ফেসবুক থেকে টাকা আয় করুন একদম সহজ উপায় যারা জানেন না তাদের জন্য

টিউন বিভাগ অন্যান্য
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

আপনি কি অনলাইনে আয় রোজগারের উপায় খুঁজছেন? যদি উত্তর হ্যা বোধক হয় তবে আমার এই লিখাটি আপনার কাজে লাগবে। মূলত বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে আয় রোজগারের উপায়গুলো সহজ ও সংক্ষিপ্ত আকারে দেখানই আমার এই টিউনের মূল উদ্দ্যেশ্য। বাংলাদেশ থেকে অনলাইন আয় রোজগারের উপায়গুলো আমি একে একে বিষয় ভিত্তিক সাজিয়েছি যা সাইটের মূল ব্যানারের নিচের লিংক এর স্থানে পাবে, এবার দেখা যাক বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে আয় রোজগারের উপায় সমূহ কি কিঃ
নিবন্ধ বা আর্টিকেল লিখে আয়

আর্টিকেল লিখে অনলাইনে আয় করার উপায় টি এখন বেশ জনপ্রিয়। ইন্টারনেটে এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোতে পাঠকগন বিভিন্ন আর্টিকেল লিখে অনলাইনে আয় করতে পারেন। এখানে পাঠক বিভিন্ন বিষয় পড়ার পাশাপাশি লিখালিখি করেও সেই সাইটটাকে আরো তথ্যবহুল করার সুবিধা পেয়ে থাকেন। আবার এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে যারা লেখকদের লিখা অনুযায়ী সম্মানি দিয়ে থাকেন, আবার কেউ কেউ লেখকদের সাথে মুনাফা ভাগ করে নেয়। আপনি সেই-সকল সাইটে বিভিন্ন নিবন্ধ লিখতে পারেন আর আপনার লিখা যতো বেশি পাঠক পড়বে, আপনি ততো বেশি টাকা পাবেন। প্রশ্ন আসতে পারে তারা কেন আপনাকে তাকা দিবে? আসলে এটা এমন যে আপনি যখন কোন টিউন বাআর্টিকেল ওদের সাইতে জমা দিবেন বা পাব্লিশ করবেন তখন ঐ টিউন/আর্টিকেলের বদৌলতে ঐ সাইটের বেশ পরিমান টাকা হবে, হতে পারে এডসেন্সের মাধ্যমে বা অন্য কোন বিজ্ঞাপ্নের মাধ্যমে। আর যেভাবেই হোক না কেন আপনার আর্টিকেলের জন্য যা আয় হবে তার নিদিস্ট একটা অংশ ওরা আপনাকে দিবে। বেশ কিছু সাইট আছে বেশ জনপ্রিয় তার মাঝে “পে-পার টিউন”, হাব-পেজ, ই-হাউ বা “লাউডলাঞ্চ” অন্যতম।

তবে আর্টিকেল লিখে অনলাইনে আয় করতে চাইলে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখা দরকার। যথাঃ

আপনাকে ভাল ইংলিশ জানতে হবে।
টিউন অবশ্যই ইউনিক হতে হবে। নো কপি-পেস্ট।
টিউন কোয়ালিটি অনেক হাই হতে হবে।
রিসেন্ট বিষয় গুলি নিয়ে লিখলে বেশি লাভবান হওয়া যায়
টেকনিক্যাল আর্টিকেল লিখতে হলে গোজামিল বা ভুল তথ্য হথাকা মোটেও কাম্য নয়।
আপনি সেই টপিক নিয়ে লিখতে চেস্টা করুন যেটা আপনি ভাল বুঝেন। খামোখা প্যাচাবেন না।

এক্ষেত্রে আপনার নিজের কোন ওয়েবসাইট বা ব্লগ থাকার কোন দরকার নাই. আছাড়া আপনি আপনার নিজের একটা ব্লগ সাইট খুলে সেখানেও বিভিন্ন টপিকের উপরে আর্টিকেল লিখতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রথম দিকে খুব একটা ফীডব্যাক পাবেন না কিন্তু একাধারে চেস্টা করে গেলে ৫-৬ মাসের মাঝেই আপনার নিজের সাইট টাই আপনার বেশ ভাল মানের একটা আয়ের উৎস হতে পারে। ধৈর্য্য নিয়ে চলতে পারলে সাফল্য আপনার হাতে আসবেই।
মতামত প্রকাশের সাথে সাথে আয়

মতামত প্রকাশের মাধ্যমে আয় রোজগার আজ আর খুব কঠিন নয়। মতামত প্রকাশের সাথে আয় একটি নতুন মাধ্যম। ইন্টারনেটে একম অনেক কম্পানি আছে তাদের বিভিন্ন প্রোডাক্ট ও সেবা সমূহ উল্লেখ করে অনলাইনে রিভিউ বা মতামত প্রকাশের মাধ্যমে আয় করা যায়। এক্ষেত্রে আপনার যা প্রয়োজন তা হল একটি ওয়েবসাইট। তবে যত বেশি ভাল মানের সাইট থাকবে তত বেশি আয় হবে। আপনি প্রতিটি টিউনের জন্য তাদের মাধ্যমে একটি মূল্য পাবেন। পেড রিভিউ সাইটগুলো কল্যাণে, এখন তারা আপনাকে তাদের ব্র্যান্ড, পন্য বা ওয়েবসাইটের বিষয়ে লেখার জন্যে অর্থ পরিশোধ করবে। শুধুমাত্র ব্লগে রিভিউ লেখা নয়, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের সাইট, ভিডিও শেয়ারিং সাইট, ডিরেক্টরি, ফোরাম থেকে শুরু করে অনেক ভাবেই মতামত প্রকাশের সাথে আয় আপনি টাকা আয় করতে পারেন।

শুধু অন্যর কাছ থেকে টাকা নিয়ে মতামত প্রকাশের সাথে আয় নয় আপনি আপনার নিজের ব্লগ বা সাইটেও বিভিন্ন বিষয়ে মতামত প্রকাশের সাথে সাথে এফিলিয়েশন এর মাধ্যমেও বেশ ভাল মানের টাকা আয় করতে পারেন।

ইন্টরনেটে বেশ কিছু সাইট আছে যারা আপনাকে বিভিন্ন কম্পানি খুঁজে দিতে সাহায্য করবে। এদের মাঝে বেশ জনপ্রিয় সাইট গুলি হল “পে-পার টিউন”, হাব-পেজ, বা “লাউডলাঞ্চ” অন্যতম। এছাড়াও আরো অনেক গুলি সাইট আছে। সেই সব সাইটে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করে হবে, তারপরে আপনার সাইট বা ব্লগ টি যোগ করতে হবে, এবং সেই সাথে আপনাকে প্রতি টিউনের জন্য কর টাকা করে দিতে হবে তাও নির্ধারন করে দিতে হবে। তারপরে সেই সাইটের কোন একজন এডমীন আপনার রিকোয়েস্ট ভ্যারিফাই করবে, এবং আপনার সাইট যদি ভাল মানের হয় তবে আপনি আপনার নির্ধারিত টপিকের উপরে লিখেই আয় করতে পারবেন।
আপনার তোলা ছবি থেকে আয়

