আসসালামুআলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
আশাকরি সবাই ভালো আছেন, আপনাদের দোয়ায় আমিও ভালো আছি।
খারাপ থাকবেনই বা কেন, কারন; আপনি তো আছেন টেকটিউনস এর সাথে।
আজকে আপনাদের সামনে একটি ইসলামীক টিউন নিয়ে হাজির হলাম।
আশাকরি, কিন্তু না জানার কারনে বিভিন্ন সময়ে আদবের বরখেলাপ হয়।
তাই আজকে কুরআন তিলাওয়াতের ১৩ আদাব সম্পর্কে আলোচনা করবো, ইনশাআল্লাহ।
তো চলুন শুরু করি, ⤵⤵⤵⤵⤵⤵⤵
(১).মিসওয়াক ও ওযূ করিয়া পবিত্রতা হাসিল করিতে হবে। নিরব ও পবিত্র স্থানে কেবলামূখী হইয়া নামাজে বসিবার মত আদবের সাথে বসিবে, কোন কিছুর উপর হেলান দিয়া বা কুরআন শরীফের উপর ভর করিয়া বসিবেনা। কুরআন শরীফককে কোনো কিছুর উপর রাখিয়া তিলাওয়াত করিবে।
(২).তিলাওয়াতের পূর্বে কয়েকবার দরুদপাঠ করিবে। আউযুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ বলে তিলাওয়াত শুরু করবে।
(৩).হিফজ বা মুখস্থ করিবার নিয়ত না থাকিলে সাধারণ গতিতে ধীর-স্থিরে অক্ষরের সঠিক উচ্চারন করিয়া তিলাওয়াত করিবে।
(৪).যদি সম্ভব হয় কালামে পাকের অর্থ বুঝিয়া তিলাওয়াতের চেষ্টা করিবে। অর্থ না বুঝিলেও যে শব্দগুলি পড়িবে উহাদের প্রতি দৃঢ়ভাবে খেয়াল রাখিবে।
(৫).তিলাওয়াতকারী নিজের শ্রবণ শক্তিকে সদা সজাগ রাখিবে এবং মনে করিবে আল্লাহর নির্দেশে তাহার কালামের তিলাওয়াত হইতেছে এবং তাহা আপনি নিজ কানে শুনিতেছেন, আল্লাহ তায়ালাও তাহা শুনিতেছে।
(৬).একমাত্র আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে কালামে পাক তিলাওয়াত করিবে। অপর কাউকে দেখাইবার উদ্দেশ্যে তিলাওয়াত করলে কোন সওয়াব হবেনা।
(৭).রিয়া বা লোক দেখানোর আশংকা থাকিলে বা অন্য কাহারো কষ্ট বা অসুবিধা হইলে আস্তে আস্তে পরিবে। অন্যথায় স্বাভাবিক আওয়াজের সাথে পড়াই শ্রেয়।
(৮).সিজদার আয়াত পাঠ করিলে সাথে সাথে দাড়াইয়া "আল্লাহুআকবার" বলে সিজদায় যেতে হবে এবং সিসদার তাসবীহ "সুবহানা রব্বিয়াল আ'লা" তিনবার পড়িবে, পুনরায় আল্লাহুআকবার বলিয়া বসিবে এবং পুর্ন বিসমিল্লাহ বলে তিলাওয়াত শুরু করবে।
(৯).তিলাওয়াতের সময়ে হাসি তামাসা করিবেনা, বাজে কথা বলবেনা, কথা বলিবার বিশেষ দরকার হইলে কুরআন শরীফ বন্ধ করিয়া বলিবে।
(১০).রসুন, পিয়াজ, বিড়ি-তামাক ইত্যাদির দুর্গন্ধ মুখ হইতে দুর করিয়া তিলাওয়াত আরাম্ভ করিবে।
(১১).পুর্বের শুরার সাথে মিলাইয়া পড়িলে সুরা তাওবার পূর্বে বিসমিল্লা পড়িতে হয়না। সুরা তওবা হইতে তিলাওয়াত শুরু করলে যথারীতি আউযুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ্ পূর্ন করিতে হইবে।
(১২).কুরআন শরীফ তিলাওয়াত শেষে উহা খুব তাযীম ও সম্মানের সহিত কোন উচু স্থানে রেখে দিবে।
(১৩).কুরআন শরীফের মর্যাদা বজায় রাখিবে,
সর্বোপরি যে কেহ কুরআনের তাযীম করে সে মুলত আল্লাহ ও রাসুল (সাঃ) এর তাযীম করিলো আর বে-তাযীম করে সে প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ ও তাহার রাসুলের বে-তাযীম করিলো।
♦♦অতএব, আমরা যারা কুরআন তিলাওয়াত করি সকলে কুরআনের উক্ত আদবগুলো মেনে তিলাওয়াত করবো।
আল্লাহ আমাদের সকলকে উক্ত আদব সম্পর্কে খেয়াল রেখে কুরআন তিলাওয়াত করার তৌফিক দান করুক। !
আমীন।
ধন্যবাদ♪♪♪♪
কষ্ট করে পোস্টটি পড়ার জন্য।
আর নিত্য নতুন টিপস পেতে সাথে থাকুন।
আর কোন সমস্যা হলে নিচে টিউমেন্ট বক্স তো আছেই।
সকলের সুস্থতা কামনা করে আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি, দেখা হবে পরের টিউনে
সবাই ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি নুরে আলম ছিদ্দিকী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 3 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।