আবু আলী হোসেইন ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে সিনা৷ ইবনে সিনা নামেই তিনি বিশ্বজুড়ে সর্বাধিক প্রসিদ্ধ৷ দশম শতব্দিতে জন্ম নেওয়া যুগান্তকারি একজন বিজ্ঞানি৷ বাল্যকাল থেকেই তিনি ছিলেন জ্ঞানপিপাসু। ১০ বছর বয়সেই পড়ে ফেলেছিলেন বিজ্ঞানের বিভিন্ন বই। ইবনে সিনা জন্মগ্রহণ করেন ৯৮০ খ্রিষ্টাব্দে বুখারা শহরে। যেটি বর্তমানে উজবেকিস্তানের রাজধানী শহর৷ বুখারার তৎকালীন সম্রাট নূহ ইবনে মনসুর এমন এক রোগে ভুগতেছিলেন, যার ব্যাপারে তৎকালীন উচু পর্যায়ের সমস্ত চিকিৎসকরাও আশা ছেড়ে দেন৷ এমনি সময় ইবনে সিনা চিকিৎসার দায়িত্ব নেন বুখারার সম্রাট নূহ ইবনে মনসুরের, তখন তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর। অবশেষে আরোগ্য লাভ করেন সম্রাট নূহ ইবনে মনসুর। সম্রাট খুশি হয়ে পুরস্কার দিতে চাইলে ইবনে সিনা কোন পুরস্কার নিলেন না। তিনি চাইলেন রাজকীয় লাইব্রেরি ব্যবহার করার অনুমতি৷
কঠোর অধ্যাবসায়ের বিনিময়ে তিনি তৈরি করেছিলেন চিকিৎসা বিষয়ক এক বিশ্বকোষ 'আল কানুন -ফিত-তীব্ব' অতঃপর সূচনা হয় আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের। সাথে সাথে উন্মোচন হয় চিকিৎসাবিজ্ঞানের নতুন এক আলোকবর্তিকা৷ পশ্চিমা দেশগুলোতে চিকিৎসা বিষয়ক বিশাল এই গ্রন্থটি 'কানুন' নামে প্রচলিত৷ বইটিতে ইবনে সিনা চিকিৎসাবিজ্ঞানের অসংখ্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন৷ বিভিন্ন রোগের নির্ণয় করেছেন এবং দিয়েছেন যথার্থ ব্যাখ্যাও। এই গ্রন্থে তিনি ৭৬০ ঔষদের বর্ণনা করেছেন৷ এখানে সংরক্ষিত রয়েছে ১০ লাখেরও বেশী শব্দ৷ ইবনে সিনার এই বিশ্বকোষের কাছে হারিয়ে যায় তৎকালীন সময় এবং পূর্বেকার সময়ের চিকিৎসাবিজ্ঞানের সমস্ত ধারা৷ এমনকি গ্যালনের কর্মসফলতাও ম্রিয়মান হয়ে যায় চিকিৎসাবিজ্ঞানে ইবনে সিনার অনবদ্য এই আলোকবর্তিকার কাছে। গ্রন্থটি ৫ খণ্ডে বিভক্ত এবং এর পৃষ্ঠাসংখ্যা ৪ লক্ষ৷
চিকিৎসাবিজ্ঞানের প্রধান এই বইটি তৎকালীন সময়ে ল্যাটিন, ইংরেজি, হিব্রু প্রভৃতি ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং দীর্ঘ ছয়শ বছর যাবত ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এই গ্রন্থটি বাধ্যতামূলক পাঠ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের প্রতিকৃৎ আবু আলি ইবনে সিনা আবিস্কার করেছিলেন চিকিৎসাবিজ্ঞানের তিনটি মৌলিক স্তম্ভ।
তিনি থাইসিস বা যক্ষ্মারোগের সংক্রামক প্রকৃতি নির্ণয়, মাটি এ পানি প্রবাহিত রোগ চিহ্নিত করণ, এবং শরীর ও স্বাস্থ্যের আন্ত:ক্রিয়া চিহ্নিত করেন৷ মেনিনজাইটিস (Meningitis)' রোগ সর্বপ্রথম তিনিই সনাক্ত করেন এবং এর লক্ষণসমূহেরও যথাযথ বর্ণনা দেন তিনি। এছাড়াও শরীরবিদ্যা, স্ত্রীরোগবিদ্যা এবং শিশু স্বাস্থ্য সম্পর্কেও রয়েছেন ইবনে সিনার অনন্য অবদান৷ ইবনে সিনা সর্বপ্রথম মুখে গ্রহণযোগ্য চেতনানাশক (oral Anesthesia) এর ধারণা দিয়েছিলেন, ক্ষতস্থানে সেলাইয়ের জন্য প্রাণীর টিউনিক নালির প্রথম ব্যবহার করেন তিনি। এবং তিনি আরো আবিস্কার করেন অ্যানথ্রাক্স (Anthrax) অ্যাঙ্কাইলোস্টোম (Ankylostoma) এবং গিনি ওয়ার্ম (Guniea worm)। আবেগ জড়িত অসুস্থতার চিকিৎসার জন্য তিনি ব্যবহার করেছিলেন 'Physiological psychology। ' এছাড়াও তিনি আবিস্কার করেছিলেন বিভিন্ন নতুন নতুন চিকৎসাদ্ধতি। যেসবের সূত্র ধরে আজকের আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান উন্নত থেকে উন্নততর পর্যায়ে উন্নিত হতে সমর্থ হয়। তাই আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে ইবনে সিনার অবদান চিরভাস্বর হয়ে গ্রথিত থাকবে।