হ্যা আপনার তোলা ছবির মাধ্যমে আপনি বেশ কিছু পরিমান অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আপনি যদি একজন ফটোগ্রাফার বা চিত্রগ্রাহক হয়ে থাকেন তবে আপনার তোলা আকর্ষনীয় ছবিগুলো অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন বা কোথাও আপ্লোড করে আয় করতে পারেন এমন কি আপনার সাইটে পাব্লিস করেও গুগল এডসেন্স-এর সাহায্যে আয় করতে পারেন। তাহলে চলুন দেখা যাক কিভাবে ছবি তুলে আয় করা যায়ঃ
ফটোগ্রাফি থেকে ইন্টারনেটে আয়
ছবি তুলে আয় করার উপায়
আপনার ফটোগ্রাফির শখ ব্যবহার করে ইন্টারনেট থেকে আয় করা খুব কঠিন নয়। এমনকি একে পেশার বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। অনেকেই সেটা করেন। অনলাইনের অনেক ডিজাইনার্‌রা তাদের প্রজেক্টের জন্যে অনেক ছবি খুঁজে থাকেন বা বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন থেকে শুরু করে শিল্প মুল্যের কারনেও মানুষ ছবি কেনেন। আপনি তাদের নিকট আপনার ছবিগুলো বিক্রি করতে পারেন। ইন্টারনেটে ছবি বিক্রির সেবা দেয়ার জন্য রয়েছে বেশ কিছু ওয়েব সাইট। তাদের গ্যালারীতে আপনার ছবি জমা দিতে পারেন। বিক্রি হলে আপনি টাকা পাবেন।
আপনি নিজেই নিজের ওয়েবসাইট থেকে ছবি বিক্রি করতে পারেন। ছবি বিক্রি করার নিয়ম হচ্ছে যত ভাল ছবি তত বেশি টাকা। কিংবা বিপরীতভাবে, আপনার ছবির মান এমন হতে হবে যা মানুষ টাকা দিয়ে কিনতে আগ্রহি হবেন। তবে এজন্য প্রয়োজন উচুমানের ক্যামেরা, ফটোগ্রাফি বিষয়ে জ্ঞান এবং ছবি উঠানোর আগ্রহ।

ছবি তুলে আয় করতে সাহায্য করে এমন কিছু সাইটের মাঝে উল্লেখযোগ্য হলঃ আইস্টোক ফটো, গেটই ইমেজ, জুপিটার ইমেজ বা ফটোলিয়া
ব্লগ থেকে আয়
আপনি ছবি উঠাতে ভালবাসেন কিন্তু ততটা দক্ষ নন তাই হয়ত ভাবছেন যে ছবি তুলে আয় আপনার পক্ষে সম্ভব না। ”না” চাইলে আপনিও ছবি তুলে আয় করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার জন্য আগের পদ্ধতি কার্যকর নয়। আপনাকে ছবি তুলে আয় করার জন্য ছবি বিক্রি করা প্রয়োজন নেই, বিনামুল্যের ব্লগ তৈরী করে সেখানে ছবিগুলি রাখুন। ছবির পরিমান যত বেশি ভিজিটর তত বেশি পাওয়ার সম্ভাবনা। আপনার আয় সরাসরি ছবি থেকে আসবে না, আসবে ভিজিটর থেকে। ব্লগে গুগলের এডসেন্স, ফাষ্ট ২ আর্ন কিংবা এধরনের বিজ্ঞাপণ নেটওয়ার্কের বিজ্ঞাপণ রাখুন। ভিজিটর যত বাড়বে আয় তত বাড়বে।
ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার
ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলিতে আপনার জন্য বিশেষ আয় অপেক্ষা করছে, ছবি তুলে আয় করার অন্যতম একটা উপায় হচ্ছে ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার। যদি লক্ষ্য করে দেখে থাকেন তাহলে হয়ত চোখে পড়েছে সেখানে ছবি ওঠানোর কাজ রয়েছে। কারো বিশেষ বিষয়ে ছবি উঠানো প্রয়োজন, আপনি ফ্রিল্যান্সা ফটোগ্রাফার হিসেবে সেই ছবি উঠিয়ে দিতে পারেন।
ছবি হোস্টিং সাথে টাকা আয় করুন।
আপনার তোলা ছবি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে হোস্টিং করে (আপ্লোড করে) বেশ টাকা আয় করতে পারেন। এমন বেশ কিছু সাইট আছে যার মাঝে সাটার স্টোক বেশ ভাল ও পরীক্ষিত। এছাড়া ছবি তুলে আয় করার আরো একটা সাইট হল ইমেজ পর্টার। আপনার একটি ছবির প্রতি ১০০০ ভিসিটের জন্যে ২.৬০ ডলার পর্যন্ত পে করে থাকে। আবার আপনি কাউকে রেফার করলে তার আয়ের ১০% আপনার একাউন্টে জমা হবে। তবে এই সাইটে মাঝে মাঝে এডান্ট এড থাকে।
প্রতিযোগিতা জিতে আয়
ফটোবাকেট হল এমন একটা সাইট যেখানে বিনামুল্যে ছবি এবং ভিডিও রাখা যায় অন্যদের সাথে শেয়ার করার জন্য। সবসময়ই ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা রয়েছে যেখানে অংশ নিয়ে পুরস্কার পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তাই ছবি তুলে আয় করাটা বেশ মজারই বটে।
এখানে উল্লেখ করা হয়েছে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ফটোগ্রাফি বা ছবি তুলে আয় এর কথা। এর বাইরে স্থানিয়ভাবেও ছবি তুলে আয় করার সুযোগ তো রয়েছেই। কারো প্রয়োজনে ছবি উঠানো থেকে শুরু করে ফটোগ্রাফিক ষ্টুডিও, সব ধরনের আয়ের জন্যই ফটোগ্রাফি আপনার একটি বিষয় হতে পারে।
গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আয়

আমরা আমাদের প্রতিদিনের বিভিন্ন কাজের জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ওয়েব সাইট এ ভিজিট করে থাকি, সে সময় দেখা যায় সেই সব সাইটের কোন কোন টিতে ব্যানারের স্থানে বা পাশের সাইড বারে বা টিউনের মাঝে কত গুলি লিঙ্ক থাকে আর তাতে লেখা থাকে “ads by Google”। এখন হয়ত আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে “ads by Google” বা এই “গুগল অ্যাডসেন্স কি”। হ্যা এই অ্যাডস গুলিই গুগল অ্যাডসেন্স। আপনি হয়ত জেনে থাকবেন যে আপনি যদি ঐ সব লিংকে ক্লিক করেন তবে ওই সাইটের মালিকের গুগল আডসেন্স অ্যাকাউন্টে কিছু টাকা জমা হবে। আর তাই এখন হয়ত এও জানতে চাইবেন যে কিভাবে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে টাকা আয় করা যায়।

আসলে গুগল অ্যাডসেন্স হচ্ছে গুগল পরিচালিত একটি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন। এটি মূলত একটি লাভ-অংশিদারী প্রকল্প যার মাধ্যমে গুগল ও তার ব্যবহারকারী তাদের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপণ প্রচার করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগের মালিক কিছু শর্তসাপেক্ষে তার সাইটে গুগল নির্ধারিত বিজ্ঞাপণ দেখানর বা স্থাপনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আজকের অনলাইন বিশ্বে এই বিষয়টি ব্যপক সাড়া জাগিয়েছে। বিজ্ঞাপণদাতাদের নিকট থেকে প্রাপ্ত অর্থের ৫০ থেকে ৬০ ভাগ টাকাই ওয়েবসাইতের মালিকদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেয়। আর গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে যেকেউ অর্থ আয় করতে পারে। প্রচুর বাংলাদেশী ব্লগার এবং ওয়েবসাইটের মালিক গুগল অ্যডসেন্সের বিজ্ঞাপণ প্রদর্শণের মাধ্যমে বর্তমানে অর্থ আয় করছেন।

