ফলটিকে বলা হয় আনজির আর আরবিতে বলা হয় ত্বীন
কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে
রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমান বেশি মানে হৃদপিণ্ডের ঝুঁকি। তাই রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমান নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।
ত্বীন ফলে রয়েছে দেহের জন্য অনেক উপকারি খনিজ। যেমন- ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, বি ভিটামিন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন
বরকতময় এই ফলটির বহু উপকারিতা রয়েছে। নিচে ত্বীন ফলের উপকারিতা ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা হলো-
ত্বীন ফলের ফাইবার শরীরে দ্রুত শোষিত হয়। এর ফাইবার দ্রুত দ্রবীভূত হয়ে করতে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এছাড়াও ত্বীন ফলে বিদ্যমান পেকটিন কোলেস্টেরল কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
আপনি যদি উচ্চরক্তচাপ জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে নিয়মিত ত্বীন ফল গ্রহন আপনার রক্তচাপ আশানুরূপভাবে কমতে শুরু করবে।
ত্বীন ফলে প্রচুর পরিমাণ পটাসিয়াম বিদ্যমান। এটি উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
ত্বীন ফল
যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রন ও জিংক সমৃদ্ধ ত্বীন-কে যৌন পরিপূরক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে রয়েছে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম, যা সেক্স হরমোন ও এস্ট্রোজেন ও এন্ড্রোজেন উৎপাদনে সাহায্য করে।
এই ফল নারী ও পুরুষের বিভিন্ন ধরনের যৌন সমস্যা সমাধান করে এবং যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে।
এর সুফল পেতে সারারাত দুধের মধ্যে ত্বীন ফল ভিজিয়ে রেখে সকালে পান করুন।
হজমে সাহায্য করে
এতে বিদ্যমান উচ্চ ফাইবার আপনার হজমকে উন্নত করবে। এটি বিপাকে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রেহাই দেয়। ত্বীন ফল ডায়ারিয়া নিরায়মেও কাজ করে এবং সম্পূর্ণ হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে।
আপনার হজমকে উন্নত করতে নিয়মিত ২-৩টি ত্বীন পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে পান করুন। এর সাথে চাইলে মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন।
রক্তস্বল্পতা দূর করে
ত্বীন ফলে আয়রনের প্রাচুর্য্য আপনার শরীরের রক্তস্বল্পতা ও আয়রনের ঘাটতি পূরন করবে। নারীদের দেহে আয়রনের পরিমান সঠিক রাখা একান্ত গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায়ও মায়ের দেহে আয়রনের পরিমান নিশ্চিত করতে পারে ত্বীন ফল। এতে উপস্থিত আয়রনের কার্যকারিতা রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ ও দূর করতে সাহায্য করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
গবেষনায় উঠে এসেছে, যেসকল নারীরা তাদের ডায়েটের অংশ হিসেবে রোজ ত্বীন গ্রহন করেন তাদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কম।
মূলত ত্বীন -এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। কোলন ক্যান্সার রোধেও এটি বেশ কার্যকর।
হাড়ের রক্ষণাবেক্ষণে ত্বীন ফল
হাড়ের সুস্থতায় ক্যালসিয়াম অপরিহার্য। কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদানটি আমাদের দেহে উৎপাদন হয় না। তাই একমাত্র খাদ্যাভাসের মাধ্যমেই শরীরে এর চাহিদা পূরন করতে হয়। ত্বীনে মজুত ক্যালসিয়াম আপনার দেহে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরন করে হাড়কে করে তুলবে মজবুত ও শক্তিশালী।
এছাড়াও এটি পটাসিয়ামের ভাল উৎস হওয়ায় হাড়ের ক্ষয় রোধেও উপকারী।
একইসাথে ওজন কমাতে ও বাড়াতে সাহায্য করে
বিস্ময়কর হলেও সত্যি যে, এই অসাধারণ ফলটি ওজন কমাতে যেমন সাহায্য করবে তেমনি চর্মসার ব্যক্তির জন্যও বয়ে আনবে সুসংবাদ।
ত্বীন ফলের উচ্চ ফাইবার দেহের অতিরিক্ত ক্যালোরি হ্রাস করতে সক্ষম।
আবার এই ফল বেশি পরিমানে খেলে এর উন্নত পুষ্টি উপাদান ওজন বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তাই স্থুল ও রোগা উভয়ের জন্যই এটি আশীর্বাদ স্বরূপ।
অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট গুণসম্পন্ন
ত্বীন ফলের রয়েছে অসাধারণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্ষমতা। এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্রিয়া আপনার শরীরকে জীবাণু মুক্ত রাখবে এবং রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও প্লাজমার লিপোপ্রোটিন বৃদ্ধিতেও এর বেশ সুনাম রয়েছে।
গলা ব্যাথা উপসম করে
গলা ব্যাথা কমাতে সহায়তা করবে ত্বীন ফল। এটি গলা ব্যাথা কেবল উপশমই করেনা, তা প্রতিরোধেও কাজ করে। এটি ভোকাল কর্ডের জন্যও বেশ উপযোগী। টনসিলের নিরাময়েও ব্যবহার করা হয় ত্বীন ফল।
দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়
বরকতময় এই ফলটি নিয়মিত গ্রহনের মাধ্যমে আপনার দৃষ্টি ক্ষমতাকে উন্নত করতে পারেন। ম্যাকুলার অবক্ষয়ের কারনে বয়স্কদের দর্শন শক্তি লোপ পায়।
এতে উপস্থিত ভিটামিন এ ম্যাকুলার অবক্ষয় রোধ করে এবং দৃষ্টি ক্ষমতাকে উন্নত করে। এছাড়াও রেটিনাল ক্ষতি প্রতিরোধ করতে সক্ষম এই ফল।
ত্বকের সৌন্দর্যে ত্বীন বাড়তি বয়সের ছাপ হিসেবে মুখে ফুটে উঠে বলিরেখার মত যত সমস্যা। এক গবেষণায় জানা যায়, ত্বীন ত্বকের বলিরেখা দূর করতে বেশ কার্যকর। এটি ত্বকে গভীর থেকে কাজ করে ফলে ব্রণ ও ব্রনের দাগ দূর করতেও এর জুরি নেই। ভিটামিন সি এবং এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্রিয়া ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ত্বককে সুন্দর ও কোমল করে তুলে।
চুলের পরিচর্যায়
কেবল সুস্বাস্থ্যেই নয়, চুলের যত্নেও ত্বীন এর বিকল্প নেই। চুল পরা কমাতে ও নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে এটি। কারন এতে আছে চুলের জন্য উপকারী ভিটামিন সি, ই ও ম্যাগনেসিয়াম।
চুলের ময়েশ্চারাইজার হিসেবে এর খ্যাতি বেশ পুরোনো। এটি স্ক্যাল্পের ময়েশ্চার ধরে রাখে।
আশাকরি আমি আমার ক্ষুদ্র প্রচেস্টায় আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেস্টা করেছি
যদিও টিউন টি একটু বড় হয়েছে
একটি জোসস তো চাইতেই পারি
আর টিউমেন্ট করবেন অবশ্যই
ধন্যবাদ
আমি আহমেদ জুবায়ের। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
অসাধারণ একটি আর্টিকেল, অনেক তথ্য বহুল লিখনি। এমন আর্টিকেল সবাই লিখতে পারেনা ধন্যবাদ রাইটার কে।