মাইকেল এইচ হার্ট রচিত বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ১০০ মনীষীর জীবনী গ্রন্থেও ইবনে সিনার সংক্ষিপ্ত জীবনী উল্লেখ রয়েছে। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের জনক মহাজ্ঞানি ইবনে সিনা ১০৩৭ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
আমি নূরুদ্দীন শহীদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 13 টি টিউন ও 29 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
নির্দেশনা [০১]
প্রিয় টিউনার,
আপনার টিউনটি ‘টেকটিউনস টিউন গাইডলাইন’ অনুযায়ী হয়নি।
কারণ:
আপনার টিউনটি, লিস্ট বেইসড টিউনে ফরমেটিং করা হয়নি। ‘টেকটিউনস টিউন গাইডলাইন’ অনুযায়ী এধরনের প্রকাশিত টিউন, লিস্ট বেইসড টিউন বা ‘Listicle’ (লিস্টিক্যাল) বা List Post (লিস্ট Post) ফরমেটিং করতে হয়।
লিস্ট বেইসড টিউনকে কন্টেন্ট রাইটিং এর ভাষায় ‘Listicle’ (লিস্টিক্যাল) বা List Post (লিস্ট Post) বলা হয়। লিস্ট বেইসড, ‘Listicle’ (লিস্টিক্যাল) বা List Post (লিস্ট Post) ফরমেটিং এর টিউন এর উদাহরণ হিসেবে টিউন ১ ও টিউন ২ লক্ষ করুন।
লিস্ট বেইসড টিউনে লিস্টের
খেয়াল রাখুন
১. টিউনে H2, H3 বা H4 সহ যে কোন হেডিং কখনও বোল্ড করা যায় না ও লিংক করা যায় না।
২. লিস্ট বেইসড টিউনে প্রতি আইটেমের ক্রমিক নম্বর থাকতে হয়।
লিস্ট বেইসড টিউনে প্রতি আইটেমের ক্রমিক নম্বর বাংলা নিচের ফরমেটে থাকতে হয়।
১. আইটেম ১
২. আইটেম ২
এখানে প্রথমে বাংলা ক্রমিক নম্বর, তারপর একটি ডট, ডটের পর স্পেস তারপর আইটেমের নাম।
লিস্ট বেইসড টিউনে লিস্টের প্রতি আইটেমে হুবহু এই ফরমেটে ক্রমিক নম্বর থাকতে হয়।
উদারহরণ সরূপ টিউন ১,টিউন ২, টিউন ৩ লক্ষ করুন।
এখানে লিস্ট বেইড টিউনে লিস্টের
করণীয়:
আপনার টিউনটি লিস্ট বেইসড টিউন ফরমেটিং এ ফরমেট করুন।
খেয়াল করুন: আপনার এই টিউন সংশোধনের জন্য আপনাকে সর্বোচ্চ ৫ বার নির্দেশনা দেওয়া হবে। এই ৫ বার নির্দেশনার মধ্যে আপনি যদি টিউন সঠিক ভাবে ও নির্ভুল ভাবে সংশোধনে ব্যর্থ হোন তবে এই টিউন টি ‘টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউন’ এর জন্য প্রসেস হবে না এবং ‘টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউন’ এর জন্য বাতিল হবে। নির্দেশনার ক্রমিক নম্বর নির্দেশনার শুরুতে নির্দেশনা [০১], নির্দেশনা [০২] এভাবে দেওয়া থাকে।
উপরের নির্দেশিত সংশোধন করে এই টিউমেন্টের রিপ্লাই দিন।
খেয়াল করুন, এই টিউমেন্টের রিপ্লাই বাটনে ক্লিক করে রিপ্লাই না করে টিউনে টিউমেন্ট করলে তার নোটিফিশেন ‘টেকটিউনস কন্টেন্ট অপস’ টিম পাবে না। তাই অবশ্যই এই টিউমেন্টের রিপ্লাই বাটনে ক্লিক করে রিপ্লাই করুন।