প্রথমেই বলে রাখি গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আপনি যদি ইনকাম করতে চাইলে আপনার একটি নিজের ওয়েব সাইট থাকা দরকার, তবে না থাকলেও যে আয় করা সম্ভব না তাও কিন্তু নয়। এই সাইট টা ফ্রি হলেও চলবে। কিভাবে ফ্রি সাইট বানাতে হয় তা আগামীতে দেখান হবে, তবে আপাতত এখান থেকে দেখতে পারেন “কিভাবে ফ্রি ওয়েব সাইট বানাতে হয় “
গুগল অ্যাডসেন্সে একাউন্ট কি ভাবে করতে হয়

গুগল অ্যাডসেন্স একাউন্ট এর জন্য প্রথমেই আপনার একটি জিমেইল একাউন্ট থাকতে হবে। গুগল অ্যাডসেন্স একাউন্ট তৈ্রী করতে উপায় নিন্মে ধারাবাহিক ভাবে আলোচনা করা হল।

যদি আপনার জিমেইলে কোন একাউন্ট না থাকে থাকে এখনি একটা একাউন্ট করে নিন। যা সম্পূর্ন ফ্রি। এখন লগ অন করুন।
http://www.google.com/adsense এ গয়ে sing up বাটনে ক্লিক করুন।
তারপর একটি ফরম আসবে। ফরম এ আপনার ওয়েব সাইট এর নাম, তারপর কোন ভাষায় আপনার ওয়েব সাইট, আপনার Account type, আপনার Country, আপনার নাম (তবে মনে রাখবেন যেনামে আপনার ব্যাংকের একাউন্ট সেই নাম দিবেন না হলে পরে ঝামেলা হবে), আপনার Street Address, City/Town, এখন কোথায় থাকেন ইত্যাদি। ফর্মটি ঠিকভাবে পুরন করে সাবমিট ইনফর্মেশন বাটনে ক্লিক করুন।

আপাতত আপনার কাজ শেষ। এখন গুগলের একজন ইঞ্জিনিয়ার আপনার রিকোয়স্ট ভ্যারিফাই করবে, আর যদি সব কিছু ঠিক থাকে তবে আপনার একাউন্ট এক্টিভ হবে। তারপরে আপনার সাইটে বিজ্ঞাপণের মাধ্যমে আপনিও আয় করতে পারবেন।

পরবর্তী তে দেখান হবে কিভাবে সাইটে এড যোগ করবেন, কিভাবে আর্নি বাড়াতে হয় আর একাউন্ট ভ্যারিফাই করার উপায় এছাড়াও গুগল থেকে প্রাপ্ত চেক কিভাবে ভাংগাতে হয়। আর এটাও দেখান হবে কি কি ভাবে নিজের ওয়েবসাইট না থাকার পরেও গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয় করা যায়।
এফিলিয়েট মার্কেটিং-এর মাধ্যমে আয়

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি

যদি সহজ করে আমার ভাষায় যদি বলি তা হলঃ অন্য মানুষ বা কম্পানির কোন পন্য বিক্রয় করে দিয়ে, সেই বিক্রিত মূল্য থেকে একটা কমিশন নেওয়াই এফিলিয়েট মার্কেটিং “। আরো সহজভাবে বললে এফিলিয়েট প্রোগ্রামটি হচ্ছে অন্য কোন কোম্পানীর হয়ে প্রচার করা।

আর উইকিপিডিয়ার ভাষায় এফিলিয়েট মার্কেটিং হলঃ

“Affiliate marketing is a type of performance-based marketing in which a business rewards one or more affiliates for each visitor or customer brought about by the affiliate’s own marketing efforts.”

আসলে এফিলিয়েট মার্কেটিং আমাদের প্রচলিত মার্কেটিং এর মত হলেও এখানে কাজ করার ও আয় করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে।

কি কাজ করতে হবে এফিলিয়েট মার্কেটিং এ?

হ্যা আপানি যদি কোন কম্পানির এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তবে তার আগেই আপনাকে পার্মিশন/অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি মানে আপনি যে ওদের এফিলিয়েট করছেন সেটাত ট্রাক করা দরকার নাইলে কিভাবে বুঝা যাবে যে আপনি এফিলিয়েশন করছেন, তাই অনুমতি নিতে হবে, আর অনুমতি মিললে ওরা আপনাকে একটা বিশেষ ভাবে গঠিত লিংক দিবে যাতে করে কেউ ঐ লিংকে ক্লিক করলে আপানার হিসেবে জমা হয়।

এখন প্রাপ্ত বিশেষ লিংক সহ সংস্লিস্ট পন্যের প্রচার করা আপনার কাজ, যত বেশি প্রচার করবেন তত বশি সেল হবে তার মানে তত বশি আয়।

তবে বাস্তবে কয়েক ধরনের এফিলিয়েশন হয়ে থাকে। যথাঃ

পে-পার-সেল (বিক্রয় হলে তবেই টাকা পাবেন)
পে-পার-লোড (বিক্রয় না হলেও ভিজিটর যদি কোন ফর্ম পূরন করে বা অন্য কোন কিছু করে তাতেই হবে)
ড্রাইভিং ভিজিটর (বিক্রায় বা কোন কাজ না করলেও শুধু ভিজিটর ভিজিট করলেই হবে, তবে এই পদ্ধতিতে দূর্নীতি হয় তাইখুব বেশি প্রচলিত নয়)

এছাড়াও কিছু সাইট আছে যাদের এফিলিয়েশন এর জন্য ভাল মানের ভিজিটর সহ ভাল মানের ওয়েব সাইট থাকা একান্ত দরকার, আবার কোন কোন প্রডাক্টের জন্য নরমাল ওয়ার্ডপ্রেস বা ব্লগারের ব্লগ থাকলেই চলে আবার কেউ কেউ আছে যে তাদের জন্য কোন ব্লগ বা ওয়েব সাইট থাকার কোন প্রযোজন ই নাই, তবে সেক্ষেত্রে ভাল মানের ইমেইল মার্কেটিং বা ফেজবুক বা টুইটার একাউন্ট বা লিংকেদিন গ্রুপ থাকা দরকার। তাই এ কাজটি একেবারে সহজ মনে করার কারন নেই। প্রথমত যদি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করতে চান তবে সেখানে ভিজিটর আনার ব্যবস্থা করতে হবে, তার মানে আপনার সাইটের প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।

কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে হবে

হ্যা কোন কাজে সফলতা পেতে আমাদের আবশ্যই কস্ট করতে হবে। আর এই এফিলিয়েট মার্কেটিং এ ও প্রথমিক পর্যায়ে অনেক কস্ট করতে হবে, প্রথম প্রথম সব থেকে বড় কস্ট হবে যেঃ “কস্ট হবে কিন্তু কোন আয় হবে না, হলেও সামান্য”। আর যে এই প্রথম কস্ট টাকে সাফল্যের সাথে পাড়ি দিতে পারবে তিনিই হবে সত্যি কারের সফল এফিলিয়েট প্রমোটার। সত্যি কথা বলতে কি এই লাইনে এসে মোর দ্যান ৯৮% মানুষ কিন্তু ব্যার্থ। তবে যারা সফল তারাও কিন্তু সেভাবে আয় করেছেন ও করছেন। আমার পরিচিত এই ভাই এক রাতে এবাউট ১৪০০০০০ (চৌদ্দ লক্ষা) টাকা করেছেন। আর এমন কিছু বাংলাদেশি ভাই আছেন যারা মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের জিনিস পত্রের এফিলিয়েট মার্কেটিং করে থাকেন, কি নাই তাদের লিস্টে, হীরার গহনা থেকে শুরু করে ব্যাংক লোন, কার লোন বা সামান্য অনলাইনে টিভি দেখার প্রোগ্রাম। তাই চলুন দেখা যাক কিভাবে আপনিও শুরু করবেন এফিলিয়েট মার্কেটিং।

