অ্যাপোলো-১১-এর না-জানা ১০ (লিখেছেন জাবেদ সুলতান, আজকের প্রথমআলোতে)

অ্যাপোলো-১১-এর না-জানা ১০
অ্যাপোলো-১১ অভিযানের ৪০ বছর পর চন্দ্রাভিযানের খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে মার্কিন লেখক ক্রেইগ নেলসনের লেখা রকেটম্যান নামের বইটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। এ বইয়ে ৪০ বছরের পুরোনো চন্দ্রাভিযানের ঘটনা নিয়ে লেখক এমন কিছু নতুন কথা বলেছেন, যেগুলো অনেকটাই অপ্রকাশিত ছিল এত দিন। এমনই ১০টি না-জানা কথা তুলে ধরা হলো এখানেঃ
১· উড্ডয়নের সময় অ্যাপোলো-১১-এর রকেটে এত বিপুল পরিমাণ জ্বালানি ছিল যে কোনো বিস্কোরণ ঘটলে ১০০ পাউন্ডের কোনো বস্তুকে এটি অন্তত তিন মাইল দূরে ফেলতে পারত। উড্ডয়নের সময় বিস্কোরণের মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলে ভাবতে পারেনি নাসা, তাই কোনো প্রস্তুতিও ছিল না। সে জন্য তখন রকেটের উড্ডয়নস্থল থেকে সাড়ে তিন মাইল দূূরে থাকা ভিআইপি অতিথিরাও নিরাপদে ছিলেন না।
২· অ্যাপোলো-১১-এর কম্পিউটারের প্রসেসরের ক্ষমতা এখনকার যেকোনো মোবাইলফোনের চেয়ে কম ছিল।
৩· চন্দ্রযানের ভেতর অভিযাত্রীদের জন্য পানীয় জলের উৎস হিসেবে ছিল সেখান থেকে উৎপন্ন বাই-প্রোডাক্ট পানি। কিন্তু শূন্য ত্বরণে গিয়ে এর হাইড্রোজেন পরিশোধকটি কাজ করছিল না। তাই চন্দ্রাভিযাত্রীদের হাইড্রোজেন বুদ্‌বুদ্‌সহ পানিই খেতে হয়েছে; ফলে অভিযাত্রীদের সবাইকে পেটের পীড়ায় ভুগতে হয়েছে।
৪· ইগল যখন চাঁদে অবতরণের জন্য এর মূল কক্ষপথ থেকে আলাদা হয়, তখন এটি পূর্ণ চাপশূন্য ছিল না। ফলে সেখানে গ্যাসীয় বিস্কোরণ হয় এবং চন্দ্রপৃষ্ঠে লক্ষ্যস্থলের চেয়ে অন্তত চার মাইল দূরে গিয়ে নামে এটি।
৫· নিল আর্মস্ট্রং যখন ইগলকে চন্দ্রপৃষ্ঠে নামান, তখন প্রায় জ্বালানিশূন্য ছিল এটি। অল্পের জন্য বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় ইগল।
৬· চাঁদে মানুষের প্রথম পা পড়ার ঘটনাকে বলা হয়ে থাকে ‘মানুষের জন্য ছোট্ট এক ধাপ’। কিন্তু সেই ধাপটি এত ছোট ছিল না। ইগল থেকে নামতে অভিযাত্রীদের প্রথম ধাপে লাফিয়ে ৩ দশমিক ৫ ফুট পার হতে হয়েছে।
৭· আর্মস্ট্রংয়ের পর ইগল থেকে যখন অলড্রিন নামলেন চাঁদের বুকে, তখন ইগলের দরজা খোলা ছিল। কারণ, এই চন্দ্রযানের দরজার বাইরের দিকে কোনো হাতল ছিল না; ফলে দরজা খোলা রেখেই নামতে হয়েছে তাঁদের।
৮· অভিযানের সময় অভিযাত্রীদের সবচেয়ে কঠিন কাজ ছিল কোনটি? চাঁদের বুকে পতাকা ওড়ানো। নাসার বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল, চাঁদের মাটি বেশ নরম, ফলে পতাকার দণ্ড পুঁততে সমস্যা হবে না। কিন্তু সেখানে গিয়ে তাঁরা শক্ত পাথুরে আবরণের ওপর পাতলা বালির মধ্যে পতাকার দণ্ড দাঁড় করাতে পারছিলেন না। শেষ পর্যন্ত খুব কসরত করে পতাকার দণ্ডটি ভিডিও করার জন্য কিছুক্ষণের জন্য দাঁড় করাতে পেরেছিলেন তাঁরা।
৯· যে পতাকাটি চাঁদে ওড়ানো হয়, বেশ যত্ন করে সেটির ডিজাইন করা হয়। অনেক গবেষণার পর নাসা সেটিকে অনুমোদন দেয়নি শুরুতে।
১০· চন্দ্রযানের ভিতরাবরণ, বায়ুনিরোধক আবরণ এবং কম্পিউটারের রমের মতো স্পর্শকাতর জিনিস কোনো স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় তৈরি হয়নি। এগুলো খালি হাতে তৈরি করে ছোট মেয়েদের একটি দল।

Level 0

আমি Amin Mehedi। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 39 টি টিউন ও 218 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

thanks, হা হা হা তাদের কপাল-ভালো ছিলো, নাহোলে এগুলে নিয়ে চন্দ্রাভিযান।

OpZzZ…. !

WhAttA A LuCk! ! !

Level 0

ধন্যবাদ …………………..

Level 0

But Rahat Bai To Bolsilo Anno Kotha??????????????