মহাবিশ্ব যতসব রহস্যে ভরা, স্পেসে আছে ভয়ংকর সব Unsolved Mystery তার মধ্যে Black Hole অন্যতম।
বিশাল নক্ষত্র যেগুলো ভরে সূর্যের চেয়ে অন্তত ১৫ গুণ ম্যাসিভ তাদের জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ার পর নিজেদের ভরেই সুপারনোভা বিস্ফোরণের মাধ্যমে স্পেসটাইমে ফুটো করে Infinite Gravitational ফোর্স তৈরী করে মৃত নক্ষত্র বা ব্ল্যাকহোলে পরিণত হয়.
প্রত্যেকটা গ্যালাক্সির মাঝখানে একটা বিশাল ব্ল্যাকহোল থাকে যাদের বলা হয় সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল তাছাড়াও কোটি কোটি ছোট ব্ল্যাকহোল ছড়িয়ে থাকে পুরো গ্যালাক্সিজুড়ে। ধারণা করা হয় আমাদের মিল্কিওয়ের মাঝে সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল Sagittarius A সূর্য হতে ৪০ লক্ষ গুন ভারী
একটা নিউট্রন স্টার এতোটা ডেন্স হয় যে সেখানে ১চামচ পদার্থ/মাটি ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন টনের বেশি হয় কাজেই তারা সময় এবং আলো দুটোই প্রচুর পরিমাণে ধীর বা বাঁকিয়ে দিতে সক্ষম। নিউট্রন স্টার যখন ব্ল্যাকহোলে পরিণত হয় তারা সূর্যের চেয়েও ৫০০ গুণ বিশাল নক্ষত্রদের গিলে ফেলতে সক্ষম, পৃথিবী কিছুই না। একটা ফুটবলের মত ছোট ব্ল্যাকহোলও ম্যাসিভ পাওয়ারফুল হয় যে চাঁদকে সে নিমিষেই গলিয়ে ফেলতে পারবে।
পদার্থ এর ভিতর দিয়ে কোথায় যায় আমাদের সেটা জানা নেই আর জানা পসিবলও নয় কারণ ব্ল্যাকহোলের ভেতরে কিছু একবার প্রবেশ করলে তার কোনে ইনফরমেশন আর বেরিয়ে আসেনা এমনকি লাইট পর্যন্তও না।
আপনি যদি একটা Black Hole এর খুবই কাছাকাছি Event Horizon এর আশেপাশেও যান আপনাকে আর মহাবিশ্বের কোনো ফোর্স আটকাতে পারবে না, আপনি কিছু বুঝে ওঠার আগেই ব্ল্যাকহোল আপনাকে শুষে নেবে। তবে ব্ল্যাকহোলের ব্যাপারে সবচেয়ে ভয়ংকর যেটা তা হলো ব্ল্যাকহোল পুরো ইউনিউভার্স ডিলিট করে দিতে পারে। যেটা কোয়ান্টাম মেকানিকসের নিয়মের বাইরে, Quantum Mechanics বলে Information Cannot Be Lost But Change Form.
এরা বোঝার আগে আপনাকে বুঝতে হবে ইনফরমেশন কি? আমরা জানি এই মহাবিশ্বের সব পদার্থের Fundamental Building Block হলে Quarks. যার দ্বারা প্রোটন, নিউট্রন, ইলেকট্রণ তৈরী কিন্তু অণু-পরমাণুর কম্বিনেশন আলাদা হলে একই জিনিস দিয়ে Infinite পদার্থ তৈরী হয় যেমন গ্রাফাইট এবং ডায়মন্ড। তবে আমরা যদি এই বিন্যাসের ইনফরমেশন হারিয়ে ফেলি তবে মহাবিশ্বে কিছুই থাকবেনা সব "নেই" হয়ে যাবে।
একটা ব্ল্যাকহোল ঠিক একই কাজ করে, সে সব ইনফরমেশন গিলে ফেলে এবং তার Event Horizon এ প্রসারের মাধ্যমে তথ্যগুলো সংরক্ষণ করে কিন্তু কোটি কোটি বছর পর ব্ল্যাকহোল তার Lifespan শেষ করলে হঠাৎ করে উধাও হয়ে যায় কোনো ইনফরমেশন না দিয়েই, তাহলে সব কোথায় গেল? অর্থ্যাৎ আপনি পানি গরম করলে তা বাষ্পীভূত হয় কিন্তু ব্ল্যাকহোলের ভিতরে ডেটা উধাও হয়ে যায় আর সেখান থেকে বিকিরত এনার্জি থেকে কোনো তথ্যই পাওয়া যায় না, পাওয়া গেলেও সেটা ডিকোড করা ইম্পসিবল অর্থ্যাৎ সব ডিলিটেড। কোয়ান্টাম মেকানিকসের সাথে সংঘর্ষ হওয়ায় স্টিফেন হকিং এই সমস্যাটি সলভ করতে "হকিং রেডিয়েশন" থিওরি প্রবর্তন করে যা নিয়ে আপনি বিস্তারিত উইকিপিডিয়াতে পাবেন
আপনার কি মনে হচ্ছে ব্ল্যাকহোলই আমাদের পৃথিবীর শেষ পরিণতি হবে? আমাদের সবচেয়ে কাছের ব্ল্যাকহোল 3000 Light Years দূরে আবার আনুমানিক ৪ মিলিয়ন বছর পরে সেকেন্ডে ১১০ কি.মি. বেগে ধেয়ে আসা প্রতিবেশী গ্যালাক্সি এন্ড্রোমিডার সাথে আমাদের মিল্কিওয়ের সংঘর্ষ হবে। ম্যাথ বলে এরা একে অন্যের মধ্যে দিয়ে চলে যাবে অজানা ডার্ক ম্যাটারের জন্য কিন্তু কোনো এক অজানা শক্তি (ডার্ক এনার্জি) মহাবিশ্বের ক্রমাগত Expansion ঘটাচ্ছে যার দরুন গ্যালাক্সিগুলো একে অন্যের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে তবুও কোনো এক কারণে এন্ড্রোমিডা এদিকেই এগিয়ে আসছে. যাই হোক না কেন আপনার বা আমার লাইফটাইম এ এসব দেখবো আমার মনে হয় না.
একটু ভাবলে উপলব্দি করবেন যে কিছুই সেন্স মেক করেনা, অসম্ভব Uncertainty এর পরেও আমরা বেচে আছি, প্রচন্ড বিশাল, রহস্যময় এক মহাবিশ্বের অংশ হতে পেরেছি এবং (হয়ত) আমরাই একমাত্র সৌভাগ্যবাণ প্রাণী যারা সব অবজার্ভ করছে এবং ভাবছে কীভাবে চলছে এই বিশাল মহাবিশ্ব
আমি রাশেদ আরমান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Saying nothing sometime says the most :)
দারুণ লাগলো পড়ে।