আপনাকে প্রথমেই আপনার জন্য সঠিক এফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রডাক্ট বেছে নিতে হবে সাফল্যের সাথে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ন। আপনি যদি ভুল প্রডাক্ট নিয়ে সামনে আগান তবে সাফল্য অনেক দুরে। যেমন আপনি যদি ক্যামেরা বা ডিজিটাল প্রডাক্টস নিয়ে ভাল অভীজ্ঞ হন আর এই ক্যামেরা বিষয়ক আর্টিকেল লিখাতে পটু হন তবে আপনি ডিজিটাল ক্যামেরা জাতীয় প্রডাক্ট নিয়ে আগাতে পারেন, কিংবা যদি আপনার শিক্ষা বিষয়ক একটা ওয়েবসাইট থাকে তাহলে অনলাইন ইউনিভার্সিটির এফিলিয়েশন নিতে পারেন, বা আপনার যদি ডাক্তারি লাইনের অভীজ্ঞতা থাকে বা আপনি যদি ডাক্তার হন আর স্বাস্থ বিষয়ক টিপস লিখতে পারেন তবে এই টপিক নিয়েও কাজ করতে পারেন। মোট কথা এটা নির্ভর করবে আপনার উপরেই। কিছু সাইট আছে যারা সরাসরি প্রডাক্টস বিক্রয় করে ও তাদের এফিলিয়েট প্রগ্রাম আছে আর কিছু সাইট আছে যারা নিজেরা কিছু বিক্রয় করে না কিন্তু বিক্রেতা ও এফিলিয়েটরদের মিলন ঘটায়, এই বিষয় টি ও মাথায় রাখা দরকার। যেমন ই-বে, ওরা নিজেরাই পন্য বিক্রয়ের সাথে জড়িত কিন্তু ক্লিক ব্যাংক কোন কিছুই নিজের বিক্রয় করে না। তাই বিভিন্ন এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট খুঁজে দেখুন কি জাতীয় প্রডাক্টস সেল হচ্ছে, সেখান থেকেও আইডিয়া নিতে পারেন। যেমনঃ এমাজন, ই-বে, ক্লিক ব্যাংক, কমিশন জাংশন বা শেয়ারশেল। তবে আমাদের দেশের জন্য মানে বাংলাদেশের জন্য কিছু কিছু বড় বড় এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইটের একাউন্ট খুলার কোন অশন নাই। কিন্তু আপনার কোন পরিচিত জন যদি বিদেশে থাকে তবে আপনাকে তার সাহায্য নিতে হবে এখানে একাউন্ট খুলার জন্য।

গুগলে সার্স করে দেখুন। যদি আলরেডি আপনার একটা সাইট থেকে থাকে তবে গুগলে খুঁজে দেখুন যে আপনার সাইটের কোন কিওয়ার্ডের কোন প্রডাক্ট এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইটের মাধ্যমে বিক্রয় হয় কিনা। সার্স করতে লিখুন “your keyword + Affiliate Program”। your keyword এর স্থানে আপনার কি ওয়ার্ড দিন।

বিভিন্ন অনলাইন সাইটে খুঁজে দেখুনঃ আজকাল সব বড় বড় অনলাইন শপেই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর ব্যাবস্থা থাকে, যেমনঃ ইবে, এম্যাজান, সেখানে একটা ফ্রি একাউন্ট করে নিন। যদিও এখানে কমিশনের রেট খুব কম তবে নিয়মিত কাজ করলে সাফল্য আসবেই। তবে এখানে বেশ কিছু সুবিধা আপনি পাবেন, যেমনঃ হয়ত একটা মুভী কেনার জন্য ভিজিটরকে এম্যাজানে পাঠালেন কিন্তু তিনি মুভীটা কিনলেন না, কিন্তু পরের দিন এম্যাজান থেকে একটা “স্যামসাং নোট২” কিনলেন, আর মজার ব্যাপার হল আপনি এই ” স্যামসাং নোট২” কেনার কারনে এম্যাজান যে প্রফিট করেছে তার একটা কমিশন আপনিও পাবেন।

এখন আপনি ই সিদ্ধান্ত নিন যে কোন প্লাট র্ফমে কোন প্রডাক্টস নিয়ে কাজ করে সাফল্য পেতে চান। হ্যা যারা এফিলিয়েটেড মার্কেটিং এর সুযোগ দেন তাদের প্রত্যেকের বিজ্ঞাপণের ব্যবস্থা থাকে। ব্যানার বিজ্ঞাপণ, টেক্সট লিংক ইত্যাদি আপনার পছন্দমত ব্যবহার করতে পারবেন। আর এখন আপনার মূল কাজ প্রচার ও প্রসার ঘটা্নো।
পেইড রিভিউ

সার্ভে বা জরিপ অনলাইনে আয়ের পুরাতন পদ্ধতি। “সার্ভে” সাইটে আপনাকে নিবন্ধিত হতে হবে আর সার্ভে বা জরিপ আসার অপেক্ষা করতে হবে। যখন কোন সার্ভে ফর্ম আসবে তখন তা ঠিক ভাবে পূরণ করে আপনার মতামত জানাবেন। এখানে প্রতিটি সার্ভের জন্যে আপনি টাকা পাবেন।
ব্যানার এডস্‌ বা “ব্যানার” থেকে আয়

ব্যানার এডস থেকে আয় হল অনলাইনে আয়ের আর একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। আপনার ওয়েবসাইটের ব্যানারের স্থানে কোন প্রতিস্ঠানের বিজ্ঞাপণ থাকার মানেই ব্যানার এডস। আপনার যদি একটা ওয়েবসাইট বা ব্লগ থাকে আর তার পেজ র‌্যাংক ভাল মানের হয় এবং তাতে যদি প্রতিদিন ভাল মানের ভিজিটরের আগমন হয় তবে বিজ্ঞাপনদাতারা আপনার ব্লগে তাদের বিজ্ঞাপণ দিতে দ্বিধাবোধ করবে না। এক্ষেত্রে সাইটের পেজ র‌্যাংক থেকে ভিজিটরের পরিমান বেশি গুরুত্বপুর্ন। মোট কথা ব্যানার এডস থেকে আয় হল সরাসরি ইনকামের সুযোগ। তাই আপনার ওয়েবসাইটের জনপ্রিয়তা ও আপনার সাইটের পাঠক সংখ্যা যত বেশি হবে আপনার আয় ততো বেশি হবে। উদাহরন সরূপ বলা যায় আমাদের দেশের অনলাইন নিউজ পেরার “প্রথম আলো” বা “বিডিনিউজ” বা “বার্তা ডট নেট” প্রতি মাসে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা আয় করে ব্যানার বিজ্ঞাপণের মাধ্যমেই। আছাড়া টেক্টিউন্সের নাম ও আমরা সবাই জানি, তারাও বেশ পরিমানের টাকা আয় করছে। ব্যানার এডস থেকে আয়তে এডে ক্লিক কোন ব্যাপার না মেইন ফ্যাক্টর হল (CPM), প্রতিহাজার বারের বিজ্ঞাপণ ইম্প্রেসে একটা নির্দিস্ট পরিমান টাকা।
কোথায় পাবেন ব্যানার এডসঃ

