সূর্য প্রতিনিয়তই আমাদের আলো দিয়ে যায়৷ সূর্যের আলোর বিবিধ উপকারিতাও বিজ্ঞানী এবং চিকিৎসকগণ বর্ণনা করে থাকেন। সকালের সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। তবে আমরা সকাল আর বিকালের সূর্যের আলো যেভাবে উপভোগ করি দুপুরের আলো সেভাবে উপভোগ করতে পারি না। কারণ আমরা যে কাঠফাটা রোদের কথা বলি, সেটা দুপুরেই পড়ে। তাই পিতামাতা সন্তানদের বলে যে, ভরদুপুরে রোদে ঘুরতে নেই। আর ভরদুপুরে রোদে ঘুরাঘুরি কিংবা কাজ করতে আমাদের অত্যাধিক কষ্ট হয়, কারণ তখন সূর্যের তাপ থাকে সাংঘাতিক এবং তীব্র। কিন্তু সকাল বা বিকালের রোদ থাকে কোমল।
দুপুরের সুর্যের তাপের তীব্রতা সকাল বা বিকালের রোদে থাকে না৷ কিন্তু সূর্যের তাপের এই ভিন্নতা কেন হয়? এটা কি এ জন্য যে সকালের পর থেকে সূর্যের তাপ ধীরে ধীরে তেতে উঠে, আর দুপুরের পর থেকে ধীরে ধীরে সূর্যের তাপ কমে যায়? না, আসলে ব্যাপারটা তা নয়৷ সূর্যের তাপ সবসময় মোটামুটি একই থাকে। সকাল-দুপুর কিংবা বিকালভেদে সূর্যের তাপের হ্রাস-বৃদ্ধি হয় না। কিন্তু এটা সত্য যে দিনের বিভিন্ন সময়ে আমরা সূর্যের তাপের ভিন্ন অনুভূতি পাই, এর প্রধান কারণ হচ্ছে, দুপুরে সূর্যের আলো পৃথিবীতে খাড়াভাবে অর্থাৎ লম্বালম্বিভাবে পড়ে। তাই সেই সময়ে সূর্যের তাপ বেশি থাকে৷ কিন্তু সকাল বা বিকালের রোদ পৃথিবীতে বাঁকা হয়ে পড়ে। তাই সে সময়ে সূর্যের তাপ কম অনুভূত হয়।
কিন্তু খাড়া বা বাঁকাভাবে পড়লে সূর্যের তাপের কমবেশি হয় কেন? এর কারণে হচ্ছে, পৃথিবীর চারপাশে প্রায় ৬০ মাইল পুরু বাতাসের আবরণ রয়েছে; আর ভূপৃষ্টের কাছাকাছি বাতাসের ঘনত্বও বেশি, এবং ভূপৃষ্টের ওপরের দিকে বাতাসের ঘনত্ব হালকা। দুপুরের সূর্যের আলো খাড়াভাবে পড়ে বলে ওই স্তর পার হয়ে আসতে হয় না। তাই দুপুরের সুর্যের আলোতে গরমের তীব্রতা বেশি থাকে। কিন্তু সকাল ও বিকালে সূর্যের আলো কাত হয়ে পৃথিবীতে পড়ে। যার কারণে সকাল ও বিকালে সূর্যের আলোকে অনেক বেশি এবং ঘন বাতাসের স্তর পার হয়ে পৃথিবীতে আসতে হয়৷ এর ফলে আলোর তেজ কিছুটা কমে আসে। তাই সকাল ও বিকালের রোদ দুপুরের তুলনায় কোমল থাকে।
এছাড়াও সূর্যের তাপের এই ভিন্নতার আরেকটি অন্যতম কারণ হচ্ছে, সকাল বা বিকালে সূর্যের আলো বাঁকা হয়ে পৃথিবীতে পড়ার কারণে তা তুলনামূলকভাবে বেশি জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। ধরা যাক, দুপুরে সূর্যের একঝলক আলোকরশ্মি এক বর্গমিটার জায়গার উপর খাড়াভাবে পড়ছে। তাই একক স্থানে সূর্যের তাপের পরিমাণ বেশি হবে। কিন্তু সকাল বা বিকালে ওই একই পরিমাণ আলোকরশ্মি অনেক বেশি এবং ঘন বাতাসের স্তর পার হয়ে পৃথিবীতে আসার কারণে বাঁকা হয়ে দুই বা তিন বর্গমিটার জায়গায় ছড়িয়ে পড়বে৷ এর ফলে প্রতি একক স্থানে সূর্যের তাপের পরিমাণ কম হবে৷ তবে শীতাকালে দুপুরের রোদেও গরমের তীব্রতা কম থাকে, কেননা শীতকালে সূর্য দক্ষিণ গোলার্ধে হেলে থাকে৷ তাই দুপুরের রোদও কিছুটা হেলে পড়ে। সে জন্য শীতকালে রোদের তাপ দুপুরে সময়েও কম থাকে।
