প্রাত্যহিক জীবনে মোমবাতির বিবিধ ব্যবহার আমরা প্রতিনিয়তই দেখতে পাই৷ আমরা প্রত্যেকেই জানি বা দেখি যে, মোমবাতি জ্বলতে জ্বলতে নিঃশেষ হয়ে যায়, আপন অস্তিত্বকে ক্ষয়ে দিয়ে মোমবাতি মানুষের আলো দিয়ে যায়, কিন্তু মোমবাতির জ্বলার এই রহস্যই বা কি? কেনই বা এটি ক্ষয়ে যায়, না ক্ষয়ে গিয়ে কি মোমবাতি আলো দিতে পারে না? এসব ব্যাপারে কি আপনার মনে কোনদিন কোন প্রশ্ন জেগেছে? কিংবা কৌতুহলী হয়ে কখনো কি মোমবাতির জ্বলতে জ্বলতে এই উধাও হয়ে যাওয়ার কারণ জানতে চেষ্টা করেছেন? সাধারণত এক টুকরো কাগজ পুড়ালেও দেখা যায় শেষ পর্যন্ত সেটার কিছু ছাই হলেও অবশিষ্ট থেকে যায়। কিন্তু মোমবাতির ক্ষেত্রে সেটাও দেখা যায় না। মোমবাতি জ্বলেপুড়ে একেবারে উধাও হয়ে যায়। তার কিছুই আর বাকি থাকে না। কিন্তু কথা হচ্ছে, এরকম হওয়ার করণটা কি? আসুন তাহলে কারণটা একটু ব্যাখ্যা করাই যাক— মোমবাতি জ্বলার প্রক্রিয়াটা ভালোভাবে লক্ষ করলে বোঝা যাবে, মোমবাতির এই উধাও হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আসলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। সে তার গঠন এবং উপাদানের কারণেই জ্বলেপুড়ে উধাও হয়ে যায়। প্রথমে আমাদের জানতে হবে মোম কোন কোন উপাদান দিয়ে তৈরি। মোম হলো কার্বন ও হাইড্রোজেনের একটি জটিল রাসায়নিক যৌগ। যখন মোমবাতির সলতেয় আগুন ধরানো হয়, তাপে মোম গলে গিয়ে সলতে বেয়ে ওপরে উঠে। এই তরল মোম তাপে গ্যাসে পরিণত হয় এবং বাতাসে অক্সিজেনের সংস্পর্শে এসে সেটা জ্বলতে থাকে। আর এভাবেই মোমবাতি থেকে আমরা আলো পেয়ে থাকি৷ যদি মোম বাতাসে অক্সিজেন না পায় তাহলে তা নিভে যাবে। একটা পরিক্ষা করে দেখতে পারেন; একটা ছোট মোমবাতি জ্বালিয়ে একটা খালি গ্লাস যদি উপুড় করে মোমবাতির উপর ঢেলে দেন, তাহলে দেখা যাবে কিছুক্ষণ পর মোমবাতিটা আপনাআপনি নিভে গেছে৷ কারণ, একটা সময় গ্লাসের ভেতরের অক্সিজেন শেষ হয়ে যাবে এবং গ্লাসের ভেতরে বাতাসের অক্সিজেন জ্বলে শেষ হয়ে যাওয়ার ফলে মোমবাতি আর জ্বলতে পারবে না কারণ, মোমবাতি জ্বলার জন্য অক্সিজেনের প্রয়োজন৷
এছাড়াও আরেকটা ব্যাপার লক্ষ করলে একটি মজার ব্যাপার বোঝা যাবে যে, জ্বলন্ত মোমবাতি নিভিয়ে পরক্ষণেই যদি একটা দেশলাইয়ের কাঠি জ্বালিয়ে মোমবাতির সলতের ইঞ্চি খানেক উপরে ধরে রাখা হয় তাহলে দেখা যাবে মোমবাতিটা জ্বলে উঠেছে।