Sponsored by Revcontent
The World’s 30 Strangest Airplanes. #5 Makes No Sense!
10 Famous Celebrities You Didn’t Know Are Gay, Number 5 Will Shock You
The 10 Foods to Eat if You Want to Live Forever
ইন্টারনেটে অনেক থার্ডপার্টি আছে যারা আপনাকে ব্যানার এডের জন্য পার্টি খুঁজে দিবে। কিন্তু সব থেকে বড় সমস্যা হল আপনাকে তারা খুব কম পরিমানের টাকা পে করবে। তাই সব থেকে বেটার হয় নিজের খুঁজে নেওয়া। এছাড়া আপনি আপনার সাইটের ব্যানারের নিচে বা ফুটারে ” advertise with us ” বা “বিজ্ঞাপণ রেট” বা আপনার নিজের মত করে টাইটেল দিয়ে একটা পেজ তৈরি করে সেখানে বিজ্ঞাপণ মূল্য তালিকা দিয়ে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে কোথায় কোথায় বিজ্ঞাপণ বসাবেন, প্রতিটা ব্লকের সাইজ কত হবে এবং বিজ্ঞাপণের মূল্য তালিকা দিতে পারেন। এছাড়া ভাল ভাল প্রতিস্ঠানে সরাসরি গিয়ে বিজ্ঞাপণ নিয়ে আসতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে আপনার সাইটের ভিজিটর আসার প্রমান সরূপ Google analytics এর সাহায্য নিতে হতে পারে। যদি আপনার সাইট সেইরকমের পপুলার না (প্রতিদিন ২৫ হাজারের কম ভিজিটর) হয় তবে তার জন্য আপনাকে থার্ডপার্টিকেই বেছে নিতে হবে। আমাদের দেশের “গ্রীন-রেড” নামে একটা এডভার্টাইজিং সাইট আছে যারা বেশ কিছু দিন যাবৎ এই ধরনের বিজ্ঞাপণ খুঁজে দিচ্ছে। তারা ব্রাক-ব্যাংক, এয়ারটেল থেকে শুরু করে ডুরেক্সের বিজ্ঞাপণ ও প্রকাশ করে। আপনাকে তাদের সাইটে গিয়ে এপ্লাই করতে হবে। যদি তারা আপনাকে তাদের পার্টনার করে তবে আপনিও গ্রীন-রেড থেকে আয় করতে পারবেন। তারা প্রতি ১০০০ বারের বিজ্ঞাপণ ইম্প্রেসের জন্য ১০ টাকা করে দিবে *। তার মানে আপনার সাইটে যদি প্রতি মাসে ৫লক্ষ বার এড ইম্প্রেস হয় তবে আপনি ৫ হাজার টাকা পাবেন। এর বেশি হলে বেশি আয় আর কম হলে কম আয়। (এই রেটে আমি পাই তাই লিখলাম, রেট বেশি কম হতে পারে) এছাড়াও ট্রিবাল ফিউশন বা ভ্যালু ক্লিক বা ভিব্রেন্ট মিডিয়া সহ অনেক সাইট আছে। তাদের সাইটে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করার মাধ্যমে এপ্লাই করে আপনার সাইটের তথ্য জমা দিতে হবে। তাদের একজন এডমিন আপনার আবেদন ভ্যারিফাই করবে। যদি আপনার সাইট তাদের স্কেলে পাশ করে যায় তবে আপনি তাদের দেওয়া বিজ্ঞাপণ আপনার সাইটে প্রকাশ করতে পারবেন। তারাও প্রতি হাজার বারের বিজ্ঞাপণ ইম্প্রেসের জন্য আপনাকে টাকা দিবে।

এছাড়াও যদি আপনার একটা পপুলার ফেজবুক পেজ বা গ্রুপ থাকে আপনি সেখানেও পেজের কভারের স্থানে এড দিতে পারেন। এই বিজ্ঞাপণ আপনার নিজের সাইটের হতে পারে।
ফ্রি-লেন্সিং করে আয়

বর্তমানে আমাদের দেশের প্রযুক্তি প্রেমীদের বিশেষ করে তরুনদের কাছে অনলাইন আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং একটা হট টপিক। এই বিষয়টাকে এত গুরুত্ব পাবার অন্যতম প্রধান কারন হলঃ
অনলাইন আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং মাধ্যমে ঘরে বসে চমৎকার আয় রোজগারের করা যায়। এছাড়া অনলাইন আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং এ নাই গদবাধাঁ ১০-৫ টা অফিস নাই, বসের ঝাড়ি কিংবা নেই কোন কঠিন নিয়ম। আপনি যদি প্রোগ্রামিং, ওয়েব ডিজাইন বা ডেভ্লপিং করতে জানেন কিংবা চমৎকার ছবি তোলায় আপনার হাত পটু কিংবা সুন্দর গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন বা গেম, 3D এনিমেশন তৈরি কিংবা প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, সফ্টওয়্যার বাগ টেস্টিং করতে জানেন তাহলে আপনি অনায়াসে অনলাইনে এসব কাজ করে আয় রোজগার করতে পারবেন। আর আপনি যদি এসবের কোন টাই না পারেন তবে যাস্ট ডাটা এন্ট্রির কাজ করেও অনলাইনে আয় করতে পারবেন। মোট কথা আপনি যে কাজে পারদর্শী তা দিয়েই ঘরে বসে আয় করতে পারেন। আর যে কাজই করতে চান না কেন আপনাকে সেই কাজটিতেই দক্ষ হতে হবে। আমাদের দেশে এমন অনেকেই আছেন যারা অনলাইন আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং কাজ করছেন এবং প্রতিমাসে বেশ পরিমানের টাকা আয় করছেন। আপনি যদি এই মূহূর্তে ছাত্র হয়ে থাকেন তবে পড়ালেখার পাশাপাশি বা পড়ালেখা শেষে ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিং এর উপরেও আপনার নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারেন। তবে প্রথমদিকে আপনাকে একটু ধ্যর্য এবং কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে নিজেকে প্রস্তুত করে নিতে হবে। এখানে একপাশে যেইরকম রয়েছে যখন ইচ্ছা তখন কাজ করার স্বাধীনতা, ঠিক তেমনি রয়েছে কাজের ধরন বাছাই করার স্বাধীনতা।

প্রশ্ন করতে পারেন যে কে আপনাকে কাজ দিবে
আমরা জানি উন্নত দেশগুলোতে (বিশেষ করে আমেরিকা, কানাডা, ইউকে বা ইউরোপের দেশ গুলিতে) কাজের জন্য কর্মীকে বেশ ভাল পরিমানের পারিশ্রমিক দিতে হয়। আর সেই পারিশ্রমিকটা আমাদের দেশের টাকার মানে বিচারে অবশ্যই উচ্চমূল্যের। বলতে দিধ্বা নেই যে আমাদের বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বের একটা দেশ, আর ইউরোপ আমেরিকার একজন কর্মীর সমান মূল্যে কাজ করা অনেকের কাছে সেটা স্বপ্নের বিষয়। আর অনলাইন আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং এই বিষয় টাকে একেবারে পানির মত করে দিয়েছে। শুধু আমাদের জন্যই নয় ঐসকল দেশের Buyer বা Client(যারা কাজ টি করিয়ে থাকেন)এর কাছে এটা একটা তুলনা মূলক কম টাকায় কাজ শেষ করার চান্স হিসেবে দেখা হয়। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্থান বা ফিলিপাইনের মত দেশ থেকে অপেক্ষা মূলক কম মূল্যে কাজ করানটা তাদের জন্যও লাভের। তাই তারাও আমাদেরকে বেশি কাজ দিতে চায় কারন তারা কম মুল্যে কাজগুলো করিয়ে নিতে পারে।

