ভাইরাস হলো মূলত একটাইপের Genetic Instruction যেটা তাদের RNA তে দেয়া থাকে এবং সে ইনফরমেশন একটা ক্যাপসুল দ্বারা প্রটেক্টেড থাকে, কাজেই ভাইরাস জীবিত কিছু না আবার মৃত বললেও ভুল হবে কারণ তাদের উদ্দেশ্য বংশবৃদ্বি বা CLONING
করোনা ভাইরাসও তাই, প্রথমে সে আক্রান্ত কারো হতে আপনার শরীরে নাক বা মুখের মাধ্যমে প্রবেশ করতে পারে তারপর সোজা চলে যায় শ্বাসনালী, ফুসফুস বা পাকস্থলীতে
এখন তার উদ্দেশ্য আপনার অভ্যন্তরীণ Cell Reproduction System এ এক্সেস করা, আপনি যদি জেনে না থাকেন আমাদের শরীরে প্রতি সেকেন্ডে কোটি কোটি Cell(কোষ) তৈরী এবং ধ্বংস হয় মৃত্যু পর্যন্ত. আপনার ফুসফুসের বর্ডার হিসেবে কাজ করে Elthelical Cell করোনা ভাইরাস আপনার বর্ডার পর্যবেক্ষন করে টার্গেট Cell এর সাথে কানেক্ট করে তার RNA হতে Genetic Code বা Instruction গুলো আপনার শরীরে ইনজেক্ট করে দেয়। আপনার রেগুলার ডিফেন্স সিস্টেম কিছু টের পাওয়ার পূর্বেই সেই জেনেটিক ইনসট্রাকশন অভ্যন্তরীণ সিস্টেম হ্যাক করে ফেলে যার ফলস্বরূপ Ribosome করোনা ভাইরাসেরই জন্য কাজ করা শুরু করে অর্থ্যাৎ করোনা কোষ তৈরী করে তাকে ক্লোনিং এ হেল্প করে
এখানে সমস্যা হলো রাইবোজোমের উচিত শুধু আপনার DNA কমান্ড এক্সেপ্ট এবং এক্সিকিউট করা অন্যদের প্রবেশের অধিকার নেই সে জায়গায় করোনার সেল তৈরী করছে সুতরাং বুঝতেই পারছেন যে কম্পিউটার ভাইরাসের মত আপনার সিস্টেমও হ্যাক করতে পারে. আচ্ছা এটা তো বলিনি যে ভাইরাস আপনার শরীরকে কি কমান্ড দিয়েছিল? সব ভাইরাসের মত করোনারও উদ্দেশ্য একটাই, নিজেদের ক্লোন করতে থাক আর বাকিদের ধ্বংস কর". মানে এখন আপনার এক অংশ আপনার জন্য কাজ না করে করোনা ভাইরাসের জন্য কাজ করছে অর্থ্যাৎ Corona Cell উৎপাদন করছে। এভাবে চলতে চলতে ৮-১০ দিনের মাথায় আপনার শরীরের অভ্যন্তরীণে যখন কোটি কোটি Cell তৈরী হয়ে যায় তারা এবার বিশ্বাসঘাতকতা করে, আপনার শরীরেই বড় হয়ে আপনার শরীরের কোষদেরই ড্যামেজ করা শুরু করে (এবং একেই বলে দুধ দিয়ে সাপ পোষা)
Anyway করোনা এখন শরীরের ওই অংশ হতে থেকে বের হয়ে পুরো ফুসফুসে, শ্বাসনালীতে ছড়িয়ে গিয়ে আক্রমণ শুরু করে দেয়। যার ফলে আমাদের শরীরের Defence System একটা ইমারজেন্সি এলার্ট Trigger করে আপনার DNA কে জানিয়ে দেয় যাতে সে দ্রুত কিছু একটা করে
আপনার DNA পুরো শরীর স্ক্যান করে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে যেমন কোথায় কত সেল ড্যামেজ হয়েছে আর কোথায় আক্রমণ হচ্ছে ইত্যাদী। তারপর একটা ডিফেন্স সিস্টেম বানানো শুরু করে, এরপর আপনার DNA হতে Instruction গুলো আদান প্রদান করতে Enzyme এর নিউক্লিয়াস বার্তাবাহকের কাজ করে যেখানে কোড থাকে। ইন্সট্রাকশন পাওয়া মাত্র আপনার শরীরের অস্থি