নিরাপদ পানি নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে পৃথিবীর চার ভাগের তিন ভাগই পানি অন্যদিকে মানুষের শরীরেরও পানির অনুপাত প্রায় ৬৫ ভাগ আর পানিই জীবন, জীবন মাত্রই পানির প্রয়োজন—এটি চিরন্তন সত্য তবে ক্রমেই যে পানি দুর্লভ ও ব্যয়বহুল পণ্যে পরিণত হতে চলেছে সেটা অনুধাবন করার সময় এসেছে গত শতাব্দীর আশির দশকে যেখানে হাতেগোনা একটি বা দুটি পানি বাজারজাতকরণ কোম্পানি ছিল সেখানে বর্তমানে বিশুদ্ধ পানি, পানি বিশুদ্ধকরণ যন্ত্রপাতির কোম্পানি শ’দুয়েকের বেশি এই পরিসংখ্যানটিই বলে দিচ্ছে মূলত পানিদূষণের অবস্থা এবং ভবিষ্যত্ যে পানির অপর নাম জীবন সেই পানির অভাবেই আজ বিশ্বের প্রায় ৬০০ কোটি মানুষের জীবন হুমকির মুখে পতিত হতে চলেছে বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষের ব্যবহার উপযোগী স্বচ্ছ পানির পরিমাণ মাত্র ২৫ ভাগ এর মধ্যে ৭০ মেরুদেশে বরফ হিসাবে, বাকি ৩০ মাটির আর্দ্রতা এবং ভূগর্ভস্থ পানি হিসাবে বিরাজিত অর্থাত্ ব্যবহার উপযোগী পানির ১ বা মোট পানির০০৭ হলো সহজলভ্য পানি চারদিকে পানির উপস্থিতি আমাদের নজরে থাকায় পানি অপ্রতুল নয় বলে আমাদের মনে হলেও যদি নৌযোগাযোগ, পানি বিদ্যুত্, পরিবেশ, গাছপালা এবং জলজ প্রাণীর চাহিদা বিবেচনা করা হয় তাহলে মোটেও সেটা যথেষ্ট নয় বিশুদ্ধ পানির অভাব কতটা সেটা আমরা বুঝতে পারি জাতিসংঘের রিপোর্টে জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী ২০৩০ সাল নাগাদ ৩৫টি দেশে পানি দুর্লভ হয়ে পড়বে, যা ১৯৯০ সালে ছিল ১৭টি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ-এর ২০০৬-০৭ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী পৃথিবীর ৭৮ কোটি মানুষ বা ১১ মানুষ নিরাপদ পানি পায় না ২০০৮ সালে এ সংখ্যা ৯০ কোটি এবং ২০১২ সালের হিসেবে ১০১ কোটি মানুষ নিরাপদ পানির সংকটে ভুগছে উল্লেখ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং পয়ঃনিষ্কাশনের অভাবে বছরে প্রায় ৩৭ লাখ মানুষ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে মারা যায়, যার মধ্যে শিশু ১৫ লাখ বাংলাদেশে এ অবস্থা আরো ভয়ানক অর্থাত্ বর্তমানেও প্রায় ৫৭ লোক পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এবং প্রাণ হারাচ্ছে অথচ পানির বিভিন্ন উেসর আধারের মধ্যে থেকেও বাংলাদেশের মানুষ মূলত বিশুদ্ধ পানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অসচেতনতা ও দায়িত্বহীনতার কারণে এছাড়াও শিল্পপণ্য উত্পাদনে যে পরিমাণ পানির ব্যবহার হচ্ছে তা ক্রমেই পানির সংকটকে আরো ত্বরান্বিত করছে কেননা শিল্প-কারখানা যে শুধু বিপুল পরিমাণ খাবার পানি নষ্ট করছে তা নয় বরং পানির উত্সও দূষিত করছে কারখানার ব্যবহার করা রাসায়নিক বর্জ্য য