অনলাইন আউটসোর্সিং এর কাজ কোথায় পাবেনঃ
অনলাইনে এমন অনেক সাইট আছে যারা আপনাকে কাজ পাইয়ে দিবে। বিনিময়ে তারা কিছু টাকা কমিশন পাবে, তবে ভয় পাবেন না এই কমিশন আপনাকে দিতে হবে না, যিনি কাজটা করাবেন তাকেই এই বিলটা দিতে হবে। আমার বিচারে অনলাইন আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য সব থেকে বেটার সাইট হল ফ্রিল্যান্সার, ওডেস্ক, ভিল্যান্সার। তাছাড়া আমদের দেশের আর্ন-ল্যান্সার নামের একটা সাইট আছে কাজ দিয়ে থাকে।

কিভাবে শুরু করবেন অনলাইন আউটসোর্সিং

কাজ পেতে হলে আপনাকে যে কোন একটি ফ্রিল্যান্সিং সাইটে রেজিস্ট্রশন করে নিতে হবে। রেজিস্ট্রশন করার সময় আপনাকে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে সঠিকভাবে রেজিস্ট্রশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের একটি ধাপে আপনার একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে, যেখানে আপনি সুন্দর করে আপনি কোন কোন ক্ষেত্রে পারদর্শী তা উল্লেখ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি আপনার আগের কাজের অভিজ্ঞতা উল্লেখ্য করবেন আর তার সাথে আপনার কাজের প্রমান হিসেবে কোন ডকুমেন্ট বা ওয়েবসাইটের লিংক ইত্যাদি দিতে পারেন। পরবর্তীকালে এই প্রোফাইল কাজ পাবার ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

সফলভাবে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হবার পর, এখন আপনি বিড করা শুরু করে দিতে পারেন। কিন্তু আমার মতে প্রথম কয়েক দিন বিড করার কোন দরকার নেই। আর একটি কথা মনে রাখবেন, প্রথমদিকে কাজ পাওয়া কিন্তু সহজ নয়। তাই আপনাকে ধর্য্যসহকারে বিড করে যেতে হবে। প্রথম কাজ পেতে হয়ত ২০ থেকে ২৫ দিন পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। বেশ কয়েকটি কাজ সফলভাবে করার পর ক্লায়েন্টরাই আপনাকে খুঁজে বের করবে। আপনাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না।
সোসিয়াল সাইটের মাধ্যমে আয়

আজকের দুনিয়ায় এমন লোক পাওয়া একটু কঠিনই যে ইন্টারনেট ব্যবহার করে কিন্তু কোন সোস্যাল নেটোয়ার্কিং সাইটের সাথে জড়িত নয়। হতে পারে সেই সোসিয়াল সাইট টা ফেজবুক বা টুইটারবা বা ইউটিউব বা অরকুট ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি। আশা করি আপনিও সেই সব জনপ্রিয় সাইটের সাথে আছেন। এখন আপনি শুনে হয়ত অবাক হবেন যে- আপনার সোসিয়াল ভ্যালুর উপরে নির্ভর করে আপনি বেশ পরিমানের টাকা আয় করতে পারেন। আজকাল অনেক বিজ্ঞাপনদাতা তাদের ক্যাম্পেইন বা বিজ্ঞাপণ উদ্যোগগুলো সোসিয়াল সাইটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে চাচ্ছেন।

তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে সোসিয়াল সাইটের মাধ্যমে আয় করা যায়ঃ

ফেজবুকঃ

ফেসবুক কি তা আর নতুনভাবে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেয়ার কোন দরকার আছে বলে আমি মনে করি না। এটি আজকের দুনিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। তাই অনেকে হয়ত জানতে চাবেন যে কিভাবে ফেজবুক থেকে আয় করা যায়? আমি তাদের প্রশ্নের উত্তরে যাস্ট সিম্পলী বলতে চাইঃ হ্যা ফেজবুক থাকেও টাকা আয় করা যায়। কারন আমরা জনি যে সারা পৃথীবির ৮০ কোটির ও বেশি মানুষ ফেসবুকের ব্যবহার কারে। তাই আমার মতে মার্কেটিং জাতিয় কাজেই বড় ধরনের সুযোগ এখানে রয়েছে। তবে আবারো বলি ‘আপনার বন্ধু বা ফ্যান বেশি’ সরাসরি এই কারনে ফেসবুক আপনাকে টাকা দেবে না, কিন্তু এই বেশি পরিমানের বন্ধু বা ফ্যান কে নির্ভর করেই আপনাকে আয় করতে হবে। মোট কথা একে প্রচারের কাজে ব্যবহার করা লাগবে। কি কি পদ্ধতিতে সেটা করা যায় চলুন দেখা যাক।

ওডেক্স ও ফ্রিল্যান্সার এর মত সাইটে অনেক কাজ থাকে যে ফেজবুক পেজের লাইক বা ফ্যান জোগাড় করা। তবে কয়েকদিন আগে ফেজবুক কর্তৃপক্ষ বলেছেন যে ফ্যাক লাইকের দিন শেষ তাই আমার মতে ফেজবুক থেকে আয় এর মূল্য যেমন বেড়েছে তেমনি আগের থেকে কস্টও বেড়েছে। কারন আগে অনেকেই এই জাতিয় কাজ নিয়ে ফ্যাক একাউন্টের মাধ্যমে কাজ শেষ করে দিত কিন্তু এখন আর সেটা হবে না।

এফিলিয়েটে মার্কেটিং এর মাধ্যমে ফেজবুক থেকে আয় করা যায়। আপনি কোন প্রতিস্ঠানের এফিলিয়েশন নেবেন। তাদের পন্য বা সেবার কথা লিংকসহ উল্লেখ করবেন আপনার ফেসবুক পেজে। কেউ সেখানে ক্লিক করে সেই সেবা নিলে বা কিছু কিনলে আপনি অর্থ পাবেন। অনেক ক্ষেত্রে কেউ ক্লিক করলেই আপনি অর্থ পাবেন। ক্যাশ-ক্লিক নামে একটি সফটঅয়্যার রয়েছে ফেসবুকে যা পিটিসি হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

কিছু বিক্রি করা। ফেসবুক পেজ যেহেতু প্রচারের যায়গা হিসেবে ব্যবহার করা যায় সেহেতু তার মাধ্যমে প্রচার করে কিছু বিক্রি করা যেতেই পারে। হতে পারে সেটা কোন ডিজিটাল প্রডাক্ট বা ইবুকস বা সার্ভিস।

