ক্রিস্টোফার কলম্ভাসের অভিযানের কথা শুনেনে নি এমন মানুষ পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। তিনি ১৯৪৬ সালে জন্মগ্রহন করেন। তিনি বহু যায়গায় সমুদ্রযায়া করেছিলেন। আফ্রিকার উপকুলে, ভুমধ্যসাগরের তীরে, আইসল্যান্ডে।
সেখান থেকে ভাইকিংসদের কাহিনো শুনে তার দৃড় ধারনা হয়েছিল যে, পশ্চিমেও কোন দেশ আছে। ইতিমধ্যে তিনি জেনে গিয়েছিলেন এবং ম্যাপ ও নকশা পেলেই মনযোগ দিয়ে সব দেখতেন ও বুঝার চেষ্টা করতেন। ভারতবর্ষে পৌছাবার পানিপথ আবিষ্কারের আশায় তিনি ব্যাকুল হয়ে উঠলেন।
কিন্তু কোথায় তিনি জাহাজ পাবেন কিংবা কারা দিবে লোকজনের মজুরি। স্পেনের রাজা তখন ফার্ডিনান্ডু ও রানি ইসাবালা.৭ বছরের চেষ্টায় স্পেনের রাজা ও রানি কলম্বাসকে তিনটি জাহাজ দিয়ে সাহায্য করলেন, আর দিলেন অভিযানের সব খরছ। প্রায় এক হাজার পাউন্ডের মতন।
যারা কলম্বাসের সংগে সমুদ্রে ভাসলো, তাদের কেওই সেচ্চায় এই কাজটি করেননি। একশো বিশ জনের অধিকাংশেই মোটার টাকা মজুরিতেই এই জাহাজ গুলো চালাতে রাজি হয়েছিল। তাও রাজার আদেশ বাধ্য হয়ে এই রকম ঝুকি নিয়েছিল।
অবশেষে, ১৪৯২ সালের তিন আগস্টে কলম্বাস তার তিন নিনা, পিন্টা, ও সাল্টা মারিয়ে জাহাজ নিয়ে সমুদ্রপথে অজানা উদ্দেশ্য বেড়িয়ে পড়ে। কলম্বাসের অনুমান ছিল পৃথিবী অনেক ছোট। এর আকার তিন ভাগের এক ভাগ। তসি সঠিক যায়গায় পোছাতে যত সময় লাগবে বলে তিনি হিসাব করেছিলেন তার চেয়ে অনেক বেশি সময় লেগেছিল তার। দিন, মাস, বছর পেরিয়ে যাচ্ছে তবুও কলম্বাসের জাহায আরো পশ্চিমে যাচ্ছে। কিন্তু কোথাও কোন ডাংগার চিহ্ন নেই। তারা উওর আটলান্টিকায় দক্ষিন-পশ্চিম দিকে এসে পড়েছেন সারাগাসো সাগরে।
নাবিকরা এইবার একযোগে বিদ্রোহ ঘোষনা করলো, কলম্বাসকে আর তারা মানবে না। লোকটি নাকি নিষ্টুর আর পাগল। সবার মনের অবস্থা যখন এরকম, একদিন হঠা দেখা গেল কয়েকটি পাখি। ভেসে এলো কয়েকটা তাজা সবজি, তীড়ে জন্মানো কয়েকটী নলখাগড়া ও একগুচ্চ ফুল, এক্টা পালিশ করা কাঠ আর খোদাই করা লাঠি। এগুলো সবই ডাংগা আর মানুষের চিহ্ন। নিশ্চয়ই কাছে কোন ডাংগা আছে। শান্ত হলো নাবিকরা। রক্ষা পেল কলম্বাসের প্রান। বিশ্বাস ফিরে এলো নাবিকদের মনে।
দিনটা ১২ অক্টোবর, ১৪৯২। একদিন সত্যিই পাওয়া ডাংগা। কলম্বাস জমকালো পোষাক পড়ে পতাকা উড়িয়ে নতুন দেশের তীরে জাহাজ থেকে এক লাফে নেমে পড়লেন। হাটুগেড়ে বসে বসে প্রার্থনা করলেন সর্ষ্ট্রার কাছে। যার চেষ্টাটেই তার অভিযান শুরু হয়েছিল, সেই ইসাবালা রানির নামে তিনি অধিকার করলেন ওই দেশ।
কলম্বাসের মনে বিন্দুমাএ সন্দেহ ছিল না যে তিনি ভারতে পৌছেছেন। তাই তিনি এই দেশের নাম দিয়েছিলেন ইন্ডিজ। আদিম অধিবাসিরা এসে তাকে পুজা করতে লাগলো। তাদের ধারনা ছিল এরা সবাই দেবতা স্বর্গ থেকে এসেছে। জাহাজগুলোর পাল দেখে তাদের এই ধারনা হল।
প্রথম ওয়াটলিং দ্বিপে নেমেছিলেন এরপ্র কিউবা, হাইতি ও আরো অনেক দ্বীপে গিয়েছিলেন। হাইতিতে একটি দুর্গ তৈরী করে কিছু লোক সেখানে রেখে ফিরে এলেন স্পেনে। দেশে পেলেন বিপুল সংবধনা।
এরপর ও তিনি তিনবার আমেরিকায় ভ্রমন করেছিলেন। মিথ্যা অভিযোগে কারাগার ভোগ করলেন। কিন্তু পরে মুক্তি পেলেও তার শেষ কাটোলো দারিদ্রতায়। ১৫০৬ সালে ২০ ই মে বলতে গেলে অসম্মানিত হয়েই মারা গেলেন এই মহান ব্যক্তি।
আমি সাখাওয়াত মহিম। , Mirpur। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 13 টি টিউন ও 21 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
বেঁচে থাকা দারুন একটা ব্যাপার।কিন্তু কয়জন বেঁচে থাকে।আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।সময় মূল্যবান।জীবন তার চেয়েও অনেক বেশী মূল্যবান।আর সম্ভাবনাময়,সুন্দর।বিশ্বদ্যিালয়ের পাঠ এখনো চুকিয়ে নেয়নি।সামনে আরও নিরস ভবিষ্যৎ।নিরস জীবন সরসভাবে কাটানোর প্রচেষ্টায় আমি সাখাওয়াত মহিম।