প্রচুর White Blood Cell বা এন্টিনডি বা সৈন্যদল তৈরী করে যাদের করোনাকে মারার স্ট্রাটেজি বলে দেয়া হইছে। তো আপনার শরীরও কোটি কোটি সৈন্য তৈরী করে পাল্টা আক্রমণ শুরু করে, শুরু হয় তুমুল যুদ্ব। এমন অবস্থায় আপনার শরীরের হাড়ে খুব যন্ত্রণা করবে এবং এটাই স্বাভাবিক কারণ তারা কোটি কোটি সৈন্য তৈরী করছে কিন্ত আপনার ব্যাথা সহ্য না হলে ঔষধ দেয় ডাক্তাররা যাতে ব্যাথা ফিল না হয়। আবার শরীরের অভ্যন্তরীণ ট্রিগারগুলোর রেসপন্স হিসেবে ইচ্ছাকৃতভাবে আপনার শরীর নিজের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয় মাঝে মাঝে অনেক বাড়িয়ে দেয় যাতে আরো নিখুতভাবে শত্রুদের চিহ্নিত এবং পরাজিত করা যায়। উল্লেখ্য যে আপনার কোষ এই টেম্পারেচার নিতে পারলেও বাইরের শত্রুরা পারবেনা অন্তত আপনার সেলদের পাল্টা আক্রমণ করতে পারবেনা, দারুণ না?
সমস্যা হলো,
নতুন ভাইরাসগুলো যারা অবশ্যই Mutated তাদের চিনতে এন্টিবডিদের কিছুটা সময় লাগে তাছাড়া প্রথম দিকের এন্টিবডিদের করোনা কনফিউজড এবং উত্তেজিত করে দেয় এবং আপনার সৈন্যরা শত্রূদের চিনতে পারেনা বা কনফিউজড হয়ে সবাইকে পেটানো শুরু করে.
এই সুযোগে দুইটা প্রধান সৈন্যদের সম্পর্কে আপনাকে বলি,
-Neutrophils: এরা খুন করতে খুবই এক্সপার্ট, খুবই খুবই এক্সপার্ট
-Killer T-Cells: এরা শত্রূদের বিভিন্ন কেমিকেল ইউজ করে সুইসাইড করতে বাধ্য করে
কিন্তু করোনা যখন কনফিউজন সৃষ্টি করে তখন এরা সবাইকে মারে এমনকি নিজেদেরও, এই পরিস্থিতিতে আক্রান্ত ব্যক্তির সেলগুলো পারমানেন্টলি ড্যামেজ যেতে পারে যেটা Mostly Irreversible কিন্তু রিসার্চ যা বলে আপনার Immune/Defense System যদি ভালো হয় অর্থ্যাৎ আপনি যদি যুবক হয়ে থাকেন বা যথেস্ট শারিরিক পরিশ্রম করে থাকেন তবে আপনার ডিফেন্স সিস্টেমকে কাবু করা সহজ হবে না এবং জেনারেলি ১ সপ্তাহে রিকভারি প্রসেস ট্রিগার, সপ্তাহখানেকে শরীর সুস্থ হয়ে যাওয়া উচিত
তো আপনি যুদ্বে জিতে গেলে আপনার Gene এ ওই ডেটাগুলো সংরক্ষণ করা থাকবে যাতে পরেরবার আবার আক্রমণ করার চেস্টা হলে আপনার সৈন্যরা নিমিষেই করোনা ভাইরাসকে বের করে দিতে পারে এবং এই জেনেটিক তথ্যগুলো আপনার থেকে আপনার বংশ বা পরবর্তী প্রজন্মদের কাছেও পৌছবে (Probably)
কত্ত এডভানসড ডিফেন্স তাই না? সৃষ্টিকর্তা কী একটা ধন্যবাদ ডিজার্ভ করেনা?
এই টাইপের টিউন লিখতে প্রচুর সময় এবং রিসার্চের প্রয়োজন হয় এবং আমি খুবই প্যাশনেট। বিজনেস, লাইফ, ফিলোসফি, সাইন্স/ফিজিক্স, প্রোগ্রামিং, ফিটনেসসহ ইত্যাদী টপিকে এক্সপার্টিজ আছে। আমাকে জোশ/ফলো দিয়ে উৎসাহিত করবেন কি?
আমি রাশেদ আরমান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Saying nothing sometime says the most :)
Marvelous writing.