নিজস্ব ওয়েবসাইটের জন্য ফ্যান পেজ বানিয়ে তা ফেজবুকের সাথে যুক্ত ব্যবহার করে আপনার নিজের ওয়েবসাইটের প্রচার বাড়াতে পারেন। দরকারি টপিকের উপরে টিউন লিখে তা আপনার পেজে ও শেয়ার করা ই মূল কাজ। আমরা সবাই যানি যে প্রচারেই প্রসার। এক্ষেত্রে আপনার ফেজবুক থেকে আয় হবে না ঠিকই তবে আপনার সাইটের প্রচার যত হবে আপনার ইনকামও তত বেশি! এক্ষেত্রে আপনাকে গুগল এডসেন্সের সাহায্য দরকার হবে। এছাড়া adf.ly এ একাউন্ট করে আপনার সাইটের লিংক শর্ট করেও আপনার প্রোফাইলে বা পেজে শেয়ার করতে পারেন, যেহেতু মানুষের সেই জিনিসটা দরকার তাই তারা আপনার লিংকে ক্লিক করবে আর আপনিও কিছু টাকা আয় করতে পারবেন।

এছাড়াও ফেসবুকের জন্য বিভিন্ন এপ্লিকেশন তৈরী করে বিপুল পরিমান অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এজন্য আপনাকে প্রোগ্রামিং জানতে হবে।
এছাড়াও আমরা জানি কিছু দিন আগে জুকারবার্গ ফেজবুক কে শেয়ার মার্কেটে এনেছেন আপনি যদি সেখান থেকে কিছু শেয়ার কিনেন তবে আমি শিওর যে লস হবে না। অন্তত বাংলাদেশের শেয়ার কেলেংকারির মত পথে বসার অবস্থা হবে না। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল আপনি বাংলাদেশ থেকে এই শেয়ার কিনতে পারবেন না।

আয়ের পদ্ধতি যাই হোক না কেন, আপনার প্রথম প্রয়োজন ফেসবুক একাউন্ট এবং সেখানে যথেষ্ট পরিমান বন্ধু। যদি এখনও সেটা না থাকে আপাতত এখান থেকেই শুরু করুন।

টুইটার হচ্ছে এখনকার সময়ের দ্রুত বর্ধনশীল সোসিয়াল সাইট। আমেরিকা সহ ইউরোপ বা পশ্চিমা দেশগুলোতে এমন কি পাশের দেশ ইন্ডিয়াতেও দিন দিন এর ব্যবহারকারি বেড়েই চলেছে। আপনি হয়ত জানেন টুইটারকে মাইক্রোব্লগিং সাইটও বলা হয় কারন হল এর মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১৪০ ক্যারাক্টারের মাধ্যমে স্ট্যাটাস প্রকাশ করা যায়। ফলে একজন একইসাথে অনেকের তথ্য শেয়ার করতে পারছেন।

এবার টুইটারের মাধ্যমে আয় করার কথায় আসিঃ

টুইটারের মাধ্যমে যদি আপনার আয় করতে চান তাহলে প্রথম যে কাজ করতে হবে তা হচ্ছে ফলোয়ার বৃদ্ধি করা (আপনাকে যে অনুসরন করবে সেই ফলোয়ার)। কারণ আপনার ফলোয়ার যত বেশি হবে আপনার টুইটে সংযুক্ত লিংকে ক্লিক পড়ার সম্ভাবনা ততই বাড়ে যাবে। আর যত মানুষ আপনার টুইট পড়বে তত বেশি আয় হবে (টুইট=টুইটারের স্টাটাসে নাম টুইট)। আপনার টুইটের প্রতি ফলোয়ারদের দৃস্টি আকর্ষনের জন্য মানসম্মত ও সর্বশেষ টপিকের উপরে টুইট প্রকাশ করুন। আপনার প্রতিটি এডের মঝে কমপক্ষে ২-৩টা মানসম্পন্ন টুইট দিন। মানসম্পন্ন টুইট হতে পারে সর্বশেষ কোন খবর, গুরুত্বপূর্ণ কোন টিপস, অথবা গুরুত্বপূর্ণ কোন তথ্য। তবে টুইটারের অটোমেটিক্যালি টুট প্রকাশের জন্য বিভিন্ন সার্ভিস গ্রহন করতে পারেন, তাহলে এটোমেটিক্যালি ২-৩ ঘন্টা পর পর টুইট প্রকাশ হতে থাকবে। এই কাজের জন্য টুইটরবট আপনাকে সাহায্য করতে পারে। টুইটরবট এর মাধ্যমে আপনি সর্বমোট ১০ টি টুইট সেভ করে রাখতে পারবেন যেগুলো র‌্যান্ডমলি প্রতি ৩ ঘন্টা পরপর প্রকাশ হতে থাকবে।

টুইটারে অ্যাডসেন্সের মতো পে-পার ক্লিক সার্ভিস আছে। revtwt তেমন একটা সাইট। এখান থেকে আপনি পছন্দমতো এড সিলেক্ট করে প্রকাশ করতে পারবেন। প্রতি ক্লিকের জন্যে ৫ – ২০ সেন্ট পর্যন্ত পাবেন। revtwt এর মিনিমাম পেআউট হচ্ছে ২০ ডলার, যদি আপনার পেপাল অ্যাকাউন্ট থাকে তবে মাস শেষে একাউন্টের টাকা পাঠিয়ে দিবে। আর যদি চান তবে আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স ১০০ ডলারে পৌছালে অ্যাডসেন্স এর মতো বাসার ঠিকানায় চেক পাঠিয়ে দেবে। revtwt এ রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন।

ইউটিউবঃঅনলাইনে আয়ের হাজার হাজার পদ্ধতির মধ্যে ইউটিউব থেকে আয় একটি জনপ্রিয় উপায়। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিডিও শেয়ারিং সাইট YouTube থেকেও আপনি আয় করতে পারবেন কইয়েকটি বিশেষ উপায়ে। ভিডিও তৈরী করে অনেকেই ইউটিউব থেকে আয় করছেন। তবে আপনি কেন পারবেন না। এই টিউনের মাধ্যমে আমি আপনাদের দেখাতে চেস্টা করব কিভাবে ইউটিউব থেকে আয় করা যায়।

নিম্নে কয়েকটা পদ্ধতি আলোচনা করা হল-
আপনি ভিডিও তৈরীর জন্য দুইটি পথ অবলম্বন করতে পারেন। প্রথমটা হল- ভিডিও ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও তৈরি করুন। আর আপনার যদি কোন ভিডিও ক্যামেরা না থাকে তাহলে আপনি এক্ষেত্রে আপনার কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারেন। একটা বিষয়কে মাথায় রাখবেন, তাহল- আপনাকে অবশ্যই মজাদার / শিক্ষনীয় ভালমানের ভিডিও তৈরী করতে হবে। যদি আপনি আপনার চ্যানেলটিকে টিউটোরিয়ালের নির্ভর করতে চান তবে আপনি এখানে ভিডিও টিউটোরিয়ালই আপলোড করেন অন্য কিছু নয়। কিংবা যদি ভিডিও গান বা নাটক এর চ্যানেল বানাতে চান তবে তাও বেশ জনপ্রিয় হতে পারে। একটা কথা মাথায় রাখতে হবে আপনি যখন আপনার ভিডিও গুলি আপলোড দিবেন, তখন অবশ্যই আপনার কী-ওয়ার্ডগুলো দিয়ে দিবেন এবং সাথে সাথে আপনার ভিডিও এর ডেসক্রিপশনটাও দিয়ে দিবেন। এবার আপনার আপলোডকৃত ভিডিও বিভিন্ন সোসিয়াল নেটওয়ার্কিং সাইটে শেয়ার করুন। কারন শুধু আপলোড করে দিলেই হবে না জনপ্রিয় হতে হলে আপনার ভিডিওগুলো বিভিন্ন সোসিয়াল নেটওয়ার্কিং সাইট যেমন: ফেসবুক, টুইটার, গুগল+ ইত্যাদি সমূহে শেয়ার করুন।

