এশিয়া মহাদেশের নববর্ষ নিয়ে সাতটি মজার তথ্য
সবাইকে স্বাগতম জাহাঙ্গীর ল্যাবে।
বিচিত্র দুনিয়ার বিচিত্র মানুষের মজার কিছু তথ্য দিয়ে শুরু করছি নতুন সিরিজ আজিব চীজ আজ প্রথম পর্ব.
আজ জানব এশিয়া মহাদেশের নববর্ষ নিয়ে সাতটি মজার তথ্য।
আশ্চর্য ৭ : জাপানে ১০৮ ঘণ্টা
জাপানে, নববর্ষের আগের দিনটি নতুন বছরের দেবতা তোশিগামি স্বাগত জানানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। নতুন বছরের প্রাক্কালে পুরো ঘর পরিষ্কার করা হয় জাপানি ভাষা একে বলে ঐসুজি। নববর্ষে তারা পরপর ১০৮বার ঘণ্টা বাজায়। বৌদ্ধরা বিশ্বাস করে এটি গত বছরের পাপসমুহ পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে যাবে। অনেক জাপানী তোশিকোশি সোবা একপ্রকারের লম্বা নুডলের খেয়ে থাকে যাতে তাঁরা দীর্ঘায়ু পায়।
আশ্চর্য ৬ : চীনে আতশবাজি
চায়নিজরা লাল রং ভালবাসে। নববর্ষে তাঁরা লাল পোশাক পরে লাল কাগজ দিয়ে বাড়িঘর সাজায়। তাঁরা মনে লাল খামে করে পরিবারের নাম লিখে শুভেচ্ছা পাঠালে সৌভাগ্য আসে। বয়স্করা ছোটদের, বসরা কর্মচারীদের, এবং নেতারা কর্মীদের নতুন বছরের বোনাস স্বরূপ লাল খাম দিয়ে থাকে। চীনে নতুন বছর আতশবাজি ও বিভিন্ন শব্দ উৎপন্ন করে উৎযাপন করা হয়। অধিকাংশ চীনারা এটা মনে করে যে আতশবাজি ও উচ্চ শব্দ শয়তান ও খারাপ আত্মাকে ভয় পাইয়ে দূরে সরিয়ে দেবে এবং সৌভাগ্য বয়ে নিয়ে আসবে।
আশ্চর্য ৫ : ভিয়েতনামে উচ্চশব্দ
ভিয়েতনামে নতুন বছরে ফায়ারক্রেকার, ড্রামস, ঘন্টাধ্বনি, গং এবং যত উপায়ে তারা যত বেশি সম্ভব শব্দ তৈরি করে চীনাদের মত তাঁরা মনে করে মন্দ মন্দ আত্মা দূরে চলে যাবে। মানুষ তাদের সর্বোচ্চ ভাল আচরণ করে। নববর্ষে তাঁরা মৃত আত্মীয়দের কথা মনে করে তাঁদের কবরস্থান পরিদর্শন করে।
আশ্চর্য ৪ : আর্মেনিয়ায় আগুন
আর্মেনিয়ানরা পরিবারের সবাই একসাথে জড়ো হয়ে আগুন জ্বালায়। এই ঐতিহ্যের অর্থ সমস্ত খারাপ স্মৃতি, ভুল পুড়ে যাবে এবং অগ্নি থেকে তাপ এবং আলো প্রাপ্তির ফলে 'পরবর্তী বছর উজ্জ্বল এবং উষ্ণ হবে'। প্রত্যেককে মধু খায় যাতে আগামী বছরের মধ্যে অনেক দিন মিষ্টি হয়।
আশ্চর্য ৩ : কোরিয়ায় সুর্যোদিয়ের উৎসব
কোরিয়ায় সমুদ্রতীরবর্তী অনেকগুলি শহরে 'সূর্যোদয়ের উত্সব' উৎযাপন করা হয়। সমুদ্রের কাছে তাঁরা জড়ো হয় এবং সেখানে নতুন বছরের প্রথম সূর্যোদয় দেখে। তাঁরা সূর্যোদিয়ের সময় সৌভাগ্য প্রত্যাশা করে, যেন নতুন বছরের জন্য এটা সত্য হবে। কিছু লোক তাদের আশা ও স্বপ্নও লিখে রাখে এবং আকাশে বেলুন বা লণ্ঠনে করে ছেড়ে দেয়।
আশ্চর্য ২ : ফিলিপাইনে গোলাকার বস্তু
ফিলিপাইনের লোকেরা বিশ্বাস করে যে নববর্ষের আগের দিন সবকিছুই গোলাকার হওয়া উচিত। তারা মনে করে গোলাকার হচ্ছে টাকা ও ভবিষ্যৎ সম্পদের প্রতীক। তাই তাঁরা নববর্ষের আগের দিন ডাইনিং টেবিলে ১২ টি ভিন্ন গোলাকার ফল খেয়ে থাকে। গোলাকারখাদ্য, গোলাকারকাপড়, যা কিছুই গোলাকারসবই সৌভাগ্য বয়ে আনবে।
আশ্চর্য ১ : থাইল্যান্ডে পানিখেলা
থাইল্যান্ডে একে অপরকে পানির বালতি নিক্ষেপ করে, অনেকে পাউডার দিয়ে একে অন্যকে মাখিয়ে দেয়। তাঁরা মনে করে এই পাউডার/পানি বিগত বছরের পাপ ও সকল ভুল কাজকে ধুয়ে ফেলে। থাইল্যান্ডে, তারা তাদের প্রথাগত নববর্ষ দিবস উদযাপনের জন্য রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় একাধিক দিন পানির লড়াইয়ের আয়োজন করা হয়।
ইউটিউবে দেখুন
https://www.youtube.com/watch?v=LWZS0XxM87U
কাদের নববর্ষের কথা আপনার বেশী ভাল লাগলো টিউমেন্ট করে জানিয়ে দিন।
নতুন বছরে আর কোন আলসেমি নয় কাজে লেগে যান! সফলতা আসবেই ইনশাআল্লাহ!
আমি জাহাঙ্গীর ল্যাব। , YouTube বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 4 টি টিউন ও 95 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি মোঃ-জাহাঙ্গীর আলম,পেশায় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট(ল্যাব) বেড়ে উঠা নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া থানা সান্দিকোনা ইউনিয়নের ডাউকী গ্রামে বাবাঃ-মোঃ-আব্দুস সাত্তার মাতাঃ-মমতাজ বেগম তিন ভাই তিন বোনের মধ্যে কনিষ্ঠ ডাউকী বেঃসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়+বিদ্যাবল্লভ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছিলাম ১ম স্থানে ক্লাস ফাইভে বৃত্তি পাই বিদ্যাবল্লভ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সান্দিকোনা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পজিশন ১-৩এর...