একটা বিষয় লক্ষ্য করে দেখবেন, এখনকার দাদা দাদীরা, যাদের মোটামুটি অনেক বয়স হয়ে গেছে, তারা ডায়াপারের কথা শুনলেই মুখ ঘুরিয়ে নেন। এর একটা কারণও রয়েছে বটে। কারণ, তাদের আমলে ডায়াপার বলতে কিছুই ছিলনা। বাচ্চার জন্য ছোট ছোট কাঁথা ব্যবহার করতেন। কিন্তু বর্তমানে ডায়াপার মানেই প্রতিদিনের সঙ্গী। বাচ্চার ত্বকের সুস্থতায় ডায়াপার ছাড়া চলেই না। তাই, চলুন জেনে নিই, বাংলাদেশে ডায়াপার উৎপত্তির কাহিনী।
খুব বেশিদিন হয়নি ডায়াপারের ব্যবহার শুরু হয়েছে। আর ডায়াপার ব্যবহারের শুরুটা কাপড়ের তৈরি ডায়াপার দিয়েই হয়। এরপর আসে ডিসপসেবল ডায়াপার। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় যে, ১৯৪০ সালের আগ পর্যন্ত কাপড়ের তৈরি ডায়াপার দিকেই কাজ চালিয়ে নিত। আর এরপর থেকে শুরু হয় ডিসপসেবল ডায়াপারের ব্যবহার। ১৯৪২ সালের দিকে হুগো দ্রাঙ্গেল নামে একটি সুইডিশ কোম্পানি প্রথম ডায়াপারের ব্যবসা শুরু করে।
এরপর দুয়েকবছর পর ডায়াপার ব্যবহারে আসে ব্যপক পরিবর্তন। শুরু হয় নতুন নতুন এবং ভালমানের ডায়াপার তৈরি। তবে এইসময় ডায়াপারের দাম এতো বেশি ছিল যে, সবাই ডায়াপার কিনতে পারত না। যাদের টাকা পয়সা অঢেল ছিল, শুধু তারাই তাদের বাচ্চাদের জন্য ডায়াপার কিনতে পারত।
তবে, যুগের পরিবর্তনে নতুন নতুন কোম্পানি নতুন নতুন ব্র্যান্ড-এর ডায়াপার, স্বল্পমূল্যে তৈরি এবং বিপণনে উৎসাহী হয়ে উঠে। এরপর থেকে শুরু হয় বাংলাদেশে ডায়াপার ব্যবহারের যুগান্তকারী সূচনা। ধীরে ধীরে বাংলাদেশে নিওকেয়ার, হাগিস, সুপারমম, মামিপক, এভনি, পেম্পারস, মলফ্লিক্স, টুইংকেল, চুচু, নেনিস, বসুন্ধরা, কিডজ, লাভবেবি, বেবেম -এর মত ভালমানের ডায়াপার ব্যবহার।
এগুলোর দাম তুলনামূলকভাবে কম। তাই, বর্তমানে বাচ্চার স্বস্তির জন্যে সবাই এই ডায়াপারগুলো কিনতে পারছেন। প্যাকেট, সাইজ এবং পিস অনুযায়ী এগুলোর দাম যথাক্রমে ১৭৯ টাকা থেকে ২২৪০ টাকা পর্যন্ত। তাই, পছন্দ অনুযায়ী, দাম দেখে কাস্টমার বাচ্চার জন্যে প্রয়োজনীয় ডায়াপারটি কিনে নিতে পারে যখন খুশি তখনই।
আর এখন চলছে ডায়াপারের যুগ। দোকান থেকে শুরু করে অনলাইন সবখানেই পাওয়া যাচ্ছে ডায়াপার।
আমি মিখায়েল রেমা। Executive, Communication & Public Relation, Chaldal.com, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 10 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 7 টিউনারকে ফলো করি।