কিভাবে ইউটিউব থেকে আয় করবেন

আপনি যদি উন্নতমানের জনপ্রিয় ভিডিও তৈরী করতে পারেন, বা আপনার চ্যানেল জনপ্রিয় হয় তাহলে আপনি ইউটিউবের অ্যাডসেন্স পার্টনারশীপ থেকেই একটা অফার পেতে পারেন। ওরা আপনাকে পার্টনার করলে প্রতি মাসে একটা ভাল এমাউন্টের টাকা আপনাকে দিবে। এই লিংকে ক্লিক করে YouTube Partnership পার্টনারশীপের জন্য আবেদন করতে পারেন।

এছাড়াও বিভিন্ন পন্যের ভিডিও রিভিউ দিয়ে বা বিভিন্ন অ্যাডভারটাইজিং ভিডিওয়ের মাঝে দিয়ে আয় করা যায়। এছাড়া ভিডিওয়ের ডিসক্রিপশনে বিভিন্ন পন্যের এফিলিয়েট লিংক দিয়ে দি্তে পারেন। কোন পন্য বিক্রয় হলেই আপনি টাকা পাবেন।

তাছাড়া আপনি যদি সুন্দর একটা নামের বা ভাল কী-ওয়ার্ডের চ্যানেলের মালিক হন তবে সেটা পরে বিক্রি করে দিতে পারেন। অনেকেই আছে যারা টার্গেটেড কিওয়ার্ডের বা সুন্দর নামের চ্যানেল ক্রয় করে থাকেন। যদিও ইউটিউব অফিসিয়ালী এটা সাপোর্ট করে না কিন্তু তারপরেও হয়। তবে এটা সময় সাপেক্ষ।

মোট কথা আপনি যদি কোয়ালিটি সম্পন্ন জনপ্রিয় ভিডিও তৈরী করতে পারেন, তাহলে আপনিও ইউটিউব থেকে আয় করতে পারেন বেশ কয়েক হাজার হাজার টাকা।

লিংকিডিনঃ লিংকিডিনকে কাজে লাগিয়েও আপনি বেশ ভাল এমাউন্টের টাকা আয় করতে পারেন। এক্ষেত্রে আয় করার জন্য এফিলিয়েশন ই প্রধান উপায়। এসম্পর্কে আরো বিস্তারিত আসছে…

ইন্টারনেটের দুনিয়ায় প্রায় ১০০ কোটি মানুষ বিভিন্ন সোসিয়াল সাইটের সাথে জড়িত। তাই আমার মতে মার্কেটিং জাতিয় কাজেই বড় ধরনের সুযোগ সেখানে রয়েছে। তাই সোসিয়াল সাইটের মাধ্যমে আয় করতে হলে আপনাকে বিশেষ কিছু করতে হবে। ফেজবুক বলেন কি টুইটার বা ইউটিউব বা লিংকেদিন যাই হোক না কেন আপনাকে ভাল কিছু করতে হবেই। আর একটা কথা হলঃ আপনার বন্ধু বা ফলোয়ার বা কানেকশন বেশি এই কারনে ফেসবুক/টুইটার/ ইউটিউব আপনাকে টাকা দেবে না। আপনাকে আয় করতে হবে একে প্রচার কাজে ব্যবহার করে। তবে একটা কথা মনে রাখবেন আর তা হল :No Spamming:
ভিজিটর পরিচালনার মাধ্যমে আয়

Adf.ly থেকে টাকা আয় করা খুব কঠিন কোন কাজ নয়। আপনার কোন ব্লগ বা সাইট যদি একটু পপুলারই হয় তবে তাতেও আপনি বেশ কিছু বাড়তি টাকা আয় করতে পারবেন। এছাড়া এখান থেকে বড় আকারের ওয়েব এড্রেস কে খুব ছোট আকারে নিয়ে আসতে পারবেন। বড় ইউআরএল শেয়ার করতে সমস্যা হয় আর এই ইউআরএল শর্ট সার্ভিস ব্যবহার করে বড় ইউআরএল কে সংক্ষিপ্ত করে সেই সমস্যা সমাধানও করতে পারবেন। আর আপনার শেয়ার করা লিংকে কেউ ক্লিক করলে আপনার আয় হবে এবং এই ক্লিকের পরিমান যত বেশি হবে আয় তত বাড়বে। এই সিস্টেম টা হল ভিজিটর পরিচালনার মাধ্যমে আয়। তাই আপনার যদি গান বা ভিডিও বা ফ্রি সফটওয়্যার ডাউনলোড বা ডিরেক্টরি টাইপের সাইট থাকে তবে Adf.ly থেকে টাকা আয় বেশ ভাল পরিমানেরই হবার কথা। Adf.ly থেকে প্রতি ১, ০০০ ক্লিকের জন্য গড়ে $4 করে আয় হবার কথা আছে। কিন্তু দেশ ভেদে এটি কম বেশি হতে পারে, যেমন বাংলাদেশের ১০০০ ক্লিকের জন্য ১ডলারেরও কম আর সিংগাপুরের ১০০০ ক্লিকের জন্য ৫ ডলারেরও বেশি পে করে থাকে।

Adf.ly থেকে টাকা আয় করার জন্য প্রথমে Adf.ly এ একাউন্ট থাকা প্রয়োজন। এজন্য এই লিংকে গিয়ে রেজস্ট্রেশন করে নিন। রেজিস্ট্রেশন করা হলে আপনার দেওয়া মেইল ঠিকানায় একটা ইমেইল পাবেন, সেটাতে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে একাউন্ট এক্টিভ করে নিন। তারপরAdf.ly এ গিয়ে লগ ইন করুন। Adf.ly এর হোম পেজ মাঝের দিকের এর ফাকা জায়গায় আপনি যে লিঙ্ক টি ছোট বা শেয়ার করবেন সেটি লিখে Shrink! বাটনে ক্লিক করুন। ব্যাস তাহলেই আপনার দেওয়া বড় লিংকটি ছোট হয়ে যাবে। সেই ছোট লিংক টাকে শেয়ার করুন। এই ছোট লিংকে যত ক্লিক পাবেন ততই আপনার আয় বাড়তে থাকবে।

এছাড়া আপনার যদি কোন ওয়েব সাইট থাকে আর সেখানে প্রচুর লিংক থাকে তবে সেই সাইটের প্রতিটা লিংককে Adf.ly এর শর্ট লিংকে কনভার্ট না করেও আয় করতে পারবেন। নিচের কোড টুকু্ন কপি করে আপনার সাইটে যোগ করে দিন, ওয়ার্ডপ্রেস, জুমলা বা ব্লগার ভিত্তিক সাইট হলে টেক্সট গেজেট বা HTML/Java Script গেজেট এর মাঝে আর অন্য প্লাটফর্ম হলে সাইটের বডির কোথাও পেস্ট করে সেভ করুন। তবে 2549554 লিখা স্থানে আপনার রেফারেল আইডি পরিবর্তন করে দিতে হবে। এর ফলে সাইটে সব গুলি লিংকের আগে Adf.ly এর লিংক অটোমেটিক্যালি যুক্ত হয়ে যাবে। ও আর লিখতে পারছি সমস্যা হলে টিউমেন্টে বলবেন

Level 3

আমি মোঃ ছামিম হোসেন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 5 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 24 টি টিউন ও 6 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 4 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Oh,,,,,khub sundor post vai,,view boro kotha noy,,kotojon upokrit holo seitai boro kotha,,,caliye jan

Onek boro post. , porlam na sudu khege gelam