ফিরে দেখা : গেমসের দোকানে কাটানো সেই সময়গুলো

মনে পড়ে কী, ছোট বেলায় গেমসের দোকানে আমরা কতটা সময় কাটিয়েছি ? বাবা-মা-ভাই-বোনদের হাতে কত মাড় খেয়েছি। স্কুল পালিয়ে, টিফিনের টাকা জমিয়ে সারাক্ষণ পড়ে থাকতাম সেখানে। 3 টাকা করে কয়েন, এর পর 5 টাকায় দুই কয়েন, এরপর এক কয়েন 2 টাকা, তারপর 5 টাকায় তিন কয়েন, এরপর 1 টাকা কয়েন এবং শেষমেস বের হলো 10 টাকায় গেমওভার। আরো কত কী ? আমাদের পাড়ায় টুর্ণামেন্ট হতো। কে কত স্টেজ গেল, কত পয়েন্ট করলো, কতবার কে কাকে হারালো ইত্যাদি ইত্যাদি। সে সময় কম্পিউটারের ব্যবহার আমাদের দেশে অতি নগন্য ছিল। পাড়া মহল্লার গেমসের সেই দোকানগুলোই ছিল মজার একটা অভিজ্ঞতা। আজ অনেকদিন পর মনে পড়ে গেল সে সময়ের দিনগুলোর কথা। অনেকে এখনো সেই গেমসগুলো খেলে। আমিও দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখি। কালবিলম্বে খুবই সংখ্যা কমে গেছে এই দোকানগুলোর। কিন্তু জনপ্রিয়তা এখনো কমেনি। টেকটিউনসের অনেকেই সেই গেমসগুলো খেলে থাকবেন। আর যারা খেলেননি বা নিজের পিসিতে খেলতে চান তারা এই টিউনসে কমেন্ট করুন। আপনাদের কমেন্টসের ভিত্তিতে আমি সেই গেমগুলো আপলোড করব। লিখুন আপনাদের প্রিয় গুলোর নাম।

Level 0

আমি Amin Mehedi। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 39 টি টিউন ও 218 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

মোস্তফা গেম। কত খেলেছি। কান ধরে কতবার যে গেমসের দোকানথেকে আমাকে বের করেছে….হা হা হা………….তবে শিক্ষনীয় অনেককিছুই ছিল।

সেই দিনগুলোর কথা মনে হলে দারুন লাগে…
মোস্তফার বক্সের ভিতরে কমপক্ষে কয়েক হাজার কয়েন ফেলেছি ।
মেটাল স্লাগ আর কিং অফ ফাইটারও ভালো লাগতো ।

যদিও সেই ১৯৯৯ সাল থেকে বাসায় কম্পিউটার থাকাতে গেম্‌ খেলার জন্য বাইরে যেতে হয়নি। তবে বন্ধুদের কে খেলতে দেখে সখ করে কয়েকবার দোকানে মোস্তফা গেম্‌ খেলা দেখতে এবং খেলতে গিয়েছিলাম তাও আমার টাকায় না 🙂 বন্ধুর টাকায়। সম্ভবত সেই সময়ে দুই টাকা করে ছিল। তবেঙ্গামি তখন বুঝতে পেরেছিলাম যে মোস্তফা গেম কম্পিউটার এর থেকে দোকানে খেলার মজাই আলাদা !!!
এখন সেই পুরাতন দিন গুলোর কথা মনে পড়ে গেল। যায় হোক আপনাকে ধন্যবাদ।

তখন এক টাকার কয়েন নতুন উঠেছে। একটা একটা করে প্রায় 200 কয়েন জমিয়েছি একটা কৌটাতে। ঠিক তখনই ঝিনাইদহে প্রথম গেমসের দোকান হলো তালতলায়।
….কয়েকদিন পর…..
কৌটা খুলে দেখি আর মাত্র 8 টা অবশিষ্ট আছে।
খুব কান্না পাচ্ছিল। তারপরও গেমসকে ছাড়তে পারিনি। এখনো রাস্তার ধারে গেমসের দোকান দেখলে মনে হয় দাড়িয়ে যাই। কিন্তু হয়ে ওঠেনা।
ভালো লাগে
King of Fighters (সবগুলোই ভালো লাগে তবে 96 এবং 99 টা বেশী)
Dauble Dragon
Samurai Showdown
Metal Slug (সবগুলো)
Ninja Master
আর নাম মনে নেই তবে ক্যারেক্টারের নাম মনে আছে যা উল্লেখ না করাই ভালো।
তবে এ ধরনের যেকোনা Duel Game হলেই চলবে।

Level 0

Mehedi ভাই আপনাকে ধন্যবাদ।আমার মোস্তফা গেমটা দরকার কতো দিন হল গেমটা খেলিনা………..