আমি নূরুদ্দীন শহীদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 13 টি টিউন ও 29 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
নির্দেশনা [০১]
প্রিয় টিউনার,
আপনার টিউনটি ‘টেকটিউনস টিউন গাইডলাইন’ অনুযায়ী হয়নি।
কারণ:
আপনার টিউনটি, লিস্ট বেইসড টিউনে ফরমেটিং করা হয়নি। ‘টেকটিউনস টিউন গাইডলাইন’ অনুযায়ী এধরনের প্রকাশিত টিউন, লিস্ট বেইসড টিউন বা ‘Listicle’ (লিস্টিক্যাল) বা List Post (লিস্ট Post) ফরমেটিং করতে হয়।
লিস্ট বেইসড টিউনকে কন্টেন্ট রাইটিং এর ভাষায় ‘Listicle’ (লিস্টিক্যাল) বা List Post (লিস্ট Post) বলা হয়। লিস্ট বেইসড, ‘Listicle’ (লিস্টিক্যাল) বা List Post (লিস্ট Post) ফরমেটিং এর টিউন এর উদাহরণ হিসেবে টিউন ১ ও টিউন ২ লক্ষ করুন।
লিস্ট বেইসড টিউনে লিস্টের
খেয়াল রাখুন
১. টিউনে H2, H3 বা H4 সহ যে কোন হেডিং কখনও বোল্ড করা যায় না ও লিংক করা যায় না।
২. লিস্ট বেইসড টিউনে প্রতি আইটেমের ক্রমিক নম্বর থাকতে হয়।
লিস্ট বেইসড টিউনে প্রতি আইটেমের ক্রমিক নম্বর বাংলা নিচের ফরমেটে থাকতে হয়।
১. আইটেম ১
২. আইটেম ২
এখানে প্রথমে বাংলা ক্রমিক নম্বর, তারপর একটি ডট, ডটের পর স্পেস তারপর আইটেমের নাম।
লিস্ট বেইসড টিউনে লিস্টের প্রতি আইটেমে হুবহু এই ফরমেটে ক্রমিক নম্বর থাকতে হয়।
উদারহরণ সরূপ টিউন ১,টিউন ২, টিউন ৩ লক্ষ করুন।
এখানে লিস্ট বেইড টিউনে লিস্টের
করণীয়:
আপনার টিউনটি লিস্ট বেইসড টিউন ফরমেটিং এ ফরমেট করুন।
খেয়াল করুন: আপনার এই টিউন সংশোধনের জন্য আপনাকে সর্বোচ্চ ৫ বার নির্দেশনা দেওয়া হবে। এই ৫ বার নির্দেশনার মধ্যে আপনি যদি টিউন সঠিক ভাবে ও নির্ভুল ভাবে সংশোধনে ব্যর্থ হোন তবে এই টিউন টি ‘টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউন’ এর জন্য প্রসেস হবে না এবং ‘টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউন’ এর জন্য বাতিল হবে। নির্দেশনার ক্রমিক নম্বর নির্দেশনার শুরুতে নির্দেশনা [০১], নির্দেশনা [০২] এভাবে দেওয়া থাকে।
উপরের নির্দেশিত সংশোধন করে এই টিউমেন্টের রিপ্লাই দিন।
খেয়াল করুন, এই টিউমেন্টের রিপ্লাই বাটনে ক্লিক করে রিপ্লাই না করে টিউনে টিউমেন্ট করলে তার নোটিফিশেন ‘টেকটিউনস কন্টেন্ট অপস’ টিম পাবে না। তাই অবশ্যই এই টিউমেন্টের রিপ্লাই বাটনে ক্লিক করে রিপ্লাই করুন।