ধরেন, আপনি এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০ মত বই পড়ে ফেলেছেন। কিন্তু কোনটাই আপনার মনে নেই। কিংবা লাইফে কখনো এপ্লাই করেন নি। তাহলে আপনি আসলে এখনো অনেক ভুল পথে আছেন।
একটু ভাবুন, সেই সময় গুলোর কথা, বিকালে বারান্দায় বসে চা/কফি খাচ্ছেন আর বই পড়ছেন, কিংবা ট্রাফিক জ্যামে বসে বইয়ের পাতারপর পাতা উল্টিয়ে বই গুলো শেষ করেছিলেন। কিন্তু আল্টিমেট আপনার ফলাফল আসলে জিরো।
এখন, আপনি প্রশ্ন করতে পারেন, বই পরে আমি অবসর সময় সময় কাটাই। কিংবা বিনোদন এর জন্য বই পড়ি। এখানে এপ্লাই করার কি আছে?
ভাই থামেন, গল্প, কবিতা, উপন্যাস যাই আপনি পড়েন না কেন, এইগুলো আমাদের চারপাশে মানুষদের থেকে নেওয়া আর বাকিটুকু লেখকের কল্পনা শক্তি। বই পড়েও অনেক কিছু এপ্লাই করার আছে, অনেক কিছু অনুধাবন করার আছে।
এখনো বা হয়তো আপনার বুক শেলফে সবগুলো বই সাজানোই আছে। কিন্তু সত্য বলতে ওগুলো শোপিস ছাড়া আর কিছুই না।
আসুন, শোপিস গুলোকে শেলফ থেকে নামিয়ে আবার একটু ঝুরাঝুরা দেই।
১.কোন বই পড়ার আগে সেই বই সম্পর্কে একটু পরিচিত হয়ে নিন। অনেক আসলে মুভি দেখার আগে মুভি ট্রেইলার দেখার মতন। তাহলে, পুরো বই সম্পর্কে বুঝতে ও পড়তে আপনার সুবিধা হবে। আপনার মনে হবে, বইটি আপনি ২য়বার পড়ছেন। এখন, প্রশ্ন হলো, কিভাবে পরিচিত হবেন?সহজ কথা! সূচিপত্র দেখে।
২.যাই পড়েন না কেন নিজের লাইফের সাথে রিলেট করার চেষ্টা করবেন। চরিত্র এর সাথে মিশে যাওয়া চেষ্টা করবেন। চরিএ কে বুঝার চেষ্টা করবেন।
৩.বই পড়ার সময় সবসময় কলম/পেন্সিল/মার্কার নিন। আর মার্ক করতে শুরু করুন। পড়া শেষ হলে, যেগুলো মার্ক করলেন সেগুলা রিভাইস করলে দেখবেন পুরো গল্পটি আবারো আপনার মাথায় চলে এসেছে।
৪.একবারেই পড়বেন না। পড়ুন তারপর থামুন। এতে আপনার ব্রেন কিছু সময় ব্রেক পাবে। ওই কিছু সময় আপনি চরিএ নিয়ে ভাবুন। সামনের পাতায় কি হতে পারে প্রেডিকশন করুন। এই ভাবে আপনি দেখবেন চরিত্রের ভিতর ঢুকে গেছেন। ফলাফল- গল্প আপনার মাথায় একদম সেট হয়ে গেছে।
৫.বই পড়া কি শেষ? এইবার একটা বই সম্পর্কে সামারি লিখে ফেলুন। যদি সামারি লিখতে না পারেন তাহলে বুঝে নিবেন আপনি আসলে বইটি পড়েন নি। শুধু পাতা উল্টিয়েছেন। লেখক আহমেদ ছফার গুরু রাজিব আহমেদ স্যার একটা কথা বলেছেন-আপনার লিখার ভাষা হয়তো লেখকদের মত হবে না। কিন্তু আপনি একটা বই পড়ে যদি নিজের মত করে সেই বই সম্পর্কে কিছু না লিখতে পারেন। তাহলে, ধরে নিবেন -আপনার আসলে পড়াই হয়নি।
সামারি লিখার পর আপনি কি করবেন?এটাও বলে দিতে হবে ভাই?আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে টিউন করে দেন।
এতে তিনটা ঘটনা ঘটবে আপনার সাথে।
এক, সবার কাছে আপনি একজন বই পড়ুয়া ইন্টেলেকচুয়াল ব্যক্তি হয়ে যাবেন। দুই, সামারি করা এবং লিখার ফলে আপনার মাথায় বইটি গেথে যাবে। আর তিন, লাইফে একটা থার্ড আইডেন্টেকটিউনস সৃষ্টি হবে। নিজেকে বুক রিভিউয়ার বলে সবার কাছে পরিচয় দিতে পারবেন।
দেখলেন তো, বই পড়ারও কত টেকনিক ও বেনেফিট আছে। পরিশেষ একটি কথা কথাই বলবো, মাসে অত্যন্ত একটি বই পড়ুন। আপনার পছন্দ অনুযায়ী। পৃথীবি বইয়ের হোক।
আমি সাখাওয়াত মহিম। , Mirpur। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 13 টি টিউন ও 21 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
বেঁচে থাকা দারুন একটা ব্যাপার।কিন্তু কয়জন বেঁচে থাকে।আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।সময় মূল্যবান।জীবন তার চেয়েও অনেক বেশী মূল্যবান।আর সম্ভাবনাময়,সুন্দর।বিশ্বদ্যিালয়ের পাঠ এখনো চুকিয়ে নেয়নি।সামনে আরও নিরস ভবিষ্যৎ।নিরস জীবন সরসভাবে কাটানোর প্রচেষ্টায় আমি সাখাওয়াত মহিম।