Level 0

দোকানে গেমস খেলার জন্য একদিন বাসা থেকে বের করে দিয়েছিল। হায়রে সেই দিনগুলো….

উদ্দ্যোগ দারুন কিন্তু আপলোড করবেন কই?

Level 0

শাকিল ভাই, আপলোডের জন্য সবাই রেপিড শেয়ার বা মিডিয়াফায়ার জাতীয় ওয়েব পোর্টাল ব্যবহার করে। এতে অনেকেরই অভিযোগ ডাউনলোড করতে কস্ট হয়। আমি আমার কোনো একটা সাইটে আপ করব যাতে সবাই ডাউনলোড করতো পারে।

গুরু ভাই, বাসা থেকে বের করে দেয়ার পরও সেই গেমসের দোকানেই গিয়েছি।

রকি ভাই, আমি আপলোড শুরু করব আজ। কাল লিংক দিব।

মামুন ভাই, আপনার লিখা গেমগুলো আমি খেলেছি এবং আপ করব ইনশাল্লাহ।

সজিব, টিউটো ভাই অপেক্ষায় থাকুন।

সবার মত করে অামিও অনেক খেলছি ছোট থাকতে। কিন্তু গেম গুলা এখন কার PC চালানো খুব কষ্ট। পুরান কম্পিউটার গুলাতে চলে। কম্পিউটারে নতুন ভার্সনের মাদারবোর্ড লাগানো থাকলে এ এই গেম গুলা খেলা যায় না

Level 0

এখনও সময় পেলে মাঝে মাঝে খেলি ।

Level 0

অসাধারন উদ্যোগ, চালিয়ে যান।

ছোট কাল থেকেই পিসি ছিল এবং এসব গেম খেলতাম তখন পিসিতে। তবে একবার বন্ধুদের সংগে সখ করে খেলছিলাম। আর্কেডে খেলাম মজাই আলাদা। পিসিতে তো কনসল মোডে ইচ্ছামত কয়েন ফেলা যায়। বর্তমানে ‘মেটাল স্লাগ’ চোখ বন্ধ করে খেলতে পারবো। তবে ‘কফ’ কোনকালেই আমি খেলতে পারতামনা।

আমি এই বিষয়ে একটি টিউন করেছি। এখানে সবকিছু একসাথেই পাবেন https://www.techtunes.io/games/tune-id/5915/

Level 0

সোহেল ভাই, ধন্যবাদ আপনার টিউনের জন্য। আমি আসলে সরাসরি ডাউনলোড করার জন্য ব্যবস্থা করছি। যাতে কোনো ঝামেলা (যেমন- ওয়েট করা, সিকিউরিটি কোড এন্টার করা, ডাউনলোড ম্যানেজার ধরনের সফটওয়্যার সাপোর্ট না থাকা) ছাড়াই সরাসরি ফাইলগুলো পিসিতে সেইভ করা যায়।

Level 0

আমার একটি মজার ঘটনা আছে এই মস্তফা গেম খেলতে গিয়ে – এক টাকার কয়েনের বদলে লোহার চাকটি ফেলে অনেক দিন দেখেছি মানে চুরি করে ।

আর আমার ঘটনাটা হচ্ছে, গেম খেলতে খেলতে শেষ পর্যন্ত গেমসের দোকান দিয়েছিলাম। ঝিনাইদহের চাঁন্দা হলের সামনে। তখন ক্লাস নাইন এ পড়ি…

Level 0

আমি এবং আমার এক বন্ধু মিলে রিকশার টায়ারের সাথে যে স্পোক থাকে সেটা নিয়ে যেতাম। এরপর কয়েন যে দিক থেকে ঢুকানো হতো সেদিক দিয়ে ঢুকিয়ে কয়েন আনতাম।

গেম টার সাইজ কম। আপলোড করে দেন।

Level 3

স্কুল পালিয়ে মোস্তফা গেম খেলতে গিয়ে একদিন তো স্যার এর কাছে হাতে-নাতে ধরা খেলাম তার পর যা হবার তাই হল………..

Level New

সেই দিন কি ভুলা যায়?কখোনো না।সেই যে ছোট বেলায় কত কত স্কুল ফাকি,টাকা মারা,ভিডিও গেমস এর দোকানের কয়েন চুরি তারপর ধরা পরে বাকির খাতায় লিখা আর মা বাবার পিট্টি তো ছিলই,এর কোনো কিছু কোনোদিন ভুলা যাবেনা।

hay reee mostofa.
tor kotha monee porly r valo lagy na mostofa.ager kotha monee pory.
but tory akhon voly gechi.by.
kabi kabi merey dil me khayal ata he.

koi bhai apnito akhono game ta upload korlena na……..!