এসব ভুল সংশোধনের জন্য কিছু প্রমানপত্র দেয়া লাগে। কি কি প্রমানপত্র লাগবে সেই বিষয়ে পরে আলোচনা করবো। দুটি উপায়ে আপনি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের ভুল সংশোধন করতে পারেন।
আপনি যে এলাকার ভোটার, সেই এলাকার উপজেলা নির্বাহী অফিসে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে। ফর্ম পূরণ করে, সংশোধন ফি বিকাশে বা রকেটে জমা দিয়ে তার রসিদ এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ফর্মের সাথে এড করতে হবে।
মনে রাখবেন আপনি যত বেশি ডকুমেন্ট সাবমিট করবেন আপনার এনআইডির কার্যক্রম ততবেশি ত্বরান্বিত হবে। আর সবথেকে গ্ৰহনযোগ্য প্রমানপত্র হচ্ছে এসএসসি বা এইচএসসি সমমানের সনদ। চেষ্টা করবেন আপনার কাছে যা আছে সাধ্যমত প্রমানপত্র দেওয়ার জন্য।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ঠিকানায় ভিজিট করে আপনার একটি একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করার সময় আপনার মোবাইল নাম্বারটি দিয়ে একাউন্ট ভেরিফাই করে নিবেন। যা পরবর্তীতে পুনরায় লগইন বা রিসেট করার জন্য প্রয়োজন হবে। নিচে লিংক দেওয়া হলো।
এখানে ক্লিক দিন >> বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন
লগইন করার পর আপনার আইডি কার্ডের যাবতীয় তথ্য যেমন, ছবি, পিতা মাতার নাম, জন্ম তারিখ, ঠিকানা ইত্যাদি দেখতে পাবেন। আর এই তথ্য গুলো আপনার ইচ্ছা মত এডিট করতে পারবেন। তবে আপনাকে সংশোধন ফি এবং প্রয়োজনীয় প্রমানপত্র জমা দিতে হবে। এডিট করে সাবমিট করার পর সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
আবেদন সাবমিট করার পর ড্যাশবোর্ডে ফিরে আসুন। ড্যাশবোর্ডের উপরের দিকে আবেদনটি ডাউনলোড করার একটি লিংক দেখতে পাবেন। লিংকে ক্লিক করে সংশোধন ফরম ডাউনলোড করে নিজের কাছে সংরক্ষণ করুন।
নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে এটা সঠিকভাবে কেউই বলতে পারবে না। এটা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ব্যস্ততা ও কি পরিমাণ আবেদন রেগুলার জমা পরছে তার উপর নির্ভর করে। তবে উপযুক্ত প্রমাণপত্র সহ আবেদন করার প্রায় ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে আবেদন অনুমোদন হয়ে যায়। কিছু ক্ষেত্রে ভেরিফিকেশন বা অন্য কোন কারণে কিছুটা দেরি হতে পারে।
অবশ্য আপনি কি সমস্যার উপর ভিত্তি করে আবেদন করেছেন সেটাও নির্ভর করে। জটিল আবেদন গুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হয় না, সময় কিছুটা বেশি লাগে। এছাড়াও জটিল আবেদন গুলোর সিদ্ধান্ত তদন্ত না করে নিষ্পত্তি করা যায় না।
কি কি কাগজপত্র লাগে তার উত্তর উপরে একবার দিয়েছি। তবে সুবিধার্থে আবার বলছি।
সাবমিট দেওয়ার আগে অবশ্যই এই সমস্ত তথ্যগুলো ঠিক আছে কিনা কনফার্ম হয়ে নিবেন। আবেদনের সাথে যত বেশি প্রমানপত্র জমা দিতে পারবেন আবেদনটি তত বেশি স্ট্রং হবে। এইসব প্রমানপত্রের মধ্যে সবচেয়ে গ্ৰহনযোগ্য প্রমানপত্র হচ্ছে এসএসসি বা এইচএসসি সমমানের সনদ।
কাজের ধরনের উপর নির্ভর করে ফি নির্ধারণ হয়ে থাকে। নিচে বিস্তারিতভাবে দেওয়া হলো।
আমরা জানি বর্তমানে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করা একটি ঝামেলার কাজ। যদি আপনার এনআইডিতে কোন সমস্যা থাকে তাহলে দেরি না করে আবেদন করে ফেলুন। আর চেষ্টা করবেন যতটা সম্ভব প্রমানপত্র দেওয়ার জন্য।
আশাকরি এই আর্টিকেলের তথ্যগুলো আপনার কাজকে সহজ করে দিবে। আর এই বিষয়ে যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে টিউমেন্ট বক্সে জানাবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি মিন পয়েন্টস। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 2 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।