এখান থেকে বোঝা যায় যে, তরল মোম থেকে সৃষ্ট গ্যাসই হলো মোমবাতির আলোর উৎস। মোমবাতি জ্বলার সময় মোমবাতির কার্বন বাতাসের অক্সিজেনের সঙ্গে মিশে কার্বন মনোঅক্সাইড ও কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস তৈরি করে। আর হাইড্রোজেন তৈরি করে জলীয় বাস্প। মোমবাতি জ্বলার সময় সৃষ্ট এসব উপাদান জড়ো করে যদি মাপা হয় তাহলে দেখা যাবে তা পুড়ে যাওয়া মোমের প্রায় সমান। এই কারণে বলা চলে যে, মোমবাতিটা প্রত্যক্ষভাবে উধাও হয়ে যায় মনে হলেও আসলে একেবারে যে উধাও হয়ে যায় তা কিন্তু না, জ্বলার সময় তা অন্য পদার্থে রূপান্তরিত হয় মাত্র, আর আমরা পাই আলো ও তাপ৷
আমি নূরুদ্দীন শহীদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 13 টি টিউন ও 29 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
নির্দেশনা [০১]
প্রিয় টিউনার,
আপনার টিউনটি ‘টেকটিউনস টিউন গাইডলাইন’ অনুযায়ী হয়নি।
কারণ:
আপনার টিউনটি, লিস্ট বেইসড টিউনে ফরমেটিং করা হয়নি। ‘টেকটিউনস টিউন গাইডলাইন’ অনুযায়ী এধরনের প্রকাশিত টিউন, লিস্ট বেইসড টিউন বা ‘Listicle’ (লিস্টিক্যাল) বা List Post (লিস্ট Post) ফরমেটিং করতে হয়।
লিস্ট বেইসড টিউনকে কন্টেন্ট রাইটিং এর ভাষায় ‘Listicle’ (লিস্টিক্যাল) বা List Post (লিস্ট Post) বলা হয়। লিস্ট বেইসড, ‘Listicle’ (লিস্টিক্যাল) বা List Post (লিস্ট Post) ফরমেটিং এর টিউন এর উদাহরণ হিসেবে টিউন ১ ও টিউন ২ লক্ষ করুন।
লিস্ট বেইসড টিউনে লিস্টের
খেয়াল রাখুন
১. টিউনে H2, H3 বা H4 সহ যে কোন হেডিং কখনও বোল্ড করা যায় না ও লিংক করা যায় না।
২. লিস্ট বেইসড টিউনে প্রতি আইটেমের ক্রমিক নম্বর থাকতে হয়।
লিস্ট বেইসড টিউনে প্রতি আইটেমের ক্রমিক নম্বর বাংলা নিচের ফরমেটে থাকতে হয়।
১. আইটেম ১
২. আইটেম ২
এখানে প্রথমে বাংলা ক্রমিক নম্বর, তারপর একটি ডট, ডটের পর স্পেস তারপর আইটেমের নাম।
লিস্ট বেইসড টিউনে লিস্টের প্রতি আইটেমে হুবহু এই ফরমেটে ক্রমিক নম্বর থাকতে হয়।
উদারহরণ সরূপ টিউন ১,টিউন ২, টিউন ৩ লক্ষ করুন।
এখানে লিস্ট বেইড টিউনে লিস্টের
করণীয়:
আপনার টিউনটি লিস্ট বেইসড টিউন ফরমেটিং এ ফরমেট করুন।
খেয়াল করুন: আপনার এই টিউন সংশোধনের জন্য আপনাকে সর্বোচ্চ ৫ বার নির্দেশনা দেওয়া হবে। এই ৫ বার নির্দেশনার মধ্যে আপনি যদি টিউন সঠিক ভাবে ও নির্ভুল ভাবে সংশোধনে ব্যর্থ হোন তবে এই টিউন টি ‘টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউন’ এর জন্য প্রসেস হবে না এবং ‘টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউন’ এর জন্য বাতিল হবে। নির্দেশনার ক্রমিক নম্বর নির্দেশনার শুরুতে নির্দেশনা [০১], নির্দেশনা [০২] এভাবে দেওয়া থাকে।
উপরের নির্দেশিত সংশোধন করে এই টিউমেন্টের রিপ্লাই দিন।
খেয়াল করুন, এই টিউমেন্টের রিপ্লাই বাটনে ক্লিক করে রিপ্লাই না করে টিউনে টিউমেন্ট করলে তার নোটিফিশেন ‘টেকটিউনস কন্টেন্ট অপস’ টিম পাবে না। তাই অবশ্যই এই টিউমেন্টের রিপ্লাই বাটনে ক্লিক করে রিপ্লাই করুন।